আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

Advertise

ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাবে ঘাতক মঈনুদ্দিন ও আশরাফুজ্জামান?

জুয়েল রাজ  

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। শোকে শ্রদ্ধায় বাঙালি জাতি স্মরণ করবে তাদের সূর্য সন্তানদের। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সূর্য উদিত হওয়ার ঠিক পূর্বমুহূর্তে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় দেশের শিক্ষক, শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, ডাক্তারসহ নানা পেশার সফল মানুষদের। যারা স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনে রাখতে পারতেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। বাতিঘর হয়ে বিলাতেন আলো।

তাঁদেরকে ঘর থেকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর দোসর আলবদর নামক বাংলাদেশেরই কিছু কুলাঙ্গার। দেশ স্বাধীন হবার পর বাসা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া জাতির সূর্য সন্তানদের অনেকের বিকৃত লাশ পাওয়া গেছে রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে। অনেকের লাশেরও খোঁজ মেলে নি।

আর সেই হত্যাকাণ্ডের দুই খলনায়ক ছিল চৌধুরী মঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামান খান। যারা বাংলাদেশের বিজয় অর্জনের সঙ্গে সঙ্গে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়।

দীর্ঘ ৪৪ বছর কেটে গেছে বেদনা বুকে নিয়ে। শহীদ পরিবার তথা দেশের মানুষ বুকে পাথর বেঁধে ছিল। পিতৃহত্যার বিচার চাওয়ার জায়গাটুকুও অবশিষ্ট ছিলনা।

২০০৮ সালের আওয়ামী লীগের নির্বাচন জয়ের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের কলঙ্ক মোচনের দিন শুরু হয়। আলোর মুখ দেখে বাংলাদেশ। ইতিমধ্যে রাজাকারদের শিরোমণিদের বিচারকাজ সম্পন্ন হয়েছে। ফাঁসি কার্যকর হয়েছে ৪ জনের। অন্যান্যদের বিচার কাজও চলছে।

চৌধুরী মঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামানেরও মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে বুদ্ধিজীবী হতাকাণ্ডের দুই খলনায়ক চৌধুরী মঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামান। কারণ বিশ্বের শক্তিশালী দুই দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য তাদের আশ্রয় দিয়ে রেখেছে।  

মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চলাকালীন সময়ে কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক বেসরকারি টেলিভিশন স্টেশন আল-জাজিরাকে এক সাক্ষাৎকারে চৌধুরী মঈনুদ্দীন বলেছেন, তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির হবেন না। এবং এর কারণে হিসেবে তিনি বলছেন, বাংলাদেশের ট্রাইব্যুনাল একটি কৌতুক। তারা একটি সাজানো বিচার করছে। যদিও বিচার চলাকালীন ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনকে (বিবিসি) এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ থেকে নিজের নাম কাটাতে তিনি একটি ‘স্বচ্ছ’ বিচারের মুখোমুখি হতে চান। পরবর্তীতে সেই অবস্থান থেকে সরে এসে আর আদালতের মুখোমুখি হননি। বিডি নিউজের এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে গর্ব করে বলেন বিচারকরা উল্টো ঝুলে যাবে তবুও তাকে ঝুলানো যাবে না।

ব্রিটেনে বসবাসরত তিনজন বাংলাদেশির একাত্তরে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ সম্পর্কে ১৯৯৫ সালে একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করে ব্রিটিশ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টোয়েন্টি টোয়েন্টি টেলিভিশন। কয়েক পর্বের এ প্রামাণ্যচিত্রটি প্রচার করে চ্যানেল ফোর। অভিযুক্ত এই তিন যুদ্ধাপরাধী হলো চৌধুরী মঈনুদ্দীন, আবু সাঈদ ও লুৎফর রহমান। ‘ওয়ার ক্রাইমস ফাইল নামের ওই প্রামাণ্যচিত্রে চৌধুরী মঈনুদ্দীনের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগের তথ্যপ্রমাণ (প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণসহ) তুলে ধরা হয় সেগুলো হলো– অধ্যাপক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরীকে অপহরণ ও গুম করা, সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেনকে অপহরণ ও গুম করা সাংবাদিক আতাউস সামাদকে অপহরণের চেষ্টা।

প্রামাণ্যচিত্রের শেষপর্বে একজন ব্রিটিশ আইনপ্রণেতার সাক্ষাৎকার রয়েছে। ওই আইনপ্রণেতা বলেন, ব্রিটেনের জেনেভা কনভেনশন অ্যাক্ট ১৯৫৭ অনুযায়ী যে কোনো দেশের যুদ্ধাপরাধীর বিচার করার এখতিয়ার ব্রিটিশ সরকারের আছে। পরবর্তীকালে চ্যানেল-৪ সহ সংশ্লিষ্ট সংগঠন এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে ব্রিটিশ পুলিশ বিভাগের (স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড) ওয়ার ক্রাইমস ইউনিটের কাছে দাবি জানানো হয় ওই তিন অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধীর বিষয়ে তদন্ত ও বিচারকাজ শুরু করার জন্য। ব্রিটিশ সরকার বিচারকাজ শুরু করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠিয়ে দেয় ১৯৯৬ সালের প্রথমার্ধেই। ওই তিন জনের বিষয়ে তদন্ত ও বিচারকাজ সম্পর্কে জানতে চেয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষ থেকে দেয়া এক চিঠির জবাবে ব্রিটিশ মেট্রোপলিটন পুলিশ সার্ভিসের ওয়ার ক্রাইমস ইউনিটের ডিটেকটিভ ইন্সপেক্টর মি. ম্যাকডারমেট ২২-১০-৯৬ তারিখে এক পত্রের মাধ্যমে জানিয়েছিলেন ১৯৯৫ সালের মে মাসে চ্যানেল-৪ এর ডেভিড লয়েসের কাছ থেকে তারা চৌধুরী মঈনুদ্দীনসহ অভিযুক্ত তিনজন যুদ্ধাপরাধী প্রসঙ্গে বেশ কিছু সংরক্ষিত তথ্য সংগ্রহ করেছেন। এরপর ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিসেস এবং পররাষ্ট্র ও কমনওয়েলথ অফিসের পরামর্শক্রমে ওইসব তথ্য তারা পাঠিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের কাছে। চিঠিতে ম্যাকভারমেট এ কথাও উল্লেখ করেন যে, একাত্তরে ওই তিন ব্যক্তি যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করে থাকলে তার বিচার করার প্রাথমিক এখতিয়ার বাংলাদেশ সরকারের।

চৌধুরী মঈনুদ্দীন সম্পর্কে সংক্ষেপে পাঠকদের আবারও স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বরের পর ধরা পড়ে আল-বদর কমান্ডার খালেক মজুমদার বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছিল। তখন সে জানিয়েছিল যে, আল-বদররাই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে; আর চৌধুরী মঈনুদ্দীন বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের অপারেশন-ইন-চার্জ। এ বিষয়ে সে বছর ২৩ ডিসেম্বর দৈনিক ইত্তেফাক-এ এবং ২৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ অবজারভার-এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ইত্তেফাক-এর প্রতিবেদনটির শিরোনাম ছিল ‘নরপিশাচ আল-বদরের অ্যাবস্কনডিং আল-বদর গ্যাংস্টার’ শিরোনামে বাংলাদেশ অবজারভার-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীর সদস্য চৌধুরী মঈনুদ্দীনকে ঢাকায় বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের অপারেশন-ইন-চার্জ হিসেবে উল্লেখ করেছে ধরা পড়া আল-বদর রিং লিডার ও জামায়াতে ইসলামীর কর্মকর্তা আবদুল খালেক। ওই প্রতিবেদনের সঙ্গে চৌধুরী মঈনুদ্দীনের ছবিও ছাপা হয়েছিল।

৩ জানুয়ারি ১৯৭২ তারিখে ‘অ্যা জার্নালিস্ট ইজ লিঙ্কড টু মার্ডার অব বেঙ্গলিজ শিরোনামে নিউইয়র্ক টাইমস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, যে বাংলা পত্রিকাটিতে মঈনুদ্দীন কাজ করতেন সেখানকার সহকর্মী রিপোর্টারদের কাছে তিনি পরিচিত ছিলেন একজন বন্ধুবৎসল, ভদ্র ও বুদ্ধিমান যুবক হিসেবে। তার চেহারা ছিল আকর্ষণীয়। দাড়ি ছিল সুন্দর করে ছাঁটা। একটি ডানপন্থী মুসলিম রাজনৈতিক দলের নেতার কাছ থেকে আসা টেলিফোন কল রিসিভ করা ছাড়া তার অন্যত্র অন্য কিছু ব্যতিক্রম লক্ষ্য করা যেত না । কিন্তু গত কয়েকদিনের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, ওই কলগুলো ছিল খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। মঈনুদ্দীনকে শনাক্ত করা হয়েছে উগ্র মুসলিমদের একটি গোপন কমান্ডো ধরনের সংগঠনের প্রধান হিসেবে, যে সংগঠনটি কয়েকশ বাঙালি অধ্যাপক, চিকিৎসক, আইনজীবী ও সাংবাদিককে ঢাকার একটি ইটখোলায় নিয়ে হত্যা করেছে। যুদ্ধের শেষ তিন রাতে আল-বদর নামে পরিচিত ওই সংগঠনের কালো সোয়েটার ও খাকি প্যান্ট পরা সদস্যরা বুদ্ধিজীবীদের ধরে বধ্যভূমিতে নিয়ে যায়। আটক আল-বদর সদস্যরা জানিয়েছে, তাদের লক্ষ্য ছিল স্বাধীনতার পরে সব বাঙালি বুদ্ধিজীবীকে মেরে ফেলা।

চৌধুরী মঈনুদ্দীন বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পালিয়ে আসেন যুক্তরাজ্যে। এরপর থেকে এখানেই বসবাস করছেন এবং এই দীর্ঘ সময়ে নিজেকে একজন মুসলিম নেতা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। গড়ে তুলেছেন মুসলিম এইড নামক চ্যারিটি প্রতিষ্ঠান। ইস্ট লন্ডন মসজিদের পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন দীর্ঘ দিন। আরেক যুদ্ধাপরাধী আবু সাঈদকে নিয়ে একবার গড়ে তুলেন দাওয়াতুল ইসলাম নামক সংগঠন। পরে নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে আলাদা হয়ে ইসলামী ফোরাম ইউরোপ (আইএফই) গঠনের মধ্য দিয়েই মুসলিম নেতা হিসাবে বিলেতের রাজপরিবারের সঙ্গে গড়ে তুলেছিলেন ব্যক্তিগত সম্পর্ক। পাশাপাশি যুক্ত হন ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের সঙ্গে। যুদ্ধাপরাধী বিচার শুরু হওয়ার পর বিতর্কের মুখে মুসলিম এইড ও ইস্ট লন্ডন মসজিদের পরিচালনা পর্ষদ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেও নেপথ্যে থেকে বিলেতের জামায়াত ইসলামের কলকাঠি নাড়ছেন।

বুদ্ধিজীবী হত্যার খলনায়কেরা কি সাজার বাইরে থেকে যাবে?চৌধুরী মঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জমান এখন শুধু আর অভিযুক্ত না। আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। একাত্তরে ১৮ জন বুদ্ধিজীবীকে অপহরণ ও হত্যার প্রসিকিউশনের আনা ১১টি অভিযোগের সবগুলোই প্রমাণিত হওয়ায় জামায়াতে ইসলামীর তখনকার সহযোগী সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘের এ দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে প্রাণদণ্ড দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বিচারপতি ওবায়দুল হাসান নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল-২ গত বছর নভেম্বরে এ মামলার রায় ঘোষণা করে। রায়ে বলা হয়, আমরা ঐকমতের ভিত্তিতে এই মত দিচ্ছি, আশরাফুজ্জামান খান ও চৌধুরী মুঈনুদ্দীনের সর্বোচ্চ শাস্তির আদেশ না দিলে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে না।

স্বাধীনতার ঠিক আগে ১৯৭১ সালের ১১ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের ‘দায়িত্বপ্রাপ্ত’ আলবদর বাহিনীর ‘চিফ এক্সিকিউটর’ ছিলেন আশরাফুজ্জামান খান। আর চৌধুরী মুঈনুদ্দীন ছিলেন সেই পরিকল্পনার ‘অপারেশন ইনচার্জ’। রায়ে বলা হয়, আশরাফুজ্জামান খান ও চৌধুরী মুঈনুদ্দীন যে মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৮ জন বুদ্ধিজীবী হত্যায় জড়িত ছিলেন, তা প্রসিকিউশনের তথ্য-প্রমাণে বেরিয়ে এসেছে। তারা কখনো নিজেরা হত্যায় অংশ নিয়েছে। কখনো জোরালো সমর্থন দিয়েছে, উৎসাহ যুগিয়েছে। সে সময় আলবদর বাহিনীর ওপর ইসলামী ছাত্র সংঘের এ দুই নেতার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছিল বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।

ব্রিটেনে বসবাসরত বাঙালিরা দীর্ঘদিন ধরে চৌধুরী মঈনুদ্দীনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়ে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর জন্য নানা রকম কর্মসূচি পালন ও আন্দোলন করে চলছেন। ফিরিয়ে নেয়ার মূল কাজটা কিন্তু বাংলাদেশ সরকারকেই করতে হবে।

বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের খলনায়কদের সাজার বাইরে রেখে কোনভাবেই ইতিহাসের দায়মুক্তি ঘটবে না।

জুয়েল রাজ, সম্পাদক, ব্রিকলেন; যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি, দৈনিক কালেরকন্ঠ

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬২ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩০ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৫ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ