আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

এগিয়ে যাওয়ার অন্তরায়গুলো চিহ্নিত করতে হবে

ফকির ইলিয়াস  

বাংলাদেশ সাফল্যের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। তারপরও কেউ কেউ পিছু টানতে চাইছে। তারা নানা অজুহাত দেখাচ্ছে। দেখতে হবে- এরা ক্ষমতা থেকে দূরে। ক্ষমতার উষ্ণতা পেলে তারা এমনটি বলত না। দুর্নীতিতে এক নম্বর হয়েছিল এই দেশ। এর পরও বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়েনি, বিশ্বব্যাপী ফিরিয়ে এনেছে আস্থা। স্বাধীনতার ৪৬তম বছরের প্রাক্কালে সহজেই বলা যায়, বাংলাদেশ ধীরগতিতে এগিয়েছে। কিন্তু এখন গতি ক্রমবর্ধমান। শিক্ষিত ও অশিক্ষিত কৃষক, পোশাক শ্রমিক, প্রবাসী শ্রমিকরাই বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় সব থেকে বড় ভূমিকা পালন করেছে। তাদের হাত ধরে আজ বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, বাড়ছে রেমিটেন্স। ব্যাংকের রিজার্ভ রেকর্ড পরিমাণ। সরকারি প্রতিষ্ঠান যেখানে ব্যর্থ, সেখানে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দেখিয়েছে সাফল্য।

রাষ্ট্রযন্ত্র যখন চিন্তিত, তখন ব্যক্তিচিন্তায় অর্জিত হয়েছে সাফল্য। প্রতিদিনই বিশ্বের কোনো না কোনো প্রান্তে বাংলাদেশি ছিনিয়ে নিচ্ছেন সাফল্যের মুকুট। বাংলাদেশের এ অগ্রযাত্রা এখন বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ পারকিনসন ও নরওয়ের অর্থনীতিবিদ ফালান্ড এক বছর আগেই, বাংলাদেশকে উন্নয়নের পরীক্ষাগার হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হবে। যুক্তরাষ্ট্র তাদের সমীক্ষায় বলছে, ২০৩০ সাল নাগাদ ‘নেক্সট ইলেভেন’ সম্মিলিতভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশকে ছাড়িয়ে যাবে। লন্ডনের একটি শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা লিখেছে, ২০৫০ সালে প্রবৃদ্ধির বিচারে বাংলাদেশ পশ্চিমা দেশগুলোকে ছাড়িয়ে যাবে।

সম্প্রতি একটি মার্কিন জরিপ বাংলাদেশের আত্মপ্রত্যয় আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইন্সটিটিউটের (আইআরআই) একটি জরিপে বলেছে, অর্থনীতির উন্নয়নের কারণে বাংলাদেশ ঠিক পথেই এগোচ্ছে বলে বেশিরভাগ মানুষ মনে করেন। জরিপ তত্ত্বাবধানে আরো ছিল গ্লোবাল স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারস। গত ৩০ অক্টোবর ২০১৫ থেকে ১৯ নভেম্বর ২০১৫ পর্যন্ত বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার ২ হাজার ৫৫০ জনের ওপর জরিপটি করা হয়।

জরিপের ফলাফলে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ মনে করে, উন্নয়নের চেয়ে গণতন্ত্র বেশি জরুরি। যদিও জুন মাসে এই হার ছিল ৬৮ শতাংশ, কিন্তু তা কমে এখন দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫১ শতাংশে।

সন্দেহ নেই, এই সংখ্যা আরো কমবে। কেন কমবে, সে বিষয়ে কিছু আলোকপাত করা দরকার। আমরা জানি, সাড়ে ৭ কোটি জনগণ নিয়ে যে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল এর সংখ্যা এখন প্রায় ১৭ কোটি। সে হিসাবে এক্সপোর্ট বেড়েছে, রেমিটেন্স বেড়েছে, ব্যবসায়-বাণিজ্য বেড়েছে, কর্মসংস্থান বেড়েছে। এগুলো প্রমাণ করে অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে। সীমিত সম্পদের মধ্যে দেশের ভালো উন্নতি হয়েছে। বিশেষ করে সামাজিক উন্নয়ন, স্বাস্থ্য খাতে উন্নয়ন, শিক্ষা খাতে উন্নয়ন হয়েছে বেশি। এ ছাড়া ব্যবসায়-বাণিজ্যে প্রাইভেট সেক্টর ভালোভাবে উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। তবে আরো উন্নয়ন হতো যদি আমাদের দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা না থাকত। দেশে যদি সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা যায় তাহলে উন্নয়ন আরো ত্বরান্বিত ও টেকসই হবে, এ বিষয়ে সন্দেহ নেই।

মার্কিনী এই জরিপে বেরিয়ে এসেছে, ৬৪ শতাংশ বাংলাদেশি মনে করেন, শিক্ষা, যোগাযোগ, অর্থনীতির উন্নয়নের কারণে দেশ ঠিক পথেই রয়েছে। তবে ৩২ শতাংশের মতে, বাংলাদেশ ভুল পথে হাঁটছে, কারণ দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নেই।

আইআরআই বলছে, ৮০ শতাংশের বেশি মানুষ বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে আশাবাদী। তাদের নিজেদের আর্থিক সক্ষমতা বেড়েছে। তারা আশা করছেন, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এই সক্ষমতা আরো বাড়বে। তবে দুর্নীতি এখনো একটি বড় সমস্যা এবং সরকার সেটি মোকাবেলায় যথেষ্ট চেষ্টা করছে না বলেই তাদের ধারণা।

আইআরআই এশিয়া বিষয়ক পরিচালক ড্রেক লুইটেন বলছেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের কাছে অর্থনীতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে বোঝা যাচ্ছে, যদিও প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে হলে সব ক্ষেত্রেই স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে হবে।’

মানুষের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক আয় বেড়েছে বলেও এই জরিপে উঠে এসেছে। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক আয় বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ৭২ শতাংশ। ১০ শতাংশ অপরিবর্তিত থাকার কথা জানিয়েছেন। আর ৫ শতাংশ আগের চেয়ে খারাপ হওয়ার কথা বলেছেন। জরিপে অংশগ্রহণকারীরা বেকারত্বকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। সমস্যার বিচারে বেকারত্বকে ৩৩ শতাংশ, দুর্নীতিকে ৩২ শতাংশ, যানজটকে ২৮ শতাংশ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে ২৫ শতাংশ ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাকে ২১ শতাংশ চিহ্নিত করেছেন।

একটি বিষয় মনে রাখা দরকার, বাংলাদেশের ভূমি বাড়েনি। মানুষ বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে যে প্রত্যাশা করা হয়েছিল বাংলাদেশের কাছ থেকে, আন্তর্জাতিক খ্যাতি, অর্থনীতি, মিডিয়া, স্বাস্থ্য, আইটি ইত্যাদি ফিল্ডে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি অর্জন করেছে বাংলাদেশ।

অবাক করা বিষয় হচ্ছে- মাত্র ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের এই দেশটিতে এখন বছরে চার কোটি টন চাল উৎপাদন হয়। কয়েক বছর আগেও যা ছিল সাড়ে তিন কোটি টনের নিচে। অল্প সময়েই খাদ্য উৎপাদনে ব্যাপক সাফল্য এনেছেন দেশের কৃষকরা। ধান উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে চাল রপ্তানি করে বাংলাদেশ ছুঁয়েছে আরেকটি মাইলফলক। ধান চাষ ও চাল উৎপাদনের রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। আর এতে পাল্টে গেছে জিডিপির গ্রাফ। জাতীয় পরিসংখ্যান অনুসারে শুধু কৃষি খাতে জিডিপির অবদান ২১ শতাংশ। আর কৃষিশ্রমে ৪৮ শতাংশ। কৃষির সাব-সেক্টরসহ এ পরিসংখ্যান ৫৬ শতাংশ। বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের ধান উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে চতুর্থ।

যোগাযোগ খাতে বঙ্গবন্ধু সেতু মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মিত হলে দেশের অর্থনীতি আরো শক্তিশালী হবে। রাজধানীর যানজট নিরসনে মহাখালী, খিলগাঁও, গুলিস্তান ও কুড়িল ফ্লাইওভারও বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে। মালিবাগ-মৌচাক ফ্লাইওভারের কাজ শেষ হবে শিগগির। এ ছাড়া রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে পদ্মা সেতু, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ, মেট্রো রেল, উড়াল সড়ক, দ্বিতীয় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতুসহ বড় বড় প্রকল্প এগিয়ে নিচ্ছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।

বিস্ময়করভাবে এগোচ্ছে বাংলাদেশের ওষুধশিল্প। এক সময়ের আমদানিকারক দেশ এখন ওষুধের রপ্তানিকারক দেশের গৌরবে গৌরবান্বিত। দেশের উৎপাদিত ওষুধ অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণসহ প্রায় ১০০টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। পৃথিবীর অনুন্নত ৪৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ওষুধশিল্পে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে। বাংলাদেশের ওষুধের কাঁচামালের ৩০ শতাংশ তৈরি হচ্ছে স্থানীয়ভাবে, বাকি প্রায় ৭০ শতাংশ আসছে বিদেশ থেকে। দেশেই ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদন করতে পারলে প্রায় ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের (প্রায় ৫৬ হাজার কোটি টাকার) ওষুধ রপ্তানি করা সম্ভব বলে এর সঙ্গে যুক্তরা আশাবাদী।

সম্প্রতি বদলে যাওয়া আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার হতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অর্থলগ্নির আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড পলিসি সামিট-২০১৬’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘আমরা আশাবাদী এ কারণে যে, আজকের যে বাংলাদেশ, তা অর্ধদশক আগের বাংলাদেশের চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক বাংলাদেশ। আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।’ তিনি বলেছেন- ‘বাংলাদেশের মানুষ আজ অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী। যে কোনো অসাধ্য সাধনে অনেক বেশি আত্মপ্রত্যয়ী, সংকল্পবদ্ধ।’ দেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ‘আমাদের রয়েছে বিপুল সংখ্যক যুব কর্মশক্তি। বিশাল বাজার, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, ব্যক্তি স্বাধীনতা এবং সুদৃঢ় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা। কার্যকর বাজার অর্থনীতির যথাযথ ব্যবহারের জন্য আমরা ব্যবসায়-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রসারে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন ও পদ্ধতিগত সরলীকরণ করেছি।’

শুধু কথায় নয়, কাজে তা প্রমাণ করতে হবে। বাংলাদেশের একটি উজ্জ্বল দরজা উন্মুক্ত হয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি ফিল্ডে। তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশ এখন বিশ্বসভায় প্রতিনিধিত্ব করছে। আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের কাউন্সিল সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। দ্রুতই বিকাশ ঘটছে ই-শিল্প বাণিজ্য। বাংলাদেশ আজ স্বপ্ন দেখে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারে শত হাজার কোটি টাকা আয় করবে। বর্তমানে প্রায় ১১শ প্রতিষ্ঠান সফটওয়্যার তৈরি করে। এই শিল্পে ২৫ থেকে ৩০ হাজার তথ্যপ্রযুক্তিবিদ কাজ করে যাচ্ছে। আগামী বছরের শেষ নাগাদ সফটওয়্যার শিল্পে এক লাখের বেশি তথ্যপ্রযুক্তিবিদ কাজ করবে। বাংলাদেশের তৈরি সফটওয়্যার বিদেশের বাজারে বড় ধরনের জায়গা করে নিয়েছে। এখন এই শিল্প থেকে প্রতিবছর একশ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি আয় হচ্ছে। ২০১৮ সালের মধ্যে এ দেশ সফটওয়্যার রপ্তানি করে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে যাচ্ছে ইন্টারনেট। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে প্রতিটি ঘরের দোরগোড়ায় পৌঁছাবে প্রযুক্তি। এ জন্য এক হাজার ইউনিয়নে অপটিক্যাল ফাইবার কেবল স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

আজ সময় এসেছে অন্তরায়গুলো দূর করে এগিয়ে যাওয়ার। বাংলাদেশে উন্নয়নের প্রধান অন্তরায় রাজনৈতিক দুর্বৃত্তপনা। পিঠে ছুরি মেরে ক্ষমতা নিয়ে নেয়ার বাসনা। এর ওপরে রয়েছে- যারা ক্ষমতায় থাকেন তাদের কারো কারো চরম দুর্নীতি। এগুলো দূর করতে হবে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। মানুষের মাঝে আস্থার সেতু নির্মাণ করে যেতে হবে। একটি রাষ্ট্র এগিয়ে যাওয়ার অন্যতম শর্ত হচ্ছে, লুটেরা শ্রেণির কাছ থেকে রাষ্ট্রকে বাঁচানো। আর সে জন্য সজাগ থাকতে হবে সরকার প্রধানকে। কেউ যেন কোনো অসৎ স্বার্থ চরিতার্থ করতে না পারে, সেজন্য তাকেই থাকতে হবে সদা তৎপর।

ফকির ইলিয়াস, কবি ও কলাম লেখক। ইমেইল: [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ