আজ বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

Advertise

আবারও শিক্ষক হত্যা!

জহিরুল হক মজুমদার  

আবারও একজন শিক্ষককে হত্যা করা হল। আততায়ীর হাতে নির্মমভাবে নিহত হলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী। সঙ্গীতপ্রিয় এই মানুষটি এলাকায় একটি গানের স্কুল খোলার কাজ করছিলেন। নিজে সেতার বাজাতেন। ছিলেন ‘সুন্দরম’ নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের উপদেষ্টা। সম্পাদনা করতেন ‘কোমলগান্ধার’ নামে একটি সাহিত্যপত্র। কোমলগান্ধার  সঙ্গীতের একটি ‘রাগ’ এর নাম। এতে  বুঝা যায় অধ্যাপক রেজাউল কতটা সঙ্গীত অন্তপ্রাণ মানুষ ছিলেন।

নিজ বাড়ি থেকে পঞ্চাশ গজ দূরে রাজশাহী মহানগরের শালবাগান এলাকায় ভোর ৭ টায় আততায়ীর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন হন তিনি। ৬১ বছর বয়সী,  প্রবীণ এই অজাতশত্রু শিক্ষক উপুড় হয়ে পরে থাকেন নিজ মাতৃভূমির ধুলিবালিতে রক্তে মাখামাখি হয়ে। এই রকম একটি  ভোর কি কাঙ্ক্ষিত  ছিল  এদেশের মানুষের কাছে? অধ্যাপক রেজাউলের হাজার হাজার ছাত্রের কাছে? তাঁর পরিবারের কাছ?গোটা দেশের মানুষের কাছে?  

ভোরের শান্তিময় প্রার্থনা ব্যর্থ করে দিয়েছে আততায়ীর নির্মম চাপাতি।ভোরের সূর্য আলোর বন্যা নিয়েও কেঁপে উঠেছে বিবেকহীন আততায়ীর অন্তর্গত অন্ধকারের আস্ফালন দেখে। তারা কারা? ‘সুন্দরম’ এর শত্রু, ‘কোমলগান্ধার’ এর শত্রু, ‘সেতার’ এর শত্রু। এইসব নিয়েইতো অধ্যাপক রেজাউল করিম। এইসব কি শত্রু জন্ম দিতে পারে!

পারে, খুব পারে। যখন জীবনানন্দের “অদ্ভুত এধার এক” পৃথিবীতে আসে, যে আঁধারে অন্ধরা সবচেয়ে বেশী দেখে।ধর্মের নামে অধর্মের আঁধারের পেয়ালা পান করতে করতে যারা বড় হয়, তারা সবকিছুর মধ্যেই শত্রুতা খুঁজে পায়।কালিমা লেপন করে ধর্মের গায়েও। ধর্মগ্রন্থে অনেক অনেকবার  ভালবাসার কথা বলা আছে, ধৈর্যের কথা বলা আছে, ক্ষমার কথা বলা আছে। এইসব বিস্মৃত হয়ে আততায়ীর  দিন শুরু হয় হননের ঘৃণিত উৎসব দিয়ে।

ইতিপূর্বে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাতঃভ্রমণ শেষে ঘরে ফেরার সময় হত্যা করা হয়েছিল অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ইউনুসকে। ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা  বিভাগের অধ্যাপক  তাহেরকে হত্যা করে লাশ ফেলে রাখা হয়েছিল ম্যানহোলে। কিছুদিন আগেই হত্যা করা হয় সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক শফিউলকে। অধ্যাপক শফিউল এর হত্যাকাণ্ডের রক্তের দাগ না শুকাতেই ঘাতকের নির্মম চাপাতিতে প্রাণ দিলেন অধ্যাপক রেজাউল।একক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে অনেক বেশী শোকের ভার বইতে হচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে। শোকাহত সারা বাংলাদেশ।

এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের  অধ্যাপক হুমায়ূন আজাদের হত্যাকাণ্ডের গোটা দেশ কেঁপে উঠেছিল।অধ্যাপক হুমায়ূন আজাদ যদিও আততায়ীর চাপাতির আঘাতে তাৎক্ষণিক মারা যাননি, কিন্তু তার পরবর্তী অকাল মৃত্যু এই আঘাতজনিত দুর্বল শারীরিক অবস্থার জন্যই হয়েছিল বলে সবাই মনে করেন।কি উজ্জ্বল প্রাণের অকালপ্রয়াণ ছিল সেটা। আজ একাত্তরের ঘাতকদের মৃত্যুপ্রহরের শেষ আঘাত চেষ্টার  এই গ্রহণকালে, তিনি কতটা আলো দিতে পারতেন তা হৃদয় দিয়ে অনুভব করেন তাঁর ছাত্র, সহকর্মী এবং গোটা দেশের মানুষ। ঘাতকের প্রচেষ্টা সফল হয়নি। অধ্যাপক হুমায়ূন আজাদের প্রতিটি শব্দ ঠাঁই করে নিয়েছে তাঁর পাঠকের মগজের কোষে কোষে। যে বইটির জন্য তিনি আক্রান্ত হন, তা আজ পাওয়া যায় ঢাকাসহ দেশের অলিতে গলিতে বইয়ের দোকানে।

কি নিদারুণ অবহেলায় অধ্যাপক হুমায়ূন আজাদের লাশ জার্মানির মিউনিখ এর মরচুয়ারিতে পড়ে ছিল। তৎকালীন বিএনপি-জামাত জোট এর  সরকার, সামান্য রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যয় করে  একজন খ্যাতিমান অধ্যাপকের লাশ দেশে আনতে কি ক্ষমাহীন  কার্পণ্য আর অবহেলা প্রদর্শন করেছে।

ঘাতক নিজামি-মুজাহিদদের গাড়ীতে জাতীয় পতাকা শোভিত হওয়ার ভিতর দিয়ে এদেশে একাত্তরের পরাজিত ঘাতকদের এবং তাদের অনুসারী উত্তর প্রজন্মের নব্য ঘাতকদের চাপাতি ধারালো হতে শুরু করে। তাদের পরাজিত  হারিয়ে যাওয়া মনোবল আবার  ঘাতক ক্রোধে উন্মত্ত হয়ে উঠে। এইসব হত্যাকাণ্ড একাত্তরেরই পরাজয়ের প্রতিশোধ, তা আজ সাধারণ মানুষও জানে। একাত্তর শুধু পঞ্চান্ন হাজার বর্গমাইল নয়, একাত্তর হুমায়ূন আজাদের কবিতা, একাত্তর অধ্যাপক রেজাউলের সেতার।স্বাধীনতার এত বছর পরও মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকদের পরাজিত শত্রুর হাতে প্রাণ দেওয়ার ঘটনা বিশ্বের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে বিরল।

কি অদ্ভুত দেশ! প্রতিটি যুদ্ধের পর যেখানে শত্রু শুধু আত্মসমর্পণ করে আর পালায় সেখানে এই দেশে তারা রাষ্ট্রক্ষমতার অংশীদার হয়েছিল। জাতীয় পতাকা উঠেছিল তাদের গাড়িতে। তারা ব্যাংক, বীমা, হাসপাতাল এর মালিক হয়েছিল।কী অদ্ভুত নির্মমতায় আমরা ঘাতকদের অর্থে ক্রিকেট খেলা দেখি, আমাদের সর্ববৃহৎ জাতীয় পতাকা নির্মাণের উৎসবের কথা চিন্তা করি, আমাদের অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান করি! এইসব প্রচেষ্টা আর আয়োজন ঘাতকের হাতকেই শক্তিশালী করে।

আমরা কি ভুলে গেছি, একাত্তরে আমাদের স্বজনের পচাগলা লাশে নদীর পানি দূষিত হয়ে গিয়েছিল।নদীতীরের পল্লীবধূ খালি কলসি হাতে নদী থেকে ফিরে এসেছিল কাঁদতে কাঁদতে। নিজের হারিয়ে যাওয়া স্বামী আর সন্তানের লাশ বয়ে যাওয়া নদীর পানি কিভাবে পান করবে সে! আমরা কি ভুলে গেছি সেই জেলের কথা, জাল হাতে বিমূঢ় বসে থেকে যে  নদী তীর থেকে ফিরে এসেছিল। নিজের ভাই আর বাবার লাশ খাওয়া মাছ নিয়ে কীভাবে ঘরে ফিরবে! আমরা কি ভুলে গেছি, পাকিস্তানী হানাদারদের আগুনে পোড়া ঘর থেকে নিজের পঙ্গু মাকে নিয়ে দ্রুত বের হতে না পেরে, দূরে দাঁড়িয়ে আগুনে পুড়ে মায়ের মৃত্যুদৃশ্য দেখতে বাধ্য হয়েছে সন্তান! আমরা কি ভুলে গেছি নদী দিয়ে ভেসে গেছে পিতার লাশ, যার গলা জড়িয়ে ধরে ছিল তার মৃত শিশু কন্যা!  আমরা ভুলে গেছি।

আমরা ভুলে গেছি বলেই আমরা “ইসলামী ব্যাংক” এর টাকা ধরতে দ্বিধা করিনা।আমরা তাদের টাকায় ক্রিকেট খেলা দেখি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশান এর পুনর্মিলনী করি তাদের টাকায়।আমাদের পিতা-মাতা, ভাই-বোন আর বন্ধুর খুনিরা আশ্বস্ত হয়, সামাজিক স্বীকৃতি পায়।তারা তাদের ধারালো চাপাতিতে শান দেয়, হত্যা করে আমার বেঁচে থাকা বাবা, ভাই এবং বোনকে। এভাবে ঘাতকের অর্থে আনন্দের আয়োজন করে, আমরা সবাই আমাদের পিতা, ভাই আর বোনের ঘাতক হয়ে উঠি পরোক্ষভাবে।আমরা কি কোনদিন জেগে উঠবোনা?

ইসলামী ব্যাংক এর টাকায় ক্রিকেট খেলা দেখিয়ে আমরা নতুন প্রজন্মকে কী  বার্তা দিচ্ছি! আমরা কি তাদের আমাদের গভীর কষ্ট আর সংগ্রামের দিনগুলো ভুলিয়ে দিতে চাইছি? আমরা কি বুঝাতে চাইছি যে রাজাকার- আলবদররা আমাদের স্বজনদের হত্যা আর সভ্রম লুণ্ঠন করে তেমন বড় অপরাধ করেনি!তাই তাদের টাকায় আনন্দ করা যায়!

এদেশে কেউ কাউকে ধর্ম পালনে বাধা দেয়নি। এখনো গ্রামের ঈদের নামাজে সামিল হওয়া আর কোরবানির উৎসবে হাজার হাজার মানুষ শহর ছেড়ে গ্রামের দিকে যায়। জুমার নামাজে মসজিদ উপচে পড়ে রাস্তায় পর্যন্ত জামাত হয়। তারপরও স্বকল্পিত অন্যায় অভিযোগ হাজির করা হয়, ধর্মবিরোধী পরিবেশ আছে বলে।আক্রমণ করা হয় অন্য ধর্মের উৎসব আয়োজনে কিংবা ধর্মশালায়। ইসলামের উৎসভুমিতে যেখানে অন্য ধর্মের লোকেরা তাদের আদি ধর্ম নিয়ে এখনো বসবাস করছে, সেখানে বাংলাদেশে বিবিধ অজুহাতে এই উন্মত্ততা কেন?

আসলে উন্মত্ততার প্রধান কারণ ধর্ম নয়। হত্যাকারী আর কতটা ধার্মিক! এ’সবই পরাজিতের ক্রোধ।তার রক্ত তৃষ্ণা মেটেনি।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে একাত্তরে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ক্যাম্প করেছিল। একাত্তরে  পরাজিত এদেশীয় দোসর রাজাকার-আলবদররা এখনো এ’টিকে তাদের ক্যাম্প মনে করতে চায়। তারা অনেক আগে থেকেই পার্শ্ববর্তী কাজলা গ্রাম দখল করে ছিল।বার বার আঘাত হেনে, হত্যা করে তারা প্রমাণ করতে চায় তারা এখনো আগের শক্তি নিয়েই সেখানে আছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক তাঁর একাত্তরের স্মৃতি কথায় লিখেছিলেন, “ জীবনে এই প্রথম জানলাম, নদীতে নারীর লাশ উপুড় হয়ে ভাসে, আর পুরুষের লাশ ভাসে চিত হয়ে।একাত্তরে খুলনার ভৈরব নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে, শতশত ভেসে যাওয়া লাশ দেখে এই জ্ঞান হয়েছিল”।

অধ্যাপক রেজাউল এবং তনু দু’জনই মাটিতে উপুড় হয়ে পরে ছিলেন।দু’ জনের ক্ষেত্রেই বাড়ি থেকে মাত্র পঞ্চাশ গজ দূরে।অধ্যাপক রেজাউল সেতার এর লোক, আর তনু নাটকের। দু’টি হত্যাকাণ্ডই একই আততায়ী গোষ্ঠীর কাজ, সহজেই ধারণা করা  যায়।

বাড়ি থেকে পঞ্চাশ গজ দূরে আমার ভাইয়ের হত্যাকারী, আমার সন্তানের হত্যাকারী।আমাদের কি আর অচেতন, নির্বিকার হয়ে থাকার সময় আছে?

যে যুদ্ধ আজকে অসমাপ্ত রেখে যাবেন, সে যুদ্ধ একদিন আপনার সন্তানকে লড়তে হবে। 

জহিরুল হক মজুমদার, সহযোগী অধ্যাপক, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬২ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ১৯ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩০ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৮৯ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৫ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ