আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

বুদ্ধিবৃত্তিক সততার দৈন্য থেকে উত্তরণ

মাসকাওয়াথ আহসান  

আমাদের সমসাময়িক সমাজের দৃশ্যমান বিশৃংখলার জন্য সবচেয়ে বড় দায়টি আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক দৈন্য ও অসততার। প্রতিটি সভ্য সমাজে শ্রমজীবী মানুষ আর ক্ষমতা কাঠামোর মাঝে ভারসাম্য ধরে রাখতে উচ্চকিত থাকেন বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়। এদের সমাজের বিবেক হিসেবেই বিবেচনা করা হয়।

সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে হিন্দু কট্টরপন্থার উত্থানে মুসলমানদের ওপরে নির্যাতন ও তাদের গরুর গোশত খাওয়ার ওপর বিধি নিষেধ সম্বলিত সামাজিক পুলিশী শুরু হলে; আমরা লক্ষ্য করেছি ভারতের বুদ্ধিজীবীদের প্রতিক্রিয়া। অনেক লেখক-শিল্পী-কবি-বিজ্ঞানীসহ সৃজনশীল কাজে সম্পৃক্ত বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায় তাদের রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ফেরত দিয়েছেন মুসলমানদের ওপর কট্টর হিন্দুত্ববাসীদের আগ্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিবাদে। এমনকী ভারতীয় অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তারাও প্রতিবাদী হয়েছেন। বুদ্ধিজীবীদের এই সক্রিয়তা ভারতের সাধারণ মানুষের মনোজগতে গভীর প্রভাব ফেলেছে। তারা কয়েকটি রাজ্যের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন হিন্দুত্ববাদী বিজেপিকে ভোট দেয়নি। তাদের ভরাডুবি ঘটেছে। ক্ষমতা কেন্দ্রে এখন প্রবল চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি বিজেপি সরকার। ফলে প্রায় চুপসে গেছে কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের বড় গলাগুলো।

অথচ বাংলাদেশে কট্টর ইসলামপন্থী ও তাদের পৃষ্ঠপোষক সর্বদলীয় ঐকমত্য হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃস্টান-আদিবাসীদের ওপর নির্যাতন ও উচ্ছেদের যে ট্র্যাজিক ঘটনাগুলো ঘটিয়ে চলেছে-নীরবে দেশ ত্যাগে বাধ্য হচ্ছে তারা; এর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের কথিত বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়ের কোন উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়া চোখে পড়েনি। রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ফেরত দেবার মত নৈতিক শক্তি তাদের কাছে প্রত্যাশা করা অর্থহীন। কারণ এরা কেবল চার-পাঁচটা সার্টিফিকেট অর্জন করেছে; কিন্তু শিক্ষার যে মূল উদ্দেশ্য তা পূরণ হয়নি এদের জীবনে। নৈতিক কোন আলোকায়ন ঘটেনি। এরা ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য নিয়ে বেড়ে ওঠেনি। দলীয় ইন্টেলেকচুয়াল ক্যাডার হিসেবে এরা ব্যক্তিস্বার্থের ছোট ছোট প্রলোভনে চিন্তার জগতে বনসাই হয়ে থেকে গেছে। আত্মমর্যাদার সংস্কৃতিতে ঋজু সাদাকালো ছবির যে বুদ্ধিবৃত্তিক ঐতিহ্য বাংলাদেশের; তা আজ কতগুলো দলীয় ভাঁড়ের রঙ্গিন সেলফির সার্কাসে পর্যবসিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ যে আলোর মানুষদের হারিয়েছিলো; সে শূণ্যতা পূরণ হয়নি; বরং বুদ্ধিবৃত্তিক বর্জ্যে ভরে গেছে পুরো সমাজ।

যে দেশে একটি সত-ঋজু-মেরুদন্ডী বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায় অনুপস্থিত; সেখানে সমাজ-রাজনৈতিক উত্তরণ অসম্ভব। যে দেশের বুদ্ধিজীবী মধ্যবিত্ত জীবনের অহমবোধ উদযাপন করতে জানে না; পদ-পদবী-প্লট-বিদেশ ভ্রমণ-সম্পদ বৃদ্ধির জন্য অর্ধশিক্ষিত রাজনীতিকদের সামনে অদৃশ্য সাবানে হাত কচলায়; নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করে; সে দেশের নিমজ্জন অনিবার্য।

সেই নিমজ্জমান প্রেক্ষাপটে নৈরাশ্যের কাছে আত্মসমর্পণ না করে; নতুন প্রজন্মে যারা বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় সক্রিয়; তাদেরকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। “যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলোরে” কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই উপলব্ধি ও আমন্ত্রণ আগামীর বুদ্ধিজীবীদের পথচলার অনুপ্রেরণা হতে পারে।

বাংলাদেশ সমাজের বুদ্ধিজীবীরা যে অর্ধমুর্খের স্বর্গ গড়ে বসে আছে; সেটি একটি অচলায়তন। পৃথিবীর বুকে এরা কোন ছাপ রেখে যেতে অসমর্থ; পনেরো মিনিটের খ্যাতিতে ঝলসে ওঠা এসব উপবুদ্ধিজীবী মৃত্যুর ৭২ ঘন্টার মধ্যেই হারিয়ে যায় বিস্মৃতির অতল জলধিগর্ভে। তাদের এই পরিণতি নিয়তি নির্দিষ্ট; ক্ষুদ্র চিন্তার মানুষের কর্মের অভিঘাত অকিঞ্চিতকর হবে সেটাই তো স্বাভাবিক।

সুতরাং তরুণ প্রজন্মকে এগুতে হবে অনেক আগে হারিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের বুদ্ধিবৃত্তিক সমাজের নিঃস্বার্থ মানুষদের মতো; যারা আজো আকাশে নক্ষত্রের মত উজ্জ্বল আলো দিচ্ছেন। মাটি ও মানুষের প্রতি অজর ভালবাসা লালন করতেন তারা বুকের মধ্যে। অধিকার বঞ্চিত মানুষের অধিকারের পক্ষে সক্রিয় থাকতেন তারা। নিজের বিবেককে কখনোই তারা বন্ধক দিয়ে রাখেননি আগ্রাসী ক্ষমতা কাঠামোর কাছে। তাদেরকে কিংবা তাদের আপোষকে কেউ কোন পার্থিব উপঢৌকন দিয়ে কিনতে পারেনি। কারণ সেসব আলোর মানুষের জীবনের লক্ষ্যই ছিলো সাম্যের সমাজ নির্মাণ; যেখানে ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান এতো উৎকট হয়ে উঠবে না।

এই অমর বুদ্ধিজীবীরা রাজনীতি সচেতন ছিলেন, কিন্তু রাজনৈতিক দলের বুদ্ধিলেঠেল ছিলেন না। কারণ তারা জানতেন পৃথিবীর ইতিহাসে কোন রাজবুদ্ধিজীবী অমরতার আয়োজন করতে পারেননি।

নতুন প্রজন্মে যারা বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় সক্রিয় রয়েছে তাদেরকেও সেই নৈর্ব্যক্তিক সোনালী পথে হাঁটতে হবে। রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধার গলিঘুঁচি খুঁজতে গিয়ে মাথা পচে যাওয়া মতস্যবুদ্ধিজীবী হয়ে যে লাভ নেই; সেটা নিশ্চয়ই বুঝতে আমাদের কারো বাকী নেই।

সাহিত্যিক মার্ক টোয়েন তাঁর লেখালেখিতে সবসময় বৃটিশ ঔপনিবেশিকতার সমালোচনা করেছেন; সাধারণ মানুষের অধিকারের পক্ষে অতন্দ্র থেকেছেন। সে সময়ের পশ্চাদপদ পশ্চিমা সমাজেও মার্ক টোয়েনকে অনেক হয়রানি সহ্য করতে হয়েছে, অনেক সময় আর্থিক অনটনে পড়তে হয়েছে; কিন্তু সত্য উচ্চারণে উনি কখনো থেমে থাকেন নি। আজ তাই মার্ক টোয়েনকে পশ্চিমা সমাজ স্মরণ করে গভীর শ্রদ্ধায়।

যারা অপেক্ষাকৃত মেধাবী ও সৃজনশীল মানুষ তারা কখনোই শুধু রুটিন ভাল খেয়ে-ভাল পরে-ভাল গাড়ীতে চড়ে-ভাল বাড়ীতে থেকে জীবনের পরিপূর্ণ সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারে না। যদিও আমাদের সাধারণ বুদ্ধির সমাজ সেগুলোকেই জীবনের কথিত সাফল্যের সূচক হিসেবে গেঁথে দিয়েছে তরুণদের মনে। এরফলে দেখা যায় ছাত্রজীবন থেকেই তারুণ্যের স্বপ্ন সমাজের নির্ধারণ করে দেয়া কথিত সাফল্যের মাকড়সার জালে আটকে যায়। বেশীরভাগ তরুণই পড়ালেখা করে একটি মোটা বেতনের চাকরীর লক্ষ্য সামনে নিয়ে। এমনকী কেউ তাদের উদ্যোক্তা হতে বা উদ্ভাবনেও উতসাহিত করেনা। নৈতিক অবক্ষয়ের খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে থাকা সমাজে প্রবীনেরা লজ্জাশরমের মাথা খেয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানে জিজ্ঞেস করে বসে, পাত্রের চাকরীতে উপরি ভালো তো!

এরকম একটি খর্ব চিন্তার পাতকূয়ায় বসে সমুদ্রে সাঁতার দেবার স্বপ্নের বিনির্মাণ খুবই কঠিন। কিন্তু সেই কঠিন কাজটা যে করতেই হবে। কারণ আমরা আমাদের ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণে আজ অসংখ্য মাঝবয়েসী মেধাবী চাকুরে খুঁজে পাই; যারা সমাজের ঠিক করে দেয়া সাফল্যের সংজ্ঞা অনুযায়ী বাড়ী-গাড়ী-বিদেশ ভ্রমণ-ব্যাংক ব্যালেন্স-নিও এফলুয়েন্স অর্জন করে- নিও এলিটের পৈতে পরেও আজ দিকনির্দেশনাহীন ও হতাশ। কারণ পরিপার্শ্বের সস্তা চাপে তা্রা তাদের সৃজনশীলতা বিকাশের সুযোগ পায়নি।

আসলে তারুণ্য যদি তাদের যে কাজটি করতে ভালো লাগে; সেটি আন্তরিকতার সঙ্গে করে; তাহলে তাদের সত্যিকার সাফল্য ও মানসিক সন্তোষ অর্জন সহজ হয়। আর গতানুগতিক চাকরী খুঁজে সরকারী বা কর্পোরেট কেরানী হবার যে চল তা একটি মিডিওকার জীবনের রেসিপি; যার গন্তব্য প্রবল হতাশা ও অর্থহীন জীবন যাপন। মূলতঃ একারণে সমাজের সর্বব্যাপী মিডিওক্রেসির তান্ডব দৃশ্যমান। মূলত এই কারণেই ক্ষমতা ও ব্যবসা কাঠামোর মিডিওকাররা মেধা ও সৃজনশীলতার শত্রু হয়ে পড়েছে। তাদের নিজের জীবন যেহেতু ভুল সাফল্যের খোঁজে অর্থহীন সময়ক্ষেপনে পরিণত হয়েছে; তারা চায় সবাই সেই গোষ্পদে আত্মাহুতি দিক।

সৃজনশীল সমাজ গড়তে না পারলে কোন রাষ্ট্রেই গবেষণার প্রতি ঝোঁক তৈরী হয়না। গবেষণা ছাড়া উদ্ভাবন সম্ভব নয়। ফলে চিন্তার ক্ষেত্রে অগ্রসর সমাজগুলো সভ্যতার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্ভাবনগুলো করে। আর চিন্তার ক্ষেত্রে পশ্চাদপদ কেরানী সমাজ সেসব উদ্ভাবিত পণ্যের ভোক্তা হয়। এসব মানুষ পৃথিবীতে আসেই ভোগের ভেলায় ভেসে ভেসে একসময় পারিসংখ্যানিক আত্মপরিচয় নিয়ে মরে যেতে।

বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের উচিত হবে তাদের পূর্ববর্তী এই ফাঁপা মোহরমুখী সমাজের এঁকে দেয়া পুনরাবৃত্তিকর বৃত্তে ঘুরপাক না খেয়ে নিজের স্বপ্নকে খুঁজে নিয়ে নতুন পথে হাঁটা। সে পথে কিছুটা অনিশ্চয়তা থাকে; ভ্রমণের ক্লান্তি থাকে; কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছালে জীবন পূর্ণ হয় অপরিসীম আনন্দে।

ফাঁপা মোহরমুখী সমাজের উদ্দেশ্যহীনতার ভাইরাসটি পরের প্রজন্মের জন্য খুবই ক্ষতিকর। বাহারী স্যুট-টাই, ক্ষমতা কাঠামোর আসে পাশে কাঁঠালের মাছির মত ঘুরপাক খেতে গিয়ে লোভের আঠায় আটকে যাওয়া উঞ্ছজীবন, ছোট্ট শোবিজের সেলিব্রেটি হয়ে কাঁধ ফুলিয়ে কোমর দুলিয়ে হাঁটা; এইসব কথিত “বড় ভাই”-দের কাছ থেকে কিছুই শেখার নাই। এরা গ্রাম্য রাজনীতির ছোট খাট রাজপুত্রের তল্পিবাহক বিবৃতিদাতা হিসেবে শঠতার যে ভাইরাস ছড়িয়েছে বাংলাদেশের খুব সম্ভাবনাময় সমাজে; সেখানে তারুণ্যকে সন্তর্পণে এড়িয়ে যেতে হবে এইসব ভাইরাসের ছোয়াচ।

সত্যিকার সফল মানুষেরা নিজেদের চলার পথ নিজেরাই তৈরী করে; তারপর পিছিয়ে থাকা মানুষের হাত ধরে তারা এগিয়ে যায় সভ্যতার বিনির্মাণে। পৃথিবীতে তারা অযথা আসে না; আসে একটা হিরণ্ময় দাগ কেটে যেতে। আজকের তারুণ্যের মাঝে আমরা সেইসব অর্থপূর্ণ সাফল্যের উদ্ভাস দেখতে চাই-দেখতে চাই সভ্য সুষম সমাজের কারিগর একদল আলোর মানুষ।

মাসকাওয়াথ আহসান, সাংবাদিক, সাংবাদিকতা শিক্ষক

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ