আজ মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪

Advertise

রক্তভেজা দুঃস্বপ্নের রাতের অবসান!

মো. মাহমুদুর রহমান  

রোজা প্রায় শেষ। শহরের মানুষের টুকটাক কেনাকাটা সেরে গ্রামের বাড়ি ফেরার পালা। সবার মনে ঈদের চাঁদের আগাম ছবি। কে কোথায় ঈদ করবেন, কেনাকাটা কী কী এখনও বাকি আছে, এগুলোই সাধারণের চিন্তায়। ধর্মপ্রাণ মানুষ রমজানের শেষ দশদিন মসজিদে ইতিকাফ পালন করেন। চিরাচরিত নিয়মে এরা ইতিকাফে ব্যস্ত। আর একদিন পরই পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর। ইবাদতের জন্য হাজার রাতের চেয়ে উত্তম এ রাতের অপেক্ষায় মুসলমানরা।

জুলাই মাসের ১ তারিখ, রাত সাড়ে ৮ টা থেকে ৯ টা মধ্যখানে। কোনো কোনো মসজিদে তারাবীহর নামাজ শুরু হয়েছে, আবার কোথাও শুরু হবে। গ্রামবাংলা থেকে ঢাকার অভিজাত এলাকা, সর্বত্রই এ দৃশ্য। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ এ সময়ে বন্দুকের গুলি ও গ্রেনেড চার্জের শব্দে কেঁপে ওঠে গুলশান-২ এর ৭৯ নম্বর সড়কের ’হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্ট’।

এ রেস্টুরেন্টে তখন ছিলেন বেশ কিছু বিদেশি নাগরিক। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ি ৮/৯ জনের একটি হামলাকারী দল অস্ত্রসহ রেস্টুরেন্টে অবস্থানরতদের জিম্মি করে। ওদের সবাই বয়সে তরুণ ছিল এবং হামলা করার সময় মুখে আল্লাহু আকবর বলেছে।  তাই কারো বুঝতে অসুবিধা হয়নি যে এরা বিপথগামী মুসলমানদের একটি জঙ্গি গ্রুপ। তারা কোন গ্রুপ তাও জানাতে দেরি করেনি। আইএস এর মিডিয়া ’আমাক’ থেকে সাইট ইন্টেলিজেন্স জানায় এ হামলার দায় স্বীকার করেছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি দল আইএস।

প্রায় ১০ ঘণ্টার প্রস্তুতি শেষে মাত্র ১২-১৩ মিনিটের অভিযানে ১৩ জন জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার করতে সমর্থ হয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমান্ডো দল। যদিও এ অপারেশনের আগে দুজন পুলিশ কর্মকর্তাকে জীবন দিতে হয়েছে সন্ত্রাসীদের হাতে। ’অপারেশন থান্ডারবোল্ট’ নামক এ অভিযানে ৬ জন জঙ্গিই মারা যায় এবং রেস্টুরেন্ট থেকে ২০ টি লাশ উদ্ধার করা হয় যাদের ১৭ জন বিদেশি। পরদিন ২ জুলাই দুপুরে প্রধানমন্ত্রী এ অভিযানের সাফল্য ও সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

বিশ্লেষকদের মতে, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদেরই একটি অংশ এ হামলা। কিন্তু বাংলাদেশ কেন আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য হবে? এখানে তাদের টার্গেট কী? এ প্রশ্নগুলোর সঠিক বিশ্বাসযোগ্য ব্যাখ্যা কেউ দিতে পারছেন না। বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় সন্ত্রাসবাদের জন্মের পেছনে কিছু ঘটনাপ্রবাহ রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতার জন্ম ফিলিস্তিনের বুকে পরাশক্তিগুলোর বলপূর্বক ইসরাইল নামক রাষ্ট্রের জন্মের মাধ্যমে। ফিলিস্তিনি জনগণ তাদের হারানো রাষ্ট্র ফিরে পেতে অস্ত্র হাতে তুলে নেয়। তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের মুসলমানরা। ১৯৬৯ সালের সেপ্টেম্বরে লায়লা খালেদের বিমান হাইজ্যাকের ঘটনা সারাবিশ্বে তোলপাড় সৃষ্টি করে। লায়লা খালেদ ফিলিস্তিনিদের কাছে বীরের মর্যাদা পান। আবার পশ্চিমা বিশ্বে তাকে সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়। সাম্প্রতিক ইতিহাস তো সবারই জানা।

সাদ্দাম হটাতে গিয়ে পশ্চিমারা পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থির করে তুলে। এখন সিরিয়ার বাশার আল আসাদ কে হটাতে অস্ত্র তুলে দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপের হাতে। আইএসও নাকি এরকম একটি গ্রুপ। আবার কারো কারো মতে আইএস ইসরাইলের তৈরি একটি সন্ত্রাসী দল। এরা মুসলিম বেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে সারাবিশ্বে প্রকৃত মুসলমানদের ইমেজ সঙ্কটে ফেলে দিচ্ছে। সামগ্রিকভাবে মুসলমানদের এরকম সমস্যায় পতিত করে ইসরাইল তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায়।

আবার অনেকের মতে পশ্চিমারা আইএস সৃষ্টি করেছে মধ্যপ্রাচ্যকে অশান্ত রেখে তাদের তেল সম্পদ লুটপাট করার জন্য। ইউরোপ, আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ আইএস কার্ড খেলছে তাদের নিজ নিজ স্বার্থ রক্ষার্থে। আইএসও এর প্রতিক্রিয়ায় এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের ক্রীড়নক হয়ে বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসী হামলা করে নিরীহ মানুষ হত্যা করছে। এতে সারা দুনিয়ায় মুসলমানদের দুর্দশা দুর্গতি বাড়ছে। মুসলমান বিদ্বেষ ছড়িয়ে পড়ছে পশ্চিমা দেশগুলোতে।

আমাদের এ উপমহাদেশে কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের দ্বন্দের সুযোগে সন্ত্রাসী গ্রুপ গজিয়ে ওঠে এবং এরা বিভিন্ন সময় ভারত পাকিস্তানের অনেক জায়গায় হামলা চালায়। তবে সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাস ছড়িয়ে পড়ে সোভিয়েত ইউনিয়ন কর্তৃক আফগানিস্তান দখলের পর। আফগানিস্তান থেকে রুশ তাড়ানোর আয়োজন শুরু হয় মার্কিনীদের নেতৃত্বে। সৃষ্টি হয় তালেবান ও আল কায়দা। রিক্রুট করা হয় মুসলমানদের। তখন বাংলাদেশ থেকে অনেক যুবক আফগানিস্তানে জিহাদে শরীক হয়। মার্কিন প্রচারণায় এসব মুজাহিদকে বাংলাদেশেও সম্মানের চোখে দেখা হতো। আফগান ফেরত যোদ্ধারাও গর্বের সাথে নিজেদের মুজাহিদ হিসেবে পরিচয় দিতেন।

আফগান ফ্রন্টে যুদ্ধ শেষে দেশে ফিরে এরাই বাংলাদেশে জিহাদের মাধ্যমে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখে। হরকাতুল জিহাদ ও জামাতুল মুজাহিদ (জেএমবি) নামে কার্যক্রম চালায়। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারাদেশের ৬৩টি জেলার প্রায় ৩০০টি জায়গায় ৫০০ এর মতো বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে জেএমবি তাদের অস্তিত্ব জানান দেয়। জনমনে ভীতি সঞ্চার হয়। সরকারও নড়েচড়ে বসে। যদিও আগে দেশে বাংলাভাই বা জঙ্গি মিডিয়ার সৃষ্টি হিসেবে প্রচারণা চালিয়েছিল তখনকার সরকার। মন্দের ভালো ১৭ আগস্ট সরকারের চোখ খুলে দেয়। ফলে এক বছরের মধ্যে ২০০৬ সালের ২ মার্চ সিলেটের শাপলাবাগের সূর্যদীঘল বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় জেএমবি প্রধান শায়খ আব্দুর রহমানকে। বিচারের মাধ্যমে এক বছরের ভেতরে ৩০ মার্চ ২০০৭ সালে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। জনমনে আপাত স্বস্তি ফিরে আসে।

এই স্বস্তি দুঃস্বপ্নে পরিণত হয় হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে এসে। এ ঘটনা আকস্মিক হলেও একেবারে অনুমানের বাইরে ছিল না। দীর্ঘদিন থেকে দেশি বিদেশি বিশ্লেষকরা দেশে জঙ্গিবাদীদের বিস্তৃতি ও শক্তি বাড়ার বিষয়ে সরকারকে সতর্ক করছিল। বিভিন্ন জায়গায় হামলার পর আইএস ও এবিটি দায় স্বীকার করছিল। কিন্তু সরকার দেশে আইএস নেই এই সিদ্ধান্তে গো ধরে বসে আছে। তারা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যে কাজ করছে তা কতটুকু জঙ্গি নির্মূলে সহায়ক হয়েছে আর কতটুকু বিরোধীদল দমনে কাজে লেগেছে তা প্রশ্নসাপেক্ষ।

এই রমজানে হাজার হাজার লোককে গ্রেফতার করা হলো তবুও জঙ্গি আক্রমণ ঠেকানো যায়নি। গুলশানের মতো কূটনৈতিক জোনে যেখানে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেদ করে জঙ্গিরা হামলা করতে পেরেছে। এ ঘটনা আমাদের গোয়েন্দা সামর্থ্য নিয়ে জনগণকে সন্দিহান করে তুলেছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের হামলা প্রতিহত করতে প্রয়োজন পেশাদার পুলিশ বাহিনী। দলীয় আনুগত্যের বাইরে পেশাদারিত্ব ও দক্ষতার ভিত্তিতে পুলিশ বাহিনী পরিচালিত হলে সন্ত্রাস ও অপরাধ দমনে পুলিশ আরও কার্যকর ভূমিকা পালনে সক্ষম বলেই সাধারণের ধারণা।

শুধু পুলিশ দিয়ে এ ধরণের হামলা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব নয়। জঙ্গিবাদের বিস্তৃতির পক্ষে দেশি ও বিদেশি অনুকূল পরিবেশ নষ্ট করতে হবে। রাজনৈতিক অস্থিরতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সুশাসনের অভাবে সমাজে উগ্রতার জন্ম হয়। এরকম সমাজে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদীরা সহজেই জনবল রিক্রুট করতে পারে। সমাজের একটি অংশ তাদের প্রতি পরোক্ষ সহানুভূতিশীল হয়ে ওঠে। যেমন গুলশান হামলায় ওসি সালাহউদ্দিন মারা যাওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর অতীত কর্মকাণ্ড নিয়ে অনেক বিরূপ মন্তব্য দেখা যায়। দেশে সুশাসন থাকলে কোনো পুলিশ কর্মকর্তার অপকর্ম করার সুযোগ থাকতো না। ফলে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে মানুষের নিন্দা ও ঘৃণার ভাষা হতো আরও ধারালো।

সবচেয়ে বড় কথা জঙ্গিরা ইসলামের অপব্যাখ্যা করে নতুন সদস্য রিক্রুট করছে। নিরপরাধ মানুষ হত্যার বিষয়ে ইসলামের কোথাও কোনো নির্দেশ নেই। যুদ্ধরত প্রতিপক্ষ ব্যতিত কোনো নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা শুধু ইসলাম নয় সর্বত্রই জঘন্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। অথচ জঙ্গিরা এ কাজই করছে।

হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টের বিদেশিরা নিরস্ত্র ছিল। তারা কোনো যুদ্ধের প্রতিপক্ষ ছিল না। তাদের দেশের সরকারের নীতির সাথে জঙ্গিদের মতপার্থক্য থাকতে পারে। এজন্য তাদেরকে হত্যা করা কতটুকু সমীচীন। বাংলাদেশ সৌদি জোটে সৈন্য পাঠিয়েছে। দেশের অনেক মানুষও এ সিদ্ধান্তে খুশি নয়। এখন এ সৈন্য পাঠানোর জন্য কোনো জঙ্গি গ্রুপ যদি বাংলাদেশের সিভিলিয়ানদের হত্যা করতে চায় তা কি উচিত হবে? তাহলে ইতালি, জাপান, ভারত ও মার্কিন সাধারণ নাগরিকরা হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে এসে কী অপরাধ করেছিল? তাদেরকে কেন হত্যা করা হলো?

একজন নিরপরাধ মানুষকে হত্যা সমস্ত মানব জাতিকে হত্যার শামিল- ইসলামের এ কঠোর বক্তব্য কী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যায় না? এ বিষয়গুলো গ্রহণযোগ্য ধর্মীয় নেতাদের কাছ থেকে বিপথগামী তরুণদের কানে পৌঁছাতে হবে।

আমাদের প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেছেন যারা নামাজের সময় নিরীহ মানুষ খুন করতে যায় এরা কেমন মুসলমান? মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আরও পরিষ্কারভাবে বলেছেন, জঙ্গিরা মুসলমান নয়। ইসলামে জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই। সারা বিশ্বের মুসলমানদের বক্তব্যও এরকম। তবুও বিশ্বে জঙ্গিবাদের ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড চলছে। এ থেকে মুক্তির জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক অস্থিরতা দূরীকরণ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য।

২০০৬ সালের সিলেটের সূর্যদীঘল বাড়ি থেকে ২০১৬ সালের গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্ট পর্যন্ত জঙ্গিবাদ বিস্তারের ঘটনা প্রবাহের নির্মোহ বিশ্লেষণ। এ বিশ্লেষণের আলোকে প্রয়োজনীয় কর্মপন্থা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন। অন্যথায় পরস্পর দোষারোপের রাজনীতি এক সময় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। তখন চোখের তারার সব স্বপ্ন উবে যাবে। দুঃস্বপ্নের রাত নিয়মিত বিরতিতে তাড়া করবে জাতিকে।

আশা করছি সঠিক উপলব্ধি ও সম্মিলিত কর্মপ্রচেষ্টায় আমরা এ সংকট থেকে মুক্তি পাব। পহেলা জুলাইয়ের রাতই হবে এ জাতির জীবনে শেষ দুঃস্বপ্নের রাত।

মো. মাহমুদুর রহমান, ব্যাংকার। ইমেইল : [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬২ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ১৯ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩০ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৮৯ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৪ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ