আজ বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের অনুভূতিতে ওরা ‘বিজয়শিশু’

সাব্বির খান  

যুদ্ধ পৃথিবীর প্রাচীনতম বিবাদের মধ্যে একটি। এতে ক্ষয় হয়‘সভ্যতা আর মানবতা’। মানুষ জন্ম নেয়, সেই সাথে অবধারিত হয় তাঁর মৃত্যু। স্বাভাবিক মৃত্যুকে মেনে নেয় সবাই। অস্বাভাবিক মৃত্যু কষ্ট দেয় আজীবন, দগ্ধ করে মনের অচিন গহীনে, নিভৃতে; এটাই রীতি। যুদ্ধের মৃত্যু অথবা ক্ষত নিয়ে বেঁচে থাকাগুলো হয় অত্যন্ত অস্বাভাবিক মাত্রার পীড়াদায়ক। যারা যুদ্ধে মারা যান, তাঁরা শহীদ হন। আর যারা যুদ্ধের ক্ষত নিয়ে বেঁচে থাকেন, তাঁরা হাজার বার ‘শহীদ’ হন প্রতিদিন-প্রতিনিয়ত!

১৯৭১ সালে পাকিস্তান সামরিক জান্তার চাপিয়ে দেয়া দীর্ঘ নয় মাসের যুদ্ধে বাংলাদেশে শহীদ হয়েছিলো ৩০ লক্ষ নিরীহ বাঙালী, ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন প্রায় ৫ লক্ষ অসহায় নারী। যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে জন্ম নিয়েছিলো নিরপরাধ হাজার হাজার শিশু, যারা ‘যুদ্ধশিশু’ নামেই পরিচিত। তাঁদের অনেককে দত্তক হিসেবে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল তখন। অনেকে রয়ে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের এখানে-সেখানে, বেড়ে উঠেছিলেন অবহেলায় আর অপমানে! তাঁদের যুদ্ধ আজো থামেনি; জীবনের যুদ্ধ, বেঁচে থাকার যুদ্ধ, একাত্তরের অধিকারের যুদ্ধ!

ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের একজন বিজ্ঞ প্রসিকিউটর। অত্যন্ত মেধাবী ও তুখোড় প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজের সাথে কথা হচ্ছিল এক সন্ধ্যায়। বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার পথ ধরেই বলছিলেন ট্রাইব্যুনালে তাঁর বিভিন্ন কাজকর্মের কথা। তুরিনের কাজ যে খুব সহজ নয়, তা আগেই জেনেছিলাম। কিন্তু এতো বেশি ‘অসাধ্য’ আর ‘কঠিন’-এর মধ্যে তুরিনের বসবাস, তা কোনদিনও বোঝা হতো না সেদিনের আলাপ না হলে।

পৃথিবীতে যতগুলো যুদ্ধাপরাধের বিচার হয়েছে, তার অধিকাংশ বিচার হয়েছে অপরাধ সংঘটিত হওয়ার খুব কাছাকাছি সময়ে। সেকারণে বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধাপরাধের সাক্ষ্য, তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেলেও, কোন যুদ্ধশিশুকে অদ্যাবধি কোন বিচারের সাক্ষী হতে দেখা যায়নি। বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু হয়েছে যুদ্ধের প্রায় ৪০ বছর পরে। সময়ের এই দীর্ঘসূত্রিতার কারণে এই প্রথমবারের মত প্রসিকিউটর তুরিন চেয়েছিলেন অন্তত একজন যুদ্ধশিশু খুঁজে বের করে তাঁর সাক্ষ্য গ্রহণ করতে। ঠিক এমন সময়েই তিনি যুক্ত হয়েছিলেন কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের মামলায় বাদীপক্ষের একজন কৌঁসুলি হিসেবে। তুরিন বলেন, সৈয়দ কায়সারের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা ১৪টি প্রমাণিত অভিযোগের মধ্যে দুইজন নারীকে ধর্ষণের ঘটনাও ছিল। তাঁদের মধ্যে একজন মাজেদা এবং তাঁর গর্ভে জন্ম নেয়া ‘যুদ্ধশিশু’ সামছুন নাহার, যিনি এমামলায় সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। প্রায় এক বছর তাঁদের খুঁজে বের করে, যোগাযোগ করে, নানা ভাবে বুঝিয়ে ব্যারিস্টার তুরিন এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছিলেন। সেই সাথে প্রথমবারের মত পৃথিবীও শুনেছিল একজন যুদ্ধশিশুর ভাষ্য!

একজন ‘যুদ্ধশিশু’ খুঁজতে গিয়ে সামছুন নাহারের খোঁজ পেয়েছিলেন ব্যারিস্টার তুরিন, যিনি যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশেই বড় হয়েছেন। তাঁর কণ্ঠকে বিশ্বের হাজারো যুদ্ধশিশুর কণ্ঠের প্রতিধ্বনি হিসেবে উপস্থাপন করতে যেয়ে সেদিন যে বাস্তবতার মুখোমুখি তুরিনকে হতে হয়েছিল, মূলত তা-ই খুলে দিয়েছিল প্রসিকিউটর তুরিনের ভাবনার দরজাগুলোকে। যুদ্ধের ৪২ বছর পর তুরিনের হাত ধরে প্রথমবারের মত বিজয়িনীর বেশে এগিয়ে এলেন একজন ‘যুদ্ধশিশু’; বিচার চাইলেন তাঁর নিজের জন্য, তাঁর মায়ের জন্য!

যুদ্ধাপরাধী কায়সারের মামলায় ক্যামেরা ট্রায়েলের পিনপতন নিস্তব্ধতায় সাক্ষীর মঞ্চে দাঁড়ানো ৪২ বছর বয়সী এক সামছুন নাহার। সংকুচিত, মলিন, বিবর্ণ, ক্লান্ত একজন মানুষ, সবার অগোচরেই একটু একটু করে বেড়ে উঠেছিলেন অনাদরে আর অবহেলায়, আমাদের এই সমাজেই। পারিবারিক, সামাজিক আর মানসিক বৈষম্যের শিকার এই মানুষটি চোখ তুলে তাকাতে পারেননি সেদিন। যেন অদৃশ্য শৃঙ্খলের শাসনাবদ্ধ প্রতীকী এক মানবসন্তান!

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদারবাহিনী ও তাঁদের এদেশীয় মিলিশবাহিনীর দ্বারা ধর্ষিতা হওয়ার পরিণতিতে বাঙালী নারীরা যে শিশুদের জন্ম দিয়েছিলেন, তাঁদের পরিচয় হয়েছিল ‘যুদ্ধশিশু’ হিসেবে। সেই থেকে সমাজ এই শিশুদের ‘অবাঞ্ছিত শিশু’, ‘শত্রু সন্তান’, ‘অবৈধ সন্তান’ ছাড়াও অত্যন্ত হীনমন্যতায় ‘জারজ সন্তান’ বলেও আখ্যায়িত করেছিল। “আদালতের ক্যামেরা ট্রায়েলে সেদিন সামছুন নাহারের চোখে যে দীপ্তি দেখেছিলাম, তা শুধু একজন ‘বিজয়শিশু’-র চোখেই থাকে”, বলে দৃঢ় মন্তব্য করেছিলেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ। পরবর্তীতে আদালতের রায়েও প্রতিধ্বনিত হয়েছিল বিজয়শিশুর কথা।

যুদ্ধাপরাধী কায়সার মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে তুরিন বলেছিলেন, “১৯৭২ সালে যুদ্ধশিশু সামছুন নাহারের জন্ম হয়েছিল। অথচ ঠিক একই সময়ে জন্ম নেয়া অন্যান্য শিশুরা পরিবারবদ্ধ হয়ে মাথা উঁচিয়ে ঘুরে বেড়ায় আজ, গর্ব করে স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে। যুদ্ধশিশু সামছুন নাহার তা কখনোই পারেননি। তিনি যেন অনধিকার চর্চায় রত এইস্বাধীন বাংলাদেশে পথ ভুলে আসা এক অযাচিত মানবসন্তান। এমন কি তাঁর জন্মদাত্রী বীরঙ্গনা মায়ের আত্মত্যাগ নিয়ে গর্ব করতেও শঙ্কিত হন তিনি। যেন জন্মই তাঁর আজন্ম পাপ!”।

বাহাত্তরে মাজেদার বাবার বাড়িতে যুদ্ধশিশু সামছুন নাহার জন্ম নেন। এরপর শিশু সামছুন নাহারকে বাবার বাড়িতে রেখেই মাজেদা তার স্বামী আতাই মিয়ার বাড়িতে চলে যান। সেখানে তাদের আরো সন্তানের জন্ম হয়। মাঝে প্রায় পাঁচ বছর তাঁর সন্তানের সাথে মাজেদার কোনো যোগাযোগ ছিলনা। ‘যুদ্ধশিশু’ সামছুন নাহার তাঁর নানা বাড়িতেই বড় হতে থাকেন। আতাই মিয়া সামছুন নাহারের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করতেন। নানা বাড়িতে বড় হবার পর সামছুন নাহারের বিয়ে হয়েছিল। সে সংসারও টেকেনি সামছুন নাহারের। তিনি বীরাঙ্গনা মাজেদার সন্তান জানতে পেরে, তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে তার স্বামী আরেকটি বিয়ে করেছিল। সামছুন নাহার সেই থেকে একাই থাকেন, অনেকটা নিভৃতে। যুদ্ধাপরাধের মামলায় সাক্ষ্য দেয়ার পর থেকে তিনি এখন আর নিজের বাসস্থানেও থাকতে পারেন না। জীবননাশের হুমকি পেয়ে তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যে মানুষটির কোন ঘর নেই, দেশ নেই, দেবার মত কোন পরিচয়ও নেই, তাঁর পালাবারও কোন পথ থাকে কি!

একাত্তরে পুরুষ-নারী উভয়েই যুদ্ধ করেছেন। তাঁরা দেশ রক্ষার পাশাপাশি প্রাণ রক্ষার জন্য যুদ্ধ করেছেন। একজন পুরুষ যখন দেশ ও প্রাণ রক্ষায় যুদ্ধরত থেকেছেন, ঠিক একই সময় একজন নারীকে দেশ ও প্রাণের পাশাপাশি সম্ভ্রম রক্ষার জন্যও যুদ্ধ করতে হয়েছে। যুদ্ধক্ষেত্রে সম্ভ্রম রক্ষার চেষ্টাও যুদ্ধের শামিল! সহায়-সম্পদের পাশাপাশি যুদ্ধে প্রাণের হানি হয়, দেহের হানি ঘটে; এমনকি সম্ভ্রমেরও হানি হয়। যুদ্ধ শেষে বিজয়ের মূল্য নির্ধারণে প্রাণহানীর হিসেব হয়, সম্পদহানীর হিসেব হয়, সম্ভ্রমহানিরও হিসেব হয়। অথচ সম্ভ্রমহানির পরিণতিতে জন্ম নেয়া অগণিত শিশুদের হিসাব আমাদের এই ঘুনেধরা সমাজে আজো হয়নি। হয়নি তাঁদের মূল্যায়ন!

পৃথিবীতে কোন শিশু কোন নারী-পুরুষের কাছে মিনতি করে এই পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হয়না। বাবা-মায়ের ঐচ্ছিক প্রেমের স্বাভাবিক পরিণতিতেই জন্ম নেয় প্রতিটি শিশু। অথচ কত অমানবিকভাবে একটি শিশুকে ‘যুদ্ধশিশু’ বলে সমাজ থেকে আলাদা করে ফেলেছে এই রাষ্ট্র! যে শিশুর জন্ম হয়েছিল শত্রুর বর্বরোচিত প্রতিহিংসা থেকে, পিতৃহীন বলে তাঁদের আমরা লজ্জায় গ্রহণ করিনা! যুদ্ধ জয়ের পর সব কিছুরই হিসেব হয়েছে। কিন্তু যে শিশু বেদনার্ত জন্মের বিনিময়ে ১৭ কোটি মানুষের আত্মপরিচয় ও আজন্ম ঠিকানার হদিস এনে দিয়েছিল, তাদের হিসেব এদেশে হয়নি। অত্যন্ত অকৃতজ্ঞের মত ‘যুদ্ধশিশু’ বলে সমাজের চোখে তাঁকে ‘অবাঞ্ছিত শিশু’, ‘শত্রু সন্তান’, ‘অবৈধ সন্তান’, এমনকি ‘জারজ সন্তান’ নামের অমানবিক পরিচয় লেপ্টে দিতেও কুণ্ঠাবোধ হয়নি।

৩০ লক্ষ বাঙালীর জীবন ও ৫ লক্ষ নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত যে স্বাধীনতা, হাজার হাজার বিজয়শিশুর জন্মের বিনিময়েও কি সেই একই স্বাধীনতা অর্জিত হয়নি! সামছুন নাহার একজন ‘বিজয়শিশু’, যার জন্মের বিনিময়ে আজ আমরা স্বাধীনতাকে ধারণ করি, লালন করি, বুক ভরে আগলে রাখি প্রতিটা নিঃশ্বাসে। “ওরা যুদ্ধশিশু নয়; ওরা আমাদের বিজয়শিশু”- ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের এই অনুভূতিই হোক বাঙালী জাতির অনুভূতি! এভাবেই পূর্ণতা পাক ‘বিজয় আর স্বাধীনতা’!

সাব্বির খান, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, কলাম লেখক ও সাংবাদিক। ইমেইল : [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩০ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ