আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

Advertise

‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা কোন কাজ করে না’

ড. কাবেরী গায়েন  

দেশের শিক্ষক সম্প্রদায়, বিশেষ করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা খুব খারাপ। তাঁরা ক্লাস নেন না, পড়ান না, নিজেরাও পড়েন না। ছাত্রদের শেখাবেন কী? তাঁদের কোন গবেষণা নেই। পৃথিবীর ১০০টি কিংবা ১০০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাংলাদেশের কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নেই। কী আরামের চাকরি! সপ্তাহে চার/পাঁচটা মাত্র ক্লাস! - বাংলাদেশে খুব কম নাগরিক আছেন, যিনি এসব জানেন না এবং বলেন না। ক্ষমতার সবচেয়ে উঁচু পর্যায় থেকে শুরু করে যিনি কোনদিন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌকাঠ অবধি যাননি, তিনিও এসব কথা নিশ্চিতভাবে এবং অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে বলেন।

মাঝে মাঝেই আশ্চর্য হয়ে ভাবি, সত্যি তো, আমরা তো কিছুই করি না, তবুও কেনো আমাদের বেতন দেয়া হয়! বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নামের এমন এক ‘সম্মানজনক’ পদে আমরা আছি, এই কি যথেষ্ট নয়? রাষ্ট্রের উচিত আমাদের বেতন কাঠামো থেকে আরো কয়েক ধাপ নামিয়ে সম্মানিত করা। চাইলে রাষ্ট্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকতাকে অবৈতনিকও করে দিতে পারে।

মুশকিল হলো, যে শিক্ষকসমাজের বিদ্যা-বুদ্ধি-কমিটমেন্ট কিছু নেই, তাঁদের ‘সম্মানিত’ করার জন্য রাষ্ট্রের কতোই না আয়োজন! এতো সম্মানিত সম্প্রদায় কেনো সামান্য বেতন-ভাতা-বেতন কাঠামো নিয়ে মাথা ঘামাবেন? কিছু কিছু সম্মানজনক পদ আছে, যেসব পদ টাকাকড়ি দিয়ে মাপা ঠিক না। আমাদের সমাজে যেমন মায়ের পদ। সন্তানের বেহেশত মায়ের পায়ের নীচে। মায়েদের সম্মান এতো বেশী বলেই না সমমজুরী, সম্পত্তির উত্তরাধিকার বা সন্তানের অভিভাবকত্বে অধিকারের মতো সামান্য বিষয় দিয়ে তাঁদের সম্মান মাপা কাঙ্ক্ষিত নয়। মাপা হয়ও না।

মুশকিল আরো আছে। যে শিক্ষকরা কোনদিন কিছু শেখালেন না, যাঁদের না কি শ্রেণীকক্ষে কোনদিন পাওয়াই গেলো না, তাঁদের ছাত্রছাত্রীরা যখনই সরকারী কর্মকর্তা হলেন, তাঁরা এতোই শ্রেষ্ঠত্ব দেখাতে সক্ষম হলেন যে তাদের বেতন-কাঠামো, পদ-মর্যাদা তো বাড়ানো হলোই, একই সাথে সচিবের উপরে আরো দু’টি পদ সৃষ্টি করে তাঁদের পুরস্কৃত করা হলো। এই হিসাবটা অবশ্য আমি মিলাতে পারি না। স্কুল থেকে শুরু করে কোন পর্যায়ের শিক্ষকই যখন কিছু শেখানোর মতো যোগ্যও নন, কিছু শেখালেনও না কোনদিন- তাঁদের ছাত্রছাত্রীরা সরকারী কর্মকর্তা হবার সাথে সাথে কোন ‘যন্তরমন্তর’ ঘরে ঢুকে এমন পুরস্কৃত হবার মতো শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করলেন, সেটা জানার আগ্রহ বহু দিনের। কিন্তু যাঁরা আমাদের অবহিত করতে পারেন, তাঁরা সেই কষ্টটি করছেন না।

দুই
আমাদের দুর্বলতাগুলো স্বীকার করার ক্ষেত্রে আমার কোন আপত্তি নেই। আমাদের আরো যোগ্য একাডেমিক হয়ে উঠবার অবকাশ আছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক রাজনীতির অতিরিক্তপনা আছে, গবেষণার ঘাটতি আছে, বিশ্বমানের শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারছে না, বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকায় নাম তুলতে পারছে না। কাজেই ন্যায্য তিরস্কার মাথা পেতে নিয়েই বিনীত প্রশ্ন-আমাদের কোন সেক্টর বিশ্বের সেরা তালিকায় জায়গা করে নিতে পেরেছে?

আমরা কি নিশ্চিত, আমাদের জনপ্রশাসনের কর্মকর্তারা, যাঁদেরকে রাষ্ট্র পদমর্যাদা বাড়িয়ে পুরস্কৃত করছে, তাঁরা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জনপ্রশাসনের প্রথম দিকে জায়গা করে নিতে পেরেছেন? এদেশের প্রকৌশল, চিকিৎসা, কৃষি, সাংবাদিকতা, আইন, সাহিত্য, সংস্কৃতি, রাজনীতি, গণমাধ্যম, ব্যবসা- কোন সেক্টর বাংলাদেশকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ তালিকায় তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে? এক ক্রিকেট ছাড়া আমাদের বিশ্বমানের সাফল্য মনে করতে পারছি না।

শিক্ষকরা কিছুই পড়ালেন না, অথচ এদেশের শিক্ষার্থীরা পাশ করে বড় বড় ক্ষেত্রে সাফল্য দেখালেন। প্রতিবছর আমাদের মেধাবী শিক্ষার্থীরা বিদেশে গিয়ে দিব্যি ভালো রেজাল্ট করে বের হচ্ছেন। শিক্ষকরা রাজনীতি করেন, দেখাই যায়। মজার বিষয় হলো, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় চলে ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী, যেখানে শিক্ষকদের রাজনীতি করতে বাধা নেই। অথচ জনপ্রশাসনে যাঁরা চাকরি করেন, তাঁরা কোন দলীয় রাজনীতি করবেন না- এমন শপথ নিয়েই ঢোকেন।

তাহলে, রাজনৈতিক ক্ষমতাবদলের সাথে সাথে কেনো প্রশাসনে এতো এতো কর্মকর্তা ওএসডি হন এবং বিপরীত রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় এলে তাঁরাই দাপটের কর্মকর্তা হন? দেশের কোন পেশাজীবীদের নির্বাচন হয় না দলীয় রাজনীতির বিভাজনে? এসব প্রশ্ন তোলার ভেতর দিয়ে আমি নিশ্চয়ই দাবি করছি না, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাজনীতির মধ্য দিয়ে যে দলীয়করণ হচ্ছে তা ভালো। বরং বলছি, কোন পেশাই এই দলীয়করণের বাইরে নেই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান কিংবা স্কুল-কলেজের শিক্ষকরা প্রাইভেট ট্যুইশনি করেন মর্মে নিন্দা করতে শুনি এমনকি আমার চিকিৎসক বন্ধুদের। ক্লিনিক ফেঁদে বসা চিকিৎসা ব্যবসায়ীদের। কোন চিকিৎসক এই মানবাধিকারবিরোধী চিকিৎসাব্যবসার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন বলে জানা নেই। গণমাধ্যমও বেশ নিঃশ্চুপ এ বিষয়ে। অথচ শিক্ষকদের মধ্যে অনেকেই আমরা ক্রমাগত লিখছি, প্রতিবাদ করছি কোচিং ব্যবসার বিরুদ্ধে, শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণের বিরুদ্ধে। আর বিশ্বের সাথে গবেষণায় আমাদের পিছিয়ে থাকার কথা যখন উঠলোই তখন বিনয়ের সাথে বলি, গবেষণা করতে বিনিয়োগ করতে হয়। ঐ যে শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর যে তালিকা অওড়ানো হয়, সেই তালিকাভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পেছনে রাষ্ট্রের বিনিয়োগ সম্পর্কে কোন খোঁজ কি নিয়েছেন আমাদের সাংবাদিকরা কখনো? তারপর মিলিয়ে দেখেছেন গবেষণায় কিংবা সার্বিকভাবে শিক্ষায় আমাদের বিনিয়োগ কত? তুলনাটা এরপর করলে ভালো হতো।

তিন
আমাদের অর্থমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের ‘জ্ঞানের অভাব’-এর কথা বলেছিলেন, প্রস্তাবিত বেতন-কাঠামোর বৈষম্য নিয়ে নিয়ে শিক্ষকদের আন্দোলনের এক পর্যায়ে। বলেছিলেন,

'আমলাতন্ত্রকে আমরা যেভাবে ম্যানেজ (পরিচালনা) করি, বিশ্ববিদ্যালয় স্টাফদেরও সেভাবে নিয়ন্ত্রণ করব।’ (প্রথম আলো, ৮ সেপ্টেম্বর)।

বেতনস্কেল প্রসঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সর্বশেষ মন্তব্য,

‘বেতন বাড়বে, তবে নয়টা-পাঁচটা অফিস করতে হবে।’ (পূর্ব-পশ্চিমবিডি.কম, ৫ জানুয়ারি ২০১৬)

এসব মন্তব্য দেখে মনে হয়, এতো ক্ষয়ের পরেও কোথাও বুঝি বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরিমেয় সুপ্ত শক্তি আছে। যে শক্তিকে আসলে ক্ষমতাবানরা ভয় পান। তাই কখনো ‘স্টাফ’ হিসাবে নিয়ন্ত্রণ করতে চান, কখনো নয়টা-পাঁচটা অফিস করতে বলেন।

যাঁরা মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কোন কাজ নেই, তাঁদের জন্য বিনীতভাবে শুধু বলার আছে, কোন যুগে শিক্ষকদের ক্লাস নিতে হতো না, জানি না। কিন্তু এখন আমরা চলি, সিমেস্টার পদ্ধতিতে। বছরে দু’টি সিমেস্টার। চারমাস ক্লাস হয় প্রতি সিমেস্টারে,তারপর ফাইনাল, রেজাল্ট। আমার বিভাগে প্রতি ক্লাসে ৭০ জনের মতো শিক্ষার্থী। এই চারমাসে ক্লাসের মধ্যেই নিতে হয় একটি মিডটার্ম (কখনো বা দু’টি), একটি গ্রুপ প্রেজেন্টেশন, এবং মনোগ্রাফ। অনুপস্থিত, অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের ফের পরীক্ষা নেবার বিষয় তো রয়েছেই। ৭০টি মনোগ্রাফের বিষয় ঠিক করে দেয়া, কয়েকবার করে আলাপ করা, জমা দেয়া হলে পড়ে নম্বর দেয়া। মিডটার্মের খাতা দেখা, নম্বর দেয়া। এসব করতে হয় সিমেস্টার ফাইনালের আগেই, নম্বর টাঙ্গিয়ে দিতে হয়। বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এসব করার জন্য কোন গ্রাজুয়েট অ্যাসিস্ট্যান্ট নেই। যে শিক্ষক প্রতি সিমেস্টারে অন্তত দু’টি কোর্স পড়ান, সিমেস্টার চলাকালে তার আসলেই কি কোন সময় আছে নিজের জন্য?

মাস্টার্সের রিসার্চ মেথডলজি ক্লাস চলার সময়ে আমি স্তূপ করা খাতার বহর নিয়ে বাসায় যাই, সারারাত জেগে পড়তে থাকি, ফের ডিপার্টমেন্টে আসি। দফায় দফায় আলোচনা চলে। আধা ঘণ্টার বিরতিতে ছয় ঘণ্টা ক্লাসও নিতে হয় শেষদিকে। সমাজবিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে এই শিক্ষার্থীসংখ্যা দু’শোর বেশি। তাঁরা কীভাবে সামলান, আমি কল্পনাও করতে পারি না। আমি শুধু দেখি, সিমেস্টার চলাকালে, ক্লাসের বাইরে আমি খাতা দেখছি, নয়তো রিসার্চ প্রস্তাবনা ঠিক করছি, নয়তো ক্লাসের জন্য প্রস্তুত হচ্ছি। ঘুমের মধ্যেও খাতা দেখার দুঃস্বপ্ন দেখি। রয়েছে থিসিস তত্ত্ব¡াবধান, পরীক্ষা কমিটির দায়িত্ব পালন, সিলেবাস কমিটিতে কাজ, বিভাগের নানা ধরণের কাজে সংশ্লিষ্ট থাকা। আর কেউ যদি এরই মধ্যে রিসার্চ অ্যাকটিভ থাকতে চান তাহলে তো কথাই নেই। যাঁরা রিসার্চ অ্যাকটিভ থাকতে পারেন না, তাঁদেরও যে মানেরই হোক কিছু প্রকাশনা করতে হয় এরই মধ্যে।

বিজ্ঞান অনুষদগুলোর শিক্ষকদের দেখি, সাড়ে সাতটার বাসে আসেন আর বিকাল পাঁচটার বাসে বাসায় ফেরেন। কাজেই যাঁরা শিক্ষকদের কর্মহীন জীবন দেখেন, তাঁদের প্রতি অনুরোধ, সেই ম্যাজিকটা যদি একটু দেখিয়ে যেতেন! বরং সিমেস্টার রুটিন যেভাবে সাজানো তা’তে মনে হয়, এসময়ে কোন শিক্ষকের মা মারা যেতে পারবেন না, কারো একদিন জ্বর হতে পারবে না, একদিন বৃষ্টি হতে পারবে না।

চার
ফিরে যাই মূল প্রসঙ্গে। শিক্ষকদের কাজ কম, এটি একটি মিথ। এই মিথের নির্মাণ সম্ভব হয়েছে শিক্ষকদের তরফ থেকে প্রতিবাদ না আসার কারণে এবং এমনকি শিক্ষার্থীদেরও শিক্ষকদের কাজ সম্পর্কে ধারণা না থাকার জন্য। অন্য সব পেশায় নয়টা-পাঁচটার পরে ঘরে ফিরে টেলিভিশন দেখা যায়, সিমেস্টার পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িয়ে তাও সম্ভব না। দলীয় রাজনীতিতে সব পেশার মানুষই বিভক্ত। দেশের কোন সেক্টরই বিশ্বের সেরা তালিকায় জায়গা করে নেই। তুলনা তো আমাদের সাপেক্ষেই হতে হবে।

এই সার্বিক পরিস্থিতিতে, এখনো সবচেয়ে ভালো রেজাল্ট করা ছাত্রছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকতাতেই আসেন। তবে কেনো বেতনস্কেলে বৈষম্য? কেনো ক্রমাগত মানহানিকর বক্তব্য? শিক্ষক প্রতিনিধিদের উপস্থিতি ছাড়া শিক্ষকদের পদমর্যাদা নিয়ে আলোচনা সফল হতে পারে না। শিক্ষকদের প্রতি এই অসম্মান মারাত্মক হয়ে উঠবে অচিরেই, সবচেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকতায় আর পাওয়া যাবে না।

অথচ এখনই ছিলো শ্রেষ্ঠ সময় শিক্ষায় বিনিয়োগ সর্বোচ্চ করার, শিক্ষকদের মর্যাদা সর্বোচ্চ করার। শিক্ষাকে ঢেলে সাজানোর।

ড. কাবেরী গায়েন, অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬২ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩০ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৫ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ