আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

সংস্কৃতির অংশ ও রূপান্তরধর্ম

ইমতিয়াজ মাহমুদ  

কোনটা বাঙালি সংস্কৃতির অংশ আর কোনটা বাঙালি সংস্কৃতির অংশ না? ভ্যালেন্টাইন'স ডে প্রসঙ্গেই কথাটা বলছি। সত্যি কথা, ভ্যালেন্টাইনস ডে এখনো আমাদের সংস্কৃতির অংশ না। নগরের মধ্যবিত্তরা এটা পালন করে বটে, মূলত তরুণরাই এটা করে, কিন্তু সেইভাবে স্বীকৃত উৎসব এটা না। একদম উচ্চবিত্ত বা পশ্চিমা ঘেঁষা গুটিকয় পরিবার ছাড়া কোন বাঙালি পরিবারেই এখনো ছেলেমেয়েরা বাবা মায়ের কাছে 'ভ্যালেন্টাইন'স ডে করবো' বলে টাকা চায়না।

শুধু ভ্যালেন্টাইনস ডের কথাই বা বলি কেন। ছেলে মেয়ে প্রেম করবে এটা একরকম স্বীকৃত হলেও, পশ্চিমা স্টাইলে ডেটিং ব্যাপারটা আমাদের এখানে এখনো স্বীকৃত না। ছেলেমেয়েরা এখনো বন্ধুর বাসায় যাচ্ছি বলে বা এরকম অন্য কোন কথা বানিয়ে বলে প্রেমিকের সাথে বা প্রেমিকার সাথে ঘুরতে বের হয়। বিবাহপূর্ব শারীরিক সম্পর্ক তো এখনো একটা ট্যাবু, এমন কি নিষ্পাপ চুম্বনও একটা নিষিদ্ধ কাজ হিসাবেই বিবেচিত হয়। সামাজিক ভাবে এখনো কোন ছেলে তার বান্ধবীকে 'প্রেমিকা' বা 'গার্লফ্রেন্ড' বা কোন মেয়ে তার বন্ধুকে 'প্রেমিক' বা 'বয়ফ্রেন্ড' হিসাবে পরিচয় করিয়ে দেয়না।

আর সমপ্রেম তো এখনো একটা ভয়ঙ্কর ট্যাবু- আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ। যদিও বাস্তবে সমকাম এবং সমপ্রেমি সম্পর্ক আমাদের দেশে যুগ যুগ ধরেই আছে। আমার ছোটবেলায়ও চকরিয়া ও টেকনাফে দেখেছি, আমাদের চেয়ে কিঞ্চিৎ বয়োজ্যেষ্ঠ ছেলেরা 'অমুক অমুককে লাভ করে' এইরকম গুজব গুঞ্জন নিয়ে হাসি ঠাট্টা হতো। সেগুলি নেহায়েতই ঠাট্টা ছিল না।

পরিবর্তন হচ্ছে। প্রেমের বিবাহ এখন অনেকটাই স্বীকৃত। ছেলে মেয়েরা প্রেম করবে, যার সাথে প্রেম করছে তার সাথে বিবাহ নাও হতে পারে এইগুলি এখন আমাদের মধ্যবিত্ত একরকম মেনেই নিয়েছে। হয়তো আমার জীবদ্দশাতেই আমি প্রেম ব্যাপারটাকে আরও খোলামেলা সামাজিক ব্যাপার হিসেবে দেখে যাবো। সেদিন আর বেশী দুরে না,যেদিন পার্কে ছেলে আর মেয়ে চুম্বনরত দেখলে আমরা সেটাকে আর বেলেল্লাপনা বলবো না।

কোনটা ভাল আর কোনটা মন্দ সেটা আলাদা বিষয়। কিন্তু এই রূপান্তরগুলি অনিবার্য।


কথা হচ্ছিল কোনটা বাঙালি সংস্কৃতি অংশ আর কোনটা না সেটা নিয়ে। সংস্কৃতি তো আর একটা স্থির ব্যাপার না। এটা সকলেই মানেন। সংস্কৃতির রূপান্তর হয়, প্রতিদিনই হয়। প্রতিদিনই আমাদের সংস্কৃতিতে নূতন জিনিস যুক্ত হয়। মানুষ একসময় সেই নূতন জিনিসটা নিজের করে নেয়। আর যখন নূতন জিনিসটা আমাদের পূর্বতন ধরনের সাথে মিশে যায়, বা পূর্বতন আচরণটাকে সরিয়ে দেয় তখন আমরা নূতনটাকেই বলি আমাদের নিজের সংস্কৃতি। একসময় আবার সেটাও বিস্মৃত হয়ে যায় আরেকটা নতুন কিছু এসে যুক্ত হয়। উদাহরণ দিই।

আরবরা ভারতবর্ষে ইসলাম নিয়ে এসেছে সপ্তম শতকে। পনেরশ বছর এখনো হয়নি। বাংলায় এসেছে আরও পরে। কিন্তু ওদের আগমনের পর থেকে আরব, পারস্য ও মধ্য এশিয়ার কতো জিনিস আমাদের ভাষায় ঢুকেছে, খাবার দাবার সহ জীবনযাত্রার সর্বক্ষেত্রে ঢুকেছে। সেগুলি কি আমরা বাঙালি সংস্কৃতির অংশ বলবো না?

তাইলে তো প্রশ্ন আসে যে কোন একটা সামাজিক আচার, আচরণ, ভাষা বা জীবনযাত্রার স্টাইল ঠিক কতদূর মিশলে পরে সেটাকে আপনি নিজের সংস্কৃতির অংশ বলবেন?

পোশাকের কথাই ধরেন। এই যে এই মুহূর্তে আমি পায়জামা পাঞ্জাবী পরে বসে আছি। এটা কি বাঙালি পোশাক? অবশ্যই বাঙালি পোশাক। কিন্তু এই যে কোমরে দড়ি বা বোতাম দিয়ে আটকে রাখা সেলাই করা দুই ঠ্যাং ওয়ালা বস্ত্রখণ্ডকে আমি বাঙালি পোশাক বলছি এটা কি খুব বেশী দিনের পুরনো জিনিস? নিম্নাঙ্গের বস্ত্র হিসাবে সেলাই করা বস্ত্র আমরা প্রথম কবে ব্যাবহার করেছি? আমি তো জানি যে আজকে থেকে চল্লিশ বছর আগেও এইরকম দুই ঠ্যাং ওয়ালা পোশাক আমাদের এখানে আম জনতা নিজেদের পোশাক হিসেবে বিবেচনা করতো না।

আমি নিজে স্কুলে লুঙ্গি পরে গিয়েছি। মাঝে মাঝে হাফ প্যান্ট বা ফুল প্যান্টও পরেছি। কিন্তু হাফপ্যান্ট পড়লে স্কুলে সেটাকে নাঙ্গা বিবেচনা করা হতো এবং সেটার জন্যে হাসি ঠাট্টার শিকার হতাম। ফুল প্যান্ট নিয়েও ছিল হাসাহাসি। বলতো 'এই তুই এটার ভিতর ঢুকলি কিভাবে?' কেউ হয়তো বলতো 'আরে বুঝিসনা! দুইজনে নিচে ধরে থাকে আর গাছের উপর থেকে লাফ দিয়ে এটার ভিতর ঢুকতে হয়।'

আমার নিজেরই শৈশব কৈশোরে যে পোশাককে বিচিত্র হাস্যকর বিবেচিত হতে দেখেছি, সেটাকে আমি বাংলার আবহমান সংস্কৃতির অংশ কিভাবে বিবেচনা করি? শহুরে মানুষ বা শিখত মানুষ পায়জামা বা ইংরেজি ট্রাউজার নিশ্চয়ই অনেকদিন ধরেই পরে। কিন্তু বাঙালি মুসলমান বা হিন্দু এরা তো পাঞ্জাবী বা কুর্তার সাথে লুঙ্গি আর ধুতি পরতো এই সেদিনও। পুরুষদের পায়জামা শালওয়ার সেগুলিকে তো অবাঙালি পোশাক ধরা হতো কয়েক দশক আগেও।


আর বাঙালি মেয়েদের পোশাক? শাড়ী, সে তো ঠিক আছে। শাড়ী নাকি বাঙালি মেয়েরা অনেক আগে থেকেই পরে। কিন্তু আমি তো আমার শৈশবেও মেয়েদেরকে 'ডোমা' নামে সেলাই ছাড়া একটা বস্ত্র পরতে দেখেছি। এই ডোমা জিনিসটা হচ্ছে দুই হাত বহরের একটা বস্ত্রখণ্ড যেটা কায়দা করে কোমরে পেঁচিয়ে রাখতে হতো। চট্টগ্রাম এলাকায় মেয়েরা থামি পরতো, এখন সেটার চল আছে কিনা জানিনা। মুসলমান নারীদের মুল পোশাক ছিল থামি। শিক্ষিত সচ্ছল ঘরের মেয়েরা শাড়ীও পরতো বটে। কিন্তু শাড়ী পরতো মূলত হিন্দুরা।

তবু ধরে নিলাম শাড়ীই বাঙালি নারীর ঐতিহ্যবাহী পোশাক। কিন্তু ব্লাউজ? এইটা তো মেমসাহেবদের নিয়ে আসা জিনিস। বাঙালি নারী ব্লাউজ পরলে সেটাকে নিয়ে 'মেম সেজেছে' বলে বিদ্রূপ করা হতো। ঠাকুরবাড়ির মেয়েরাই নাকি বাংলায় শাড়ির সাথে ইংরেজ কারিগরের তৈরি ব্লাউজ জ্যাকেট এইসব চালু করেছে, কতোটুকু সত্যি জানিনা। কিন্তু আমি আমার শৈশবেও দেখেছি ব্লাউজ জিনিসটা সচ্ছল ঘরের নারীরাই ব্যাবহার করতো। চাষাভুষা ঘরের নারীরা শুধু শাড়িই পরতো।

শাড়ি ব্লাউজ না হয় বুঝলাম, অনেকদিন ধরেই বাঙালি মেয়েরা পরছে। সালওয়ার কামিজ? বা ফ্রক? এইটা তো এই সেদিনের কাহিনী। বাঙালি মেয়েরা পায়জামা কামিজ বা সালওয়ার কামিজ পরে কবে থেকে? খুব বেশী হলে দুই প্রজন্ম আগে থেকে। আগে নারী শিশুরা দশ বারো বছর হলেই শাড়ি ধরত। এমনকি স্কুলে কলেজে মেয়েরা রোজকার পোশাক হিসেবে শাড়ি পরছে সেটা তো বেশীদিন আগের কথা না। পায়জামা কামিজ ছিল শহরের অবিবাহিতা মেয়েদের স্টাইল করা পোশাক। তিরিশ বছর আগেও বিবাহিতা মেয়ে পায়জামা কামিজ পরছে এটা রীতিমত আধুনিকা না হলে দেখা যেত না।

এখন তো দেখতে পাচ্ছি সালওয়ার কামিজও যেন মেয়েদের বাঙালি পোশাক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বাঙালি মেয়েরা প্যান্ট শার্ট বা টিশার্ট পরেছে প্রথম কবে জানিনা। তবে সিনেমাতে দেখতাম শর্বরী বা সুলতানা জামান টেডি জমানায় প্যান্ট শার্ট পরে পর্দায় আসতেন। ভ্যাম্প চরিত্র, বা খারাপভাবে বললে, শিথিল চরিত্রের রমণী দেখানোর জন্য সাধারণত প্যান্ট শার্ট পরা মেয়েদের দেখানো হতো। নায়িকারা প্যান্ট শার্ট পরা শুরু করেছে সম্ভবত বেলবটম জমানায় এসে। পর্দার বাইরে মেয়েদের প্যান্ট শার্ট পরা একরকমের মাইল্ড বিদ্রোহ করার মতোই একটা ব্যাপার ছিল।

এখন যখন মেয়েরা জিনস আর ফতুয়া ইত্যাদি পরছে এটাকে বাঙালি সংস্কৃতির অংশ বিবেচনা করতে আর কয়দিন লাগবে?


আর গান বাজনা? ভাওয়াইয়া চটকা গাজির গান বা পালা এগুলি তো বেশ পূরানো। পারস্য থেকে ধার করা সূফী ধরনের যে একরকম গান আমরা বেশ আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি বলে চালু করেছি সেটা বাঙালি সংস্কৃতির অংশ হলো কবে থেকে? সেগুলি নিশ্চয়ই আমাদেরই গান, কিন্তু এই যে লালন ফকির সহ আরও অনেকে সূফীবাদ ধরনের গান লিখেছেন, সেগুলি কি 'আবহমান বাংলা সংস্কৃতি' থেকে গজিয়েছে? নাকি সেসময়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দিক থেকে যেসব গানের ধারা আমাদের এখানে ঢুকছিল তারই উপজাত?

আমি জানিনা। বিশেষজ্ঞ যারা তারা বলতে পারবেন। লালনের গান আমি শুনতে পছন্দ করি। অজ্ঞ কিন্তু ভক্তিপ্রবল লোকের হেঁয়ালি মিশ্রিত বোলচাল ছাড়া এইসব গানের বানীকে অধিক গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নাই। তবুও এইসব গান শুনতে ভাল লাগে। সংস্কৃতির কথায় আসি। এখন তো আপনি বাঙালি সংস্কৃতি তুলে ধরতে চাইলে লালনের গান তো বটেই, রাধারমণ কিংবা সিলেটী ওরা যে আছে ওদের গানকেও তুলে ধরবেন আমাদের সাংস্কৃতিক পরিচয়ের জন্যে।

তাইলে এখন যারা 'ব্যান্ড সঙ্গীত' বলে পাশ্চাত্য প্রভাবিত গান বাজনা করে সেটা কি দোষ করলো? সাম্প্রতিক বলে এটাকে আপনি বলবেন আমাদের সংস্কৃতির অংশ না? পূর্ব পশ্চিম উত্তর দক্ষিণ দুনিয়ার সব দিক থেকে সুর ও বানী ধার করা রবীন্দ্রনাথ কি বেশী পুরানা? নজরুল? ডিএল রায়? অতুল প্রসাদ? কতো পুরানা হলে আইয়ুব বাচ্চুকে বাঙালি সংস্কৃতির অংশ বলবেন?

আচ্ছা না হয় রবীন্দ্রনাথকে বাদই দিলাম। তিনি তো আমাদের রবি। সলিল চৌধুরীর গানকে যদি আপনি বাঙালি সংস্কৃতির অংশ বলেন তাইলে সোলস বা মাইলস কেন নয়? আর কতদিন লাগবে। আর হিন্দুস্তানি ক্লাসিক্যাল? তাকে কি বলবেন? আমাদের সংস্কৃতির অংশ? কি বিবেচনায়?

না, গান বাজনার এইসব উদাহরণ যে দিচ্ছি, এগুলি আমি সবই পছন্দ করি। এবং আমি মনে করি এগুলি আমাদের সংস্কৃতির অংশ, কেননা এগুলি আমরা নিজের করে নিয়েছি। একজন লালন যখন গান বানানো শুরু করেছিল, তখন তাকে প্রচলিত সমাজের বাধার মুখে পরতে হয়েছিল। প্রচলিত সংস্কৃতির মাস্তানরা নূতন জিনিস আসলে তাকে নিন্দা করবেই, কিন্তু সময়ের পরীক্ষায় সেগুলি উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে বলে আমরা এখন সেগুলিকে আমাদের পরিচয়ে অংশ মনে করছি। কেন নয়? এগুলি অবশ্যই আমার পরিচয়ের অংশ।


খাবার দাবার পানীয় ইত্যাদির উদাহরণ দিয়ে পোস্টটা লম্বা করবো না। শুধু বলেন হুইস্কি কি বাঙালি সংস্কৃতির অংশ? যদি না হয় তাইলে কেন নয়? কোক ফানটা না হয় সেদিনের ব্যাপার। কিন্তু বাঙালির জীবনে হুইস্কি তো রবীন্দ্রনাথের চেয়েও পূরানো। হাসি তামাশার ব্যাপার না। চিন্তা করে বলেন।


এইসব কথা বলে যে তর্কটা করতে চাইছি সেটা হচ্ছে আমাদের সংস্কৃতিতে কেউ যখন একটা নতুন কিছু নিয়ে আসতে চায়, তাকে চট করে 'আমাদের সংস্কৃতির অংশ না' বলে সরাসরি খারিজ করে দেওয়া ঠিক না। তরুণদেরকে নতুন জিনিস চেষ্টা করতে দেন। যেটা পঙার পছন্দ না সেটাও করতে দেন। সংস্কৃতি ক্রমাগত রূপান্তরের মধ্য দিয়েই যায়। আপনি আমি চাইলেও এই রূপান্তরকে ঠেকিয়ে রাখতে পারবো না। মার্ক্স সাহেবের কথা যদি মানেন, এই সাংস্কৃতিক রূপান্তরটা উপরি কাঠামোর ব্যাপার। আপনার অর্থনীতির নিয়ামক নিয়মাবলী কোনদিকে যাচ্ছে তার উপর নির্ভর করে আপনার সাংস্কৃতিক রূপ কি হবে।

মার্ক্স সাহেবের কথা না হয় বাদ দেন। এমনিই দেখেন। কেউ একজন একটা কিছু চালু করলেই সেটা আপনার জীবনযাত্রার অংশ হয়ে যায়না। মানুষ সেটাকে গ্রহণ করতে হয়। আর মানুষ কোন জিনিস গ্রহণ করবে কি করবে না সেটা আপনার আমার রুচির উপর নির্ভর করে না। যে টপ্পাকে একসময় অশ্লীল বিবেচনা করতো লোকে, এখন তার কি স্ট্যাটাস?

নূতন ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডকে চট করে বাধা দিতে হয়না। এটা ভাল মন্দের বিষয় না। আপনি বাধা দিয়ে ঠেকিয়ে রাখতে পারবেন না। আর ঠেকিয়ে রাখতেই বা হবে কেন? সমাজ কি কখনো এক জায়গায় স্থির হয়ে থাকে? সংস্কৃতির বিকাশকে ঠেকিয়ে সমাজকে শুদ্ধ রাখবেন এটা তো একটা চূড়ান্ত প্রতিক্রিয়াশীল কথা আরকি।

আরেকটা কথাও আছে এখানে। তারুণ্য। তারুণ্য প্রথা প্রতিষ্ঠান আর প্রচলিত মূল্যবোধ মানবে না এটাই স্বাভাবিক। যে সমাজে বেশিরভাগ তরুণ কনফরমিস্ট হয়ে যায়, সে সমাজের কোন ভবিষ্যৎ নাই। সেই সমাজ অধঃপাতে যাবে। তরুণরা আপনার সুস্থ সংস্কৃতির ধারনার উপর পেশাব করবে। আপনার রাষ্ট্রের সংবিধানকে পাল্টে ফেলতে চাইবে। আপনার সকল প্রতিষ্ঠানকে ভাঙ্গার জন্যে ঝাকাঝাকি করবে। আপনাদের যারা নেতা নেত্রী পূজনীয় আছেন বা ছিলেন ওদের মুখের উপর গাঁজার ধোঁয়া ছুড়ে মারবে। এইটাই নিয়ম।

যে সমাজে তরুণরা এইসব করেনা, সেই সমাজ বার্ধক্যে জর্জরিত বড় হতভাগা সমাজ তার মৃত্যু সমাগত।

ইমতিয়াজ মাহমুদ, অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। ইমেইল: [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ