আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

Advertise

যে সব মন্তব্য মুক্তচিন্তার মানুষদের খুন হওয়াকে বৈধতা দেয়

ড. কাবেরী গায়েন  

মেলাবেন তিনি ঝোড়ো হাওয়া
আর পোড়ো বাড়িটার
ঐ ভাঙ্গা দরজাটা।
মেলাবেন।
(সংগতি, অমিয় চক্রবর্তী)

যখন আমাদের লেখক, ব্লগার, প্রকাশকদের মেরে ফেলা হচ্ছে একের পর এক, ঘোষণা মাফিক, তখন অনলাইন-অফলাইনে অনেক মন্তব্য দেখছি, যা হত্যাকান্ডকে বৈধতা দেবারই সামিল, যদিও মুখে বলে নিচ্ছেন, এইসব হত্যাকান্ড তাঁরা মানেন না, কিন্তু লেখকদেরও সাবধান হতে হবে, ইত্যাদি।

অনেকেই এমন বলবেন, সেটা বুঝি, কিন্তু র‍্যালি-হাসপাতাল-মিছিল-রাস্তা-মর্গের সহযোগীরা যখন খুনী এবং খুন হয়ে যাওয়া মানুষদের সমানভাবে দায়ী করে পোস্ট দেন, তখন কিন্তু একটু চিন্তা করতেই হয়। আমাকে আরো বেশি চিন্তায় ফেলে দেয় যখন দেখি বামপন্থী রাজনীতির মানুষেরাও একই কথা বলছেন। আসলেই কি এই মানুষগুলো নিজেদের হত্যাকান্ডের জন্য দায়ী? এই বোঝাপড়াটা আমাদের দরকার।

প্রথম কথা হলো, কোন মানুষকে তাঁর বক্তব্যের জন্য মেরে ফেলা যায় না। তাঁর বক্তব্য ভুল মনে হলে, বাহাসে যাওয়া যেতে পারে, এক লেখার বিরুদ্ধে হাজার লেখা লিখে তাঁর বক্তব্যের অসারতা প্রমাণ করে তাঁকে হাস্যস্পদ করে তোলা সম্ভব। কিংবা লেখাটি মারাত্মক মনে হলে, তাঁর লেখার ভয়ঙ্কর দিকটি তুলে ধরাই মানুষের কাজ। এমনকি তাঁর বক্তব্যের বিরুদ্ধে কোর্টে যাওয়া যেতে পারে। কিন্তু দীর্ঘ পরিকল্পনা করে, একেবারে চাপাতি চালিয়ে খুন করাটাকে কিভাবে কোন লেখকের লেখার ‘মারাত্মক’ উপাদানের সাথে তুলনা করা সম্ভব?

এমনকি কেউ কেউ লিখছেন যে, যারা খুন করছেন এবং যারা খুন হয়েছেন লেখা বা প্রকাশের জন্য, তাঁদের উভয়েরই সমান অজ্ঞতা, অভাব জ্ঞানের। এসব লেখা যখন অনুজপ্রতীম সহযোদ্ধারা লিখে বসেন, তখন আমল দিতেই হয়। তাঁদের প্রতি সম্মান জানিয়েই একটু বোঝার চেষ্টা করছি কিভাবে এইসব মানুষের খুনের জন্য তাঁদের লেখা দায়ী।

মুক্তচিন্তার যে মানুষগুলোকে মেরে ফেলা হয়েছে এ’বছর, তাঁদের মধ্যে অভিজিৎ রায়ের লেখা আমার খানিকটা পড়া আছে। তিনি বিজ্ঞান বিষয়ে বই লিখতেন। তাঁর বইয়ের বিষয়বস্তু বইয়ের শিরোনাম দেখেই বোঝা যায়। ‘বিশ্বাসের ভাইরাস’ ছাড়া আর কোন বইয়ের নামেও এমন কিছু নেই যা বিশ্বাসীদের মনোবেদনার কারণ হতে পারে। তবে এই নামের জন্য মেরে ফেলতে হলে Why I am not a Christian বইটি লেখার জন্য বারট্রান্ড রাসেলকেও মেরে ফেলা দরকার ছিলো খৃস্টান বিশ্বের।

‘আমি ভগবান বুকে এঁকে দেই পদচিহ্ন’ লেখার জন্য কবি কাজী নজরুল ইসলামকে খুন করা দরকার ছিলো সেই সময়কার হিন্দু সমাজের। এবং অতি অবশ্যই বেগম রোকেয়াকে খুন করা দরকার ছিলো ‘ধর্ম গ্রন্থগুলোকে পুরুষের জন্য পুরুষের রচিত বিধি-বিধান ভিন্ন অন্য কিছু’ মনে না করার কারণে। কিন্তু সেই সময়কার মুসলিম সমাজ তাঁকে খুন করেনি।

'আমাদিগকে অন্ধকারে রাখিবার জন্য পুরুষগণ ঐ ধর্ম গ্রন্থগুলিকে ঈশ্বরের আদেশপত্র বলিয়া প্রকাশ করিয়াছেন ।এই ধর্মগ্রন্থগুলি পুরুষ-রচিত বিধিব্যবস্থা ভিন্ন আর কিছুই নহে। ... ধর্ম শেষে আমাদের দাসত্বের বন্ধন দৃঢ় হইতে দৃঢ়তর করিয়াছে,ধর্মের দোহাই দিয়া পুরুষ এখন রমনীর উপর প্রভূত্ব করিতেছেন ।’ (স্ত্রীজাতির অবনতি, ১৯০৪)

অনন্ত বিজয় দাশ বিজ্ঞান বিষয়ক লেখা লিখতেন, একটি যুক্তিবাদি পত্রিকা বের করতেন। এই কারণে যদি তাঁকে মেরা ফেলা বৈধ হয়, তবে বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী চিন্তার সব মানুষকেই মেরে ফেলা দরকার। কাজী আবদুল ওদুদ, কাজী মোতাহার হোসেনদেরও মেরে ফেলা দরকার ছিলো। কিন্তু সেই সময়কার মুসলিম সমাজ তাঁদের মেরে ফেলেনি, বরং পন্ডিত বলে সম্মান দিয়েছে। আহমেদ শরীফকে কেউ মারেনি, তবে তখন শুরু হয়েছে ‘মুরতাদ’ ঘোষণার খেলা। তিনি এই খেতাব পেয়েছেন।

তারপরই দেখেছি তসলিমা নাসরীনকে মেরে ফেলার জন্য লাখো মানুষের উন্মত্ততা। আর কে লিখেছেন? রাজীব হায়দার শোভন, ওয়াশিকুর রহমান এবং নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় নিলয়- তাঁরা কি কোন নিয়মিত লেখক ছিলেন? রাজীবের লেখা ক’জন পড়েছেন? বাকি দু’জনের লেখা সম্পর্কে কেউ জানতেন বলে শুনিনি। তাঁরা জনপরিসরে এতোটুকু তরঙ্গ তুলেছেন বলে জানা নেই। নীলাদ্রির মৃত্যুর পরে তার যে লেখাগুলোর লিঙ্ক পেয়েছি, তার অধিকাংশই হিন্দু ধর্মের বিরুদ্ধে লেখালেখি। প্রশ্ন হলো, এইটুকু লেখার সাথে সঙ্ঘবদ্ধ, ক্রমাগত আক্রমণ ও খুনকে কিভাবে একাকার করে দেখা সম্ভব? কই, তাঁরা তো কাউকে হত্যা করতে চায়নি! দীপন কী করেছেন? এই দুই অংশকে একাকার করে দেখা আসলে হত্যাকান্ডের বৈধতা নির্মাণ করা।

আমি আজ বাংলাদেশের প্রগতিশীল আন্দোলনের পুরোধা বলে যাঁরা দাবি করেন, আরো নির্দিষ্ট করে বললে, বাংলাদেশে যাঁরা এখন বামপন্থী আন্দোলনের সাথে জড়িত, তাঁদের কারো কারো সাম্প্রতিক লেখা এবং পোস্টে এইসব হত্যাকারীর পক্ষে অ্যাপোলজিস্ট হিসেবে তাঁদের যে প্রবণতাটি দেখতে পাচ্ছি, সে বিষয়েই বলবো।

তাঁদের বক্তব্য পড়ে মনে হয়, তাঁরা ৪০/৫০ দশকের 'অসাম্প্রদায়িক' দুধ-ভাত চিন্তায় আচ্ছন্ন। তারা পরিবর্তিত সময়কে বুঝতে চাইছেন না। এর মধ্যে অনেক কিছু ঘটে গেছে। আমি তাঁদের 'ওয়াজ সমগ্র' কিংবা সাইদীর ওয়াজে হাজারো মানুষকে আন্দোলিত করা ভিডিওগুলো দেখতে বলব।

আমি আরো পড়তে বলবো, বেশি দূরে না, আমাদের লাকি আক্তার কিংবা অভিজিৎ-বন্যার কোন খবরের নীচের মন্তব্যগুলো। আমি গ্রামে গ্রামে শুক্রবারের নামাজের পরে খুৎবায় যে বিদ্বেষ ছড়ানো হয়, সেই বিদ্বেষ-এর বয়ানগুলো মন দিয়ে শুনতে অনুরোধ করবো। নারীর বিরুদ্ধে, অন্য ধর্মের বিরুদ্ধে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে, নারী-নেতৃত্বের বিরুদ্ধে, জন্ম-নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে, নারীর অগ্রগামিতার বিরুদ্ধে কী ধরণের বিদ্বেষ বছরের পর বছর ছড়ানো হচ্ছে, সেদিকে মনোযোগী হতে বলবো।

আগে ধর্ম নিয়ে মৌলানা সাহেবরা যা বলতেন, তা মানুষ খুব গ্রহণ করতেন না। কারণ, এই মৌলভী-মৌলানারা ছিলেন গরীব, তাঁদের সামাজিক অবস্থান দৃঢ় ছিলো না। এখন গত কয়েক দশকে মধ্যপ্রাচ্যের টাকা ঢুকেছে তো বটেই, সেই সাথে পলিটিক্যাল ইসলাম, বা ওয়াহাবি ইসলাম কী মারাত্মকভাবে টাকা, স্ট্যাটাস এবং রাজনীতি প্রচার করে চলেছে, তা বাংলাদেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের সাথে থাকা মানুষরা না পারছেন বুঝতে, আর যেটুকু বা বুঝছেন সেটুকু পাত্তা দিচ্ছেন না, এখনো পুরনো মুখস্ত কথায় চলছেন যে গ্রামের মানুষ ধর্ম ভীরু কিন্তু সাম্প্রদায়িক নয় ইত্যাদি।

ইসলাম এবং রাজনৈতিক ইসলামের পার্থক্যটুকু পর্যন্ত তারা করতে পারছেন না। বরং এই বিষয়কে পাশ কাটিয়ে দুয়েকজন ব্লগার কী লিখেছেন তাকেই রেফারেন্স হিসেবে মানছেন এইসব হত্যাযজ্ঞের জন্য, যে ব্লগ সাধারণ মানুষ পড়েইনি। এইসব হত্যাকান্ডের অ্যাপোলজিস্টের ভূমিকায় নেমেছেন অনেকে।

এইদেশে ধর্ম নিয়ে কোনদিন স্বাভাবিক আলোচনা করাই যায়নি। কিন্তু ধর্মের নামে যতো বিদ্বেষ কিন্তু ছড়ানো হয়েছে এবং হচ্ছে। এই বিপুল, বিশাল, সঙ্ঘবদ্ধ প্রচারণার বিপরীতে দু'একজন ব্লগার তাদের ব্যক্তিগত ব্লগে কী লিখেছেন, সেটাকে যখন একই পাল্লায় মাপেন, তুলনা করেন, তখন বোঝা যায় এই সংকট মোকাবেলা করা সম্ভব না।

চাপাতিবাজরা যখন সমস্ত শক্তি নিয়ে যুদ্ধে লিপ্ত, সব কিছু গ্রাস করে ফেলছে, খুন করে চলেছে একের পর এক, সেই সঙ্ঘবদ্ধ প্রচারণা আর আক্রমণের বিরুদ্ধে সঠিক পাঠ এবং অবস্থান নেয়ার বিপরীতে আমাদের তথাকথিত প্রগ্রেসিভ আন্দোলন তাদের মেধা সঙ্ঘটিত করছেন এইসব খুনকে দার্শনিক, যৌক্তিক বৈধতা দিতে। সব এক পাল্লায় মেপে ফেলছেন।

তারা নিজেদের কাজ, এই দেশের মানুষকে যৌক্তিক চিন্তা পদ্ধতিতে তৈরি করার কাজটি কিন্তু করছেন না। দুই পক্ষের জ্ঞানের অভাব বলছেন যাঁরা এক নিঃশ্বাসে, তাঁরা খেয়াল করছেন না, মৌলবাদ তার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে, প্রগতিশীল দাবিদাররা করছেন না। জ্ঞানের অভাবটি ঠিক এইখানে বলে আমার মনে হয়।

শুধু একটা উদাহরণ দেবো, পরিস্থিতির পার্থক্য বোঝানোর জন্য। একসময় আবুল মনসুর আহমেদ-এর ‘হুজুরে কেবলা’ বি এ ক্লাসের পাঠ্য ছিলো, কোন সমস্যা হয়নি। ২০১১ সালে স্বাধীনতা দিবসে সেই নাটক প্রত্যন্ত সাতক্ষীরার এক গ্রামের স্কুলে মঞ্চস্থ করার কারণে হাজার হাজার মানুষ আক্রমণ করে হিন্দু গ্রামে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। স্কুল শিক্ষিকার তিন বছরের ছেলেকে আগুনে ছুঁড়ে মেরেছে। পাশের মসজিদে তখন উত্তেজক বক্তব্য দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতির এই পরিবর্তনকে আমলে না এনে কিছু করা যাবে না।

মার্ক্সবাদ পরিবর্তনের বিজ্ঞান, সমাজের পরিবর্তনশীল উপাদানগুলোকে বিবেচনায় না রেখে সমাজকে ব্যাখ্যা করতে যাওয়ার মারাত্মক ভ্রান্তিতে পড়েছে আমাদের বামপন্থী তরুণরা। গত দুই দশকে ধর্মীয় সহিষ্ণুতার প্রশ্নে কী গভীর পরিবর্তন হয়েছে, সেই পাঠটি তাঁদের নেই বলেই মনে হয় এসব আলগা মন্তব্য পড়ে।

যারা রামুতে আগুন দিয়েছে, আগুন দিয়েছে আর আক্রমণ করেছে পাথরঘাটা, বেগমগঞ্জ, নাটোর, সাতক্ষীরা, চিরির বন্দর, গড়েয়া, কর্ণেই, ঠাকুরগাঁও – আমি একশো ভাগ নিশ্চিত, তারা কোন ব্লগ পড়ে এইসব হত্যাকান্ড ঘটায়নি। এইসব হত্যাকান্ডকে আমলে না এনে, পার্বত্য চট্টগ্রামের আক্রমণগুলো আমলে না এনে,.২০১৩ সালের উন্মাদনার ধারাবাহিকতায় না পড়লে এইসব ব্লগার হত্যার ধারাবাহিকতা বোঝা সম্ভব হবে না। বোঝা সম্ভব হবে না, রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে রেখে, ‘কালো সূর্যের, কালো জ্যোৎস্নার, কালো বন্যায়’ লিখবার জন্য দাউদ হায়দারকে এদেশ থেকে বিতাড়ন করা থেকে মুক্তচিন্তার উপরে যেসব আঘাত নেমে এসেছে, সেসব মোকাবেলায় আমাদের ব্যর্থতাকে সঠিকভাবে বিশ্লেষণ না করে।

অভিজিৎ-দীপনরা খুন হতেই থাকবেন। অনুভূতিতে আঘাত দেবার কোন শেষ নেই। কত কত কারণে আমার কতো শত অনুভূতি প্রতিদিন আহত হচ্ছে, আমি কি চাপাতি নিয়ে ছুটবো সেইসব অনুভূতি আহতকারীদের খুন করতে? সত্যি বলতে, যাদের মন্তব্য, লেখা এইসব হত্যাকারীদের নৈতিক পাটাতন তৈরি করতে সাহায্য করছে, তারা আমার অনুভূতিকে মারাত্মক আহত করছেন। কিন্তু আমার অস্ত্র চাপাতি নয়, তাই সেইসব মন্তব্যের বিপরীতে এই লেখা। সবাই লেখা দিয়ে লেখার মোকাবেলা করুন।

ড. কাবেরী গায়েন, অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬২ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩০ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৫ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ