আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

ডা. দিগেন্দ্রদের আত্মত্যাগ স্মরণ ও গণকবর সংরক্ষণ জরুরি

আব্দুল করিম কিম  

১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১। সিলেট শহরের মনিপুরি রাজবাড়ী এলাকায় শীতের সকাল। কুয়াশার চাঁদরে শুনশান নীরবতায় মোড়া শহরের প্রাণকেন্দ্রের দিকে যাওয়া সড়কটি। চারপাশে জনমানবের কোন কোলাহল নেই। গত কয়েকদিন থেকে যুদ্ধের তীব্রতা বেড়ে গেছে। মিত্র বাহিনীর ক্ষণে ক্ষণে মর্টার শেল বিস্ফোরণের শব্দে কানে তালা লাগে। নানা গুজবের মধ্যেও হানাদার পাকিস্তানীদের আত্মসমর্পণ-এর ক্ষণ গণনা শুরু হয়েছে। শহরের অবরুদ্ধ মানুষেরা বুঝতে পারছে 'বিজয়' এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। আজই মনে হয় সেই প্রতীক্ষিত দিন।

পৃথিবীর বুকে বাঙালিদের একমাত্র স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের বিজয় হতে যাচ্ছে। আর এই অবিস্মরণীয় দিনেই বিজয়ের মাহেন্দ্রক্ষণে সিলেট শহরের এই এলাকায় রচিত হয় মুক্তিযুদ্ধের হৃদয়বিদারক আরেকটি আখ্যান। সকাল ৯টা ৩২ মিনিটে লাখো শহীদের তালিকায় যুক্ত হয় আরও ৯ শহীদের নাম। প্রতিদিনের মত সেদিন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সংবাদ শুনছিলেন সিলেট পৌরসভার অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. দিগেন্দ্র চন্দ্র এন্দ। পরিবারের অন্য সদস্যরা তাঁকে ঘিরে ছিলেন। হটাত একটি মর্টার শেল এসে বিস্ফোরিত হয়। মৃত্যু হয় নারী-শিশুসহ পরিবারের ৯ সদস্যের। এই মর্টার শেলটি মিত্র-বাহিনী সিলাম থেকে পাকবাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করে ছুঁড়ে ছিল। যা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে ডা. এন্দ পরিবারের উপর বিস্ফোরিত হয়।

দেশ স্বাধীন হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে সেদিন নতুন সূর্য দেখেছিলেন ডা. এন্দ পরিবার। লামাবাজার-জিন্দাবাজার সড়কের মনিপুরি রাজবাড়ী এলাকার উত্তর প্রান্তে ডা. এন্দ'র বাসভবন। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর পরিচিতদের অনেকেই গ্রামে বা ভারতে পাড়ি জমালেও তিনি সিলেটেই ছিলেন। মুসলিমলীগের বড় একনেতার সাথে তাঁর ব্যক্তিগত সখ্যতা ছিল। সেই নেতার অভয়ে যুদ্ধের এই নয় মাস নিজের বাসাতেই সপরিবারে ছিলেন। সারাদিন রেডিও শুনতেন। রেডিওর ভলিউম একেবারে কমিয়ে দিয়ে নিঃশ্বাস প্রায় বন্ধ করে 'স্বাধীন বাংলা' বা 'আকাশ বানী' শোনাটাই পরিবারের বয়স্কদের মূল কাজ ছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসিকতার সংবাদে যেমন উদ্দীপনা পাওয়া যেত, তেমনি পাকবাহিনীর নৃশংসতা ও রাজাকার'দের অপকর্মের খবরে দুর্ভাবনা হত। ডিসেম্বরের শুরু থেকেই আল-বদর, আল-শামস ও রাজাকারদের তৎপরতা বেড়ে যায়। শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে যুবতী নারীদের তুলে নেয়ার কানাঘুষা চলছিলো। এ অবস্থায় ডা. এন্দ- পরিবারের নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েন। তিন তরুণী কন্যা ও দুই যুবতী পুত্রবধূকে নিয়ে নিরাপদে ভারতে চলে যাওয়ার কথা এবার ভাবেন। সুযোগ খুঁজতে থাকেন ভারত চলে যাওয়ার।

সিলেট শহর তখনো পাক-বাহিনীর নিয়ন্ত্রণেl মিত্র-বাহিনী পৌঁছে গেছে দক্ষিণ সুরমার সিলামেl মিত্র-বাহিনী সিলাম থেকে পাকবাহিনীর অবস্থানে ক্ষণে ক্ষণে মর্টার শেল নিক্ষেপ করছেl ডা. এন্দ'র প্রতিবেশী হিরণ্ময় চৌধুরী'র বাসায় যুদ্ধ শুরুর পূর্ব থেকে একটি মুসলিম পরিবার বাস করে। এই পরিবারের কর্তা 'আব্দুর রহমান চৌধুরী' বাসাটি হিরণ্ময় চৌধুরীর থেকে বায়না সূত্রে খরিদ করেন। যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে হিরণ্ময় চৌধুরীরা ভারতে চলে যান। যুদ্ধের পুরো সময় চার মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে রহমান চৌধুরী'র দশ সদস্যের পরিবার এই বাসাতেই আছেন। প্রতিবেশী এক মৌলভী সাহেবের পরিবার ব্যতীত পুরো এলাকায় আর কোন মুসলিম অধিবাসী নেই। মনিপুরি রাজবাড়ী'র আশপাশের এলাকা লামাবাজার, মীর্জাজাঙ্গাল, দাড়িয়াপাড়া, রামের দিঘির পাড় মূলত হিন্দু প্রধান এলাকা। অধিকাংশ বাড়িই খালি পড়ে আছে। ডা. এন্দ যে বাসায় থাকতেন তা ছিল বলরাম আখড়ার নিজস্ব সম্পত্তি।

রহমান চৌধুরী'র বড় মামা ছিলেন ডা. এন্দ'র ঘনিষ্ঠ বন্ধু। যিনি দীর্ঘদিন মালনীছড়া চা বাগানের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ছিলেন। এ কারণে ডা. এন্দ ও রহমান চৌধুরী পরস্পরকে মামা বলে সম্বোধন করেন। রাস্তার দুই পাশে দুই বাসা। চৌধুরী সাহেব গলির ভেতরে আর ডা. এন্দ'র বাসা রাস্তার পাশেই। যুদ্ধের এই নয় মাস প্রতিবেশী হিসাবে অসংখ্যবার একে অন্যের খোঁজখবর নিয়েছেন। ১২ই ডিসেম্বর ডা. এন্দ চৌধুরী সাহেবকে তাঁর বাসায় ডেকে পাঠান।

চৌধুরী সাহেব দেখা করতে গেলে; ডা. এন্দ মেয়েদেরকে নিয়ে তাঁর দুশ্চিন্তার কথা বলেন। ভারত যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তিনি মেয়েদেরকে চৌধুরী সাহেবের বাসায় লুকিয়ে রাখতে চান। চৌধুরী সাহেব নিজের মেয়েদের নিয়েই দুশ্চিন্তায়। ডা. এন্দ পরিবারের মেয়েদের কিভাবে আশ্রয় দেবেন?

এ সময় ডা. এন্দ'র মেয়ে শিবানী এন্দ চৌধুরী সাহেবকে বলেন, দাদা বোমা পরে মরে যাই তাতে কোন দুঃখ নাই কিন্তু আমদের মান-সম্মান বাঁচান।

অশ্রু সজল চোখে শিবানী এন্দ'র মিনতি নিয়ে বলা একথা শুনে চৌধুরী সাহেব তাঁদেরকে নিজের বাসায় আশ্রয় দিতে প্রাথমিক সম্মতি জানান। তিনি ডা. এন্দ'র কাছে সময় চেয়ে নিয়ে দরগা-ই-হযরত শাহজালাল (রহঃ)-এর তৎকালীন মোতওয়াল্লী এ জেড আব্দুল্লাহ সাহেবের সাথে দেখা করেন। মোতওয়াল্লী সাহেবকে তিনি পীরের মত মান্য করেন। যে কোন বিষয়ে তাঁর পরামর্শ নেন।

ডা. এন্দ'র বিষয়ে সবকথা শুনে এ জেড আব্দুল্লাহ সাহেব নির্দ্বিধায় তাঁদেরকে আশ্রয় দিতে বলেন। আরও বলেন, এই দুঃসময়ে যতটা সম্ভব মানুষের সেবা কর। শুধু খাওয়া ও আশ্রয় দেয়াই সেবা নয়। যে ভীত আছে তাঁকে সাহস দেয়াও সেবা।

চৌধুরী সাহেব ফিরে এসে ডা. এন্দ'কে মেয়েদের নিয়ে তাঁর বাসায় চলে আসতে বলেন। পরদিন ডা. এন্দ মেয়েদেরকে নিয়ে চৌধুরী সাহেবের বাসায় আশ্রয় নেনl বাসার পশ্চিম প্রান্তের দুই কক্ষ্যের আলাদা ঘরটি ডা. এন্দ পরিবারের জন্য দিয়ে দেয়া হয়। জায়গা সংকুলানে কোন সমস্যা নেই দেখে পরিবারের অন্য সদস্যরাও পরে এখানে চলে আসেন। ১৩ই ডিসেম্বর থেকে সতের সদস্যের এন্দ পরিবার প্রতিবেশী মুসলিম পরিবারের আশ্রয়প্রার্থী হয়। চৌধুরী সাহেবের বড় দুই মেয়ে আসমা ও হাফসার সাথে ডা. এন্দ'র মেয়ে শিখা এন্দ ও শিবানী এন্দ'র ভালো ভাব হয়ে যায়। ১৪ ও ১৫ তারিখ মেয়েরা একসাথে নিঃশব্দে খেলাধুলাও করে।

১৬ ডিসেম্বর সকাল থেকেই ডা. এন্দ দেশ স্বাধীনের সংবাদ শোনার জন্য উদগ্রীব হয়ে রেডিও শুনছেন। পরিবারের অন্য সদস্যরাও রেডিওর আশপাশে আছে। চৌধুরী সাহেবের রেডিও চুরি হয়ে যাওয়ায় গত দু'দিন দু'একবার ডা. এন্দ'র রেডিওর কাছে এসেছেন। আজ  ডা. এন্দ রেডিও শোনার জন্য চৌধুরী সাহেবকে দু'একবার ডেকে পাঠিয়েছেন। চৌধুরী সাহেব সকালের নাস্তা শেষ করে গলির বাইরে এসেছেন। রাস্তায় কোন লোক চলাচল নেই। কাঁধে ভার নিয়ে একজন ফেরিওয়ালা যাচ্ছে। তিনি ভাবছেন, ফেরিওয়ালাকে ডেকে শহরের অবস্থা কেমন জিজ্ঞেস করবেন। সময় তখন সকাল ৯টা ৩২ মিনিট।

ঠিক তখন চৌধুরী সাহেব প্রচণ্ড শব্দ শুনলেন। সামনে তাকিয়ে দেখেন- সেই ফেরিওয়ালা দ্বিখণ্ডিত হয়ে পড়ে আছে। তিনি তাঁর ঘরে অনেক মানুষের আর্তনাদ শুনতে পেলেন। গলি থেকে দৌড়ে নিজের আঙিনায় পা রেখে চমকে গেলেন।  ডা. এন্দ'র ঘর থেকে পোড়া বারুদের গন্ধ বেরুচ্ছে। ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন ঘরে ঢুকে দেখলেন রক্তে ভিজে আছে মেঝে। কে আহত আর কে নিহত কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। জীবিতরা যন্ত্রণায় ছটফট করছে। চৌধুরী সাহেব দৌড়ে নিজের ঘরে এলেন। তাঁর ঘরের সদস্যরা ঠিকঠাক আছে। ছেলে-মেয়েরা ভয়ে কুঁকড়ে আছে। কেউ কেউ কাঁদছে।

ইতিমধ্যে খবর ছড়িয়ে পড়েছে। আশপাশ থেকে দু'একজন এগিয়ে এসেছে উদ্ধার অভিযানে।  ডা. এন্দ পরিবারের ১৭ সদস্যের দু'একজন সৌভাগ্যবশত সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন কিন্তু স্বাভাবিক ছিলেন না। সবাই মিলে আহতদের ঠেলাগাড়িতে শুইয়ে হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমান আবু সিনা ছাত্রাবাস ও সিলেট সদর হাসপাতালেই ছিল তৎকালীন সিলেট জেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র। মিত্র বাহিনীর লক্ষ্য-ভ্রষ্ট মর্টার শেল সেদিন  ডা. এন্দ পরিবারের উপর বিস্ফোরিত হয়l তাৎক্ষণিকভাবে মৃত্যু হয় তিন জনেরl হাসপাতালে নেয়ার পর মৃত্যু হয় আরও ছয় জনেরl মারাত্মকভাবে আহত হয়েছিলেন আরো চার জনl এই ঘটনায় এন্দ পরিবারের নয় জন সদস্য শহীদ হয়েছেন। এরা হলেন ডা. দিগেন্দ্র চন্দ্র এন্দ, তার স্ত্রী সুরুচিবালা এন্দ, মেয়ে শিখা এন্দ, শিবানী এন্দ, বড়ছেলে দেবেন্দু এন্দ, দেবেন্দু এন্দের স্ত্রী খনা এন্দ, ছেলে অপু এন্দ, নাতনি পম্পা এন্দ ও রানা এন্দের শ্বশুর গোপেশ দাস। নয় জনের মধ্যে দেবেন্দু এন্দের স্ত্রী খনা এন্দ ব্যতিত অন্য আট জনকে ডা. দিগেন্দ্র চন্দ্র এন্দ-এর বাসভবনের পশ্চিম প্রান্তে এক গণকবরে সমাধিস্থ করা হয়।

মনিপুরি রাজবাড়ীতে 'মোহনলাল মিষ্টি'র শো-রুমের পশ্চিম অংশের পরিত্যক্ত বাড়িটিতেই সেই গণকবর। 'বিজয়ের আনন্দ' আর 'মিত্র-বাহিনীর মর্টার শেল' এই আত্মত্যাগের ঘটনাকে চাঁপা দিয়ে রেখেছেl ৪০ বছর পর্যন্ত শহরের প্রাণ কেন্দ্রে এমন মৃত্যুর মিছিল নিয়ে কোনো স্মরণ সভা হয়নিl জাতীয় কোনো দৈনিকে প্রকাশিত হয়নি এই শহীদদের কথাl  ডা. এন্দ পরিবারের বেঁচে থাকা সদস্যদের স্মৃতি কথা কেউ শুনতে যায়নি কখনোl

২০১১ সালে আট জনকে সমাহিত করা সেই গণকবর দেখতে গিয়ে হতভম্ব হয়ে যাইl ময়লা-আবর্জনার স্তূপl সিদ্ধান্ত নেই প্রথম বারের মতো স্মরণ করবো মুক্তিযুদ্ধের কারণে শরণার্থী হয়ে প্রতিবেশীর বাড়িতে আশ্রয় নেয়া বুদ্ধিজীবী ডা. দিগেন্দ্র চন্দ এন্দ ও তাঁর পরিবারকেl তাদের মৃত্যু যদিও মিত্রবাহিনীর লক্ষ্যভ্রষ্ট মর্টার শেলে হয়েছে কিন্তু মৃত্যুর মূল কারণ 'মুক্তিযুদ্ধ'। পাক-হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর আলবদর-রাজাকারদের ভয়াবহ নিপীড়ন থেকে পরিবারের নারী সদস্যদের সম্ভ্রম রক্ষা করার জন্যই ডা. এন্দ নিজের ঘর ছেড়ে প্রতিবেশীর বাড়িতে আশ্রয় নেনl

এই মর্মান্তিক ঘটনার সাথে আমার পরিবারের সম্পৃক্ততা আছেl

শৈশবে অসংখ্যবার শুনেছি এই ঘটনার বিবরণ l ডা. এন্দ পরিবারকে আশ্রয় প্রদান করেন আব্দুর রহমান চৌধুরী আমার বাবাl আমার জন্মের দুই বছর দুই মাস আগে এই ঘটনা ঘটেl এই ঘটনায় আমার মা বা বাবা কেউ যদি পৃথিবী থেকে চলে যেতেন তবে আমার বা আমার ছোটো বোন রুবিনা বা ছোটো ভাই নাসিম কী আর পৃথিবীতে আসতে পারতো?

শৈশবে অনেকবার শোনা এ ঘটনা ২০১১ সালে নতুন করে উপলব্ধি করিl সিদ্ধান্ত নেই, ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই দেশে ডা. এন্দ পরিবারের দুঃসহ বেদনাকে ভাগাভাগি করে নিবোl সেই আলোকে কাজ শুরু করি। ২০১১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে সকাল ৯.৩২ মিনিটে (সেই শোকাবহ সময়ে) প্রথমবারের মতো শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. এন্দ পরিবারকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হয়l আয়োজন করা হয় শোকসভারl নিনাই (নির্ভীক-নান্দনিক-ইস্পাত কঠিন) সিলেট-এর মাধ্যমে আয়োজিত সেই স্মরণ ও শোকসভায়  ডা. এন্দ পরিবারের সদস্যদের সম্পৃক্ত করা হয়l গণকবরকে আবর্জনামুক্ত করা হয়। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের তৎকালীন মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান এই গণকবর সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি দেন।

২০১২ সালেও নিনাই (নির্ভীক-নান্দনিক-ইস্পাত কঠিন) সিলেট-এর মাধ্যমে গণকবরে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর বিশেষ আয়োজন করা হয়েছিল। ২০১৩ সাল থেকে গণকবরটি আড়াল করে অস্থায়ী দোকানকোঠা নির্মাণ করেছেন বলরাম আখড়া কমিটি। যা একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থাকে ভাড়া দেয়া হয়েছে। গণকবরটি সংরক্ষণ করা উচিত। কিন্তু এই উচিত কাজ আদায় করার মত আগ্রহী কাউকে পাশে পাওয়া যায়নি। তাই গণকবরটি আবারো আবর্জনার ভাগাড় হয়ে গেছে।

আব্দুল করিম কিম, সমন্বয়ক, সিলেটের ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি ও প্রকৃতি রক্ষা পরিষদ।

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ