আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

বায়ান্ন, অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও আমাদের পাঠ্যপুস্তক

সহুল আহমদ  

পাকিস্তান রাষ্ট্রের উদ্ভবের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিল সাম্প্রদায়িকতা; অন্যভাবে বলতে গেলে, তৎকালীন শাসক শ্রেণী তাদের ক্ষমতার স্বার্থেই ধর্মকে ব্যবহার করেছে। কিন্তু পূর্ব বাংলার যে বাঙালি মুসলমান পাকিস্তান আন্দোলনে এত ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করলো, তারাই আবার মাত্র পাঁচ বছরের মাথায় ভাষার জন্যে তুমুল বিদ্রোহে ফেটে পড়লো – এটা মূলত প্রমাণ করে যে বাঙালি মুসলমানের পাকিস্তান আন্দোলনে শরিক হওয়ার পিছনে সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি কার্যকর ছিলনা, বরং যোগ দিয়েছিল অর্থনৈতিক মুক্তির কারণে। তাই যুগ যুগ ধরে নির্যাতিত ও নিষ্পেষিত বাঙালি মুসলমান যখন শুনেছে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ বললে তাদের অর্থনৈতিক মুক্তি ঘটবে তারা তখন তাই করেছে। তাই, ভাষা আন্দোলন ছিল পাকিস্তানের প্রতি আশাভঙ্গের প্রথম সফল বিদ্রোহ।

আবার, এই ভাষা আন্দোলনের দুটো পর্যায় লক্ষ্য করা যায়, প্রথমটা হচ্ছে ৪৭-৪৮’র সময়টা যা শুরু হয়েছিল মূলত বুদ্ধিজীবী ও ছাত্রদের মাধ্যমে এবং দ্বিতীয়টা হচ্ছে বায়ান্নতে যখন আন্দোলনে করেছিল সকল শ্রেণি, বিশেষ করে সক্রিয় ছিল মধ্যবিত্ত বাঙালি মুসলমান শ্রেণি। আন্দোলনে সকলের এই অংশগ্রহণ সম্ভব হয়েছিল পাকিস্তানের দুই অংশের অর্থনৈতিক বৈষম্যের কারণেই। মূলত, ভাষার সাথে মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গভীর সংযোগ থাকার কারণেই ভাষাকে আঘাত করলে পরোক্ষভাবে মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপরই আঘাত করা হয়। তাই দেখা যায় উপনিবেশ শাসনামলে যারাই শাসন ব্যবস্থায় থাকে তারা রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডের জন্যে তাদের বহিরাগত ভাষাকেই সকলের ওপর আরোপ করে। সেটা ব্রিটিশ আমলেও দেখা গিয়েছে। পাকিস্তানিরাও একই কাজ করতে চেয়েছিল; বিশাল একটা গোষ্ঠীকে দীর্ঘদিন শোষণ করতে চাইলে তাদের মুখের ভাষাকেই বন্ধ করে দিতে হবে সবার প্রথমে। ভাষা আন্দোলন প্রশ্নে গবেষকরা তাই বলেন যে, এর মূল অনুপ্রেরণা এসেছিল জাতিগত নিপীড়নের কারণে উদ্ভূত বিক্ষোভ থেকেই এবং ভাষা - প্রশ্নে না হলেও পাকিস্তানি শাসক চক্রের আঞ্চলিক নিপীড়নে বিরুদ্ধে এই বিদ্রোহ ছিল অনিবার্য।

পশ্চিমা শাসকরা বিদ্রোহের এই অনিবার্যতা সম্পর্কে সচেতন ছিলেন বিধায় তারা এটা রুখতে আবারো আশ্রয় নিয়েছিলেন সেই সাম্প্রদায়িকতার করিডোরে। তাই দেখা যায় যে, উর্দু কেন একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হবে – এই মৌলিক প্রশ্নের কোন যৌক্তিক উত্তর না দিয়ে তারা বারেবারে এর পিছনে ইসলাম ও ধর্মের কথা বলছিলেন। তারাও জানতেন যে বাংলা ভাষার ব্যাপক চর্চা নিম্ন শ্রেণিকে সচেতন করে তুলবে যা তাদের আধিপত্যকে বিপন্ন করে তুলতে পারে তাই তারা উর্দু ইসলামী সংস্কৃতির বাহন, উর্দু ধর্মীয় ভাষা এমন যুক্তি দেখিয়ে যাচ্ছিলেন। যারাই বাংলার পক্ষে কথা বলছিলেন তাদের সবাইকে সাম্প্রদায়িক আক্রমণ করা হয়েছে ক্রমাগত ভাবে। ১৯৪৮ সালে পাকিস্তান গণ – পরিষদের প্রথম অধিবেশনে ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত যখন উর্দু ও ইংরেজির পাশাপাশি বাংলাকেও গণপরিষদের অন্যতম ভাষা হিসেবে ব্যাবহারের প্রস্তাব করেন, তখন সেটা নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়। প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান শুধু এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেই ক্ষান্ত হলেন না, সরাসরি ধীরেন্দ্রনাথকে আক্রমণ করতে গিয়ে যে উক্তি করেন সেটাতে তার সাম্প্রদায়িক মনোভাবেরও পরিচয় পাওয়া যায়, ‘প্রথমে এই প্রস্তাবের উদ্দেশ্য নির্দোষ বলিয়া আমি ভাবিয়াছিলাম। কিন্তু বর্তমানে মনে হয় পাকিস্তানের অধিবাসীদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি করা এবং একটি সাধারণ ভাষার দ্বারা ঐক্যসূত্র স্থাপনের প্রচেষ্টা হইতে মুসলমানদের বিচ্ছিন্ন করাই এ প্রস্তাবের উদ্দেশ্য’। সেদিন এই প্রস্তাবের বিরোধিতাকারীদের সকলেই তাদের বক্তৃতায় ধর্ম প্রসঙ্গ বারেবারে টেনে এনেছিলেন। মোহাজের ও পুনর্বাসন মন্ত্রী গজনফর আলী খান তখন উর্দুর সাথে ইসলামের সম্পর্ক উল্লেখ করে স্পষ্টভাবেই বলে দেন,“উর্দু কোন প্রদেশের ভাষা নয়, তা হচ্ছে মুসলিম সংস্কৃতির ভাষা। এবং উর্দু ভাষাই হচ্ছে মুসলিম সংস্কৃতি।”

মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ যখন ঢাকা সফরে আসেন তখন রেসকোর্স ময়দানে বক্তৃতাকালে উর্দুর পক্ষে জোরালো কোন যুক্তি না দিয়ে বরং মুসলমান ও ইসলাম বিষয়টাই তুলে ধরেছেন। মুসলমানদের মধ্যে বিভেদের জন্যেই ভাষা আন্দোলন - উক্তির মাধ্যমে পরোক্ষভাবে তিনি হিন্দুদেরকেই দেশদ্রোহিতার দায়ে অভিযুক্ত করছেন। পরবর্তীতে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যে ভাষণ দেন সেখানেও ভাষার প্রশ্নে তিনি উর্দুর পক্ষে ইসলামী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের কথা বলেন। রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্ববৃন্দ জিন্নাহর সাথে দেখা করে ভাষা প্রশ্নে বিভিন্ন যুক্তি প্রদান করলে একসময় জিন্নাহ উত্তেজিত হয়ে বলেই ফেলেন, পাকিস্তানের অখণ্ডতার স্বার্থে দরকার হলে তোমাদের মাতৃভাষাই পাল্টে ফেলতে হবে।

শাসকদের মনোভাব যখন এমন সাম্প্রদায়িক, তখন দেশীয় যারা ছিল ক্ষমতার ছিটেফোঁটা সুবিধা ভোগ করার তালে তারাও বাংলা ভাষার বিপক্ষে লড়ার জন্যে ধর্মকে নিয়ে হাজির হয়। ‘যারা বাঙলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি করছে তারা ইসলামের শত্রু’ – এ ধরণের প্রচার তখন চলতে থাকে সর্বত্র। সিলেট শহরে সে সময় আলেম সমাজ তারিখ-বিহীন এক প্রচারপত্রে মুসলমানদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনার দীনি ফরজ সর্বত্র সভা সমিতি করিয়া উর্দুর সমর্থনে জনমত গঠন করা ও উর্দু বিরোধীদের ফেরেববাজি হইতে মুসলিম জনসাধারণকে রক্ষা করা’। উর্দুর পক্ষে বিভিন্ন পত্র – পত্রিকাও একই ধরণের মতবাদ প্রচার করতে থাকে বিরামহীন ভাবে। ১৯৪৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর ‘মর্নিং নিউজ’ এক দীর্ঘ সম্পাদকীয়তে উর্দুর পক্ষে তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা হাজির করে। এই দীর্ঘ সম্পাদকীয় সম্পর্কে বদরুদ্দীন উমর উল্লেখ করেন যে এর মূল বক্তব্য পূর্ব বাংলার মুসলমানরা এতদিন হিন্দু সংস্কৃতির আওতায় ছিলো এবং সেই আওতামুক্ত হয়ে নিজেদের সংস্কৃতি গঠন করতে হলে ইসলামী সংস্কৃতিই তার মূল অবলম্বন হওয়া উচিৎ। আর তাই প্রয়োজন উর্দু ভাষার। ধর্মের অজুহাতে দিয়ে যে সকল পত্রিকা বাংলা ভাষা আন্দোলনের বিরোধিতা করেছিল তন্মধ্যে ‘মাসিক মোহাম্মদী’ উল্লেখযোগ্য।

উর্দুর প্রতি বাঙালি মুসলমানের যে একটা মোহ ছিল সেটা ধরা পড়ে ৪৭ সালে প্রকাশিত ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা – না উর্দু?’ নামক পুস্তিকাতে, যেখানে কাজী মোতাহের হোসেন বাঙালি মুসলমানের এমন আড়ষ্টতার দুটো কারণ দেন, প্রথমটি মাতৃভাষা বাংলার প্রতি অবহেলা এবং দ্বিতীয়টি ধর্মীয় ভাষার সম্পর্কিত মনে করে উর্দু ভাষার প্রতি অহেতুক আকর্ষণ বা মোহ। পশ্চিমা শাসকরা এটা জানতো, তাই শুরু থেকে তারা উর্দুর পক্ষে শুধু ইসলামী শ্লোগানই দিয়ে গিয়েছে; যদিও সে পরিকল্পনা ব্যর্থই হয়েছে। এমনকি এই ধর্মের অজুহাতে আরবি হরফে বাঙলা লেখার প্রচলন করার উদ্যোগও নেওয়া হয়। বাঙলা ভাষার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের এমনতর ষড়যন্ত্রের জবাবে যে মানুষটা সবচেয়ে সবচেয়ে বেশী জোরালো ছিলেন তিনি হলেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। ভাষাবিজ্ঞানের যুক্তি দিয়ে নিয়মিত জবাব দিচ্ছিলেন বাংলার বিরুদ্ধে উত্থাপিত সকল অভিযোগের - সেটা ধর্মীয় হোক আর আরবি হরফ সংক্রান্ত হোক। ‘আরবি ভাষাকেই আমি বিশ্বের মুসলমানদের জাতীয় ভাষারূপে গণ্য করি’ – ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ সে সময় এমনও উক্তি করেছিলেন, তবে সেটা আরবিকে রাষ্ট্রভাষা করার জন্য নয়, বরং উর্দু ইসলামী ভাষা, ইসলামী ঐতিহ্য বহন করে, মুসলমানদের ঐক্যের জন্যে উর্দুর প্রয়োজন – এই যুক্তিগুলোর ভিত্তি-হীনতা প্রমাণের জন্য।

বায়ান্নের পরবর্তী সময়েও এমন সাম্প্রদায়িকতার চাষ দেখা গিয়েছিল তৎকালীন পাকিস্তানে। রবীন্দ্রনাথকে হিন্দু কবি বলে ঘোষণা দেয়া হয়, তাঁর গান-কবিতায় হিন্দুয়ানীর গন্ধ আছে বলে নিষিদ্ধ করা হয়। শুধু যে রবী ঠাকুরের উপর এমন আঘাত এসেছিল তা না, নজরুলকেও রেহাই দেয়া হয় নি। তাঁর কবিতাতেও নাকি হিন্দুয়ানী গন্ধ ছিল। যেমন সজীব করিব মহাশ্মশান কে বদলিয়ে সজীব করিব গোরস্থান করা হলো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে আদেশ করা হয়েছিল রবীন্দ্রসংগীত রচনা করতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের –কলেজে মেয়েদের টিপ পরা নিষেধ করা হয়; এতদসত্ত্বেও পূর্ববাংলার ছাত্র-বুদ্ধিজীবীরা তখন রুখে দাঁড়িয়েছে; গঠন করেছে ‘ছায়ানট’; গেয়েছে রবী ঠাকুরের ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’। অর্থাৎ বায়ান্নের সেই অসাম্প্রদায়িক চেতনা তখনও সক্রিয় ছিল।

ভাষা আন্দোলন মূলত ছিল বাঙালি জাতীয়তাবাদের এক বিস্ময়কর উত্থান, যা বুদ্ধিজীবীদের হাতে শুরু হলেও পরবর্তীতে ছড়িয়ে পড়েছিল সকল ক্ষেত্রে এবং এটাই ক্ষেত্র তৈরি করেছিল পরবর্তী সকল জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের। উর্দুর পক্ষের সকল সাম্প্রদায়িক প্রচারণার ব্যর্থতাই প্রমাণ করে ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে পূর্ব বাংলার মুসলমানরা পাকিস্তানি ‘ধর্মীয় জাতীয়তাবাদ’ এর শিকল ভেঙ্গে ‘সেকুলার’ বাঙালি জাতীয়তাবাদে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছিল। বায়ান্নতে সেক্যুলার জাতীয়তাবাদের যে বীজ বপন করা হয় পূর্ব বাংলায় সেটাই ধীরে ধীরে উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন এবং পরিশেষে একাত্তরের নয়মাসের রক্তাক্ত অধ্যায়ের দ্বারা একটি নতুন রাষ্ট্র গঠন করে। সেই নতুন রাষ্ট্রকে যেমন অসাম্প্রদায়িক হওয়ার কথা ছিল কিংবা হওয়ার যে প্রতিশ্রুতি বায়ান্নতে দিয়েছিল সেটা ধরে রাখা সম্ভব হয় নি। সাম্প্রদায়িকতার বিষ বাষ্প এখনো বহাল চারপাশে।

ভাষার জন্যে আন্দোলনকারীদের উত্তরসূরি হিসেবে আমরা আমাদের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করা উচিৎ, বায়ান্নের চেতনার কতখানি ধারণ করতে পেরেছি। একুশের যে তাপ – উত্তাপ রয়েছে তাঁর কতখানি আমাদের ব্যক্তি মানুষের শরীরে, আমাদের রাষ্ট্রের শরীরে, আমাদের সমাজের শরীরে এখনো লেগে আছে? এই প্রশ্নের উত্তর আমাদেরই খুঁজতে হবে। এই বছরই আমরা দেখেছি, আমাদের পাঠ্যপুস্তকে পরিবর্তন এসেছে একটা সাম্প্রদায়িক দলের দাবিতে। পাকিস্তান আমলের যে নমুনা ছিল, কবিতা ও সাহিত্যে হিন্দুয়ানীর গন্ধ পাওয়া, সেই একই নমুনা আমরা বর্তমান স্বাধীন বাংলাদেশে দেখতে পাচ্ছি। পাঠ্যপুস্তক থেকে রবীন্দ্রনাথের কবিতা বাদ দেয়া হচ্ছে, শরতের গল্প বাদ দেয়া হচ্ছে তারা হিন্দু বলে, তাদের গল্প-কবিতায় হিন্দুয়ানীর গন্ধ আছে বলে। যদিও এখানে তৎকালীন পাকিস্তান রাষ্ট্রের সাথে কিছুটা মৌলিক তফাৎ লক্ষ্য করা যায়। যেমন, তখন রাষ্ট্র নিজে উদ্যোগী হয়েই এমন সাম্প্রদায়িকতার চাষ করেছিল, কিন্তু এখন বর্তমান সময়ে রাষ্ট্র সরাসরি এমন কাজ করছে না। বরং, একটা সাম্প্রদায়িক দলের এমন অযৌক্তিক দাবি নির্দ্বিধায় মেনে নিচ্ছে, যাকে আমরা বলতে পারি যে আমাদের স্বাধীন বাংলার বর্তমান রাষ্ট্র পাকিস্তান আমলের মতো প্রত্যক্ষভাবে সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে না দিলেও পরোক্ষভাবে ঠিকই চাষ করে যাচ্ছে। অনেকেই বলে থাকবেন যে, পাঠ্যবইয়ে পরিবর্তন তো খুবই স্বাভাবিক এবং সেটাই হওয়া উচিৎ। এটা তো আমরাও স্বীকার করি, কিন্তু বর্তমানে যে পরিবর্তন হয়েছে সেটা কি পরিবর্তনের গতিশীলতার সূত্র মেনে হয়েছে নাকি সাম্প্রদায়িক কারণে হয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তর আমাদের সকলেরই জানা।

এই অসাম্প্রদায়িক চেতনার খোজেই আমাদের এখনো বারে বারে ফিরে যেতে হবে বায়ান্নের কাছে।

সহুল আহমদ, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ