আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

হেফাজত ও জামায়াত: আধুনিক জঙ্গিবাদের দুই পিঠ!

সাব্বির খান  

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিচার করলে দেখা যায় যে, যুদ্ধাপরাধী দল জামায়াতে ইসলামীর অস্তিত্ব সামাজিক এবং রাজনৈতিকভাবে মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন। ইতিমধ্যে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের দায়ে দলটির একাধিক জ্যেষ্ঠ নেতার ফাঁসির রায় কার্যকর হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর বাংলাদেশে প্রধান মিত্র দল বিএনপিও তাঁদের অস্তিত্ব রক্ষার খাতিরে হোক বা রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের কারণে হোক, জামায়াত থেকে কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে ‘একলা চলো’ নীতি গ্রহণ করেছে। এঅবস্থায় অস্তিত্ব রক্ষার্থে জামায়াতের মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা হয় সরকারী দলে যোগ দিচ্ছে, অথবা হেফাজতে ইসলামীর মত ভাবধারার বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনে যোগ দিচ্ছে। সাময়িকভাবে হলেও এসব দল ও সংগঠনের ভিতরে থেকে জামায়াতে ইসলামী তাদের বিভিন্ন জঙ্গি-ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। উদ্দেশ্য এই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতা দখল করা। তাদের এসব কর্মকাণ্ড নিশ্চয়ই সরকার বা তাঁদের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর অগোচরে ঘটছে না। অথচ সরকার এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এব্যাপারে সম্পূর্ণ নির্বিকার।

গত ১০ মার্চ কুমিল্লার চান্দিনা থেকে ঢাকার পথে দুইজন জঙ্গি বিপুল বোমা সহ পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বড় ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করা। তাদের আস্তানা থেকে পরে ২৯টি গ্রেনেড সহ বিপুল পরিমাণে অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়। ১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে র্যা্বের হাতের একজন নারী সহ মোট চারজন জঙ্গি নিহত হয়। তাঁদের একজনের কোমরে বোমা বাঁধা ছিল, যার বিস্ফোরণের তিনজন পুরুষ জঙ্গি নিহত হয় বলে জানা যায়। ১৭ মার্চ শুক্রবার দুপুর ১টা ১০ মিনিটে আশকোনায় নির্মাণাধীন র্যা বের প্রধান কার্যালয়ের দেয়াল টপকে এক যুবক আত্মঘাতি বোমাহামলা চালায়। এতে হামলাকারী নিজে নিহত হন এবং র্যা বের দুইজন গুরুতর আহত হন। হামলার ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই ১৮ মার্চ ভোর সাড়ে ৪টায় খিলগাঁওয়ে র্যা্বের তল্লাশি চৌকিতে আবারো হামলা হয়। সেখানেও একজন মোটরসাইকেল আরোহী আত্মঘাতি হামলার চেষ্টা চালালে র্যাআবের গুলিতে নিহত হন। ফটিকছড়ি উপজেলার পাইন্দেং এলাকায় গতকাল মাগরিবের নামাজ পড়া অবস্থায় হাফেজ আলম নঈমীকে ৬-৭ জনের একটি সন্ত্রাসীদল পেছন থেকে ছুরিকাঘাত করে। প্রচুর রক্তক্ষরণজনিত কারণে মূমূর্ষাবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নেয়া হয়। বিক্ষিপ্ত এবং ছোট ছোট পর্যায়ে হলেও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় জঙ্গি-সন্ত্রাসী হামলা প্রায় প্রতিনিয়তই হচ্ছে। বাংলাদেশের নিরাপত্তারক্ষাকারী বাহিনী বেশ সফলভাবেই এইসব জঙ্গি আক্রমণ প্রতিহত করতে সক্ষম হলেও হামলার প্রাদুর্ভাব কমাতে পারছেন না। বরং দিনকে দিন এই হামলা বেড়েই চলেছে, যা মূলত জনমনে ভীতির এবং একধরণের সংশয়ের সৃষ্টি করছে! ধরা পড়া বা নিহত হওয়া সব জঙ্গির সাথেই কোন না কোনভাবে জামায়াতে ইসলামীর সরাসরি অথবা পরোক্ষ সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাচ্ছে বাংলাদেশের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।

এবছরের শুধু মার্চ মাসে ঘটা বিভিন্ন জঙ্গি কার্যক্রমের দিকে তাকালে একটা বিষয় পরিষ্কার হয় যে, জঙ্গিবাদের মূল ঘাটি হচ্ছে চট্টগ্রামে বা এর আশেপাশের জেলাগুলোতে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে জামায়াতের মদদে একশ’র বেশি জঙ্গি মৌলবাদী সংগঠন এবং প্রায় পাঁচ শতাধিক ইসলামিক এনজিওর আবির্ভাব ঘটেছিল বাংলাদেশে। এদের তৎপরতা ছিল মূলত কক্সবাজার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে। বিভিন্ন সময়ে এসব এলাকা থেকে গ্রেফতারকৃত জঙ্গিদের জবানবন্দিতে জানা গিয়েছিল জামায়াতের সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতার কথা। আরো জানা গিয়েছিল, কীভাবে তারা জামায়াতের টাকায় এবং অস্ত্রে বলিয়ান হয়ে দেশব্যাপী জঙ্গি তৎপরতা চালিয়েছিল এবং বার্মার আরাকানের সঙ্গে কক্সবাজারসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের একটা অংশকে নিয়ে তারা একটা আলাদা ইসলামি রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের আমলে গ্রেফতারকৃত বেশিরভাগ জঙ্গির জবানবন্দিতেই জামায়াত ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের সংশ্লিষ্টতার কথা জানতে পারা যায়। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের ভূমি ব্যবহার করেও এসব জঙ্গিবাদীরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালাতো বলে বিভিন্ন সময়ে খবরের কাগজে এসেছে।

চট্টগ্রামকে ঘাটি করে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের কার্যক্রম চালানোটা তাদের অনেক বছরের পরিকল্পিত শ্রমের ফসল। ব্লগারহত্যা, ভিন্নধর্মে বিশ্বাসীদের উপর আক্রমণ ও হত্যা, বিদেশীদের হত্যা ইত্যাদি সবই দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনারই অংশ। ২০০১ সালের ডিসেম্বরে করাচি থেকে চট্টগ্রামে এমভি মওকা নামের একটা জাহাজে প্রায় ১৫০ জন আল কায়েদা এবং তালেবান যোদ্ধা চট্টগ্রামে এসেছিল। পরবর্তীতে যাদের কোন হদিস পাওয়া যায়নি (Alex Perry, “Deadly Cargo, “ Time Asia, Oct. 21, 2003)।
হরকাতুল জিহাদের সাথে আল-ইসলামী, আল-কায়েদা এবং বাংলাদেশের ইসলামী ঐক্য জোটের সাথে নিবিড় সম্পর্কের কথাটি বাংলাদেশ নিরাপত্তায় নিয়োজিত গোয়েন্দা বিভাগের না জানার কথা নয়। হরকাতুল জিহাদ ২১ আগস্টের বোমা হামলার সাথে জড়িত ছিল এবং ওসামা বিন লাদেনের ১৯৯৮ সালে দেওয়া ফতোয়াতে এক মাত্র বাংলাদেশী গোষ্ঠী হিসেবে আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলো (United States Department of State, Country Reports on Terrorism, 2004, Apr. 2005)। সেই সময় হরকাতুল জিহাদ পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় একাধিক প্রশিক্ষণ ক্যাম্প পরিচালনায় নিয়োজিত ছিল (Anirban Roy, “Qaeda Fuels HuJI Run in Bangladesh,” Hindustan Times, Dec. 9, 2004)। তাদের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশকে একটা ‘ইসলামিক রাষ্ট্র’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। এদের সক্রিয় সদস্য সংখ্যা ছিল পনের হাজারের অধিক (সূত্র: ওই)। সেই প্রশিক্ষণ ক্যাম্পগুলিতে বার্মিজ রোহিঙ্গা, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং ব্রুনাই থেকে আগত গ্রুপগুলিকে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন অস্ত্রচালনা ও সামরিক ট্রেনিং দেওয়া হত (Shefali Rekhi,“Clerics’ Call to Terror,” The Straits Times, Oct. 21, 2004)।

উল্লেখ্য যে, উল্লেখিত প্রশিক্ষণ ক্যাম্পগুলো থেকে বাংলাদেশী পাসপোর্টধারী জঙ্গিদের আফগানিস্তান, কাশ্মীর এবং চেচনিয়াতে যুদ্ধ করতে পাঠানো হতো যাদের তত্ত্বাবধায়নে থাকতো আন্তর্জাতিক আল-কায়েদা (Zachary Abuza, Militant Islam in Southeast Asia, (Boulder: Lynne Rienner)। তদানিন্তন ভারতের বিএসএফের প্রধান তখন সরাসরি অভিযোগ করেছিলেন যে, ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আইএসআই এর ঘাঁটি রয়েছে (Press Trust of India, Sep. 14, 2004), যার সত্যতা পাওয়া গিয়েছি বাংলাদেশে হুজির মোট ছয়টি ঘাঁটির সন্ধান পাওয়ার পরে (Patterns of Global Terrorism, 2002, United States Department of State, Office of the Coordinator of Counter-terrorism, Apr. 2003)। ইন্দোনেশিয়া ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জামিয়া ইসলামিয়ার নেতা হাম্বালি ২০০৩ সালের আগস্টে থাইল্যান্ডে ধরা পড়ার পরে স্বীকার করেছিলেন যে, ইন্দোনেশিয়ায় তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে চট্টগ্রামে নিয়ে আসার পরিকল্পনা ছিল। একই পরিকল্পনার কথা ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বরে হাম্বালির আপন ভাই সহ ১৩ জন মালয়েশিয়ান এবং ৬ ইন্দোনেশিয়ান পাকিস্তানে ধরা পড়ার পরে স্বীকার করেছিলেন।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সন্ত্রাসী সংগঠনের বাংলাদেশী শাখা। জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ ছাড়াও মিশর ও উত্তর আফ্রিকার মুসলিম ব্রাদারহুড এবং আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের তালেবান ও আলকায়দার সাথে জঙ্গিবাদের আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের সঙ্গী হয়েছে দীর্ঘ অনেক বছর ধরে। জামায়াতে ইসলামী ও মুসলিম ব্রাদারহুডের এক ও অভিন্ন দর্শন হচ্ছে, “ধর্মের নামে ক্ষমতায় যাওয়া বা থাকার জন্য যে কোনও ধরনের হত্যা, নির্যাতন ও সন্ত্রাস ইসলামসম্মত”।

মিসরের মুসলিম ব্রাদারহুড আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এমন একটি সন্ত্রাসী-জঙ্গি সংগঠন, যার বলয় মিসর পেরিয়ে প্রায় সারাবিশ্বেই বিস্তৃত। নামে ভিন্নতা থাকলেও আদর্শগত মিলের কারণে বিশ্বের তাবৎ জঙ্গি-মৌলবাদী দলগুলোর সাথেই বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দ্বিপাক্ষিক সুসম্পর্কের কথা আজ আর কারো অজানা নয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আইএস-এর সাথেও জামায়াতের যোগসাজশের আলামত পাওয়া গিয়েছে। নামে ভিন্নতা থাকলেও আদর্শগত মিলের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন জঙ্গি-মৌলবাদী দলগুলোর সাথে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দ্বিপাক্ষিক সুসম্পর্ক বিদ্যমান। ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকার শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলাম নামের ভুঁইফোড় একটা মাদ্রাসাকেন্দ্রিক সংগঠনের নামে শাপলাচত্বরে লাখো মুসল্লিদের জড়ো করা হয়েছিলো সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য। হেফাজতে ইসলামীর সেই সভার পেছনের ইন্ধনদাতা ও মূল চালিকাশক্তি ছিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, যা পরবর্তীতে আর গোপন থাকেনি। অতিসম্প্রতি চট্রগ্রামকেন্দ্রিক একই হেফাজতে ইসলামী সরকারকে আবারো ক্ষমতাচ্যুত করার হুমকি দিচ্ছে বিভিন্ন ইস্যুতে, যার পেছনের ইন্ধনদাতা যে জামায়াতে ইসলামী এবং তাদের আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ, তা না বোঝার কোন কারণ নেই!

হেফাজতে ইসলামী একটা কওমি মাদ্রাসা কেন্দ্রিক সংগঠন হয়েও এর প্রতিটি বক্তব্য এতটাই পেশাদার রাজনৈতিক বক্তব্যের মত, যা শুধু জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে দেয়াই সম্ভব। হেফাজতে ইসলামীর সাথে সরকারের একধরনের “গুড রিলেশন”-এর কথা শোনা যায় অনেকদিন ধরে। পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও দেখেছি, সে দেশের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর হাতে তৈরি বিভিন্ন ইসলামিক সংগঠনগুলোই পরবর্তীতে জঙ্গিবাদে সংপৃক্ত হয়ে ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের দানবের মত পাকিস্তানকেই আঘাত হেনেছে বার বার, যা এখনো চলমান। সরকারের গুড বুকে থাকা হেফাজতে ইসলামীর ছত্রছায়ায় জামায়াত পুরোদস্তর তার রাজনৈতিক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন সন্ত্রাস ও হত্যাকাণ্ডে যে বিভিন্ন নামের জঙ্গি সংগঠনগুলোর সম্পৃক্ততার কথা শোনা যায়, তাদের প্রত্যেকটির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ পৃষ্ঠপোষক প্রমাণিতভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

আন্তর্জাতিক এবং আভ্যন্তরীণ চাপে থাকা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে রাজনৈতিকভাবে রক্ষার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনগুলো বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করলেও, বাংলাদেশী সংগঠক ও পৃষ্ঠপোষক হিসেবে জামায়াত সে দায় থেকে পরিত্রাণ পেতে পারেনা। কোন যৌক্তিক কারণেই ব্রাদারহুড, আল-কায়েদা, টিটিপি, একিউআইএস বা আনসারুল্লাহর মত জঙ্গি সংগঠনগুলোর সাথে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে আলাদা করে দেখারও যৌক্তিক কোন সুযোগ নাই। শুধু যুদ্ধাপরাধী দল নয়; আন্তর্জাতিক জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক ও মদদদাতা হিসেবে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা ছাড়াও বিভিন্ন দলে ও সংগঠনে ঘাপটি মেরে থাকা জামায়াত-শিবিরের সদস্যদের খুঁজে বের করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের জন্য বিচারের সম্মুখীন করতে হবে। ভুলে গেলে চলবে না যে, জামায়াত বা হেফাজতের মত জঙ্গি- ও মৌলবাদকে ‘গুড মুডে’ রেখে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের রাজনীতি কখনোই স্থায়ীভাবে সুখকর হবেনা!

সাব্বির খান, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, কলাম লেখক ও সাংবাদিক। ইমেইল : [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ