আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

Advertise

আওয়ামী লীগের পিঠে সওয়ার কারা?

মাসুদ পারভেজ  

ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অস্ত গিয়েছিল ১৯৪৭ সালে। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ আর কংগ্রেসের অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্তের বলি হয়েছিল ভারতীয় উপমহাদেশের অগণিত জনসাধারণ। ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজিত হওয়া ভারত মূলত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য এবং পাকিস্তান মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য। পাকিস্তানের পূর্ব পাকিস্তান অংশ দীর্ঘ ২৩ বছরের নির্যাতন ও নিপীড়ন সয়ে অবশেষে স্বাধীনতা অর্জন করেছে ১৯৭১ সালে।

১৯৫২ সালে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের সফলতার নিরিখে পূর্ব পাকিস্তানের মানস গঠিত হয়েছিল অসাম্প্রদায়িক বাঙালি সত্তা। যা ১৯৭১ সালে তীব্রবেগে বিস্ফোরিত হয়ে ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশরূপে আবির্ভাব ঘটেছিল। মহান মুক্তিযুদ্ধে গুটিকয়েক ধর্মের লেবাসধারি দল ও তাদের তল্পিবাহকরা পাকিস্তানের পশ্চিম পাকিস্তানের অংশের সাথে উন্নত ও মানবিক মানসিকতার পূর্ব পাকিস্তানকে পশ্চিম পাকিস্তানের মত সাম্প্রদায়িক মনোভাবের আবরণে দেখতে চেয়েছিল। কিন্তু এতে বাঁধ সাধে ৫২-এর ভাষা আন্দোলন। ৭১ সালে বাঙালি মূলত অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক রাষ্ট্র গঠনের মানসে দেশ স্বাধীনের শপথ নিয়ে জয়ী হয়েছিল। পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ করার অনেক কারণের একটি সাম্প্রদায়িকতার ভয়াল গ্রাস থেকে মুক্ত হতে চাওয়ার তীব্র মনোবাসনা। যা মুক্তির সংগ্রামকে অনেকাংশে বেগবান করেছিল।

কিন্তু স্বাধীনতার মাত্র বছর চারেক এর মধ্যে পাকিস্তানী ভাবধারার কতিপয় সেনা কর্মকর্তার নীল নকশায় বঙ্গবন্ধু সপরিবারে (দুই মেয়ে ছাড়া) নির্মমভাবে নিহত হয়েছিল। তার পরবর্তী অধ্যায় যেন সম্পূর্ণ বাংলাদেশবিরোধী অংশের হাতে রচিত। মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তির সাথে একত্রিত হয়েছিল মোশতাক, জিয়া ও এরশাদ গং। তাদের হাতে লাঞ্ছিত হল বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হল রাষ্ট্রধর্ম। যা বাঙালির সাম্য ও মানবিক চেতনা এক নিমিষেই চুকে গিয়েছিল। সাথে সাথে শুরু হল বিভিন্ন সংস্থার ইসলামীকরণ। গজিয়ে উঠতে শুরু করেছিল ধর্মীয় বাতাবরণে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে বিভিন্ন এনজিও সংস্থার কারবার। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ধর্ম রূপান্তর লাভ করেছিল। বিস্তার লাভ করেছে শহর থেকে গ্রামে।

৭৫-৯৬, এতগুলো বছরে ধর্মের ডালপালা ছড়াতে ছড়াতে তা এখন বটগাছকেও ছাপিয়ে গেছে। ধর্মের নামে নানান অধার্মিক/ বকধার্মিক কারবারও ধর্মের খোলসে ঢুকে পড়েছে। ফলে রাষ্ট্রের প্রায় প্রতিটির মধ্যে ধর্ম ঢুকে পড়েছে। শেকড় চলে গেছে বহু গভীরে । রাষ্ট্রের জনগণও ধর্মের খোলসে থাকাটাই নিরাপদ বলে ভাবতে বাধ্য হচ্ছে। চারিদিকে ধর্মের নানান ব্যাখ্যা অপব্যাখ্যা শোনার পরও উভয় মহল ধর্ম ব্যবসা ইস্যুতে এক কাতারে দাড়ায়। রাষ্ট্রে ধর্মে বিশ্বাসের নামে নিরীহ ও নির্বোধ জনগণের পকেট হরিলুট হচ্ছে। তা বিভিন্নভাবেই প্রবহমান আছে। যে কোন কাজ বা ধর্মের ধর্মীয়করণ একেবারেই সহি ও উপযুক্ত বলে বিবেচিত হচ্ছে। জনগণের দুই তৃতীয়াংশই বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দান করে দেদারসে কিন্তু দানকৃত টাকা দিয়ে কি হয়, কোথায় যায় তার হিসেব বা খোঁজ খবর রাখে না, নাহলে এতগুলো অনর্থক কওমি মাদ্রাসা/ব্যাঙের ছাতার ন্যায় ফাও জঙ্গি কারখানা চলতো না, এসব কিছুই সাধারণ মানুষের ভুল ধর্মীয় বা অন্ধ ধর্মীয় বিশ্বাসকে পুঁজি করে গড়ে উঠেছে এবং লাভজনক ব্যবসা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। এতে করে একদল উন্মাদ ধর্ম ব্যবসায়ীর দিন ভালো যাচ্ছে বিপরীতে রাষ্ট্র গর্তে ঢুকে পড়ছে।

এর প্রভাব এতটাই ভয়াবহ যে মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগের ধর্মীয় সংস্করণ আছে। এরা আবার এক কাঠি সরসে। নারীনীতি থেকে শিক্ষা নীতি, রাষ্ট্রধর্ম এবং অন্যান্য অসাম্প্রদায়িক ইস্যুতে এরা উচ্চকণ্ঠ। এদের পেছনে আওয়ামী লীগের একটা শক্তিশালী অংশের নোংরা ইন্ধন রয়েছে এবং তা দলের শীর্ষ মহলের আশকারাতে। অথচ আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে আওয়ামী লীগ নামকরণ হয়েছিল অসাম্প্রদায়িক বাংলা ও বাঙালির মানসপটে স্থান করে নেওয়ার জন্য। এটার জন্য বিদ্যমান ডান ও ধর্মীয় রাজনীতির প্রতি জনসাধারণের এক তৃতীয়াংশের অন্ধ সমর্থন কাজ করছে। আর আওয়ামী লীগ চায় এ অংশে ভাগ বসাতে। কিন্তু এর ফলে আওয়ামী লীগের প্রতি দুর্বল প্রগতিশীল অংশের সমর্থন কমে যাওয়ার আশংকা কিন্তু বিন্দুমাত্র নেই। এর কারণ বেশ গভীরে প্রোথিত।

অসাম্প্রদায়িকতার লেবাস যৎসামান্য আছে তা আওয়ামী লীগেই বর্তমান। এর পেছনে জাসদ, ন্যাপ বা দু’একটা বাম দলও সমানভাবে দায়ী। স্বাধীনতা পরবর্তী জাসদের তাড়াহুড়ার রাজনীতি বা বর্তমানে এসে উল্লেখযোগ্য বাম দলের আওয়ামী লীগে বিলীন হওয়াটা ভবিষ্যতের জন্য স্পষ্ট প্রতিবন্ধকতা। ফলে প্রগতিশীল অংশের যাওয়ার জায়গা আওয়ামী লীগ ব্যতীত আর নেই। এ সুযোগটাই শতভাগ কাজে লাগাতে তৎপর বর্তমান শাসক মহল। যদিওবা এর জন্য নানান সমালোচনার জন্ম হলেও এর বাইরের নানান উন্নয়নমুখী এবং সময়ের দাবির প্রতি সম্মান দেখিয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। সওয়ারটা হল – বর্তমান সামলাও, নিজেরা শক্তিশালী হও এবং সুযোগে আপাত শত্রুপক্ষের শেকড় উপড়ে ফেলো। এটার ভালোটা মোটের উপর কিন্তু মন্দটা খুবই ভয়াবহ হবে। কারণ ধর্মীয় মহল যতই সময় পাচ্ছে ততই বিষ জমিয়ে রাখছে। এ বিষের ব্যবহারও এরা সময়ে সময়ে করে দেখাচ্ছে।

দেশে বিরাজমান ব্লগার ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার তথা অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তিদের চাপাতি দিয়ে মেরে ফেলাটা এদেরই কাজ। তাছাড়া আগে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে জঙ্গি কার্যক্রম ছড়ালেও এখন তা স্কুল-কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়েও শক্ত ঘাটি গেড়েছে। তাদের প্রভাব অপ্রতিরোধ্য গতিতে বেড়ে চলেছে। এ ঊর্ধ্বগতি এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া থেকে যেমন বিরত রাখছে তেমনি কিছু মানুষ তাদের পক্ষে ফ্যান্টাসিতে ভুগছে। অল্প পরিমাণ জনগণের সমর্থন পাওয়াটা শাসক মহলের জন্য বুমেরাং হলেও এতে সরকারের কর্ণপাত একেবারেই পরিলক্ষিত হচ্ছে না। ফলে বর্তমান ও মাঝে মাঝে বুমেরাং হচ্ছে।

তাছাড়া শাসক দল নিজেরা আরও শক্তিশালী হওয়ার মনোবাসনায় বাছ বিচার ছাড়াই কর্মী সমর্থক নেতা ভিড়িয়ে নিচ্ছে। এই সুযোগে অনুপ্রবেশ ঘটছে কিন্তু এতে তাদের কর্ণপাত নেই। এর ফলে শাসক দলের তৃণমূলেও এদের নিত্য আনাগোনা সহজ থেকে সহজতর হয়ে গেছে। এতসব কিছুর জন্য ধর্মীয় অংশের মাস্টারপ্ল্যান আছে কিন্তু তা থেকে রেহাই পাওয়ার কোন পরিকল্পনা নেই। কার্যত মন্দের ভালোয় ভালো থাকার অভিনয় করতে হচ্ছে। যেটার পরিণতি চড়ামূল্যে কিনতে হবে।

মাত্র চার দশক আগের কথা, সাম্প্রদায়িক এবং তথাকথিত ধর্মীয় দেশ পাকিস্তান থেকে পৃথক হয়ে বাংলাদেশ হয়েছিল। দীর্ঘ ৯ মাস মহান মুক্তিযুদ্ধ কার্যত একটি অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক এবং সমৃদ্ধ দেশ গড়ার সংগ্রাম ছিল। ১৯৭৫-এর পট পরিবর্তনের মাত্র ১৩ বছর পর সামরিক শাসক এরশাদ ১৯৮৮ সালে রাষ্ট্রধর্মের প্রবর্তন করেছিল সংবিধানে কাঁচি চালানোর মধ্য দিয়ে। এটা মোটেও অবাক করার বিষয় নয় যে তৎকালীন আওয়ামী লীগ, বিএনপি এমনকি ধর্মীয় লেবাসধারী দল স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতও এটার বিরোধিতা করেছিল। এটা আগাগোড়াই রাজনৈতিক বিরোধিতা ছিল। তা নাহলে খালেদার জাতিকে বিভক্ত করার চেষ্টায় এখনো হুশ ফিরছে না। কিংবা হাসিনার তৎকালীন সংবিধান সংশোধনী না মানাটা ৯৬ কিংবা ২০০৮ থেকে আজ অবধি কোন জাদুর কাঠিতে জনগণ মেনে নিয়েছে, তা বোধগম্য নয়। কিন্তু জামায়াতের তৎকালীন গনবিরোধী আজও তাদের ভাষায় একই রয়েছে !

১৯৮৮-২০১৬, পানি অনেক দূর গড়িয়েছে। এখন কৌশল হিসেবে মনে করলেও কোন দল ই সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রধর্ম প্রথা বাতিল করবে না, এটাই ধ্রুব সত্য। শাসক দল এটা করবে না কিন্তু চাইলেই পারে। কারণ এদের মধ্যে অনেকেই আবার শফি হুজুরকে রেলের জমি ডান করে। এখন তো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর মতে, তাদের নিবৃত করার রিমোট নাকি তাদের হাতে। এদের বাহাস শুনে এটা বুঝতে বাকি থাকে না যে, এরা তলে তলে কুপ খনন করেই চলেছে।

সাধারণ জনগণ দিনদিন ধর্মের অপব্যাখ্যার সন্দেহে বশীভূত হচ্ছে। প্রগতিশীল নয় অসাম্প্রদায়িক নয় বরং ধর্মীয় গোঁড়ামির দিকেই ঝুঁকে পড়ছে, বুঝে শুনেই। এসবের সমূহ বিপদ উপলব্ধি করতে দেরি হওয়াটাই আমাদের কপালে চিন্তার ভাজ ফেলছে। এখানে একটা কথা প্রণিধানযোগ্য, এসব ইস্যু আদালত থেকে সুরাহা আশা করাটা বাতুলতার নামান্তর ।

একটাই পথ খোলা আছে তা হল, ৭১-এর নির্ভেজাল চেতনায় অসাম্প্রদায়িকতায় উজ্জীবিত হয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে এবং তা জনগণকেই।         

এই শুভ চেতনা যত তাড়াতাড়ি উপলব্ধি ঘটবে তত তাড়াতাড়ি মঙ্গল বয়ে আসবে আমাদের জীবনে।

মাসুদ পারভেজ, কবি ও প্রাবন্ধিক। ইমেইল: [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬২ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩০ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৫ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ