প্রধান সম্পাদক : কবির য়াহমদ
সহকারী সম্পাদক : নন্দলাল গোপ
টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
Advertise
নাজমুল হাসান | ১১ জুন, ২০১৬
আমাদের গ্রামাঞ্চলে একটা আঞ্চলিক প্রবাদ আছে- “আইন্যো-লোম গজাইলে, বাত্তি জ্বালায় দ্যাহে”। ওখানকার আঞ্চলিক ভাষায় ‘আইন্যো’ শব্দের অর্থ ‘নতুন’।
তো, বাংলাদেশের এনজিও জগতের উপরের সারিতে যারা কাজ করেন তাদের মধ্যে প্রতিনিয়তই এই ‘আইন্যো-লোম’ গজানোর বিষয়টি ভীষণভাবে লক্ষ করা যায়। এই ‘আইন্যো-লোম’ এর দৌরাত্ম্য ও যাতনায় নিচের সারিতে যারা কাজ করে তাদের নাভিশ্বাস উঠে মরার দশা। কী যে অসইলো তা ভুক্তভোগি না হলে কোনভাবেই বোঝা সম্ভব নয়।
এনজিওতে নিত্য নিয়ম পাল্টায়। নিত্য বললেও কম বলা হবে, ঢোকে ঢোকে নিয়ম পাল্টায়। নিয়মের যাতনায় ‘ভিক্ষে চাইনা কুত্তা ঠেকা অবস্থা’। উপরের দিকের একেক কুতুবের একেক নিয়ম। শুধু তাই না, একই কুতুব আবার ক্ষণে ক্ষণে একেক নিয়ম নাজিল করে। ভুক্তভোগীদের কাছে এখন এনজিও কার্যক্রম পরিচালনা করা মানে বিরাট নিয়মবাজদের সম্মিলনের এক হাবিয়া দোজখ।
এখানে কর্মরত কুতুবেরা আবার কুতুবী জাহির করার জন্য নিজের বানানো নিয়মটাই পালন করার জন্য নিচের দিকে কর্মরতদের উপরে চাপ দিতে থাকে। তারটা পালন করাতে পারলে সে নবী হয়ে যায় আর কী? ওহি তার কাছে নাজিল হয়েছিল, সেই ওহি যদি সে অনুসারীদেরকে গেলাতে পারে তো তার নবুয়ত প্রাপ্তিটা জোরালো হয়। দুনিয়া ভরে ঢোল বাজিয়ে সে বিরাট ক্রেডিট নিতে পারে, এই কর্ম তার। এই ক্রেডিটের জন্য তারা সদাই মুখিয়ে থাকে।
কর্মীদের জন্য সমস্যা হচ্ছে- সবার সব নিয়ম তো আর একসাথে পালন করা সম্ভব না। আবার পালন না করলেও মহাজ্ঞানীর মহা ইজ্জতে বিরাট টান পড়ে যায়। ফলে কৃত কাজগুলিকে প্রতিনিয়ত আইন্যো নিয়মের গ্যাঁড়াকলে ফেলে প্রতিনিয়তই ‘হয় নাই’, ‘হয় নাই’ রব তুলে কর্মীদের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলছে সকল এনজিও মহারথীরা। সাথে দাতা ও সহযোগী সংস্থার লোকজনও সমানে বাতাস দিয়ে যাচ্ছে। এরা এর উদ্ভাবকও বটে।
এখানের মহারথীরা সবাই কাজের থেকে নিজেরে জাহির করার ব্যাপক প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। কাজের ফলাফল ‘বারো হাত বাঙ্গির তেরো হাত বিচি’র অবস্থা। দুনিয়ায় একটা সওয়াব করলে পরকালে সত্তরটা নেকি পাওয়ার যে ঘোষণা আছে, এনজিওরা সেই নিয়ম দুনিয়াতেই বাস্তবায়ন করে দেখিয়ে দিচ্ছে। তারা একটা কাজ করলে তারে সত্তর দু-গুণে একশ চল্লিশ বানিয়ে ফুলিয়ে, ফাফিয়ে, ঢুলিয়ে, বাজিয়ে দুইশ আশি বার হেফজ করে নিজের নাম জাহির করতে করতে মাতাল হয়ে পড়ছে।
একটা মিথ্যা কথা কয়েকবার বললে মিথ্যুক নিজেই এক সময়ে সেটাকে সত্য বলে জ্ঞান করতে থাকে। এখানের মহারথীদেরও সেই একই অবস্থা। চাপা মারতে মারতে এরা সেই চাপায় অভ্যস্ত হয়ে এক সময়ে নিজেরে মহাজ্ঞানী ভাবতে শুরু করে। এই মহাজ্ঞানীর ভারে নিচের দিকের অবস্থা বেগতিক। পেটের দায়ে চাকুরী করতে হয়, মুখে টু শব্দ করার উপায় নাই। ফাটা বাঁশের মধ্যে পড়েও মুখে হাসি ধরে রাখতে হয়। বস শ্রেণির কারও মুখে জঘন্য একটা কথা শুনেও হাসি হাসি মুখে বলতে হয়- বস, আপনি যা বলেছেন! অথচ ভিতরে ভিতরে মনে হয়, তোমরা উন্নয়নের চৌদ্দগুষ্টির পিণ্ডি চটকে ছেড়ে দিচ্ছ।
একটা কাজকে কতভাবে জটিল করা যায়, তার রোল মডেল হচ্ছে এনজিও জগত। একটা কাজকে ত্যানা প্যাচাইতে-প্যাচাইতে সেটাকে অকাজ বানায় ছেড়ে দেয়। কর্মীদের জান তিতে-জ্বালা। পেটের দায়ের চাকুরী- ছেড়ে দে মা, কাইন্দে বাঁচি বলারও সুযোগ নাই। মহারথীরা একটা জিনিসরে চর্বিত চর্বণ করতে করতে তার তেইশ মেরে ছেড়ে দেয়। ফ্রেশ কাসুন্দিরে কচলাতে কচলাতে তেতো অখাদ্য বানায়। সরল পথ থাকতেও একটা কাজকে জটিল থেকে জটিলতর করে জটিলতম করার রোল মডেল হচ্ছে এদেশের এনজিও-রথীরা।
কাজের কোয়ালিটি আর কোয়ানটিটি মনিটরিংয়ের জন্য মনিটরিং নামের যে ফাঁদ দাতা সংস্থারা বানিয়েছে এবং সেগুলোর যেভাবে বাস্তবায়ন করছে- তা দেখলে মরা মানুষ জ্যান্ত হবার সুযোগ থাকলে তাই হতো। সে সুযোগ নাই বলে, জ্যান্ত মানুষ মরে ভূত হবার যোগাড় হইছে। এই সফটওয়ার, সেই সফটওয়ার, এই এন্ট্রি, সেই এন্ট্রি, দিস্তায় দিস্তায় কাগজ খরচা, মোবাইল ট্র্যাকিং আরও কত কী! আয়োজন দেখলে মনে হয় কামান দাগছে, খুঁজলে খেলনা পিস্তলও পাওয়া যায় না। মশা মারতে এরা কামান না দাগিয়ে পারমানবিক বোমা মারতেছে। কাজের নামে ভঙের শেষ নাই।
এ দেশের দাতা সংস্থা বা দাতা সংস্থার একটু গন্ধ আছে সেখানে যারা কাজ করে তারা হলো গিয়ে দেবতা। দেবতাদেরকে যদিও আমরা পূজা-আরাধনা করি কিন্তু তারা আসলে ভীষণ হিংসুটে। বিশ্বাস না হয়, তাদের জীবন কাহিনী পড়ে দেখবেন। দেবতা কাহিনীগুলিতে দেখা যায়- একটুখানি পানের থেকে চুন খসলেই এক দেবতা আরেক দেবতারে অভিশাপ দিয়ে বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছে। একজনরে ফল খাইতে নিষেধ করছে আর সে সেই ফল খাইছে বলে তাতে মাইন্ড করে স্বর্গের থেকে তারে মাটিতে ফেলে দিচ্ছে এবং তার শাস্তি তার পরবর্তী সকল প্রজন্মকেও বহন করতে হবে বলে ডিকলিয়ার করে দিছে। এই হলো দেবতাদের ধৈর্য ক্ষমতা। খালি তেল মারো, খালি তেল মারো- এই হলো গিয়ে দেবতাদের চর্চাকৃত নীতি। তো, এই নীতির শতকরা শতভাগই আত্মস্থ করে তা বাস্তবায়ন করে চলেছেন দাতা সংস্থায় কর্মরত মনুষ্যরূপী মহাদেবতাগণ। এগুলা সব রাবণ- বাঙ্গালী হলে তো কথাই নাই- তাদের ঠেলায় অস্থির। রাবণেরও ঠাপে বৃন্দাবনও কাঁপে অবস্থা।
দাতা ও আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মরতরা বিশাল বুদ্ধিমান মানুষ! ওদের বুদ্ধির গুঁতোয় মাটিতে তো পা পড়েই না, পারলে দেশটারেও উঁচু করে খুঁটির মাথায় ঠেস দিয়ে দাঁড়া করিয়ে উন্নয়ন ঘটায় ফেলে। কথা-বার্তা শুনলে মনে হয় ওরা একেকজন ফাটাকেষ্টরও গুরু। দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিলে ওরা সাত দিনের মধ্যে দেশটারে মঙ্গলগ্রহের সাথে লটকায় ফেলবে। উন্নয়নের শুধু জোয়ারই না, প্লাবন থেকে মহাপ্লাবন ঘটিয়ে দেবে।
আসলে এরা বিশাল ভঙবাজ। ভালো বেতনাদি পায় বলে ওদের চেহারার মধ্যে একটা আলু আলু ভাব থাকে। কথা-বার্তায় মেকী ভদ্রতার কমতি নাই, একেবারে তুলতুলে মিছরির ছুরি। খুবই মসৃণ একেবারে তেলেরমতন যায়, ব্যথা লাগে না কিন্তু ফলাফল হয় সর্বনাশে। সাথে সাথে বোঝা যায় না, বোঝা যায় পরে। দীর্ঘমেয়াদে দেশকে পরনির্ভর করার একটা বিশাল পায়তারা এদের অনেকের মধ্যেই সুপ্ত। এখানে কর্মরত মহারথীদের ভাব দেখে মনে হয় যেন এরা সবাই বিনয়ের অবতার। এটা মুখোশ, আসলে সবাই ধুরন্ধরের ধাড়ি।
উন্নয়নের কথা বলতে বলতে আর গরীব মানুষের কষ্ট ঘুচাতে ঘুচাতে মনে হয় যেন এদের চোখে ঘুম নাই। অথচ কথা সত্য নয়। এরা যেখানে লাখ লাখ টাকা বেতন পায়, কোটি টাকার গাড়িতে চড়ে সেখানে একজন মাষ্টার-ডিগ্রিপাস কর্মীকে সাত/আট হাজার টাকায় কাজ করায়। ভলান্টিয়ার নাম দিয়ে মাসে মাত্র সাতশ/আটশ টাকা দিয়ে একজন মহিলারে দিয়ে যে কাজ করায় তার কাজের ফিরিস্তি দেখলে আপনারও মনে হবে, এদের মুখে স্রেফ ঝাঁটা মারি। এ প্ল্যানগুলি তারাই করে। নরম কথায়, উন্নয়নের নামে বঞ্চিত মানুষকে ঠকানো হচ্ছে আসল উদ্দেশ্য। সিএসআর বা কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটির নামে তৈরি করে আরেক বনেদি গ্রুপ।
নিজেদের স্বদেশ ঘোরা, বিদেশ ঘোরা, বিদেশিদের এনে উন্নয়নের মহড়া দেওয়া- কোন কিছুতেই এদের কমতি নাই, কমতি খালি কর্মীদের বেতন বাড়ানোতে, সুযোগ-সুবিধাকে যৌক্তিক করতে। তখন শুধু ফালতু কথার ফুলঝুরি, যুক্তির পরে যুক্তি। কর্মীদের দুই টাকা বেতন বাড়ালে যেন উন্নয়ন শুয়ে পড়ে। অথচ সব কাজ করে এই না খেয়ে মরা কর্মীরা। যা দেয় তাও যেন ক্রীতদাসদেরকে দান করছে এমন ভাব। লোকসম্মুখে মধু কথার ফুলঝুরি, মনটা মাকাল ফলের ভিতরের মত কালো, কর্মীদের সাথে ব্যবহারে দাস-মালিক, মিডিয়া-সেমিনারে গিয়ে দেশোদ্ধার- এই হলো বড় উন্নয়ন কর্মীর বৈশিষ্ট্য।
এনজিও হচ্ছে জার্গন বানানোর ফ্যাক্টরি। এরা কয়দিন পর পর একেকটা জার্গন বানায়, আর আগানে-বাগানে, জলে-স্থলে-অন্তরীপে তা প্রচার করে নিজেরে উন্নয়নকর্মীর মডেল সাজানোর পায়তারা করে। ইদানীংকালে একটা জার্গন দেখছি খুব চলছে। "COB" বা ‘কব’ হচ্ছে সেই জার্গন। এর মানে হচ্ছে Close of Business. এটা এখনকার আইন্যো-লোম। একটা ই-মেইলে যদি লেখা থাকে ১৫ই এপ্রিল ২০১৬, ৫:০০ পিএম, ‘কব’- তার মানে হচ্ছে ঐদিন পাঁচটার পরে এই ই-মেইলটা পাঠালে তা আর গৃহীত হবে না। অনেক সময়ে নির্দিষ্ট সময় পার হবার সাথে সাথে ই-মেইল এ্যকাউন্টটিকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এমনভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয় যে এটি আর নতুন ই-মেইল রিসিভ করে না।
এনজিওতে খুব ই-মেইল চালাচালি হয়। এর ব্যবহার যতোটা না কাজের জন্য তার চেয়ে বেশি নিজেরে দোষমুক্ত করে আরেকজনরে ফাঁসানোর জন্য। তো, দাতা সংস্থার লোকজন এখন যে ই-মেইলই করুক না কেন তার সবগুলোতেই লেখা থাকে ‘কব’। সাত দিন ধরে কাজ করেও যে কাজ শেষ করা যায় না, দু ঘণ্টা সময় দিয়ে সে জন্য তারা ‘কব’ লিখে মেইল ছাড়ছে। ঐ যে, নিজেরে দোষমুক্ত হিসেবে দেখিয়ে আরেকজনরে ফাঁসিয়ে দেওয়ার পায়তারা। এরকম জারিজুরির শেষ নাই।
এনজিওরা দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে তাতে কোনও দ্বিমত নাই, দ্বিমত হচ্ছে সেখানে যেখানে প্রকৃত উন্নয়নের বিষয়টাকে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে তুলে ধরা হচ্ছে এবং তার বিনিময়ে কেউ না কেউ সুবিধা নিচ্ছে। আপত্তি হচ্ছে সেখানে, যেখানে শতকরা নব্বইভাগ কর্মীকে নূন্যতম জীবন-যাপনের মত বেতন দেওয়া হচ্ছে না অথচ তাকে দিয়েই সব কাজ করিয়ে নেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে একটা সংস্থার সবচেয়ে কম বেতনের কর্মী এবং সবচেয়ে বেশি বেতনের কর্মকর্তার বেতনের বৈষম্য যেখানে আকাশ পাতাল। এই পার্থক্য দশ গুণ, বিশ গুণ হতে পারে কিন্তু সাতশ টাকা আর দশ লাখ টাকা হতে পারে না। দাতা সংস্থা আর বাস্তবায়নকারী সংস্থার বেতনের বৈষম্যও আকাশ-পাতাল হতে পারে না। কাজ করে কর্মীরা তাদেরকে যখন এভাবে ঠকানো হয়, আপত্তিটা আসে সেখানে।
বলা হয়ে থাকে আমেরিকার উন্নয়নের পিছনের ইতিহাস ঘাঁটলে ওখানের প্রতিটা ইটে একেকজন কালো মানুষের রক্ত পাওয়া যাবে, বাংলাদেশের এনজিও সেক্টরের কাজ দেখলেও সেখানে এরকম নিরানব্বই ভাগ কর্মীর ঘাম পাওয়া যাবে- অথচ তারাই বঞ্চিত! আপত্তিটা আসে এখানে। এমন অবস্থা কাঙ্ক্ষিত নয়, এর অবসান দরকার।
এই অসম যায়গাগুলিতে যৌক্তিক পরিবর্তন এনে এনজিওগুলিকে একটা সুস্থ যায়গার উপরে দাঁড় করানো দরকার। এ জন্য সরকারী পর্যায়ের হস্তক্ষেপ দরকার, সরকার এগিয়ে এলে ভাল হয়- নতুবা কাজটি করা সম্ভব নয়। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে সরকারী দায়িত্বে যারা আছেন তারা এনজিওতে কর্মরত লোকজনের বেতনাদি ও সুযোগ-সুবিধার কথা শুনে আগেই লাফিয়ে ওঠেন, ওরে বাবা কতো বেতনাদি পায়! আপনাদের জ্ঞাতার্থে বলছি- আপনারা যাদের সাথে সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি তুলনা করেন তারা শতকরা একভাগও নয়। বাকী বিরাট কর্মী বাহিনী না খেয়ে মরছে। এখানের চাকুরীর কোন নিশ্চয়তা নেই, আজ আছে তো কাল নেই- সেই ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়। প্রকল্প শেষ হয়ে গেলে বেকার হয়ে পড়লে খাবে কী সেটা বিবেচনায় রাখা দরকার। এই জগতটা দিন দিন ছোট হয়ে আসছে। প্রকল্প শেষ হওয়ায় অনেকেই বেকার হয়ে গিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। নতুন করে এমনভাবে প্রকল্প আসার সম্ভাবনা নেই যেখানে সকলের চাকুরী পাওয়া সম্ভব। নতুনদের চাকুরী তো পরের বিষয়।
সরকারী দায়িত্বে যারা আছেন তাদের মনে রাখা দরকার যে, আপনাদের দায়িত্ব সার্বিক। শতকরা দু/চারজনকে দেখে চক্ষু চড়কগাছে তুলে অন্যদের সমস্যাগুলিকে আড়াল করা আপনাদের দায়িত্ব নয়। দেশের মানুষ খারাপ থাকলে সেটা সবার জন্যই লজ্জার। এ অবস্থার অবসানকল্পে একটু নড়েচড়ে বসুন, প্লিজ।
মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।
আপনার মন্তব্য