আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

মীমাংসিত মুক্তিযুদ্ধের অমীমাংসিত অধ্যায় পাকিস্তান

জুয়েল রাজ  

বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সন্দেহ প্রকাশ, কিংবা বুদ্ধিজীবীরা নির্বোধের মতো মারা গেছেন বলে গয়েশ্বর রায়ের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য আসলে কোন বিছিন্ন ঘটনা নয়। বিএনপির জন্মলগ্ন থেকে শুরু করে রাজাকার আলবদরদের পুনর্বাসনের যে প্রক্রিয়া তারই ধারাবাহিকতা মাত্র। গোলাম আজম, নিজামী, সাঈদই,মুজাহিদ কিংবা সাকা চৌধুরীকে খালেদাজিয়া রাজাকার বলতে নারাজ ছিলেন। তিনি এদেরকে রাজনৈতিক বন্দি হিসাবে ঘোষণা দিয়েছিলেন। বিগত দুই বছর ধরে তারেক জিয়া লন্ডনে বসে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির যে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তা এক সুতোয় গাঁথা। আর যার পিছনে যাবতীয় সহায়তা করে যাচ্ছে পাকিস্তান।

সচেতন দেশপ্রেমিক নাগরিক,বুদ্ধিজীবীদের একটা অংশ ও শহীদ পরিবারের সন্তানেরা দাবী তুলেছেন গয়েশ্বর রায়ের শাস্তির। খালেদাজিয়ার বিরুদ্ধে মামলা ও হয়েছে। দাবী উঠেছে আইন করে মুক্তিযুদ্ধ ইতিহাস সুরক্ষা করার। ছিদ্র বন্ধ না করে কলসীর মুখে ঢাকনা দিয়ে কি সুরক্ষা আদৌ সম্ভব?

দালাল আইন বাতিল, ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি, রাজাকার আলবদরদের পুনর্বাসন শুরু হয়েছিল জিয়াউর রহমানের হাত ধরে। বেগম খালেদা জিয়ার বিএনপি ৯১ সালে ক্ষমতায় এসেই স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে বিতর্কের জন্ম দেয়। যেখানে সংবিধানে স্পষ্টভাবে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র সন্নিবেশিত আছে এবং সেই সংবিধানের আলোকেই তাঁরা দেশ পরিচালনা করেছে। এরপর শুরু হলো ১৫ ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে জন্মদিন পালনের উৎসব। বিষয়গুলোকে আলাদা করে দেখার সুযোগ নাই।

১৯৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশে পাকিস্তান ফেরত সামরিক শাসকদের হাতে ক্ষমতা ছিল। যার মাধ্যমে পাকিস্তান তাঁদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটিয়েছে বাংলাদেশে। যার প্রমাণ ৭১ এর পরাজিত শক্তিকে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা করা। সামরিক বাহিনীতে পর্যন্ত রাজাকারের সন্তানের অন্তর্ভুক্তি। যুদ্ধ করে অর্জিত একটি জাতির জাতীয়তা পরিবর্তন করে স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল ভিত্তি ছুড়ে ফেলে দিয়ে ইসলামী রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশকে ঘোষণা করা।

বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সম্পর্ক, নিকট অতীতে পাকিস্তানের কিছু কার্যক্রম দেখে আসি, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় যাওয়ার পর মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করায় পাকিস্তানের তৎকালীন ডেপুটি হাইকমিশনার ইরফান রাজাকে বাংলাদেশ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।

২০০২ সালের পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি পারভেজ মোশাররফ ঢাকায় এসে ১৯৭১ সালের ঘটনার জন্য দু:খ প্রকাশ করেন। পারভেজ মোশাররফের দু:খ প্রকাশকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সন্তোষজনক হিসেবে গ্রহণ করে। তবে মোশাররফ ঢাকা ত্যাগের পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলে আমরা পাকিস্তানের সরকারের কাছে ক্ষমা চাইতে বলেছিলাম তাদেরকে দু:খ প্রকাশ করতে বলা হয়নি। কিন্তু ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে পাকিস্তান সরকারের ভাষ্য হলো, ১৯৭১ সালে ৩০ লাখ বাংলাদেশী হত্যা ও ২ লাখ নারী ধর্ষণ হয়নি । এ পরিসংখ্যানটি বাস্তবে আরো অনেক কম। তাদের মতে, বাংলাদেশ সরকার যদি হত্যা ও ধর্ষণের প্রকৃত তালিকা দেয় এবং বাংলাদেশ যদি তাদের জাতীয় অনুষ্ঠানগুলিতে পাকিস্তান বিরোধী মনোভাব ব্যাপকভাবে প্রচার না করে তাহলে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবে। পাকিস্তানের এই বক্তব্যের সুরে একই বক্তব্য রাখছেন বেগম খালেদা জিয়া ও তার দলের নেতারা।

মানবতাবিরোধী অপরাধের রায়ে ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়। অথচ ফাঁসি কার্যকরের আগের দিনই, অর্থাৎ ১১ ডিসেম্বর পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদে এবং ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে (কেন্দ্রীয় পার্লামেন্ট) কাদের মোল্লার ফাঁসির বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আনা হয়। এ ছাড়া ১৪ ডিসেম্বর তাঁর ফাঁসির বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করেন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চৌধুরী নিসার আলী খান। এসব ঘটনার প্রতিবাদে ২০১৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর বিকেলে ঢাকায় পাকিস্তানের তখনকার হাইকমিশনার মিয়া আফরাসিয়াব মেহেদি হাশমি কুরেশিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে একটি কড়া প্রতিবাদপত্র তুলে দেওয়া হয়।

এরপর জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির আদেশের পর নিসার আলী খানের বিবৃতির প্রতিবাদে ২০১৪ সালের ৬ নভেম্বর পাকিস্তানের হাইকমিশনার আহমেদ হুসাইন দায়ুকে তলব করে প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশ। জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে ওই বছরের ১৯ নভেম্বর খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রাদেশিক পরিষদের নিন্দা প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ২৪ নভেম্বর ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের কাছে একটি প্রতিবাদপত্র পাঠায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সর্বশেষ ২২ নভেম্বর বিএনপির নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াতে ইসলামীর নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের ফাঁসির প্রতিবাদে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতি দিয়েছে। গত সোমবার এ ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকায় পাকিস্তানের হাইকমিশনার সুজা আলমকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে প্রতিবাদপত্র দেওয়া হয়েছে।

গত ২৩ নভেম্বর ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সুজা আলমকে তলব করে তার কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়। বাংলাদেশ বলেছে, পাকিস্তানের এহেন মন্তব্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নির্লজ্জ হস্তক্ষেপ। পাকিস্তান ১৯৭৪ সালের ত্রিপক্ষীয় চুক্তিকে বিকৃত করেছে বলে উল্লেখ করে বাংলাদেশ বলেছে, ত্রিপক্ষীয় চুক্তি মোতাবেক, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করার ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই।

সর্বশেষ ইসলামাবাদে নিযুক্ত বাংলাদেশের কাউন্সিলর মৌসুমি রহমানকে ডেকে বাংলাদেশের বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে বলেছে, পাকিস্তান ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে গণহত্যাসহ কোনো প্রকার দুষ্কর্ম করেনি।

কাদের মোল্লার ফাঁসির পর পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি উঠেছিল। উচ্চতর রাজনৈতিক পর্যায় থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর চাপও সৃষ্টি করা হয় সম্পর্ক ছিন্ন করার।তখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ইতিপূর্বে পাকিস্তানে যেসব কূটনীতিক দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের নিয়ে বৈঠকে বসে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ওই বৈঠকে উপস্থিত প্রায় সবাই পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক বহাল রাখার পক্ষে মত দিয়েছিলেন। বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী দুইজনও পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক রাখার পক্ষেই মত দিয়েছেন।

কিন্তু পাকিস্তানের সাথে যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধা কোথায়? বাংলাদেশের দুঃসময়ে ইসরাইল বাংলাদেশকে দুই দুইবার স্বীকৃতি দেয়ার পর ও বাংলাদেশ ইসরাইলের সাথে কোন কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেনি। স্বাধীনতার ৪৪ বছর পেরিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ইসরাইল কে ছাড়া চলতে কোন সমস্যা হয়নি। যুদ্ধে পরাজিত পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধা কোথায়? অর্থনৈতিক ভাবে বিচার করলে পাকিস্তান বাংলাদেশের ১৭-তম ট্রেড পার্টনার। বাংলাদেশ যেখানে প্রতি বছর ৩০.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য পাকিস্তানে রপ্তানি করে (২০০১-০২সালের হিসাব অনুযায়ী), সেখানে পাকিস্তান বছরে ৯০.৫৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করে।

২০১২-২০১৩ সালে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের মোট আমদানির পরিমাণ ৩,৯১৩.৭০ কোটি টাকা যা বাংলাদেশের মোট আমদানির ১.৭০%।

২০১২-১৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে যা আমদানি করেছে বাংলাদেশ তার পরিমাণ ৩,৯১৩.৭০ কোটি টাকা যা বাংলাদেশের মোট আমদানির ১.৭% মাত্র।পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশর ১.৭% আমদানির হেরফের হলে সেটার প্রভাব দেশের গোটা অর্থনীতিতে খুব একটা হবার কথা না। আমদানিকৃত পণ্যের মধ্যে সিংহভাগ আবার টেক্সটাইল পণ্য।

পাকিস্তান ছাড়া তুলা,সুতা ও সুতী কাপড় খাতে বাংলাদেশের বড় বড় আমদানি উৎসগুলো হচ্ছে চীন, ভারত, উজবেকিস্থান, হংকং। সেখানে ও সমস্যা হবার কথা নয়।

কাদের মোল্লার বিচারের রায় কার্যকর হবার পর সংবাদ মাধ্যমগুলোতে এমন খবর আসতে থাকে যে, যদি এভাবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর হতে থাকে তাহলে বাংলাদেশে ১০ হাজার পাকিস্তানী বিনিয়োগকারী তাদের ১৬,০০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে চলে যাবে। বরং বাংলাদেশের সরকারী উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্য হচ্ছে ১৯৭৭ থেকে ২০১০ এই তেত্রিশ বছরে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে মোট ১৬টি ইউনিটে বিনিয়োগ মাত্র ১৩.১৪৩ মিলিয়ন ডলার বা ১০৫ কোটি টাকা যা বাংলাদেশে মোট বৈদেশিক বিনিয়োগের ০.১৯% মাত্র। এবং এই ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে মাত্র ১,৪৬৮ জনের।

তথ্যমতে পাকিস্তান বাংলাদেশে টেক্সটাইল, চামড়া, স্টিলের সামগ্রী, হাউজহোল্ড, অটোমোবাইল ইত্যাদি খাতে বিনিয়োগ করেছে। বস্তুত পাকিস্তান প্রযুক্তিগতভাবে এতোটা উন্নত নয় যে এইসব খাতে পাকিস্তানের বাংলাদেশে বিনিয়োগ বিশেষ গুরুত্ব বহন করবে।

বাংলাদেশে পাকিস্তান কোন বিনিয়োগ না করলেও আমাদের কোন ক্ষতি নেই।

বরং বিদেশী বিনিয়োগকারীদেরকে বাংলাদেশ সরকারের দেয়া কর মওকুফসহ অন্যান্য আকর্ষণীয় সুবিধার কথা বিবেচনা করে পাকিস্তানের গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে ফ্যাক্টরি দেবার জন্য মরিয়া হয়ে আছে। সস্তায় বাংলাদেশের জমি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, দক্ষ শ্রমিক ব্যবহার করে পাকিস্তানী গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বসে পাকিস্তানের বৈদেশিক আয় বাড়াতে চাইছে।

সর্বশেষ পাকিস্তানী নারী কূটনৈতিক ফারিনা আরশাদের জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে ফিরিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান । জঙ্গি সম্পর্ক স্বীকার না করে পাকিস্তান বলছে ফারিনার সাথে অবিচার করেছে বাংলাদেশ। জেএমবি সহ নকল টাকা মাদক সহ বহু পাকিস্তানী নাগরিক কে আটক করেছে পুলিশ। বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর যাবতীয় চেষ্টা করতে কার্পণ্য করছে না পাকিস্তান। দেশের ভিতরে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা জঙ্গি কার্যক্রমে সম্পৃক্ততা কোন আইনে ক্ষমার অযোগ্য জানিনা। পরাজিত দেশের সাথে সম্পর্ক থাকবে কিনা তা নিশ্চয়ই বিজয়ী দেশের ইচ্ছার উপর নির্ভর করার কথা।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি কিংবা বাংলাদেশের জঙ্গিবাদ নিশ্চিহ্ন করার সহজ ও একমাত্র পথ হচ্ছে পাকিস্তানের সাথে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করা। মাদ্রাসায় মসজিদে সাহায্যের নাম করে নকল টাকা সরবরাহ আর জঙ্গিবাদের বিস্তারই ঘটাচ্ছে পাকিস্তান। ৭১ এর গণহত্যার দায় স্বীকার করে আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চায়নি পাকিস্তান । বাংলাদেশের প্রাপ্য সম্পদ ফিরিয়ে দেয়নি। ৭০ এর বন্যা ও৭১ এ বিভিন্ন সংস্থার দেয়া সাহায্য বুঝিয়ে দেয় নি পাকিস্তান। ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধের দায়ী সেনা কর্মকর্তার বিচার করেনি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বারবার নাক গলাচ্ছে দেশটি ও তাঁদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব। আর তাঁদের হাতের কলের পুতুলের মতো কথা বলছে বিএনপি ও তার নেতারা।বিভ্রান্ত একটা প্রজন্ম সৃষ্টি করাই তাঁদের মূল উদ্দেশ্য।

বাংলাদেশের মীমাংসিত মুক্তিযুদ্ধের অমীমাংসিত অধ্যায় পাকিস্তান। এর মীমাংসা হওয়া জরুরী পাকিস্তানের সাথে স্থায়ী ভাবে সম্পর্ক ছিন্ন করাই উত্তম ও সহজ সমাধান।

ড. হুমায়ুন আজাদের মতোই আমিও বলি ‘পাকিস্তানকে আমি ঘৃণা করি, যখন তারা গোলাপ নিয়ে আসে তখনও…’

জুয়েল রাজ, সম্পাদক, ব্রিকলেন; যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি, দৈনিক কালেরকন্ঠ

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ