আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

Advertise

একজন প্রিয়ভাষিণী কিংবা একটা প্রকাণ্ড লাল টিপের গল্প

আরিফ রহমান  

ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীকে কি লোকে চেনে? মানুষ কি জানে যে এই মহিলাকে আজ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে? কে এই মহিলা যাকে পথে ঘাটের প্রতিবাদী জনসভায় যুগের পর যুগ দেখা যায়? কে এই মহিলা যিনি একটা লাল সবুজ শাড়ি আর প্রকাণ্ড লাল টিপ পরে জীবন সায়াহ্নে এসে মৌলবাদের বিরুদ্ধে এত শক্ত আওয়াজ তোলেন? কি তার শক্তির উৎস?

আজ (১১ আগস্ট) ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। একজন ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীকে মুক্তিযোদ্ধার সম্মান দিতে বাংলা নামের দেশটার ৪৫ বছর সময় লেগে গেলো।

আচ্ছা এই স্বীকৃতি দিয়ে প্রিয়ভাষিণী কি করবেন? ঐ যে একটা কোটা আছে না 'মুক্তিযোদ্ধা কোটা', যেই কোটাকে সকাল বিকাল দুইবেলা করে গালি দ্যান, আপনাদের সেই কোটার সুযোগ এই মহিলা পাবেন না। জীবনে কোনদিন কোনকিছু দাবিও করেন নাই রাষ্ট্রের কাছ থেকে। চেয়েছিলেন নিজের ত্যাগের স্বীকৃতি। আর এই স্বীকৃতিটুকু পেতে পেতে এতোটা সময় লেগে গেলো। যাক দেরি হলো তবু পাওয়া তো গেলো।

জীবনের শেষ ভাগে এসে ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী আজ মুক্তিযোদ্ধার সম্মাননা নিয়ে কিছুই করতে পারবেন না। ছয় লক্ষ বীরাঙ্গনাদের মধ্যে জীবিত কারোই কিছু করার মত বয়সে নাই আর, সবারই জীবন-বাতি আজ নিভুনিভু।

এই স্বীকৃতি প্রাপ্তিতে যদি কারো কিছু হয়ে থাকে তাহলে সেটা আমাদের হয়েছে। দীর্ঘ জীবন অবজ্ঞা, লাঞ্ছনা, অপমান নিয়ে বেঁচে থাকা একজন ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী আমাদের সাহস দেন, প্রেরণা দেন, মৌলবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার শক্তি দেন। প্রায় সত্তুর বছর বয়স্ক একজন প্রিয়ভাষিণীর কপালে একটা ইয়া বড় টকটকে লাল টিপ দেখতে পান না? পান তো? ঐ টিপটার কত শক্তি সেটা কোনদিন বুঝতে পেরেছেন? কখনো বোঝার চেষ্টা করেছেন?

আপনারা কি জানেন লক্ষ বীরাঙ্গনাদের মাঝে প্রথম যেই বীরাঙ্গনা পাকিস্তান হানাদার বাহিনী নির্মম নির্যাতন সম্পর্কে মুখ খোলেন পৃথিবীর সামনে তার নাম ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী। তিনি বড় আশা করেছিলেন তার দেখা দেখি হয়তো অনেকেই মুখ খুলবেন কিন্তু তিনি তেমন কাউকেই আজও পাশে পাননি। এই মহিলার সাহস কল্পনা করতে পারেন একবার?

১৯৪৭ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি জন্ম নেয়া একুশে পদক প্রাপ্ত বাংলাদেশের প্রখ্যাত ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী আজ লক্ষ লক্ষ আমি আর আমাদের আম্মা। শাহবাগকে যিনি বলেন- 'প্রজন্ম চত্বর'। যিনি কপালে লাল টকটকে টিপ দিয়ে সবুজের ভেতর লাল বৃত্তকে ধারণ করে আছেন সারাটা জীবন। যার জীবনের সাথে মিশে আছে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস, মিশে আছে বীরাঙ্গনাদের দুর্বিষহ জীবন কাহিনী।

এই ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী প্রথম বলিষ্ঠ কণ্ঠে উচ্চারণ করেন- "যুদ্ধের শিকার হয়েছে যে নারী তার তো নিজের কোনো লজ্জা নেই।"

আম্মা প্রখ্যাত ব্লগার সুব্রত শুভ এবং ফড়িং ক্যামেলিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তাঁর ওপর পাক বাহিনীর নির্যাতনের কিছুটা স্মৃতিচারণ করেছেন। আজকের দিনের ছেলে মেয়েদের ঘটনাগুলো জানা দরকার। সেই সাক্ষাৎকারের কিছুটা সম্পাদনা করলাম। সম্ভব হলে একটু পড়বেন। শুনুন আম্মার মুখেই-

"পাকিস্তানী সৈন্যরা কত তারিখে আমার বাসায় এসেছিল তা আমার মনে নেই কারণ আমি যখন ডায়রি লিখতে শুরু করেছিলাম কিন্তু সেটা আমাকে ফেরত দেওয়া হয়নি ফলে আমি মনে করতে পারছি না। তবে সম্ভবত এটা অক্টোবরের প্রথম দিকে হয়েছিল। ২৮ ঘণ্টা বন্দি ছিলাম ক্যাম্পে।

আমার বাসায় একটা মেয়ে আমাকে দেখাশুনা করার জন্য থাকতো। রাত তিনটার সময় সে বলছে; আপা আপনার বাড়ি একদম ঘেরাও। ছয় সাতটা গাড়ীর সাথে পাঞ্জাবি ও পাকিস্তানিরা এসে আমার বাসা ঘিরে ফেলেছে। আমার ভীষণ ঘুম আসছিল তাই আমি ওকে বলছিলাম; ঘুমা তো, ওরকম অনেক গাড়ি-ই আসে। ও তখন বলল; আরে ওরা চিৎকার করছে, হল্লা করছে, কাকে যেন নামতে বলতেছে। এটা বলার পর আমি চিন্তা করলাম দেখা দরকার। তাই আমি মাথায় কাপড় দিয়ে উঁকি মেরে দেখি; ছয়টা গাড়ি থেকে প্রায় চার পাঁচ জন করে নেমেছে। আর আমার দিকে তাকিয়ে বলছে আমরা ফেরদৌসীকে চাই। ফেরদৌসী উপর থেকে নামো।

আমি তখন উপস্থিত বুদ্ধি দিয়ে তাদের ঠেকাতে চাইলাম এছাড়া আমার অন্য কোন পথ নেই। তাই আমি তখন বললাম; ফেরদৌসী তো নেই, সে তো খুলনায় গিয়েছে। আমি তার আয়া। তখন ওখান থেকে একজন বলে উঠল; তুমিই তো ফেরদৌসী, আমি তোমাকে চিনি। তুমি উপর থেকে নামো তখন আমি বললাম কেন নামবো? তখন তারা আমাকে বলল তোমার নামে ওয়ারেন্ট আছে। একটা হত্যা মামলার ওয়ারেন্ট আছে। আমি তাদের ওয়ারেন্ট দেখাতে বললাম না কারণ দেখাতে গেলেও তারা উপরে চলে আসবে। তাই তখন আমি বললাম এত রাতে কেউ কাউকে এরেস্ট করে না, তোমরা সকালে এসে আমাকে নিয়ে যাও। তখন তারা আমাকে বলে তোমাকে নামতেই হবে আর যদি না নামো তাহলে আমরা তোমাকে নামিয়ে নেব।

কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা উপরে চলে আসল। আর যে ফ্ল্যাটে আমি থাকতাম সেই ফ্ল্যাটের দরজা জানালাও ভাল ছিল না কারণ এর আগেও এই ফ্ল্যাট লুট হয়েছিল। পরে আমি তাদের বললাম; আমার সাথে একটা মেয়ে আছে তাকে আমি তার বাড়িতে নামিয়ে দিতে চাই। তখন ভোরের আলো ফুটে উঠছে তাই তারা তখন অর্ধেক সিঁড়িতে  উঠে আবার চলে যায়।

পরে আমি আমার কাজের মেয়ে আলেয়াকে দিয়ে আসলাম। কারণ ও আমার সাথে নিরাপদ না। যাই হোক কোন ভাবে আলেয়াকে তার বাড়িতে দিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হল। পরের দিন পাকিস্তানীরা আবার এসেছে। তারা এসে বলল তুমি নিচে নামো। তখন দেখি সৈন্যদের বেশির ভাগই ড্রাঙ্ক। অনেকে দাঁড়াতেই পারছে না। অনেকেই দরজা ধাক্কাধাক্কি শুরু করে দিল। আমি দরজা খুলে দিই। আমাকে তাদের সাথে যেতে বলল। আমি তাদেরকে বললাম আমি আমার ড্রেসটা চেঞ্জ করে আসি তারপর যাচ্ছি তোমাদের সাথে। তারা আমার কথা না শুনে বলল- "আমরা তোমার ড্রেস চেঞ্জ করে দেব।"

পাকিস্তানী সৈন্যদের সাথে এসেছিল বেঙ্গল ট্রের্ডাসের ইউসুফ, ওখানকার একজন ব্যবসায়ী আগাখানি সম্প্রদায়ের, ল্যাফটেনেন্ট কোরবান, ক্যাপ্টেন ইউসুফ, ক্যাপ্টেন ইসতেহার, ইসতেহার নামের দুইজন লোক ছিল। তিনি মাঝে মধ্যে আমার অফিসে আসতেন। ঐ ইসতেহার পরে মুক্তিবাহিনীর হাতে নিহত হয়।

তারা আমাকে বলছে; দ্বিতীয় ইসতেহার (দুজনের ভেতর যে এখানে অনুপস্থিত) হত্যার পেছনে তোমার হাত আছে। আমি বললাম; আমি কীভাবে জানব সে কীভাবে মরছে? সে তো রণাঙ্গনে যুদ্ধ করছে। তখন তারা আমাকে বলছে- তুমি জানলে কী করে সে রণক্ষেত্রে যুদ্ধ করছে? তখন বললাম- আমার জানার কথা না। সে আমাকে বলছে।

এরপরে তারা আমাকে এক ঘণ্টা ধরে গালাগালি করে, শারীরিক নির্যাতন করে গাড়িতে করে নিয়ে চলল। আসলে এগুলো বলতে ইচ্ছে করে না।

তখন নোয়া পাড়ার ওদিকে যাই তখন হোটেল আল-হেলাল ছিল। একটা কফির দোকান ছিল। আমাকে ওখানে নিয়ে গিয়ে বলল- কফি খাবে? তখন আমার ভেতরটা কলঙ্কিত তখন আমি নিজের সাথে নিজেই দেখা করতে ভয় পেতাম। অন্ধকারের সাথে দেখা করতেও ভয় পেতাম, আলোর সাথেও দেখা করতে ভয় পেতাম। সবসময় আমার মধ্যে সংকোচ কাজ করত। পেছনে দাঁড়ানো ছাড়া আর সামনে দাঁড়াতাম না। এমনই মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছিলাম। এরপর তারা হুইস্কি কুলি করে আমার মুখে ছিটিয়ে দিচ্ছিল। আর বলছিল- “she should co-operate us otherwise puts on dick on her private parts”

এই উক্তিটা আমার এখনো মনে আছে। এই কথাটা বলার সাথে সাথে আমি অনেক ভয় পেয়েছিলাম। তখন আমি বললাম- প্লিজ তোমারা আমাকে একটা উপকার কর আমি তোমাদের কে সকল সহযোগিতা দেব শুধু তোমরা আমাকে হত্যা কর। আমি উর্দুতে একবার ইংরেজিতে একবার বলছিলাম প্লিজ আমাকে হত্যা কর। তোমাদের সকল সহযোগিতা করব। আমাকে রেপ কর আমার আপত্তি নেই তবে আমাকে হত্যা কর। তবু আমাকে ক্যাম্পে নিয়ে যেও না। তারপরেও ক্যান্টনমেন্টে তারা আমাকে নিয়ে গেল।

ঐ ক্যাম্পটা ছিল অস্থায়ী ক্যাম্প। কথাগুলো আমি স্মৃতি কথাতে লিখেছি যদি বের হয় তাহলে ছেলে মেয়েরা পেয়ে যাবে। ওখানে বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘেরা বড় রুমের মতন। একটা তালাও লাগানো ছিল সেখানে। সেই রুমে আমাকে ধাক্কা দিয়ে ভেতরে ঢুকিয়ে তালা মেরে দিল। আমি ভয়ে চিৎকার করতে শুরু করি যে; আমাকে বের করে দাও। তারপর কিছুটা পথ আমি হেঁটে গিয়েছ দেখি; ওখানে গ্রাম থেকে ধরে আনা অনেক মেয়ে বন্দি অবস্থায় আছে এবং ঐ সব মেয়েদেরকে অর্ধ পোশাকে, কেউ বা বিবস্ত্র কেউবা ক্ষত-বিক্ষত। অনেককে দেখলাম হাসছে। কী যেন তাদের খাইয়ে দিয়েছে যার ফলে তারা শুধু হাসছিল। সেটা যে সত্যিকারের হাসি না তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। কী বলল ঐ পরিবেশটা রীতি মতন আতঙ্কজনক। অনেকে রোগে শোকে কাতরাচ্ছে। কোন কোন জায়গায় পাকিস্তানি জোয়ানরা তাদের সাথে কথাবার্তা বলছে। আর মেয়ে গুলো কেমন করে যেন তাদের সাথে তাল মিলিয়ে নিয়ে তা সহ্য করার চেষ্টা করছে। ওখানে অনেক পাশবিকতার ছাপ ছিল যা দেখা মাত্রই বোঝা যায়। আলাদা কয়েকটা রুম ছিল ওখানে যেখানে পাশবিক অত্যাচার করা হতো। অন্ধকার থাকায় খুব ভাল মতন আমি দেখতে পারি নি। তবে বোঝা যাচ্ছিল ওখানেই মেয়ে গুলোর উপর পাশবিক অত্যাচার হতো। আমি যে প্রাণে বেঁচে যাব সেদিন বুঝি নি। তাহলে অনেক ভাল করেই হয়তো দেখার চেষ্টা করতাম।"

ছোট পরিসরে আম্মাকে নিয়ে লেখা যায় না। লিখতে লিখতে সবকিছু কেমন যেন এলোমেলো হয়ে গেলো। হয়তো অন্য কোন দিন আরও লিখবো। একটু করে বলে দেই শুধু সম্প্রতি আম্মার নিজের লেখা জীবনী গ্রন্থ "নিন্দিত নন্দন" প্রকাশিত হয়েছে।  বইটা সংগ্রহ করুন, পড়ুন, জানুন, অনুধাবন করার চেষ্টা করুণ।

সুব্রত শুভ এবং ফড়িং ক্যামেলিয়ার নেয়া আম্মার সেই সাক্ষাৎকারের লিঙ্ক blog.mukto-mona.com/2013/03/28/34592/। সাথে পড়তে পারেন শাহরিয়ার কবিরের সম্পাদনায় আম্মাকে নিয়ে লেখা গ্রন্থ "একাত্তরের দুঃসহ স্মৃতি"। এছাড়া মুক্তমনা ব্লগে প্রফেসর অজয় রায় স্যারের নেয়া একটা ইন্টারভিউও রয়েছে সেটাও পড়ে দেখতে পারেন।

শেষে মনে পড়ে প্রখ্যাত মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ড. মুনতাসির মামুন স্যার একবার লিখেছিলেন- "সবাই প্রিয়ভাষিণী নন। প্রিয়ভাষিণীর যা আছে তা হলো চরিত্র, যা আমাদের নেই। থাকলে বাংলাদেশকে পোড়ার বাংলাদেশ বলতাম না।"

কথা আসলে এটাই, সবাই প্রিয়ভাষিণী হতে পারেন না। ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়ে আসলে ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর কিছু আসে যায় না, আসে যায় বাংলাদেশের, আসে যায় আমাদের। ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীকে সম্মান দিয়ে আমরা সম্মানিত হই, ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীকে সম্মান দিয়ে বাংলাদেশ সম্মানিত হয়। এটা একজন বাঙালির জন্য গৌরবের যে দেরিতে হলেও মুক্তিযুদ্ধের একজন জীবন্ত প্রতীককে আমরা স্বীকৃতিটা দিতে পেরেছি।

আম্মা আমাদের মাঝে আরও অনেকদিন বেঁচে থাকুন। এই দেশ নির্লজ্জের মত আপনার কাছ থেকে শুধু নিয়েছেই, কিছু দিতে পারেনি। আপনার কাছ থেকে আরও পাওয়া বাকি রয়ে গিয়েছে, আরও অনেক কিছু পাওয়া বাকি।

আপনার সাহস আমাদের প্রেরণা যোগায়, আপনার জীবন আদর্শ আমাদের সাহস যোগায়। আপনি যে আমাদের মা, আপনি যে বাংলাদেশ।

আরিফ রহমান, লেখক, অনলাইন এক্টিভিষ্ট

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬২ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩০ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৫ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ