আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

Advertise

যেভাবে তুমি জঙ্গি হও

সাইফুর মিশু  

অনেকদিন ধরেই ভাবছিলাম এই ব্যাপারটি নিয়ে একটু বিস্তারিত লিখবো। সময় হয়ে উঠছিলো না। আমি একেবারে খুব কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করেছি কিভাবে একটি ছেলে একেবারেই ধীরে ধীরে আমাদের স্বাধীনতাবিরোধী এবং দেশবিরোধীদের রোবটে পরিণত হয় এবং কিভাবে সে ঘৃণা করতে শুরু করে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে, সবকিছুর উর্ধ্বে যেয়ে নিজের প্রাণের প্রতি মায়াটাও ত্যাগ করে একসময়।

চট্টগ্রামের কিছু বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে এই লিখাটি।
চট্টগ্রামের একেবারে প্রথম সারির দুটো কলেজের প্রথমটি হলো চট্টগ্রাম সরকারী কলেজ, দ্বিতীয়টি হলো সরকারী হাজী মোহাম্মদ মহসিন কলেজ। এবং এই দুটি কলেজে সবসময়ই শিবিরের দখলেই ছিল। আজ পর্যন্ত সেই কলেজ দু'টিকে তাদের দখলমুক্ত করা সম্ভব হয়নি (যখন এই লিখাটি লিখা)। চট্টগ্রামের চকবাজার এলাকা পুরোটাই জামায়াত-শিবির অধ্যুষিত এলাকা হবার কারণেই ঐ দু'টি কলেজে তাদের দাপট এতটা। অদূরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজকে শিবিরমুক্ত করা গেলেও কেন যেন ঐ কলেজ দুটো সবসময় থেকে গেছে আড়ালে। তবে বলে দিতে পারি এই কলেজ দু'টোকে শিবিরমুক্ত না করা গেলে চট্টগ্রামের সবচেয়ে মেধাবী ছাত্রগুলোকে চোখের সামনেই দেখতে হবে স্বাধীনতাবিরোধী আদর্শে যোগ দিতে, ফলাফল একসময় ধর্মের নামে মগজ ধৌলাই হয়ে অস্ত্র হাতে তুলে নেয়া। এর কারণ হলো, মাধ্যমিক এর পাঠ চুকিয়ে যখন একটি ছেলে উচ্চ-মাধ্যমিকে কোন কলেজে ভর্তি হয়, তখন স্বাভাবিকভাবেই তারা চায় সেরা কলেজে ভর্তি হতে। কিন্তু সেরা এই দুই কলেজেই যে অপেক্ষা করছে একদল হায়েনা তাদের মগজ ধৌলাইয়ের জন্য তাতো ঐ বয়সের একটি ছেলে/মেয়ে বুঝতে পারে না।

শিবিরের রিক্রুটমেন্ট মূলত শুরু হয় আরো অনেক আগেই। স্কুলে থাকতেই বিভিন্নভাবে তারা কিশোর/কিশোরীদের তাদের দলে ভিড়াতে শুরু করে বিভিন্নভাবে আকৃষ্ট করে। যেমন সুন্দর সুন্দর ডায়রী, ক্যালেন্ডারের লোভ থাকে একটা বয়সে অনেকের। তখন এসব বিনামূল্যে বিভিন্ন স্কুলে বিতরণ করা শুরু করে এরা। কখনো কোন কোচিং সেন্টারের সৌজন্যে, কখনো তাদের পরিবারের সদস্যদের দিয়ে বন্ধুবান্ধব সাজিয়ে, কখনো শিশু-কিশোরদের বিভিন্ন সংগঠনের নামে। মিষ্টি মিষ্টি কথা বলা বড় ভাইয়া/আপুরা তখন শুধু সৎ উপদেশ দিয়েই তাদের প্রতি আকৃষ্ট করে এই নিষ্পাপ শিশু কিশোরদের। পরিবার থেকেও বাধা আসেনা, কারণ বাচ্চারাতো ভাল কিছুই শিখছে, গুরুজনের সামনে মাথা তুলে কথা বলে না, নিয়মিত ধর্ম-কর্ম করছে। রাস্তা পার হতে হবে কিভাবে, বড়দের দেখলে কিভাবে সম্মান দেখাতে হবে এইসব। হ্যাঁ, এইসব শিক্ষা দেয়া কখনোই খারাপ কিছুই নয়, কিন্তু ভবিষ্যত লক্ষ্য কি তাদের এইসব নাকি এক একজনকে মস্তিষ্কবিকৃত জিহাদী বানানোই তাদের টার্গেট!

স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে কলেজে ভর্তির পালা। আগে প্রতিযোগিতামূলক ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হতো। যার জন্য ছিলো অনেক কোচিং সেন্টার। এই কোচিং সেন্টারগুলোর মধ্যে সেগুলোই বিখ্যাত যেসব কোচিং হতে শিক্ষার্থীরা ভাল কলেজগুলোতে বেশী ভর্তির সুযোগ পেতো। আর ভাল কলেজগুলো সবসময় শিবিরের দখলে থাকার কারণে মোটামুটি শিবির নিয়ন্ত্রিত কোচিং সেন্টারগুলো বিখ্যাত হবার একটি গোপন সুযোগ থাকতো।

তা কিভাবে, একটু ব্যাখ্যা করা যাক। যেহেতু, প্রশাসন থেকে শুরু করে মোটামুটি ভাল একটা প্রভাব থাকে কলেজের ছাত্রসংসদের ভর্তি পরীক্ষার উপর সেহেতু ভর্তি পরীক্ষায় নানা রকম সুবিধা পাবার সুযোগ থাকে। তাছাড়া, ভর্তি পরীক্ষায় আমি দেখেছি কিভাবে শিবিরের ছেলেরা পরীক্ষার হলে গার্ড দিতো সেসময় চট্টগ্রাম কলেজ এবং মহসীন কলেজে। এসবই হতো কলেজ প্রশাসনের অবগতিতেই। আর তাই, শিবির নিয়ন্ত্রিত কোচিং সেন্টারগুলোতে তাই পড়ানো হতো যা ভর্তি পরীক্ষায় আসার সম্ভাবনা মোটামুটি নিশ্চিত। আর সেই কোচিং সেন্টারের ভাইয়াদের ঘনিষ্ট শিক্ষার্থীরা কিছু বিশেষ সাজেশন পেতো ভর্তি পরীক্ষার আগের রাতে। এই ঘনিষ্টরাই পরবর্তীতে কলেজে ভর্তি হয়ে প্রথম বর্ষের ছাত্র সংসদের প্রতিনিধি।

কলেজে ভর্তির পর, যারা শিবিরে যোগ দেয় না, তারা রীতিমত যন্ত্রণার মধ্যে থাকে এই কলেজগুলোতে। প্রকাশ্যে পরিবেশ খুব ভাল হলেও, তারা যদি বুঝতে পারে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে খুব ভাল ধারনা রাখে কিংবা দেশপ্রেমিক কোন কোন ছাত্র-ছাত্রী আছে, যার মাধ্যমে অন্য ছাত্র-ছাত্রীরা সেসব জানতে পারবে, তবে সেই ছাত্র/ছাত্রীর অবস্থা করুণ হয়ে পড়বে যতদিন সে ঐ কলেজে থাকবে। বাকী শিক্ষার্থীরাতো তাদের প্রতিদিন মগজ ধোলাইয়ের শিকার একটু একটু করে হতেই থাকে। কলেজ হোস্টেলে সীট পাওয়া, টিউশনি পাওয়া এমনকি ক্লাসে অনুপস্থিত থেকে পুরো পার্সেন্টেজ পাওয়া থেকে শুরু করে, ব্যবহারিক পরীক্ষাগুলোতে পুরো নম্বর পাওয়া পর্যন্ত তাদের নিশ্চিত হয়ে যায়। সেই সময়টা ধীরে ধীরে শুরু হয় তাদের ধর্মীয় শিক্ষা দেয়া। যেমন, নিয়মিত নামায পড়তে উৎসাহিত করা, কোরান পড়া এইসব।

তখনো সেই শিক্ষার্থী জানেনা সে কোন পথে এগোচ্ছে। ধীরে ধীরে সে ভাবে সে দ্বীন ইসলামের পথে আছে। তখন পর্যন্ত একটি ছেলে/মেয়ে দেশবিরোধী কথা বলেনা। কারণ সেই সময় পর্যন্ত তারা তাদের সেই চেহারা দেখার জন্য প্রস্তুত নয় আর তাই তারা তাদেরকে তা বুঝতে দেয় না। বরং, সেই সময় তাদের জানানো হয়, জামায়াত-শিবির একাত্তরে যা করেছে তা ভুল করেছে। তবে এখন তারা আর সেই ভুল করতে চায় না। এখন তারা দেশকে ভালবাসে। আর শিবিরের জন্মইতো ৭১-এর অনেক পরে। তো একজন সরলমনা শিক্ষার্থী ভাবে, তাহলেতো কোন সমস্যাই নেই। কলেজগুলোতে আবার ঘটা করে আমাদের জাতীয় দিবসগুলো পালন করা হয়। এটাও একধরণের তাদের পলিসি। যাতে করে তাদের নতুন সাথীরা ভাবতেই না পারে এরা আসলেই আমাদের স্বাধীনতাকে এখনো স্বীকার করে না।

এভাবেই দিনের পর দিন আস্তে আস্তে ধর্মীয় উগ্রতা শিক্ষা বাড়তে থাকে। এই ব্যাপারে তারা এতটাই সচেতন যে, তারা ঠিক ততটুকুই তাকে জানাবে যতটুকুতে তখন পর্যন্ত তাদের মনে কোন রকম প্রশ্ন আসবে না। শিবিরের বড় ভাইয়ারা কখনোই কোন প্রশ্নের জবাব দেয় না, বরং হেসে কথা ঘুরিয়ে নেয়। ব্যবহার দিয়ে মন জয় করে রাখে সরলমনা শিক্ষার্থীদের। এরপর উচ্চ মাধ্যমিক এর গন্ডি পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও ভর্তির ব্যাপারে কলেজ ভর্তির মত একই অবস্থা, যা এখনো চালু আছে। একটি ছেলে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয় তখন তার সামনে স্বপ্ন থাকে তার ক্যারিয়ারের। মেডিক্যাল কলেজে যেমন ভর্তির পর পর একজন শিক্ষার্থী নিজেকে সিভিল সার্জন ভাবতে শুরু করে, ঠিক তেমনি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়েগুলোতেও একজন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েই নিজেকে চীফ ইঞ্জিনিয়ার ভাবতে শুরু করে। আর অন্য বিষয়গুলোতেও অনেকটা একই অবস্থা। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তাদের সেই স্বপ্নের সুযোগ নেয় শিবির। শিবিরের সদস্য হলেতো আর পাশ করে বসে থাকতে হবে না, এই কথা অলিখিত সত্য বলে একবাক্যে সবাই স্বীকার করবে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র রাজনীতির সুযোগ নেই। সত্যিই কি তাই? প্রকাশ্যে ছাত্র সংসদ নেই বলে কি ছাত্র রাজনীতি নেই? বরং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের আড়ালে সুবিধা বেশি পাচ্ছে শিবির। তারা সেখানে আছে শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় সংগঠনের নামে। তাছাড়া জামায়াত মালিকানাধীন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিবিরে যোগ দিলে টিউশন ফি মাফ থেকে শুরু করে হোস্টেলে থেকে বাড়িতে টাকা পাঠানো সম্ভব। পাশ করে বের হলে সেইসব বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসবে নিয়োগ। লোভনীয় বটে একজন শিক্ষার্থীর জন্য। কারণ প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছে সে সময় বাবার পরে যেই ব্যক্তিত্ব সবচেয়ে বেশী আকর্ষনীয় থাকে তারা হলেন তাদের শিক্ষকবৃন্দ।

মূলত বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে একজন সদস্যের মগজ ধোলাইয়ের মূল কাজটি সেরে থাকে। সে সময় তাদের ভিতর ধীরে ধীরে ঢুকানো হয়, আমাদের দেশে একাত্তর যেই ইতিহাস বলা হয় তা ভুল। এটা আওয়ামী লীগের বানানো ইতিহাস, এবং ৪৫ বছর পূর্বের এসব কথা ভুয়া, বেশিরভাগই মিথ্যা। এসবের সাথে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর যেটা তাদের মাথায় ঢুকানো হয় তা হলো, জাতীয়তাবাদ ধারণাটাই কুফরী। এই সময় সেসকল শিক্ষার্থীরা এতটাই তাদের নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রে পরিণত হয়ে পরে যে তারা তখন ধর্মের নাম দিয়ে যাই বলবে তাই তাদের কাছে সত্যি এবং সঠিক বলে মনে হয়। সেসময় তাকে যদি এক হাতে সূর্য এবং এক হাতে চন্দ্র নিয়েও অন্য কেউ ভিন্ন কথা বলে তা তারা বিশ্বাস করবে না। কারণ ততদিনে তার মাথা হতে নিজস্ব চিন্তাশক্তি একেবারেই নষ্ট করে দেয়া হয়।

সেসময় সে যাই করবে তা ধর্মের জন্য শহীদ হবার লক্ষ্যে, বেঁচে থাকলে গাজী। এসময় তারা আর তাদের পরিবারের নিয়ন্ত্রণেও থাকে না। এভাবেই ধীরে ধীরে একটি ছোট কোমলমতি শিশুকে পরিণত করা হচ্ছে জিহাদী, বিকৃত করা হচ্ছে আমাদের ইতিহাস, ধোলাই করা হচ্ছে তাদের মগজ। এর হার নিতান্তই কম নয়, বরং আশংকাজনক হারে বেড়েছে। নতুবা, আজ হতে বিশ বছর পূর্বেও এই দেশে কেউ বলার সাহস পায়নি শহীদ মিনারে যাওয়া হারাম, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী কথা প্রকাশ্যে কেউ বলার সাহস পেয়েছে অন্তত আমার তা মনে হয় না। এখন, বাংলাদেশে বসেই সরাসরি মুক্তিযুদ্ধকে অপমান করে কথা বলা হচ্ছে, প্রশ্ন তোলা হচ্ছে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে। আমরা তাদের দেখি, চিনি, জানি, প্রতিবাদ করিনা।

আজ আপনি প্রতিবাদ করছেন না এই ভেবে যে সে নিজের মত নিজে বলে যাচ্ছে, আগামীকাল আপনার সন্তান যখন তার সুরে কথা বলা শুরু করবে তখন আফসোস করবেন না কিন্ত। কারণ, এর দায় আপনারই। আজ আপনার বাবা কিংবা চাচা মুক্তিযোদ্ধা হলেও আপনার সামনে কেউ আমাদের ইতিহাস বিকৃত করলে আপনি চুপ থাকতে পারলে, আপনার সন্তানতো আরো পরের প্রজন্ম, সেতো তাকে সমর্থন করলেও আপনার কিছু বলার থাকবে না যদি এখন থেকেই তাকে সত্যিকারের শিক্ষা না দিয়ে থাকেন। উপরের শিশু থেকে জিহাদী হবার যেই বর্ণনা দিয়েছি তা একেবারেই ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ এবং অভিজ্ঞতা থেকেই লিখেছি।

সময় থাকতে সাবধান হোন, আপনার ভাই-বোন, সন্তানকে এদের ছোবল থেকে বাঁচান!

সাইফুর মিশু, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬২ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩০ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৫ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ