আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

চা শ্রমিকদের বিক্ষোভে সরকার নাখোশ কেন?

রেজা ঘটক  

চাইনিজ মিথ অনুসারে, খ্রিষ্টপূর্ব ২৭২৭ সালে প্রথম চা উৎপাদন শুরু হয়। সম্রাট শেন নং চা গাছের নিচে বসে পানি বিশুদ্ধ করতেন। তখন সেই পানির ভেতরে তিনি দু'একটা চা পাতাও দিতেন। তখন সেই পানির রঙ ও স্বাদ পাল্টে যেত। যা সম্রাট শেনকে আরো উজ্জীবিত করত।

ভারতীয় মিথ অনুসারে, রাজপুত্র ধর্ম বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণের উদ্দেশ্য ভারত থেকে চিনে গমন করেন। ওটা ছিল তার নয় বছরের মিশন। তিন বছরের মাথায় রাজপুত্র ধর্ম খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন তিনি কয়েকটি চা পাতা চিবিয়ে খাওয়ার পর বাকি ছয় বছর না ঘুমিয়ে তার মিশন শেষ করেছিলেন।

একই মিথের জাপানি ভার্সন দাবি করে যে, বদি ধর্ম এক সময় নাকি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। চোখ খোলা রাখার নানান কসরত করে যখন তিনি কিছুটা বিরক্ত, তখন তিনি চোখের পাপড়ি ছিড়ে ছুঁড়ে মারেন, যাতে চোখ খোলা থাকতে পারে। ঘুম না আসে। যেখানে তিনি নিজের চোখের পাপড়ি ছুঁড়ে মেরেছিলেন, সেখানেই পরে চা গাছ সৃষ্টি হয়েছে। যে কারণে ঘুম তাড়ানোর জন্য চা পাতা খুবই উপাদেয়।

সিলেটের হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে চান্দপুর চা বাগানে ইকনোমিক জোন স্থাপনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ৪টি চা বাগানের অন্তত ৫ হাজার শ্রমিক কাজ বন্ধ রেখে গত নভেম্বর মাস থেকে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করছে। তাদের দাবি চান্দপুর চা বাগানের ৫১১.৮৩ একর কৃষি জমিকে অকৃষি খাস জমি দেখিয়ে সরকার স্পেশাল ইকোনোমিক জোন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। শ্রমিকরা চা বাগানের ৫১১.৮৩ একর অধিগ্রহণ করা জমি আগামী ২৫শে জানুয়ারির মধ্যে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে সময় বেঁধে দিয়েছে। চা শ্রমিকরা দাবি করছেন, জমি অধিগ্রহণের কারণে চরম সংকটে পড়বে তাদের জীবনযাপন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ বলছে জমি ফিরিয়ে দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে শ্রমিকদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

এবার চলুন বাংলাদেশের চা শ্রমিকদের মজুরি কত একটু জানা যাক। শ্রীলঙ্কায় চা-শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৬৫০ রুপি, নেপালে ৪৫০ রুপি। অথচ বাংলাদেশে চা-শ্রমিকদের মজুরি দৈনিক মাত্র ৬৯ টাকা। এটা কি আদৌ গ্রহণযোগ্য কোনো মজুরি? এর আগে ২০০৯ সালে সরকার চা শ্রমিকদের মজুরি ১২০ টাকা করা হবে বলে ঘোষণা করেছিল। সে সময় চা শ্রমিকদের মজুরি ছিল মাত্র ৪৮ টাকা। তখন মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে চা শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছিল। যার ফলাফল চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৪৮ টাকা থেকে ৬৯ টাকায় উত্তীর্ণ হয়েছে। অথচ সরকার চা-শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি বোর্ড গঠন করে মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটা উপায় বের করতে পারত। কিন্তু সরকার সে পথে যায়নি। যায়নি ইচ্ছে করেই। বরং মালিকদের খুশি করতেই সরকার তখন দায়সারা একটা সমাধান করেছিল।

চুনারুঘাটের চা শ্রমিকরা দাবি করছেন, যদি এই ৫১১.৮৩ একর জমি অধিগ্রহণ করে সেখানে বিশেষ শিল্পাঞ্চল গঠন করা হয়, তাহলে অন্তত তাদের দুই হাজার পরিবার পথে বসবে। আর এর জবাবে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক সাবিনা আলম বলেছেন, ইকোনমিক জোনের জন্যে জমি ইতোমধ্যেই হস্তান্তর করা হয়েছে। ভূমির জন্যে আন্দোলনের পেছনে অন্য কারও সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। বরং শিল্পায়ন হলে শ্রমিকদের জীবন মানের উন্নতি ঘটবে। যা অবশ্য স্থানীয় চা শ্রমিকরা একদম বিশ্বাস করেন না। কারণ তাদের ভয় এভাবে ধীরে ধীরে তাদের বাগানের জমিও একসময় হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। বাংলাদেশের বাস্তবতায় চা শ্রমিকদের এই আশংকাকে একদম উড়িয়ে দেবার সুযোগ নাই।

আন্দোলনরত চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রামভজন কৈরী বলছেন, ভূমি ফিরিয়ে দেয়ার দাবিতে তাদের আন্দোলন ও কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে এবং আগামী ২৫শে জানুয়ারির মধ্যে সরকারকে এর সমাধান করতে হবে। নানা ধরনের শ্লোগান দিয়ে, ব্যানার প্ল্যাকার্ড পোস্টার সহ বিশটিরও বেশি চা বাগানের কয়েক হাজার চা শ্রমিক এই বিক্ষোভে যোগ দেন। এদের অনেকে সাথে এনেছেন স্থানীয় তীর ধনুক, কেউ বা সেজেছেন নানা সাজে। তাদের দাবি, সরকার যেন এখানে ভূমি অধিগ্রহণ করা থেকে বিরত থেকে বরং চা শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি বৃদ্ধির দিকে গুরুত্ব দেয়।

চা শ্রমিকরা বলেন, এ মাটি আমাদের মা। আর মায়ের ফসল দিয়ে চান্দপুর ও বেগমখান চা বাগানসহ কয়েকটি বাগানের হাজার হাজার মানুষ খেয়ে বেঁচে থাকেন। এখানে ইকোনমিক জোন নির্মাণ হলে শ্রমিকরা জীবন দেবে। কিন্তু ইকোনমিক জোন হতে দেবে না। বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি মাখন লাল কর্মকার, সাধারণ সম্পাদক রামভজন কৈরী, অভিরত বাগচী, নিপেন পাল, কাঞ্চন পাত্র প্রমুখ নেতাগণ চা শ্রমিকদের নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে পরে জেলা প্রশাসকের নিকট একটি স্মারকলিপি দেন।

সারা দেশে কয়েকটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার চান্দপুরে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করেছে সরকার। সেজন্য চান্দপুর চা বাগান এলাকায় ৫১১.৮৩ একর জমি বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষকে (বেজা) বরাদ্দ করেছে সরকার। আর চা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ডানকান বাদার্সকে দেওয়া লিজ বাতিল করে এই জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, নির্ধারিত জমি চা বাগান এলাকায় 'ক্ষেতল্যান্ড' নামে পরিচিত চাষাবাদের জমি। প্রায় এক বছর ধরে এ নিয়ে আন্দোলন করে আসছেন সেখানকার চা শ্রমিকরা।

ব্রিটিশ শাসনামলে ১৮৯০ সালে ৩৯৫১ একর জমির ওপর চান্দপুর চা বাগান নামে চা উৎপাদন শুরু করে ডানকান ব্রাদার্স। যুক্তরাজ্যভিত্তিক বহুজাতিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্যামেলিয়া পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি বাংলাদেশে এই নামে ব্যবসা পরিচালনা করছে। ২০১৩ সালে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে আরও ৪০ বছরের জন্য লিজ নবায়ন করে ডানকান ব্রাদার্স। বাগানের ৯৫১ একর জমিতে ঐতিহ্যগতভাবে কৃষিকাজ করে আসছে বাগানের শ্রমিক ও তাদের পরিবার। অথচ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য বরাদ্দ দেওয়া ৫১১.৮৩ একর জমি 'ক্ষেতল্যান্ড' হিসেবে পরিচিত ওই ৯৫১ একর জমির অংশ। বাংলাদেশ চা বোর্ডের নিয়মানুসারে, প্রতিটি চা বাগানে লিজ নেওয়া জমির অন্তত ৫০ ভাগে চা উৎপাদন করা বাধ্যতামূলক।

চা উৎপাদনে ব্যবহার করা জমির বাইরে নিজ নেওয়া জমির অন্যান্য অংশ সাধারণত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও চা শ্রমিকদের আবাসন ব্যবস্থা, কারখানা, আবাদি জমি, জলাধার, রাস্তাঘাট ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণে ব্যয় করে বাগান কর্তৃপক্ষ। সরকারি নথিতে ‘পতিত জমি’ দেখানো হলেও চা শ্রমিকদের দাবি, প্রায় ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বংশানুক্রমে বাগান কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বরাদ্দ নিয়ে এই জমিতে কৃষিকাজ করছেন তারা।

স্থানীয় চা শ্রমিক কানন বালা সরকার বলেছেন, দেড়শ বছর আগে আমাদের পূর্বপুরুষরা এই এলাকার বনজঙ্গল পরিষ্কার করে, হিংস্র পশু-পাখির সঙ্গে লড়াই করে, জমিগুলোকে আবাদযোগ্য করে তুলেছিলেন। আর এখন এই জমিকে পতিত বলে, আমাদের অধিকারকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। আমাদের নিজেদের কোনো ভূমিই নেই। আর এর জবাবে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক পবন চৌধুরী বলেছেন, ওই জমি কখনই কৃষিজমি ছিল না। আমরা শ্রমিকদের ভালো করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এখানে যাদের জমির বন্দোবস্ত ছিল তাদের পাঁচ শতক করে জমি ও পাকা বাড়ি করে দেওয়া হবে এবং বাচ্চাদের লেখাপড়ার ব্যবস্থাও করা হবে।

চুনারুঘাটের চা শ্রমিকদের আন্দোলন থেকে কিছু সাধারণ প্রশ্ন সরকারের কাছে:
১. একজন চা শ্রমিক সারাদিন রোদ-ঝড়-বৃষ্টিতে কঠোর পরিশ্রম করে আয় করেন মাত্র ৬৯ টাকা। অথচ শ্রমিকদের দাবি ছিল তাদের মজুরি দৈনিক অন্তত ৩০০ টাকা করা হোক। সরকার চা শ্রমিকদের সেই দাবি মানেনি, এমনকি মালিকদেরও মানাতে বাধ্য করেনি। তাহলে সরকারের প্রতিশ্রুতিকে চা শ্রমিকরা কেন বিশ্বাস করবে বা আস্থায় নেবে?

২. চা শ্রমিকরা রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে, খালি পায়ে, জোঁক, মশা, সাপসহ বিষধর পোকা-মাকড়ের কামড় খেয়ে দৈনিক মাত্র ৬৯ টাকার বিনিময়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করেন। আর চা-শ্রমিকদের এই দুর্বলতার সুযোগটি কাজে লাগায় মালিকপক্ষসহ বিভিন্ন সুবিধাভোগী মহল। চা শ্রমিকদের পরিবর্তে সরকারের কেন সবসময় মালিক ও সুবিধাভোগী মহলের প্রতি এত দরদ?

৩. বাংলাদেশের চা শ্রমিকদের অবস্থা যেখানে এত করুণ, সেখানে কোন যুক্তিতে চা আমদানি শুল্ক ৪০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ কমানো হলো? তাহলে সরকার আসলে কোনপক্ষকে সুযোগ দিচ্ছে?

৪. চা শ্রমিকদের জন্য সেখানে কেন স্বাধীনতার ৪৪ বছর কেটে গেলেও এখনো একটি আধুনিক হাসপাতাল গড়ে ওঠেনি? সরকারের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপি, আমলারা না হয় বিদেশে গিয়ে ভালো স্বাস্থ্যসেবা নেন, যা জনগণের ট্যাক্সের পয়সায় আরামসে মেটানো হয়। চা শ্রমিকদের জন্য একটি সাধারণ মানের হাসপাতাল করাও কী সরকারের দায়ে পড়ে না?

৫. চা বাংলাদেশের দ্বিতীয় অর্থকরী ফসল। এক সময় বিশ্বে চা উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল দ্বিতীয়। এখন সেই অবস্থা নামতে নামতে দশম বা একাদশে ঠাই পেয়েছে। এজন্য কী আমাদের সরকারগুলোর এযাবতকালের অবহেলা দায়ী নয়?

গরিব মানুষদের নানান উন্নয়নমুখী প্রতিশ্রুতির আড়ালে একশ্রেণীর সুবিধাভোগী মধ্যস্বত্তভোগীদের সুবিধা দেবার জন্য বাংলাদেশে নানান কিসিমের কর্মযজ্ঞ দেখা যায়। চুনারুঘাটের ক্ষেতল্যান্ডকে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার নামে সেখানেও একটি মহলকে সুবিধা দেওয়ার ষড়যন্ত্রকে সহজ সরল এসব গরিব চা শ্রমিকরা অতি সহজেই আবিষ্কার করতে পারায় সরকারি মহল এখন চা শ্রমিকদের উপর নাখোশ।

গরিবদের মারার যত কলকব্জা সরকারের হাতে আছে, তা যতদিন শ্রেণী বিভাজনকে উৎসাহিত করবে, ততদিন সরকারি এসব প্রতিশ্রুতি কেবল লোক দেখানো। মাঝখান দিয়ে এভাবে ধীরে ধীরে বিলীন হবে এসব গরিব চা শ্রমিকরা। সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় না হলে চুনারুঘাটে হয়তো এসব গরিব মানুষের রক্তে রঞ্জিত হবে। কিন্তু তারপরেও সরকার যদি এদের বাঁচাতে আগ্রহ না দেখায় তাহলে বাংলাদেশকে একদিন চা আমদানি করেই খেতে হবে।

রেজা ঘটক, সাহিত্যিক, নির্মাতা

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ