আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

Advertise

খিলাফতের ভ্রান্ত লড়াই বনাম ফাঁপা চ্যাট-শো

মাসকাওয়াথ আহসান  

সুশাসনের অভাবই আজকের এই কুরুক্ষেত্র রচনার মূল কারণ। জনগণের ম্যান্ডেটকে সম্মান জানিয়ে আর কিছু নয় জনমানুষকে তাদের প্রাপ্য ন্যুনতম সম্মানটি দিলে সামষ্টিক সমাজ আজ সন্ত্রাস দমনে সরকারের সহযোগী হতো। ক্ষমতা নামের সোনার ডিম দেয়া রাজহাঁস হচ্ছে জনমানুষ। তাকে জবাই করে ফেলতে লোভাতুর নির্লজ্জ ক্ষমতা কাঠামো।

কুখ্যাত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের "আইদার ইউ আর উইদ আস; অর এগেইন্টস আস" ডকট্রিনের রোগী ছিলো বিগত বিএনপি-জামায়াত প্রশাসন। আওয়ামী লীগ এই একটি ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে তাদের প্রশাসনে।

বিগত আড়াই দশক ধরে আওয়ামী লীগ বনাম বিএনপির ক্ষমতায় যাবার কাবাডি খেলার সুযোগে জামায়াত ব্যবসা বৃদ্ধি করেছে; সাংগঠনিক ভিত্তি পাকাপোক্ত করেছে; তাদের কল্পিত "খিলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য জিহাদের" সমস্ত প্রস্তুতি নিয়েছে। আর খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনা চেষ্টা করেছেন পরস্পরকে দোষারোপ করার বালিশ ছোড়ার খেলায় জিততে। একজন আরেকজনকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিয়ে একাই আমৃত্যু শাসন কায়েমের জেদি খেলায় ব্যস্ত থেকেছেন। অপরাধীরা যখন দেখেছে উনারা সবসময় একে-অপরের ঘাড়ে দোষ দিয়ে চলেছেন; অপরাধীরা বুঝে গেছে এ হচ্ছে অপরাধের অভয়ারণ্য। পৃথিবীর অন্য কোন দেশে এমন সাপে-নেউলে সম্পর্ক রাজনীতিকদের মাঝে নেই।

এই সাপে-নেউলে সম্পর্কটি আমাদের সমাজ চরিত্রে প্রতিফলিত প্রতিদিন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আয়নায় ধরা পড়ে সমাজের তিক্ত বাস্তবতা। সমাজে সক্রিয় খুব কম মানুষ খুঁজে পাওয়া যায়; যারা সংঘর্ষকে প্রশমন করতে চান। বেশীরভাগ মানুষই মনের অজ্ঞাতে সংঘর্ষবাদী। সেটাও একটা কাল্পনিক আধিপত্য কায়েমের যুদ্ধ।

আর জামায়াতের ক্যাডাররা যখন বাংলাদেশকে ক্রমে ক্রমে হোম বানানোর জন্য পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করেছে; আওয়ামী লীগ-বিএনপি ক্যাডাররা তখন বিদেশে সেকেন্ড হোম বানানোর লক্ষ্যে কাজ করেছে। ভাবটা এমন, গরীব মানুষের ছেলেরা তাদের রাজনৈতিক বলিখেলার পর ক্ষমতার বার-বি-কিউ-এর মাংস হবে; আর নিজের সন্তানেরা বিদেশে থাকবে পাস্তা-ভাতে। এ কাজ জামায়াতের অনেক নেতাও করেছে। কিন্তু তাদের ক্যাডারদের জন্য তাদের পরিকল্পনা ছিলো। জামায়াত দরিদ্র মানুষকে রেশন দিয়ে গ্রামের পর গ্রাম “ইসলাম” সরিয়ে “জামায়াতে ইসলাম” প্রতিষ্ঠা করেছে; বৃত্তি দিয়ে মেধাবী ছাত্রদের পড়িয়ে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় ভালো ফলে প্রণোদিত করেছে; সমাজ মনোস্তত্বে খিলাফত ও শারিয়ার ভ্রান্ত ভাবনাগুলোকে ঢুকিয়ে দিয়েছে মসজিদে পাঁচওয়াক্ত নামাজের সময় একসঙ্গে পেয়ে যাওয়া বড় শ্রোতাগোষ্ঠীকে। এরা ডোর টু ডোর ক্যাম্পেইন করিয়েছে শারিয়ার জনপ্রিয়তা বাড়াতে।

এরকম কোন সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা বিএনপির তো ছিলোই না; আওয়ামী লীগও ব্যর্থ হয়েছে স্বদেশ ও সাংস্কৃতিক আবহকে পরমতসহিষ্ণু রাখতে। বিএনপি’র কর্মীরা বসন্তের কোকিল। কিন্তু আওয়ামী লীগে খুব অঙ্গীকারাবদ্ধ কর্মী ছিলো। কিন্তু রাজনৈতিক নেতাদের স্বজনপ্রীতি ও পদ-পদবী-নির্বাচনী মনোনয়ন বেচাকেনার মাধ্যমে সেই কমিটেড কর্মীদের সরিয়ে দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে হাইব্রিডদের যাদের কথা বলার ভঙ্গি অবিকল সেই ছাত্রজীবনে দেখা শিবির কর্মীদের মতো। কথায় কথায় আলহামদুলিল্লাহ, ইনশাল্লাহ, আল্লাহ আপনার হেদায়েত করুক এরকম ভাষারীতি।

ছোটবেলায় আমরা শিখেছি সবাইকে সালাম দিতে হয়। অন্য ধর্মের মানুষকে আদাব বলা যায়। বা কেউ আগে সালাম দিলে সালামেই প্রতিউত্তর, নমস্কার বললে নমস্কারেই প্রতি উত্তর। বাংলায়, আশা করি আপনি ভালো আছেন বললেও তার অর্থ একই দাঁড়ায়। বিদায় বেলায় আবার দেখা হবে, ভালো থাকুন বলা যায়। একসঙ্গে ধর্মীয় উৎসব পালন করা যায়। ধর্ম ব্যাপারটা একান্ত ব্যক্তিগত। সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে ব্যক্তিমানুষের নিবিড় সম্পর্কটি প্রদর্শনের বিষয় নয়। আর সৃষ্টিকর্তা একজনই; প্রতিটি ধর্মের সার কথা, সত্য-সুন্দর-মঙ্গলের নৈতিকতা; সুতরাং এ নিয়ে মানবিকভাবে বিভাজিত হবার কোন কারণ নেই।

অথচ সময়ের বিবর্তনে সেই বিভাজনটিই হলো রাজনীতির প্রধান জ্বালানী। এটি খুব সহজ হয়েছে চাররকমের শিক্ষা ব্যবস্থা চালু রাখায়। শিশুকালেই চাররকম চিন্তাগৃহে প্রবেশ করিয়ে দেয়া হলো শিশুদের। একজন দেখা হলে বলে সালাম, আরেকজন বলে আসসালামু ওয়ালাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহি বারাকাতুহু, আরেকজন রোজার দিনে বলে, রামাডান মুবারক। আগে কেউ কেউ খোদা হাফেজ বলতো; এখন আল্লাহ হাফেজ শব্দবন্ধটির খই ফুটছে দুর্নীতিমুখর সমাজের জিহ্বাগুলোতে।

সমাজের সাংস্কৃতিক-কর্মী যারা; তাদের দায়িত্ব ছিলো এই বিভাজিত ভাবনা ও ভাষারীতির শিশু-কিশোরদের, মানুষদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ঐক্যসূত্রে ফিরিয়ে আনা; যার নাম “মানবতা”। তারা এই দায়িত্বপালন না করে সাংস্কৃতিক মোড়ল হতে চেয়েছে। সমাজের সচেতন শ্রেণীর আত্মকেন্দ্রিকতাই আজকের কুরুক্ষেত্রের নির্মাতা।

ধর্ম বিষয়টি আন্তর্জাতিক দর্শন। আর সংস্কৃতি বিষয়টি যার যার ভূমিসঞ্জাত। ইহুদী-খ্রিস্টীয় ও ইসলাম ধর্মের উৎপত্তি স্থল একই। ঐ অঞ্চলের সব ধর্মের মানুষের পোশাক একই। কিন্তু ধর্মগুলো যখন জগত বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়লো তখন অঞ্চল অনুযায়ী পোষাক পরা মানুষেরাই ধর্মগুলো গ্রহণ করলো। কিন্তু বাংলাদেশে মনে করা হলো সৌদী আরবের মানুষের মত জোব্বা বা হিজাব না পরলে সাচ্চা মুসলমান হওয়া যাবে না।

আবার আরেকটি অংশ গজিয়ে উঠলো যারা নিজেদের প্রগতিশীল দাবী করে প্রগতিশীলতার দফাদার হয়ে উঠলো। যেহেতু দক্ষিণ এশিয়ার মানুষ নমঃশূদ্র থেকে মুসলমান হয়েছে; এদের আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি লুকাতে একদল সৌদী জোব্বা-হিজাব পরে ঘুরাকে সংস্কৃতি বলে জাহির করছে; আরেকদল উত্তরীয় পরে-মঙ্গল ঘট জ্বালাকেই প্রগতিশীলতার জাতে ওঠা বলে পরিচয় করিয়ে দিলো। একদল পাতকূয়ার ধর্মশীল ধর্মের ঠিকাদারি নিয়ে সামাজিক পুলিশি করতে শুরু করলো। ইউরোপের খ্রিস্টীয় ধর্মের অন্ধকার যুগের মতো আজকের ইসলামের অন্ধকার যুগেও যাবতীয় সামাজিক পুলিশির লক্ষ্য বস্তু নারী। আবার ইউরোপের রেস্টোরেশান যুগের মত ভ্যানিটি ফেয়ার ও শো-অফে ব্যস্ত আজকের কথিত প্রগতিশীল সমাজ। তবে রাজনৈতিক চিন্তাভাবনায় এরা সবাই কট্টরপন্থী; ঘটে কিছু না থাকায় আগরবাতিঘট বা মঙ্গলঘট যাই জ্বালুক না কেনো; ফলাফল নেতিবাচক। এরা সব এক একটি বিভাজনের আত্মঘাতী বোমা যেন!

সমাজের এই উপরিকাঠামোর মানুষগুলো যখন এতোটাই বিভাজিত; তখন ভেতরিকাঠামোতে ক্রিয়াশীল “জামায়াতে ইসলাম” অনায়াসে পেয়ে যায় জিহাদের গরম বিছানা। প্রতিদিন হিন্দুদের হত্যা, অন্যান্য ধর্মের ও আদিবাসী মানুষ হত্যা, লেখক হত্যা, সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে সক্রিয় পুলিশ ও তাদের পরিবার হত্যার মাঝ দিয়ে রাষ্ট্রকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বসে আছে জিহাদের স্বপ্নে উন্মাদ খুনিরা।

এই এক একটি খুনকে কেন্দ্র করে সরকার ও প্রশাসনের পরস্পরবিরোধী অগোছালো কথা-বার্তা, উদোরপিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর একঘেয়ে ভিলেজ পলিটিক্স, সরকার সমর্থকদের “লুকিং ফর শত্রুজ” ও “গুজবের বিনিময়ে খাদ্য” কর্মকাণ্ড, অতিপ্রগতিশীলদের বিভাজনকে তীব্র করে অগ্নিতে ঘৃতাহুতি দেয়া অনলবর্ষী বাহবা কুড়ানো প্রতিক্রিয়া; “এইসব ধামাচাপার দিনরাত্রিতে” মূল অপরাধীর পরিবর্তে পুলিশের গত দেড় দশক ধরে মঞ্চস্থ “জজমিয়াকে ধরেছি” আত্মতুষ্টির সুপারকপ হয়ে ওঠার পথ নাটক যখন চলছে; খিলাফতের জন্য লড়াকু ভ্রান্ত জিহাদিরা তখন অনায়াসে চালিয়ে যাচ্ছে খুন। রাজনীতির নোংরা দাবা খেলার বড়ে অথবা অজ্ঞাত উপায়হীন মানুষ মারা যাচ্ছে ক্রসফায়ারে; অথচ দাবা খেলার রাক্ষস খেলোয়াড়েরা রয়ে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

এতো মৃত্যু; এতো রক্তপাত; কিন্তু এতোটুকু বিচলিত নয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ও মূলধারার মাধ্যমের চ্যাট শো কারীরা। একেকজন নিজের জীবনাশঙ্কা প্রকাশের রোমাঞ্চে নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলছে; কিন্তু আমরা তো জানি রাজনীতির রাজাকাররা কালে ভদ্রে অপরাধ ঘটানোর ৪০-৪৫ বছর পর বড় জোর মৃত্যুদণ্ড পায় বৃদ্ধবয়সে। কিন্তু প্রতিদিন মরে সাধারণ মানুষ, অধিকার বঞ্চিত মানুষ অথবা নৈর্ব্যক্তিক আলোর মানুষ।

খুব সাধারণ মানুষের কথা যদি বলি; তাহলে তাদের মধ্যে কখনো বিভাজন ছিলোনা। ভারতের আজমির শরীফে মুসলমান-হিন্দু সবাই যায়। বাংলাদেশের পাবনার অনুকূলচন্দ্রের আশ্রমটি হিন্দু-মুসলমান সবার জন্য তাদের দরজা খোলা রাখে। কিন্তু রাজনীতির খুনি খেলোয়াড়েরা সাধারণ মানুষের ঐক্যটিকে ভেঙ্গে দেয় নিজ নিজ স্বার্থে। শান্তির কথা-সংঘর্ষ প্রশমনের কথা এরা মুখে বলে; অন্তরে এদের বিভাজন ব্যবসার বিষ বিক্রির মতলব। সেইখানে নির্বিঘ্নে শারিয়া আইন প্রচলনের মাধ্যমে মুসলিম বাংলার বর্বর কামনাটি সন্ত্রাসীরা পুষে রাখবে; প্রতিদিন মানবতাবাদকে হত্যা করবে; এতো খুবই স্বাভাবিক।

রাষ্ট্র যখন সামাজিক নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়; বায়স্কোপে ব্লেমগেমের নরভোজী সংবাদ সম্মেলন যখন হতাশ করে উপায়হীন মানুষকে; তখন সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আর কোন মানসিক আশ্রয় যে তার থাকে না।

যে রাষ্ট্রে দুর্নীতি কম; সেখানে ধর্ম প্রদর্শনের বাতিকও কম। যে রাষ্ট্রে শিক্ষার বিকাশ ঘটেছে সেখানে কট্টর ধর্ম মোল্লার ফতোয়া নেই। যে রাষ্ট্রের সাংস্কৃতিক বিকাশ ঘটেছে সেখানে কট্টর প্রগতিমোল্লার ফতুয়া নেই।

সুতরাং একে অপরকে দোষারোপ করে পাতকূয়ার ঝগড়া কিংবা রক্তারক্তিতে সমাধানসূত্র নেই। সমাধান সূত্র রয়েছে আত্ম-অনুসন্ধানে। কারণ সংঘর্ষ তো বিনোদন হতে পারে না; সংঘর্ষ প্রশমন ও শান্তিস্থাপন ছাড়া পৃথিবীতে আর কোন মহার্ঘ বস্তু নেই যা আনন্দদায়ী।

মাসকাওয়াথ আহসান, সাংবাদিক, সাংবাদিকতা শিক্ষক

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬২ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩০ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৫ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ