আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

ঈদ আনন্দের সেকাল-একাল

সঙ্গীতা ইয়াসমিন  

যেকোনো ধর্মীয় উৎসবে দুটো দিক থাকে; প্রথমটি ধর্মের মূল বার্তা পৌঁছে দেওয়া, দ্বিতীয়টি উৎসব পালনের মাধ্যমে মানুষের সাথে সম্পর্ক স্থাপন ও সমাজের মূল স্রোতের সাথে একাত্মতা তৈরি।যা পরবর্তীতে হয়ে যায় সংস্কৃতির অংশ।হাজার বছর ধরে তার চর্চার ফলে এই সংস্কৃতি ঠিক কতটুকু ধর্মীয় আর কতটুকু সামাজিক এ দুয়ের মধ্যে পার্থক্য করা কঠিন হয়ে যায়। আর সময়ের হাত ধরে সকল সাংস্কৃতিক চর্চা হতে পারে পরিবর্তন, পরিমার্জন কিংবা নবতর সংযোজন।তবে সকল পরিবর্তনই ইতিবাচক অর্থে কাম্য।  

ঈদ মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব।প্রধান দুই ঈদের মধ্যে ঈদ-উল-ফেতর উদযাপনে অনেক বেশি জাঁকজমক লক্ষণীয়। যার সাথে রয়েছে দীর্ঘ এক মাসের সিয়াম সাধনা, ত্যাগ-তিতিক্ষার আনন্দ।এই সিয়াম সাধনার অর্থ কেবলই একমাস দৈনন্দিন নিয়মের বাইরে গিয়ে পানাহার বন্ধ রাখা নয়; এর পেছনে রয়েছে আরও একটি মহৎ উদ্দেশ্য। এই অনাহারে থেকে মানুষ তার রিপুর পরীক্ষা দেবার সুযোগ পায়; কাম-ক্রোধ, লোভ-মোহ, হিংসা-দ্বেষ এই সব কিছু এক নিয়ন্ত্রিত পরিচর্যার মধ্যে থাকে এই সিয়ামের ফলে। মানুষের পাশবিকতাকে দমন করে মানবীয় গুণাবলীকে লালন করার এক বিরাট সুযোগ পাওয়া যায় এই সিয়াম বা রোযা পালনের মাধ্যমে। আর দীর্ঘ এক মাসের এই রোযা শেষের পরবর্তী চান্দ্র মাসের প্রথম চন্দ্র উদিত হবার দিনেই উদযাপিত হয় এই ঈদ-উল-ফেতর।

ঈদ মানে আনন্দ-খুশি, বারে বারে ফিরে আসে যে আনন্দ, সকলের সাথে সহভাগ করার যে আনন্দ, তাইই ঈদ। এই দিন ধনী-দরিদ্র, উঁচু-নিচু, জাত-পাতের কোন পার্থক্য করার দিন নয়। সকল শ্রেণী বিভেদ ভুলে সকলকে কাছে টেনে নেওয়ার দিন। বিশেষত যাদের জীবনে খুশি নেই বললেই চলে, যারা সারাবছর তিনবেলা খেতেই পায় না, পরনের একটা কাপড় জোটাতে হিমশিম খেতে হয় যাদের, তাদের সাথে সমানভাবে আনন্দ উপভোগের দিন। আর আনন্দ ভাগাভাগির এই চর্চা মানুষে মানুষে বৃদ্ধি করে সম্প্রীতি-সৌহার্দ্য। মানুষ সামাজিক জীব বলেই সমাজের প্রতি তথা সমাজের অবহেলিত মানুষদের প্রতি দায়িত্ব আছে তার। প্রকৃতপক্ষে ঈদ আমাদেরকে সেটাই মনে করিয়ে দেয়। এই ঈদের সাথে সংশ্লিষ্ট রয়েছে ফিতরা এবং যাকাত; যে দুটোই ঈদ অনুষ্ঠানের পূর্বেই বিতরণ করার নিয়ম।কারণ, যাদেরকে এই ফিতরা এবং যাকাত প্রদান করা হবে তারা যেন সেই অর্থ বা উপাদান ঈদ উপলক্ষে ব্যবহার করতে পারেন। ঈদের আনন্দ ভাগাভাগির মূল বক্তব্য সেখানেই।
 
ঈদ-উল-ফেতরের মাধ্যমে আমাদের লৌকিক সংস্কৃতির চর্চা হিসেবে সামাজিক প্রীতির যে মেল বন্ধন রচিত হয় তা কেবল বাংলার মাটিতেই সম্ভব।বাংলাদেশের গ্রামীণ সমাজে অনেক ছেলেমেয়েরা পড়াশুনা, চাকরি, কিংবা ব্যবসা বাণিজ্যের কারণে গ্রাম ছেড়ে শহরে থাকেন। ঈদের ছুটিতে তারা তাদের প্রিয় পরিবার পরিজনদের কাছে ফিরে যান।তখন প্রতিবেশি, পাড়া-মহল্লা সকলের সাথে শুভেচ্ছা-কুশলাদি বিনিময়, দেখা সাক্ষাতসহ নানাবিধ সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডেও তারা অংশগ্রহণ করে থাকেন।এসময়ে কারও বিবাহ, কারও পড়াশুনা, কেউ অসুস্থ, কিংবা গ্রামে কোন বড় ধরনের রাজনৈতিক বা সামাজিক সমস্যা দেখা দিলে সকলে মিলেই সেটা সমাধানের উদ্যোগ গৃহীত হয়ে থাকে। বিশেষত ধনবানেরা আর্থিক সহযোগিতা দেন, আর শিক্ষিত-জ্ঞানী ব্যক্তিরা অন্যান্য ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। তাই এই ঈদ উৎসব কেবলমাত্র ধর্মীয় উৎসব নয়; এর সামাজিক মূল্যও গুরুত্বের সাথে উল্লেখযোগ্য। সুতরাং, একথা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে, আমাদের ধর্মীয় সংস্কৃতি আর সামাজিক সংস্কৃতি একই সূত্রে গাঁথা। মানব কল্যাণে গৃহীত ধর্মীয় শিক্ষা যুগে যুগে সমাজের বহমান স্রোতধারার সাথে মিশে একটি দেশ-সমাজ–সম্প্রদায়ের অনন্য সংস্কৃতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।মানুষে মানুষে বিভাজন তৈরি করে এমন ধর্মীয় শিক্ষা সভ্যতা গ্রহণ করে না, ঝরে পড়ে জন্মলগ্নেই আঁতুড়ঘরে।

কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের সাথে বলতে হয় আজকাল আমাদের সমাজে সম্প্রীতির বদলে হানাহানি-মারামারি-পরশ্রীকাতরতা, হিংসা-বিদ্বেষই বেশি দৃশ্যমান। ধর্মের নামে অধর্মের চর্চায়ই আমরা অধিক সিদ্ধহস্ত। আজকাল ঈদ আনন্দও বড় বেশি নগর কেন্দ্রিক, কর্পোরেট বিশ্বের যান্ত্রিক আনন্দের অনুষঙ্গ। আমাদের আচরণও আজ বিকৃত, আমাদের সাংস্কৃতিক ছায়া থেকে বেরিয়ে ঈদ এখন রত মুনাফা বৃদ্ধির প্রক্রিয়ায়। যান্ত্রিকতার যাঁতাকলে ঈদের সামাজিক চেতনার মূল চাপা পড়ে কেবলই নগর সভ্যতার বলি হয়ে মেতে উঠেছে নানা রঙের ফ্যাশানে। যার মূল উদ্দেশ্য ও আবেদনের আবডালে ঢাকা পড়ে গেছে আমাদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বোধসমূহ।
 
রমজান শুরু হবার সাথে সাথেই দেখা যায় দোকানীদের নতুন পোশাক-আশাক, সাজ-সজ্জার পশরা আর  রকমারি বিজ্ঞাপন। টিভি চ্যানেলগুলো নানা আয়োজনে নানা রঙয়ের অনুষ্ঠান নির্মাণে ব্যস্ত। নাটক, গান, চলচ্চিত্র, পত্রিকার ঈদ সংখ্যা নানাবিধ আয়োজন। এসব যে আগে ছিল না তেমনটি নয়, কিন্তু তখন টিভি বলতে কেবল বিটিভি, পত্রিকাও হাতে গোণা কয়েকটা যারা ঈদসংখ্যা বের করত। এখন আনন্দের চেয়ে প্রতিযোগিতা, বাজারমুখীনতা, মুনাফাকেন্দ্রিকতাই চোখে পড়ে খুব বেশি।এখন বাজার ব্যবস্থাই আমাদের সংস্কৃতি নির্ধারণ করছে। আমরা কী খাব, কীভাবে খাব, কী পরব-পড়ব, আমরা কী ভাবব, কেন ভাবব, এর সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করছে আজকের বিশ্বায়িত পুঁজিবাদ। পুঁজিতান্ত্রিকতার এই দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণ করছে আমাদের মানবিকতা, সামাজিকতা ও জীবনবোধ। তাই আমরা সামাজিক মূল্যবোধ হারিয়ে মানুষের বদলে হয়ে উঠছি এক একটি যন্ত্রদানব! ফলাফল হিসেবে আমরা দেখি বিলুপ্ত সামাজিক-ধর্মীয় সংস্কৃতি; জাগ্রত কর্পোরেট দুনিয়া!

আজকাল অনেক বাবা-মাকেই ঈদের বাজার করতে গিয়ে সন্তান-সন্ততির, পরিবার–পরিজনের মন জোগাতে ব্যর্থ হবার গল্প শুনি। তাঁরা সাধ আর সাধ্যের সমন্বয় করতে হিমশিম খাচ্ছেন বলে শুনি। আবার একইসাথে, প্রতি ঈদে বাসার তৈজস থেকে শুরু করে আসবাব, ইলেকট্রনিক্স, ফিটিংসসহ সব কিছুই পরিবর্তন করেন নতুন লুকের জন্য এমন লোকের সংখ্যাও দিনে দিনে বাড়ছে আমাদের সমাজে। ঈদের শপিং করতে তাদের অনেকেই দেশের বাইরে চলে যান। কেউ কেউ ঈদ উদযাপনের জন্যও বাইরে চলে যান। এতে করে ঈদ বিষয়ক সামাজিক অনুষ্ঠানের যে স্বরূপ ছিল, প্রতিবেশি-আত্মীয়রা ঈদের দিনে সবার বাসায় যাতায়াত, খাবার বিনিময়ের আনন্দ, একত্রিত হওয়ার যে সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া ছিল সেটি ধীরে ধীরে লোপ পাচ্ছে।বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিপত্তির বৈষম্য!আর শহুরে ঈদের প্রভাব গ্রামেও পড়ছে খুব স্বাভাবিক নিয়মেই।

ঈদকে ঘিরে গ্রামের নানাবিধ সামাজিক কর্মকাণ্ডে শহরবাসীদের অবদানও কমে গেছে। আগে গ্রামের দরিদ্র জনসাধারণ ধনবানদের দ্বারা যে উপকারটুকু পেতেন সেটা এখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মিডিয়া কেন্দ্রিক প্রচারণায় পর্যবসিত হয়েছে। অতীতের মত সেই সামাজিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান এখন আর চোখে পড়ে না গ্রামে।  গ্রামপ্রধান বাংলাদেশের গ্রামীণ ঐতিহ্যের মূল সুরে রয়েছে সামাজিক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য। আর এটাই আমাদের  বাঙালি সংস্কৃতি!অথচ আমাদের সন্তানেরা এই সংস্কৃতির চর্চা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি এখন ফেসবুকীয়, সেলফি সংস্কৃতিতেই ওরা ঈদের আনন্দ খুঁজছে।শহুরে ঈদের এই বর্ধিত রূপে কেনাকাটাই ওদের এখন মুখ্য; মেহেদী পরা, চাঁদ রাতে বাইরে ঘোরা, বন্ধুদের সাথে আড্ডা, মুভি দেখা, আরও অনেক কিছু যুক্ত হয়েছে। এবং খুব স্বাভাবিকভাবেই এখানেও সেই ব্যক্তিকেন্দ্রিকতা আর বাণিজ্য চক্র! ঈদের আনন্দে প্রতিবেশী-আত্মীয়-পরিজনের প্রতি দায়িত্ব, সৌজন্য সাক্ষাৎ, কিংবা অসহায় দরিদ্রদের জন্য দান-সহায়তাও যে যোগ হতে পারে তা আমাদের সন্তানেরা ভাবতেই পারে না। কিন্তু কে নেবে এর দায়?

আজকাল ঈদ এলেই খুব মনে পড়ে শৈশবের সেই ধূলোকাদা মাখা দিনগুলির কথা।শৈশবের অনেক নিরানন্দের মধ্যেও ঈদের আনন্দ থৈ থৈ করে আমাদেরও রাঙিয়ে যেত বৈ কি! যদিও ঈদ মানেই ছালামী আর নতুন জামা কাপড় নয় সেটি মগজ ধোলাই করে বেশ ভালভাবেই ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমাদের ঈদ আনন্দের অনুষঙ্গে ঈদের বাজার (দুধ, চিনি, সেমাই, সুজি) ছাড়া নতুন জামা জুতা অন্তর্ভুক্ত ছিল না কোনকালেই। আমাদের প্রথা বিরোধী বাবার কোন কাজের হিসেব চাইবার মত সাহস আর শক্তি না ছিল আমাদের, না মায়ের। সুতরাং, মায়ের দায়িত্ব ছিল স্বামীর কাজের স্বপক্ষে যুক্তি দাঁড় করানো। মা বলতেন, তোমার বাবার এত টাকা নেই যাতে পাশের বাড়ির(দরিদ্র)সকলকে তিনি নতুন কাপড় কিনে দিতে পারেন, তাই এই আনন্দের দিনে তোমরা নতুন কাপড় পরলে সেটা হবে ওদের কষ্টের কারণ। তোমাদের কারণে অন্য কাউকে কষ্ট দেওয়া কি ঠিক? খুব মনে পড়ে, মা আমাদের অপেক্ষাকৃত কম পরা হয়েছে সেই কাপড়টিকে ধুয়ে ইস্ত্রি করে রেখে দিতেন ঈদের দিন পরার জন্য। যদিও সেদিনের শিশুমন এই নীতিকথায় আন্দোলিত হয়নি একটিবারও; তবে একটা সুপ্তবীজ বুনে দিয়েছিল হৃদয়ের পলল জমিনে। যেটি পরবর্তীতে মহীরুহ হয়ে ছায়া দিতে শিখেছে। আর তাই এই জীবনে কোনদিনই ঈদে নিজের জন্য কাপড় কেনা হয়নি।
 
পারিবারিক রেওয়াজ অনুযায়ী ঈদের দিন সকালে প্রথমেই বাবা-মাসহ অন্যান্য গুরুজনদের ছালাম করার মধ্য দিয়ে দিন শুরু হত।তারপর দাদাজানের কবর জিয়ারত এবং নামাজ। নামাজ শেষে বাড়ি ফিরে পাশের বাড়ির ছেলেমেয়েদের সাথে একত্রে খাবার খেতাম।খুব স্পষ্টভাবেই মনে করতে পারি সেদিন ওই শিশুদের আনন্দ আমাদের থেকে শতগুণে বেশি ছিল; আনন্দ ভাগাভাগি করার সেই যৎসামান্য আয়োজনই ওদের কাছে ছিল মহার্ঘ্য। মাকে দেখেছি পাশের বাড়ির শিশুদের জন্য তার সামর্থ্য অনুযায়ী চুড়ি-ফিতা, লিপস্টিক, নেলপলিশ কিনে দিতেন ঈদ উপলক্ষে। ঈদের ছালামী প্রদান-গ্রহণের ঘোর বিরোধী ছিলেন আমাদের বাবা-মা দুজনেই। ছালামী বা ঈদিকে ঘিরে শিশুদের টাকাকেন্দ্রিক ভালোবাসা তৈরি হোক এটা চাইতেন না তাঁরা।ওঁরা বলতেন,“বাচ্চাদের সব প্রয়োজন আমরা মেটাই, ওরা টাকা দিয়ে কী করবে? শৈশব আনন্দ করার বয়স, এই বয়সে টাকা চেনা ভাল নয়, আর টাকা কখনো আনন্দের উৎস হতে পারে না।” তাই ঈদের ছালাম শেষে আমরা গুরুজনদের কাছ থেকে আশীর্বাদই পেয়েছি কেবল।  

ঈদ উদযাপনের মধ্য দিয়ে আমরা জেনেছিলাম দরিদ্র-অসহায় প্রতিবেশীদের প্রতি আমাদেরও দায়িত্ব রয়েছে। কিন্তু হায়! আজকের শিশুরা কি চেনে কে আমার প্রতিবেশী? কী আমার দায়িত্ব তাদের প্রতি? তারা কি জানে আমার আনন্দে আছে প্রতিবেশীরও অধিকার? আমরা এখনকার বাবা মায়েরা সন্তানের জিপিএ এ পাওয়াকে যত বেশি গুরুত্ব দিই আর কোন কিছুকেই ততটা গুরুত্ব দিই কি? পূঁজিতান্ত্রিক এই যুগে জীবন যুদ্ধে জয়ী হতে প্রতিযোগিতাই মূলমন্ত্র তা শেখাই শিশুদের; শেখাই না সহযোগিতা-সহভাগিতা। আমরা তাদের জীবন বোধ তৈরিতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোন ভূমিকা রাখি না। আর এভাবেই পিছিয়ে পড়ছি আমরা আমাদের সামাজিক-সাংস্কৃতিক শিক্ষার মূল স্রোত থেকে। যার প্রভাব আমরা দেখছি সমাজের প্রতি পদে পদে। আমরা সামনে নয় পেছনের দিকেই হাঁটছি কেবল।

আজ যখন অনেকের কাছে ছেলেবেলার ঈদানন্দের গল্প শুনি, মিলিয়ে দেখি আমাদের আনন্দের রঙটা ছিল ধুসর, সেটি সাতরঙে আঁকা রামধনুর মত ছিল না। কিন্তু তার অন্তর্নিহিত যে আবেদন, যে শিক্ষা, যে মূল বার্তা ছিল সেটি আমাদের হৃদয় আকাশে নক্ষত্র হয়ে আজও জ্বলজ্বল করছে।

সঙ্গীতা ইয়াসমিন, কানাডা প্রবাসী লেখক

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ