আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

Advertise

বায়োমেট্রিক যেন ‘বায়বীয় মেট্রিক’ না হয়

নাজমুল হাসান  

গতকাল আমার Subscriber Identity Module- SIM রেজিস্ট্রেশন করলাম। এই রেজিস্ট্রেশনের সুবিধাজনক দিকগুলির কিছু কিছু আমি ধারণা করতে পারি। যদিও এর সম্ভাব্য আশঙ্কাগুলিও আমাকে কিছুটা হলেও শঙ্কিত করে। এ শঙ্কা শুধু আমার নয়,  আমার মত আরও অনেক আমজনতার। শঙ্কিত হবার পুরো দায় বোধহয় শঙ্কারতদের নয়, বরং প্রচলিত সমাজব্যবস্থার যে পাহাড়সম অনিয়ম এ শঙ্কার কারণ,  সেগুলিকেও আমলে নেওয়া দরকার। আমি অন্তত সে কারণগুলিকে দায়ী করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।

নাগরিক হিসেবে কাঙ্ক্ষিত ও প্রত্যাশিত বিষয়গুলির যে অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রত্যাশিত রূপ প্রতিনিয়তই জনগণ প্রত্যক্ষ করছে তাতে কেন যেন মানুষ সুবিধার চেয়ে অসুবিধার দিকটাই আগে ভাবে এবং সেটাই সঙ্গত হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন একটা মানুষ যে সময় ব্যয় করে,  তার কতোটা শুভ কাজের জন্য আর কতোটা অশুভর হাত থেকে বাঁচার সতর্কতা অবলম্বনের জন্য-  সেটি আমলে আনার যৌক্তিকতাকে তো আর অস্বীকার করা যায় না।

বাস্তবতাটা এমনই যে,  এখানে অযাচিতভাবে ও যদি কেউ কোন অশুভর খপ্পরে পড়ে তবে সে দায়ও এ সমাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেউ নেয় না বরং সুযোগ পেয়ে তারাও পদে পদে বিপদগ্রস্তকেই হেনস্থা করে। ইতিবাচকভাবে মনের ভেতর থেকে অনায়াসে বেরিয়ে আসে সমাজে এমন একটি যায়গার কথাও উল্লেখ করার মত নাই,  যেখানে গেলে কাঙ্ক্ষিত সেবাটি প্রত্যাশিতভাবে পাবার পুরোপুরি নিশ্চয়তা আছে। কাঠখড় পুড়িয়ে সেবা পাওয়াই হয়ে গেছে সামাজিকচর্চার অংশ। এতে কেউ আর কিছু মনে করে না। সরকারী সেবা খাত এবং তার সাথে সংশ্লিষ্ট লোকজনই বোধকরি এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অন্তরায়ের উদাহরণ।

আমি বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম রেজিস্ট্রেশন করেছি ঠিকই কিন্তু খুব খুশী মনে করিনি বরং খানিকটা বিরক্ত হয়ে করেছি। কেন, সে কারণগুলি বলি-

যে পদ্ধতিতে এখন সিম রেজিস্ট্রেশন করলাম সে পদ্ধতিতে না করলেও বর্তমান সিমটি কেনার সময়ে আমি আমার ছবি ও আইডি কার্ড একবার জমা দিয়েছি। আমি কে, সেটা জানার জন্যে আমার আগের জমাদানকৃত ডকুমেন্টগুলিই যথেষ্ট হবার কথা। একজনের আইডি নম্বর প্রবেশ করালে সফটওয়ারে তার সকল তথ্যই পাওয়া যায়।তবে কেন আবার এটি করা?

 কিছুদিন আগেও একবার ভিন্ন পদ্ধতিতে রেজিস্ট্রেশন করেছি। মোবাইলে নির্দিষ্ট নাম্বারে ডায়াল করে তথ্য পাঠিয়েছি এবং রেজিস্ট্রেশন কমপ্লিট করেছি। এখন যদি এভাবে রেজিস্ট্রেশন করাটা বাধ্যতামূলক হয়, তবে তখন কেন আবার ওভাবে করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল? আমি স্বীকার করছি,  টেকনোলজি পরিবর্তনশীল এবং এ পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য পরিবর্তনের দরকার আছে। কিন্তু তারপরেও কথা থেকে যায়-  একটা জাতির উপরে একটা সিদ্ধান্ত দেবার আগে বা তা পরিবর্তনের আগে সে বিষয়টিকে আরও বেশি খতিয়ে দেখার দরকার আছে। যে বিষয়ের সাথে ব্যাপক মানুষের সংশ্লিষ্টতা আছে সে বিষয়টিকে এতো স্বল্প সময়ে এভাবে পরিবর্তন করে ফেলাটা কাঙ্ক্ষিত নয়। তাছাড়া এমন নয় যে,  ঐ সময়ে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি আসে নাই। এজন্যেই বলতে ইচ্ছে করে-  এটাতো অভিনয় নয়, ‘কাট বললাম তো কাট হয়ে গেল- আবার শট নিলাম তো ঠিক হয়ে গেল’।

 আমি বা আমার স্ত্রীর নামে আমাদের ছেলে এবং মেয়ে দুজনের সিম দুটোকে রেজিস্ট্রেশন করার বিষয়টা আমি মানতে পারি নি। তাদের আইডি কার্ড নাই। এই আইডি কার্ড করার জন্য যে কী পরিমাণ ঘোরাঘুরি করতে হচ্ছে তা বর্ণনা করে বোঝানো কঠিন। অথচ কাজের কাজ কিচ্ছু হচ্ছে না। তরুণ বয়সে আইডি কার্ডের মালিক হবার জন্য আমার ছেলে খুবই উৎফুল্ল। সে নিজে নিজেই নির্বাচন কমিশনে দৌড়াদৌড়ি করছে। জীবনের প্রথমে নিজে নিজে এই কাজটি করতে গিয়ে নিজের দেশ সম্পর্কে তার যা অভিজ্ঞতা হচ্ছে তাতে আর যাই হোক এদেশের প্রতি তার মমত্ব জাগার কোন সম্ভাবনা নাই। এ দায় কোনোভাবেই তার নয়। যাদের দায়, তারা সব অস্পর্শী দেবতা,  ক্ষমতা আর স্বার্থের বৃত্তবন্দী জগতে তাদের অবস্থান। ধরা-ছোঁয়ার বাইরে সে জগত।

নির্বাচন কমিশনের লোকজন এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টির ব্যাপারে যে কতোটা উদাসীন তা ভুক্তভোগি না হলে বোঝা কঠিন। একটা কমিশনের দায়-দায়িত্বহীনতার কারণে আইডি কার্ড পাবার মত এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ও যে সুলভ হচ্ছে না, এই যে মানুষ ভুগছে- এর দায় কী জনসাধারণের?  নির্বাচন কমিশনের কী কোনই দায় নেই? যে কমিশনের পালের গোদা হচ্ছেন একজন সাংবিধানিক পদধারী ব্যক্তি সেই কমিশনের অধীন একটা প্রতিষ্ঠিত বিষয়ের কাজের অবস্থা যদি এরকম দুর্দশাগ্রস্ত হয়, তবে অসন্তুষ্টি প্রকাশের জন্য আপন মনে চৌদ্দ-গুষ্টি উদ্ধার করে গালিগালাজ করা ছাড়া সাধারণ মানুষের আর কী-ই-বা করার আছে? এদেশে দায়িত্বে থাকা সবাই রাবণ।


ঘুরেফিরে আমার মনে যে প্রশ্নটি আসে তা হলো-  সিম রেজিস্ট্রেশন করে কিসের দুর্নীতি কমাবে? দুর্নীতি কমানোর অন্যান্য যে সকল ব্যবস্থাপনা চলমান আছে এবং তাতে যে সকল দুর্নীতির তথ্য ধরা পড়ছে সেগুলিকে কী কার্যকর ব্যবস্থাপনার আওতায় আনা হচ্ছে? খুব ছোট্ট একটি বিষয়-  অতি প্রয়োজনীয় এই আইডি কার্ডটি পাওয়া একজন নাগরিকের অবিতর্কিত অধিকার। এটা খুব সহজে তার হাতে চলে আসার কথা। লাইনে গিয়ে দাঁড়াবার পাঁচ মিনিটের মধ্যে হাতে হাতে কার্ড নিয়ে বাসায় ফেরার কথা। অথচ বছরের পর বছর ধরেও তা হচ্ছে না।

এই যে হচ্ছে না,  এটার দায় কী কারও নাই? এই জানা বিষয়টিকে সুরাহা না করে তালগোল পাকিয়ে গুবলেট পাকিয়ে কঠিন করে রাখা কী কোন দুর্নীতি নয়? এটিকে যে জনবান্ধব করা হচ্ছে না,  তার সমাধান কে করবে? সিম রেজিস্ট্রেশন করলে কী এ জাতীয় দুর্নীতির সমাধান পাওয়া যাবে? আমার ছেলে- মেয়ের মতন এভাবে অনেকেই আইডি কার্ড না থাকায় রেজিস্ট্রেশন করতে পারছে না। এর কী কোন সুরাহা নেই? এর কী জবাব দেবেন মাননীয় তথ্যমন্ত্রী এবং সকল মন্ত্রী মহোদয়গণ? যাদের আইডি কার্ড নেই তাদের কার্ডটা রেজিস্ট্রেশনের সময়ে ওখান থেকেই ইস্যু করার বিষয়টি সংযুক্ত হতে পারতো। এটা এমন কোন জটিল বিষয় ছিল না।

  অপরাধী সনাক্ত করা বায়োমেট্রিক সিম রেজিস্ট্রেশনের একটা বড় উদ্দেশ্য। এটার যে দরকার আছে সে ব্যাপারে কোন বিতর্কই নাই। কিন্তু আমার কথা হচ্ছে,  শনাক্তকৃত বড় বড় অপরাধীরাই যেখানে ফুরফুরে মেজাজ নিয়ে সর্বত্র ঘুরে- ফিরে বেড়াচ্ছে সেখানে এই পদ্ধতির প্রয়োগ হলে এ অবস্থার কী কোন পরিবর্তন হবে?  এটা মানতে হবে যে,  এমন অপরাধী খুব কমই আছে যাদেরকে সনাতন পদ্ধতিতে সনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। সমস্যা হচ্ছে,  বিভিন্ন রকম প্রভাব কার্যকর থাকার ফলে সনাক্ত করার পরেও তার ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না বা ইচ্ছে করে সনাক্তই করা হচ্ছে না।

অনেক বড় বড় অপরাধী পুলিশের নথিতে পলাতক,  অথচ তারা মন্ত্রীর সাথে বসে মিটিং করছে এবং পুলিশই তাদেরকে নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়ে ঘিরে রেখেছে। এ রকম বহু ছবি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে রেষারেষি করে নিজেদের দলের লোকজনকে নিজেরাই পেটাচ্ছে,  মেরে ফেলছে। এ কাজের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণকারী সন্ত্রাসীরা উন্মুক্তভাবে জনসম্মুখে এ কাজগুলি করছে। সবাই দেখছে। এর পৃষ্ঠপোষকতায় কোন এমপি,  মন্ত্রী আছে আছে তাও পরিষ্কারভাবে সুবিদিত। অথচ এজন্যে কোন মামলা পর্যন্ত হচ্ছে না,  হলেও অপরাধীদের কেউই গ্রেফতার হচ্ছে না বরং ভিকটিমরা মামলা তুলে নেবার জন্য চাপের মধ্যে ভিটেমাটি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ওদিকে বহাল তবিয়তে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে সন্ত্রাসীরা! শেষমেশ উদোর পিণ্ডি গিয়ে পড়ছে বুধোর ঘাড়ে।

আমার আশঙ্কা হচ্ছে, আমি তো উদোশ্রেণির মানুষ না, আমি হলাম বুধোশ্রেণির মানুষ। আমার ধারণা, যেহেতু সমাজের অন্যান্য বিষয়গুলির কোন পরিবর্তন হচ্ছে না,  শুধু সিমটাই বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে রেজিস্ট্রেশন হচ্ছে সুতরাং এই রেজিস্ট্রেশন করার ফলে বুধো হিসেবে আমার রিস্কটা আরও বেড়ে যাচ্ছে।

খুব সোজা কথায় বলি- মহল্লার মাস্তান,  ক্ষমতাসীন ব্যক্তি বা রাজনীতিবিদ যদি একজনকে দিয়ে তার মোবাইল থেকে ফোন করিয়ে বড় ধরণের অপরাধ করে তবে যার মোবাইল থেকে ফোন করে কাজটি করা হলো তার পক্ষে এটা প্রতিরোধের ক্ষমতা কতটুকু?  কে শুনবে তার কথা? সে কী মামলা করতে যেতে পারবে!  কে নেবে তার মামলা? সে কী এ সমস্ত শক্তিধরের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারবে? সমাজ কী তাকে সে নিশ্চয়তা দিয়েছে? রেজিস্ট্রেশনের আগে অপরাধী-সন্ত্রাসীরা তাদের নিজ মোবাইল থেকেই কাজটি করতো,  এখন তো তারা সে কাজটি করবে না। সে এখন অন্য মোবাইল ব্যবহার করে কাজটি করার সুযোগ নেবে। তাছাড়া সব সম্ভবের দেশে ক্ষমতাসীনদের মোবাইল ডাটা গায়েব করা বা সম্পূর্ণ চেপে যাওয়া কোন বিষয়!

দরকার হলে মোবাইল কোম্পানি বন্ধ হয়ে যাবে কিন্তু ডাটা বের হবে না-  অপরাধী বাঁচানোর জন্য এটা সে রকমই এক দেশ।

- মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন যারা সিম রেজিস্ট্রেশন করতে চাচ্ছে না তারা সবাই জামাত-বিএনপি। কথাটা হচ্ছে গড়পড়তায় একটা বাজে কথা। অগ্রহণযোগ্য এ কথাটা আমার খুব লেগেছে। কারও রাজনৈতিক সমর্থনের বিষয়টিকে কী এতো সহজেই ক্যাটেগরি করে ফেলা যায়,  নাকি ফেললে সেটাকে শ্রদ্ধার চোখে দেখা যায়! আমার টিন এজ থেকেই যাকে দেখে দেখে স্বপ্নের জাল বুনেছি সেই স্বপ্ন- মানুষটির এমন কথায় আমার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। প্রতিক্রিয়াগুলি সবসময়ে সমান ও বিপরীত- এখানেও তার ত্রুটি হয় নি।

মানুষ সিম রেজিস্ট্রেশন করতে অনাগ্রহ দেখানোর কারণ,  এ কাজটি সে করতে চাচ্ছে না তা নয় বরং এ সমস্ত আশঙ্কা এবং বিরাজমান বাস্তবতা তাকে চরমভাবে অনুৎসাহিত করছে। সমস্যার মূল কিন্তু এ অনাগ্রহ নয় বরং এটা হচ্ছে সমস্যা বোঝার জন্য ভাসমান বরফের চূড়ার মত। মূল সমস্যা অন্যখানে যা সর্বত্র বিরাজমান এবং অনুভূত। মূল যায়গায় কাজ করাটাই সমস্যা নিরোধের মূল চাবিকাঠি। সেটি কতোটা হবে  তা জানি না তবে অন্তত প্রত্যাশা করি যে হবে। এছাড়া আর উপায় কী!

বেঁচে থাকার অন্য কোন অবলম্বন তো আর আমজনতার হাতে নেই।

নাজমুল হাসান, লেখক, গবেষক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬২ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩০ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৫ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ