আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

Advertise

ধাপে ধাপে সংগঠিত আজকের এ জঙ্গিবাদ!

জহিরুল হক বাপি  

১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ তিন খণ্ডে বিভক্ত হয় মূলত ধর্মের ভিত্তিতে। আসলে বলা ভালো তিন ভাগ না দুই ভাগ হয়। পূর্ব পাকিস্তান হয় পশ্চিম পাকিস্তানের জমিদারি। দুই পাকিস্তানের ভিতর হাজার মাইলের দূরত্ব, আসা যাওয়া করতে হয় অন্য দেশের উপর দিয়ে। দেশ ভাগের পর থেকে পাকিস্তান জুড়ে চলতে থাকে অশান্তি। দরিদ্রতার কারণে কমিউনিজম মাথা চড়া দিয়ে উঠলে শঙ্কিত হয়ে উঠে আমেরিকানরা। কমিউনিজম ঠেকাতে শুরু হয় ধর্মীয় দাঙ্গা। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৫৮ সালে ক্ষমতা দখল করে নেয় পাকিস্তান সেনাবাহিনী। সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হয় জেনারেলরা। নিজেদের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে তারা কাজে লাগায় জামাতকে। জামাতের প্রধান আবু আলা মওদূদীর ফাঁসির আদেশ হয় আবার তা রহিতও হয়। কিন্তু জামাত-ই-ইসলামি সব সময়ই ছিল আমেরিকান ও পাকিস্তানি জেনারেলদের হাতের লাঠি। তারা কখনওই পাকিস্তানি রাজনীতিতে কোন ভূমিকা রাখতে পারেনি। পশ্চিম পাকিস্তানের শোষণ চলতে থাকে। সম্পদ উৎপাদন হয় পূর্ব পাকিস্তানে কিন্তু বাতি জ্বলে, সুন্দর রাস্তা, ভালো চিকিৎসা সেবা, শিক্ষা বিস্তার সব সুবিধা বাড়তে থাকে পশ্চিম পাকিস্তানে। নির্লজ্জ শোষণের ফলে পূর্ব পাকিস্তানের জীবনমান খারাপ থেকে খারাপ হতে থাকে। পাকিস্তান জুড়ে সামরিক তন্ত্র।

৭০ এর নির্বাচনে দুই পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসাবে আবির্ভূত হয় পূর্ব পাকিস্তানের আওয়ামী লীগ। শুরু হয় পাকিস্তানি সামরিক জান্তা ও পশ্চিম পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলগুলোর গাত্রদাহ। নির্বাচনে জয় লাভের ফলে স্বাভাবিক ভাবেই পাকিস্তানকে পথ দেখানোর, চালিয়ে নেওয়ার অধিকার আসে আওয়ামী লীগের কাছে। পাকিস্তান থেকে সামরিক শাসন দূর হওয়ার পথ তৈরি হয়। কিন্তু বেঁকে বসে জুলফিকার আলী ভুট্টো। নির্লজ্জ ভাবে দাবী করে তাকে ক্ষমতার অংশ দিতেই হবে।অথচ একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল আওয়ামী লীগ।

নির্বাচনে মোট ২৪ টি দল অংশ নেয়। ৩০০ টি আসনে মোট ১,৯৫৭ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেয়। মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে ১,৫৭৯ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। আওয়ামী  লীগ ১৭০ আসনে প্রার্থী দেয়। জামায়াতে ইসলামী দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রার্থী দেয় ১৫১। ভুট্টোর নেতৃত্বাধীন পিপলস পার্টি ১২০ আসনে প্রার্থী দেয়। পি.এম.এল (কনভেনশন) ১২৪, পি.এম.এল (কাউন্সিল) ১১৯, পাকিস্তান মুসলিম লীগ (কাইউম) ১৩৩।



স্বাভাবিক ভাবেই সরকার গঠনের স্বীকৃতি পায় শেখ মুজিবের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ। কিন্তু জুলফিকার আলী ভুট্টো দাবী করে তাকেও ক্ষমতার অংশ দিতে হবে। আবদার ছিল এমন যে ক্লাসের প্রথম ছাত্র থেকে অর্ধেক নম্বর পাওয়া দ্বিতীয় ছাত্রের রোলও হতে হবে এক। ৪৭-৭০ পর্যন্ত শোষণের চূড়ান্ত চেহারা জুলফিকার আলী ভূট্টোর আবদার। শেখ মুজিব আলোচনার টেবিলে সমস্যার সমাধান চাইলে, আলোচনার আড়ালে পাকিস্তানী জেনারেল, জুলফিকার ভুট্টোরা পূর্ব পাকিস্তানের ভোটের জবাব বুলেটে দেওয়ার পরিকল্পনা। ফলস্বরূপ ৭১।

আমেরিকান ও সেনাবাহিনীর লাঠিয়াল ইসলাম বিকৃতিকারী জামায়াত-ই-ইসলাম ৭১-এ হালে পানি পায়। পাকিস্তানী রাজনীতিতে এর আগে তারা ছিল টিমটিমে বাত্তি। প্রমাণ স্বরূপ ভোটের ফলাফল। পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর সাথে জামাত হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে অধুনা বিলুপ্ত পূর্ব পাকিস্তান, ৭১ এর ২৫ শে মার্চ স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশে। ধর্মের অপব্যাখ্যা, নিজেদের সুবিধা মত ব্যাখ্যা দানকারী জামাতের দুই অস্ত্র: এক ধর্ম, দুই সামরিক বাহিনীর অস্ত্র। জামাত প্রাণবন্ত হয়ে উঠে।

১৬ ডিসেম্বরে মহান বিজয়ের পর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী পাকিস্তান নামক আস্তাকুঁড়ে ফিরে গেলেও এ দেশের জামাতের নেতা-কর্মীরা বিপদে পড়ে। খুন, ধর্ষণ, লুটতরাজ, ধর্মান্তর বিবিধ অপরাধের কারণে তাদের বিচার শুরু হয়। অনেকে সাধারণ ক্ষমার আওতায় আসে আবার অনেকে জেলে ঢুকে। বড় বড় নেতারা তাদের ঐতিহ্য অনুসারে দলীয় কর্মীদের ছেড়ে বিদেশ পালিয়ে যায়। যারা দেশে মুক্ত-অবস্থায় ছিল তারা মুজিবের সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে থাকে। যারা বিদেশে পালিয়ে ছিল তারা বিদেশে বসেই দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে থাকে। গোলাম আযম গংরা পাকিস্তানকে আবার একত্রীকরণের অপচেষ্টা শুরু করে। গোলাম আযমের অনুরোধে সৌদি আরব বিশ্বের বৃহৎ মুসলমান অধ্যুষিত দেশগুলো একটি বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য হজ্ব পর্যন্ত নিষিদ্ধ করে।

৭৫ এ বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জামায়াতিরা আবার সুযোগ পায়। জেনারেল জিয়ার প্রধানমন্ত্রী হয় কুষ্টিয়ার কুখ্যাত রেজাকার শাহ-আজিজ। জিয়া যদিও মুক্তিযোদ্ধা তবু তাকে নিয়ে অনেক রহস্যময় কাহিনী আছে। যা পুরোপুরি পাকিস্তানীদের পক্ষেই যায়। জিয়া সেক্টর কমান্ডার হলেও তার কোন যুদ্ধের ইতিহাস নাই। অন্য দিকে অন্যান্য সেক্টর কমান্ডারদের শুধু সম্মুখ যুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল উদাহরণই নাই কেউ কেউ আহত হন, কেউ বা অঙ্গ হারান। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরপরই গোলাম আযম, মোস্তাক সরকারকে ও বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানের জন্য মুসলিম বিশ্বকে উদাত্ত আহ্বান জানায়।  

জিয়া বিভিন্ন নাটক মঞ্চস্থ করার পর ক্ষমতায় বসে। তার প্রথম রাজনৈতিক দল জাগোদল পরে ঐ দল বাতিল না করেই তৈরি করে জাতীয়তাবাদী দল। দলে দলে স্বাধীনতা বিরোধী, সুবিধাবাদী, ব্যর্থ বিপ্লবী, আওয়ামী বিরোধীরা জাতীয়তাবাদী দলে যোগ দেয়। জিয়ার রাজনৈতিক দল মূলত রাজনৈতিক দল নয় একে বড়জোর রাজনৈতিক প্লাটফর্ম বলা যায়। এই প্লাটফর্মে দাঁড়ানো, বসা, শোয়া সকলেই বিতর্কিত। বাঙালির স্বাধীনতার শ্লোগান “জয় বাংলা”কে অলিখিত নিষিদ্ধ করে “বাংলাদেশ জিন্দাবাদ” শ্লোগানের প্রচলন করে। জামাতের নেতারা একে একে দেশে ফিরতে শুরু করে। সেনাবাহিনীতে মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের হত্যা শুরু হয়। জামাত প্রকাশ্য রাজনীতি শুরু করে। জিয়া তাদের হাতকে শক্তিশালী করতে থাকে। ইসলাম ইসলাম জিকির শুরু হয়। পাকিস্তানী কায়দায় জিয়া ইসলাম (?!) কায়েম করে সূক্ষ্ম কৌশলে। রাজাকার, আর-বদরদের শক্তিশালী অবস্থান তৈরি হয়। অন্য দিকে মুক্তিযোদ্ধারা হতে থাকে অচ্ছুত, অপাংক্তেয়। শেখ মুজিব নাস্তিক, আওয়ামী লীগ নাস্তিকের দল আবার আকাশে বাতাসে ভাসতে থাকে সূক্ষ্ম কৌশলে। সাফারী আর কালো চশমায় চোখ ঢাকা জিয়া একদিকে ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতির সুযোগ দেয় অন্য দিকে দেশে মদ ও পতিতা পল্লীর লাইসেন্স প্রদান করে। ইসলামি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মুজিব নাস্তিক হিসাবে পরিচিত লাভ করে। জিয়ার দেখানো পথ ধরেই খুন হয় জিয়া নিজেই।

এরপর আবার সামরিক শাসন। গণঅভ্যুত্থানের পর এরশাদের পতন। গণতান্ত্রিক নির্বাচনের পর জিয়ার গঠিত দল জাতীয়তাবাদী দল ক্ষমতায় আসে। পুনরাবৃত্তি হয় পুরানো জামাতের পথ চলা। জিয়ার আমলে মন্ত্রী হয় রাজাকার, খালেদা জিয়ার আমলেও মন্ত্রী হয় রাজাকাররা। ইতিহাসের ধারাবাহিকতা। পাকিস্তানে ঠাঁই না পাওয়া, পাত্তা না পাওয়া জামাত-ই-ইসলাম এ দেশের শাখার জয়জয়কার। ধীরে ধীরে চারদিকে তাদের বিস্তৃতি বাড়তে থাকে। আর্থিক, রাজনৈতিক ভাবে তার ক্রমান্বয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠে। জামাতের আচরণ কখনই রাজনৈতিক দলের মতো নয়। এরা মূলত একটি কমিউনিটি।

স্বাধীনতা, বঙ্গবন্ধুর প্রতি বেগম জিয়াদের জিঘাংসা প্রকাশ্য চেহারা দেয় বেগম জিয়া। তৃতীয় বারের মতো তার জন্মদিনের নতুন তারিখ প্রকাশিত হয় ১৫ ই আগস্ট। অথচ যতদূর জানা যায় বঙ্গবন্ধুর কারণেই বেগম জিয়া সংসারে ফিরে আসতে পেরে ছিলেন।  যাইহোক জামায়াতের স্বপ্নও সফলতার মুখ দেখা শুরু করে। মওদূদীবাদী রাজ্য যা হবে পাকিস্তানের অলিখিত অঙ্গ রাজ্য।

ক্ষমতার পট পরিবর্তনে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয়বারের মত ক্ষমতায় এসে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করে।  জাতীয়তাবাদী দল সর্বোচ্চ বাধা দিতে থাকে এ বিচারের। ১৩ ফেব্রুয়ারির গণ জমায়েত দেখেও বিএনপি রাজনৈতিক কৌশল ভুলে (সৎ রাজনীতি তারা কখনই করেনি) নিজেদের পায়ে কুড়াল মারতে দ্বিধা করেনি জামায়াতের জন্য। প্রকাশ্যে বেগম জিয়া ঘোষণা দেন শাহবাগীরা নষ্ট ও নাস্তিক। এমন ঘোষণা, প্রচারণা ৭১ সালেও মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দেওয়া হয়েছিল। ১৩- এর পর ঘটনা চলমান।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরোধিতা বিএনপির ধ্যান জ্ঞান হয়ে উঠে। আস্তে আস্তে দলটিও ধ্বংসের দিকে। মিটিংগুলোতে সামনের দিকে বসা নিয়ে বেগম জিয়ার উপস্থিতিতে ছাত্র শিবিরের হাতে ছাত্রদলের উত্তম মধ্যম নিত্ত নৈমাত্তিক। অনেকেই সংশয়ে পড়তেন - লেজ কোনটা আর কুকুর কোনটা। বিএনপির বর্তমান মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বাবা ঠাকুরগাঁওয়ের কুখ্যাত রাজাকার চোখা মিয়া। বিএনপি যদি জামায়াতকে বাঁচানোর চেষ্টা না করতো তবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আজ তাদের অবস্থান অনেক বেশি শক্তিশালী থাকতো। এখন অবস্থা উল্টা। এত কিছুর পরও জামায়াত নিয়ে বিএনপির অবস্থান দেখে কেউ যদি বলে আসলে - জাতীয়তাবাদী দল সৃষ্টি হয়েছিলই জামায়াতকে এদেশে প্রতিষ্ঠা করার জন্য তাকে কি খুব ভুলা বলা যাবে, প্রতিষ্ঠাকালীন এবং বর্তমান সময়ের বিচারে? এরসাথে আবার বলা যায় - পাকিস্তানের আইএসআই-এর সাথে, দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সাথে বিএনপির যোগাযোগ এখন প্রায় প্রকাশ্য।

বিচার স্বচ্ছ হয়নি প্রকল্প বন্ধ করে কালো চশমা পরিহিত, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থায় সুযোগ পাওয়া একমাত্র বাঙালি সেনা কর্মকতা জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি শুরু করে “গণতন্ত্র” প্রকল্প। দেশ জুড়ে শুরু হয় বোমা হামলা। গণতন্ত্রের নামে মূল লক্ষ্য বিচারাধীন জামায়াতি খুনিদের রক্ষা। গণতান্ত্রিক পেট্রোল বোমায় পুড়ে মারা যায় প্রায় ১০০০ এর মত সাধারণ নাগরিক। আহতদের সংখ্যা বাদই দিলাম। এ প্রসঙ্গে একটি মজাদার তথ্য উল্লেখ্য করি।  ভুলবশত পিকেটারদের ছোড়া ইটের আঘাতে আমেরিকান এম্বেসীর একটি গাড়ি সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সাথে সাথে জামায়াত প্রকাশ্যেই ক্ষতিপূরণ দিতে চায়, স্বেচ্ছা প্রণোদিত হয়ে। চলতে থাকে পেট্রোল বোমা হামলা। আওয়ামী বিরোধীতার অন্তরালে বিএনপির দেশ বিরোধীতা প্রকাশ্য হয়ে উঠে। সরকারের শক্ত অবস্থানের কারণে বিএনপি-জামায়াতের পেট্রোল বোমারুরা কোণঠাসা হয়ে পড়লে শুরু হয় গুপ্ত হত্যা। আই.এস এর প্রচারণাকে কাজে লাগিয়ে বর্তমানে দেখা যাচ্ছে শিবিরই গুপ্তহত্যা চালাচ্ছে, গুপ্তহত্যার জন্য প্ররোচিত করছে। ইসরাইলের সাথে বিএনপির যোগাযোগ সম্প্রতি প্রকাশ্য হয়ে পড়েছে। মিন মিন করে “ব্যক্তিগত” বিষয় বলে বিএনপি এটি স্বীকারও করেছে। আবার অন্যদিকে ইসরাইলের কাছে স্মল আর্মস বিক্রি করা প্রথম কাতারের দেশ পাকিস্তান। যাইহোক জঙ্গিদের গ্রেপ্তার চলছে।
এখানেও বেগম জিয়া জঙ্গিদের পক্ষাবলম্বন করছেন। জিয়ার স্ত্রী বেগম জিয়া, জঙ্গি নেতা খালেদ সাইফুল্লার মুক্তি চেয়েছে কয়েক দিন আগেই। জঙ্গিদের কারো কারো প্রশিক্ষণ হচ্ছে পাকিস্তানেই।

বর্তমান বিচার করলে দেখা যাবে বিএনপির চেয়েও জামায়াত অনেক বেশি শক্তিশালী। ছাত্রদল প্রায় বিলুপ্ত কিন্তু শিবির সক্রিয়। বিএনপির সকল চেষ্টা জামায়াতকে বাঁচানোর। দিন যত যাচ্ছে এ চেষ্টা তত বিফলে যাচ্ছে যা দৃশ্যমান। গুলশান ট্রাজেডির পর বের হয়ে আসছে ১৫০ কোটি টাকার লবিং-এর কথা।

জামায়াতে ইসলাম বাংলাদেশকে বাঁচানোর জন্য বিএনপি তার শরীরের অঙ্গ প্রত্যক্ষ একে একে হারিয়ে ফেলছে। কিছু দিন পর তাদের ফুসফুসও হারাবে এমন চলতে থাকলে। জামায়াতের জন্য নিজের প্রাণ দিচ্ছে বিএনপি। এর কারণ কি? অথচ জামায়াতকে ছুঁড়ে ফেলে দিলেই বিএনপির অবস্থান অনেক অনেক অনেক সুসংহত হতো।

পাকিস্তানী জেনারেল, জুলফিকার ভুট্টো থেকে ধাপে ধাপেই আজকের জঙ্গিবাদ।

শরীর ছাড়া লেজ বাঁচেনা- কারণ কি এই?

জহিরুল হক বাপি, লেখক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬২ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩০ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৫ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ