আজ বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

Advertise

ফেসবুকে নারীর বিরুদ্ধে সাইবার যৌন সন্ত্রাস

মাসকাওয়াথ আহসান  

গত বাংলা নববর্ষের (১৪২২ বঙ্গাব্দ) দিনে ঢাকা ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে অসংখ্য নারী নিগ্রহের ঘটনার প্রায় একমাস অতিক্রান্ত। আজ পর্যন্ত এ নারী অবমাননার ঘটনার কোন সুরাহা হয়নি। সিসিটিভি ফুটেজে নারীকে রিক্সা থেকে নামিয়ে যেভাবে সংঘবদ্ধ নির্যাতন চালানো হয় তা ২০১৫ সালের পৃথিবীতে বিরল এক বিভীষিকাময় দৃশ্য। এখন দাবী করা হচ্ছে সিসিটিভি’র যে ফুটেজ তা থেকে অপরাধী চিহ্নিত করা সম্ভব হচ্ছে না। ব্যাস মিটে গেলো; ইতিহাসের একটি কালো ঘটনা ছাইচাপা পড়ে হারিয়ে গেলো বিস্মৃতির অতল জলধিগর্ভে।



হাজার হাজার মানুষের মধ্যে মাত্র ৩০-৪০ জনের একটি যৌন সন্ত্রাসী দল নারীর বিরুদ্ধে বর্বরতম অপরাধ করে পার পেয়ে গেলো পুলিশী তদন্তের দুর্বলতায়। অথচ এই পুলিশের নববর্ষের দিন সিসিটিভিতে যে কোন ঘটনার তাৎক্ষণিক দৃশ্য দেখে তা প্রতিরোধ করার কথা ছিলো। নববর্ষের উতসবে সিসিটিভি মনিটরিং-এ যে পুলিশ কর্মীরা নিয়োজিত ছিলেন; তারা তা মনিটর করেননি বলেই সিসিটিভি যে উদ্দেশ্যে স্থাপন করা হয়েছে ঐ ক্যাম্পাস এলাকায় তা সাধিত হলোনা। এরপর ফুটেজ দেখে তার কোয়ালিটি ভালো নয় বলে অপরাধী চিহ্নিত হলো না।



পৃথিবীর নানাদেশে সিসিটিভির ফুটেজ থেকে স্টিল ছবি ক্যাপচার করে; জাতীয় পরিচয় পত্রের ছবি আর্কাইভের ডেটার সঙ্গে মিলিয়ে অপরাধী চিহ্নিত করা হয়। এই যে নারী নিগ্রহ দমনে কতৃপক্ষের সীমাহীন ঔদাসীন্য এবং আইনশৃংখলা রক্ষা বাহিনীর অপরাধী ধরার চেষ্টা একমাসেও সফল না হওয়া; এটি নারী সমাজের মাঝে ভীতি প্রবেশ করিয়ে দিয়েছে; যাতে করে ভবিষ্যতে অসাম্প্রদায়িক জীবন উতসবে তারা যোগ দিতে না পারে; তারা ধীরে ধীরে অবরোধ বাসিনী হয়ে পড়ে।রাষ্ট্র ব্যবস্থার এই দুর্বলতার সুযোগে কট্টরপন্থী শফি মোল্লার ১৩ দফার স্বপ্নটি সবচেয়ে বড় সাফল্য পায়;যার প্রতিটি দফাই নারীকে ঘরে আটকে রেখে একটি কট্টর সমাজপ্রথা প্রচলনের দুরভিসন্ধি।



গত ১০ মে নববর্ষের নারী নিগ্রহের ঘটনা নিয়ে পুলিশী তদন্তে কোন ফল না আসা এবং এ ব্যাপারে রাষ্ট্রযন্ত্রের সীমাহীন ঔদাসীন্যের প্রতিবাদে ছাত্র ইউনিয়নের কর্মীরা একটি বিক্ষোভ করে। পুরুষকর্মীদের বেধড়ক পিটুনী-বুটের লাথি দিয়ে পুলিশ স্পষ্ট করে দেয়; নববর্ষের নারী নিগ্রহের ঘটনার বিচার চাইলে তা এভাবে দমন করা হবে। এই বিক্ষোভ চলা কালে ছাত্রইউনিয়নের এক নারী কর্মী পুলিশের একটি হামলা নিরোধ বান্ধব যানবাহনে ফুলের টব ছুড়ে মারলে পুলিশ তাকে লাথি দিয়ে, চুলের মুঠি ধরে পিটিয়ে আদিম এক দৃশ্যের অবতারণা করে।নববর্ষের অজানা অপরাধীদের হাতে নারী নিগ্রহের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে আরেকজন নারী চেনা অপরাধী একজন পুলিশের বর্বরতার শিকার হয়।



এই পুলিশী নারী নিগ্রহের বিরুদ্ধে সমাজ প্রতিবাদী হলে ক্ষমতাসীন দলের কিছু কর্মী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেটিকে জাস্টিফাই করতে থাকে। অর্থাৎ সামগ্রিকভাবে নারী নিগ্রহ; বিশ্ব মাতৃদিবসে দিনে দুপুরে পুলিশের হাতে নারী নির্যাতন; এসব কোন কিছুই স্পর্শ করেনা কিছু ক্ষমতাবর্তী দলীয় কর্মীকে। তাদের কাছে মা আগে নয়; দল আগে। অবশ্যই দলীয় শৃংখলার জন্য ও দলকে ভালোবেসে একজন মানুষ তার দলের প্রতি আনুগত্য ধরে রাখবে; কিন্তু তাই বলে নারী নিগ্রহের মতো একটি বিষয়; যা সমাজের বর্বরতার নিকৃষ্টতম উদাহরণ তার পক্ষে যারা সাফাই গাইবে; তাদের মানবিক আত্মপরিচয় সত্যিই প্রশ্নবিদ্ধ। এইখানে অপ্রয়োজনীয় দলীয় আনুগত্য দেখাতে গিয়ে একটি অসাম্প্রদায়িক দলের কিছু অতিউতসাহী কর্মী হাট-হাজারীর মৌলবাদী সমাজের বা যুদ্ধাপরাধীদের দল জামাতের নারীকে অবগুন্ঠিত করার যে চিরন্তন চাওয়া; তার সঙ্গে নিজেদের মনোজগতকে মিলিয়ে ফেলে। অর্থাৎ সমাজ ধীরে ধীরে নারী নিগ্রহের বিচারহীনতার অপসংস্কৃতির অন্ধকারে বিলীন হতে থাকে।



সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নারী সমাজ ও সাধারণ মানুষ এর প্রতিবাদ জানায়। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের প্রেস উইং-এর একজন কর্মকর্তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে, ‘দক্ষ দেখে পক্ষ নিন’ সূত্র লেখেন তিনি। অর্থাৎ একজন নারী নিঃগৃহীত হলে তার পক্ষ নেয়া যাবে না; পুলিশ দক্ষ বা শক্তিশালী তার পক্ষ নিতে হবে। সরকারী কর্মকর্তার লেখা প্রতিটি শব্দ এবং প্রতিটি বাক্য পলিটিক্যালি কারেক্ট হবার দাবী রাখে; এই বক্তব্যে ঐ কর্মকর্তা উনার বক্তব্যের মাঝ দিয়ে নারী নিগ্রহের এপোলজিস্ট হয়ে ওঠেন। কারণ তিনিও যে কোন বিষয় জাস্টিফাই করার চলতি ক্ষমতা স্রোতেই মনতরী বাইছেন।



আন্তর্জাতিক অনলাইন একটিভিজম প্রতিযোগিতা’২০১৪-র বিশ্বচ্যাম্পিয়ান ওয়েব ফোরাম উইমেন চ্যাপ্টারের প্রধান সুপ্রীতি ধর এই মানবতা বিবর্জিত স্ট্যাটাসের প্রতিবাদ জানান; এবং সমাজের অন্যদের মতো নারী নিগ্রহের ইস্যুকে ধামাচাপা না দিয়ে ছাত্র ইউনিয়ন যে বিক্ষোভ করেছে তার যৌক্তিকতা ও সততার জায়গাটি স্পষ্ট করেন। এবং ঐ কর্মকর্তার জেন্ডার ইনসেনসিটিভ ডিনাইয়াল এবং প্রকারান্তরে পুলিশী নারী নিগ্রহের পক্ষে 'দক্ষ দেখে পক্ষ নেবার' অনৈতিক ফেসবুক স্ট্যাটাসের সমালোচনা করে একটি স্ট্যাটাস লেখেন। সঙ্গে সঙ্গে ঐ কর্মকর্তার অনুসারীরা সুপ্রীতি ধরের পোস্টে ঝাঁপিয়ে পড়ে সাইবার বুলি করতে থাকে; হেফাজতের শফি মোল্লার অনুসারী আর এই পিএম অফিসের কর্মকর্তার অনুসারীদের প্রতিক্রিয়া যে একইরকম আদিম তা স্পষ্ট হয়ে পড়ে সেখানে।



সেখানে ইন্টারস্পিড বলে একটি সংস্থায় কর্মরত আহমেদ ‘রিমন’ নামে একজন অনুসারী সাইবার যৌন সন্ত্রাস চালায়। ‘অভি’ নামে আরেক অনুসারী এসে কেবল সাংবাদিক ও উইমেন চ্যাপ্টার প্রধান সুপ্রীতি ধরের প্রতি যৌনসন্ত্রাস চালিয়েই ক্ষান্ত হয় না; সুপ্রীতি ধরের ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া কন্যার সঙ্গে উচ্চারণ অযোগ্য শব্দাবলী ব্যবহার করে যৌন সন্ত্রাস চালায়। নববর্ষের নারী নিগ্রহে সিসিটিভি ফুটেজ অস্পষ্ট থাকায় নারী নিগ্রহের অপরাধীদের স্পষ্ট ছবি না পাওয়া গেলেও ঐ পিএম অফিসের কর্মকর্তার পক্ষে সাইবার যৌন সন্ত্রাস চালানো অপরাধীদের ছবি, পরিচয় এবং সাইবার বুলির দুষ্ট চক্রগত পরিচয় সবই উন্মুক্ত। কিন্তু বিচারের বাণী যেহেতু নীরবে নিভৃতে কাঁদে; ফেসবুকের একটি পোস্টে সুপ্রীতি ধর একজন নারী অধিকারের পক্ষে সক্রিয় কর্মী হিসেবে পিএম অফিসের কর্মকর্তার প্রতিক্রিয়াশীল বক্তব্যের সমালোচনা করে এমন গুরুতর অপরাধ করে ফেলেছেন যে ঐ কর্মকর্তার অনুসারীরা এসে নববর্ষের ভূমিবাস্তবতার নারী নিগ্রহের মতো আরেকটি সাইবার নারী নিগ্রহ ঘটায় পুরো নেটিজেন সমাজের সামনে। একজন মা ও মেয়েকে সাইবার যৌন সন্ত্রাস ও ক্ষমতাসীন দলের চাপ প্রয়োগ করে মানসিকভাবে হত্যা করা হয়।

আমাদের সমাজে শারীরিক হত্যাকান্ডকেই হত্যাকান্ড বলে মনে করা হয়; কিন্তু মানসিক হত্যাকান্ড যে একই রকম অপরাধ তা বোঝার ক্ষমতা অন্ধকার চিন্তার জগতে একেবারেই অনুপস্থিত। জাস্টিফিকেশান এবং ডিনাইয়াল; সেই সঙ্গে ক্ষমতার দম্ভ ক্ষমতাসীন দলের কিছু কর্মীর মধ্যে এতো প্রকট যে তা এক ধরণের মানসিক রোগের মড়কে পরিণত হয়েছে। ফলে মৌলবাদী উপ-মানব ও এই কথিত অসাম্প্রদায়িকতার স্লোগান দাপিয়ে বেড়ানো বিবেকহীন উপ-মানবের মনোজগত যেখানে একি; সেখানে একটি অশনি সংকেত স্পষ্ট হয়ে ওঠে; নারী নিগ্রহ ভূমি বাস্তবতা বা ভার্চুয়াল জগত যে কোন জায়গায় করে ইনডেমনিটি পাওয়া যায়। কোথাও কোন অনুতাপের চিহ্ন নেই। নববর্ষের নারী নিগ্রহ কোন ব্যাপার নয়;মাতৃদিবসে পুলিশী নারী নির্যাতন কোন ব্যাপার নয়, ফেসবুকে পিএম অফিসের কর্মকর্তার সামাজিক পুলিশী গ্যাং-টির সাইবার যৌন সন্ত্রাস কোন ব্যাপার নয়। কতিপয় সরকার দলীয় কর্মীর কাছে তাদের সেই পিএম অফিসের কর্মকর্তা ‘ভাইয়ার’ সমালোচনা করাই সবচেয়ে বড় অপরাধ। অর্থাৎ একটি কট্টর ও নিরংকুশ ক্ষমতার ঔদ্ধত্য এই পুরো ঘটনা প্রবাহে স্পষ্ট।

 

নববর্ষের নারী নিগ্রহের পর আমরা অনেকেই বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের উদ্ধৃতি ব্যবহার করে বলেছিলাম; ৩০-৪০ জন অমানুষের সক্রিয়তা নয়; হাজার হাজার মানুষের নিষ্ক্রিয়তাই দায়ী এই কালো ঘটনার জন্য। কেন ঐ হাজার হাজার মানুষ নিষ্ক্রিয় থাকতে বাধ্য হয়; তাও স্পষ্ট হয়েছে সুপ্রীতি ধর ও তার কন্যার ওপর সাইবার নিপীড়ন চালানোর ঘটনায়। ঐ পোস্টটিতে পিএম অফিসের কর্মকর্তার ভাবমূর্তির রক্ষক ও ভক্ত অনুসারীদের দোর্দন্ড কর্কশতা ও চোখ রাঙ্গানিতে অন্য কারো পক্ষে সেখানে প্রতিবাদ জানানোর পরিবেশ ছিলোনা; যে যাবে তাকেই যে নিগৃহীত হতে হবে।



এই সাইবার নারী নিগ্রহের প্রতিবাদ জানিয়ে ফেসবুকে আমি কিছু পোস্ট দেয়ার পর আবার শুরু হয় সাইবার পাবলিক লিঞ্চিং-এর অপচর্চা। এক্ষেত্রে একটি ফর্মূলা আমাদের গ্রামগুলোতে চর্চিত। গ্রামের ক্ষমতাধর কোন ব্যক্তির সমালোচনা করলে তাকে পিটুনি দেয়া হয়। এগ্রামে সুপ্রীতি ধরকে পিএম অফিসের ক্ষমতাধরের অনুসারীরা এসে অশ্লীল পাথর ছুড়লো; অশ্রাব্য দোররা মারলো;মানসিকভাবে তাকে হত্যা করেই এই সাইবার যৌন সন্ত্রাসী গ্যাং-টি সন্তুষ্ট নয়; সুপ্রীতির সঙ্গে ঘটে যাওয়া এই অন্যায়ের প্রতিবাদ জানালেই; যে প্রতিবাদ জানাবে তার সম্পর্কে আকাশ-কুসুম কল্পনার ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ফেঁদে তাকেও স্তব্ধ করে দিতে হবে যে! তাই এখন আমি যেহেতু পিএম অফিসের বড় ভাইয়া নই; আমাকে যা খুশী বলা যাবে; পিএম অফিসের বিরাট ব্যক্তিত্বের অনুসারী সাইবার ক্যাডারদের কাছে আমি কে; যেন ঢিল দিয়ে পেড়ে নেয়া যাবে।



একজন পেশাদার মিডিয়াকর্মী ও লেখক হিসেবে দুইদশকের আমার যে ক্যারিয়ার; সেখানে যে বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতীতী সেগুলো কিছুই নয়। ওয়ার্ক ভিসায় অতীতে যেমন জার্মানীতে মিডিয়ায় কাজ করেছি;বর্তমানে ওয়ার্ক ভিসায় পাকিস্তানে কাজ করছি। জার্মান বেতারে কাজ করার সময় জঙ্গীবাদ নিয়ে যে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা শুরু করেছিলাম তার ধারাবাহিকতায় জঙ্গীবাদের শেকড় খুঁজতে পাকিস্তানে জঙ্গীযুদ্ধ ক্ষেত্রে সাংবাদিকতা করছি; বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা পড়াচ্ছি, পাকিস্তানের সেরা রেডিও চ্যানেলে বাংলা সার্ভিস চালু করেছি;যেখানে নিরন্তর অসাম্প্রদায়িক সমাজ নির্মাণের সংলাপ হয় এবং এগুলো আর্কাইভড অনুষ্ঠান; যে কেউ শুনে নিতে পারে।



ইসাউথ-এশিয়া নামে একটি ওয়েব টিভি চালু করেছি; সেটিও দক্ষিণ এশিয়ার কট্টরপন্থার বিরুদ্ধে অসাম্প্রদায়িক চেতনার ব্যারিকেড নির্মাণের প্রচেষ্টায়। ইউটিউবে maskwaith লিখে সার্চ দিলেই এই কাজগুলো দেখা যায়। গত কয়েক বছর ধরে পাকিস্তান-আফঘানিস্তান পরিস্থিতি, জঙ্গীবাদ, দক্ষিণ এশিয়ায় এর বিস্তার এসব বিষয়ে নিরন্তর আলোচনায় যোগ দিয়েছি ভয়েস অফ এমেরিকা, একাত্তর টিভি, সময় টিভি এবং আরো কিছু গণমাধ্যমে। একাডেমিক সাফল্যে চ্যাঞ্চেলার পুরস্কার, জাতীয় টেলিভিশন বিতর্কে চ্যাম্পিয়ানশীপ, কনফ্লিক্ট রেজোলিউশানের নতুন আইডিয়া উপস্থাপনের অভিজ্ঞান হিসেবে কমনওয়েলথ ফেলোশীপ এওয়ার্ড অথবা লেখক হিসেবে ‘বিষণ্ণতার শহর’ থেকে শুরু করে ১১টিগ্রন্থ প্রকাশিত হবার পরেও; নিয়মিত নৈর্ব্যক্তিক বিশ্লেষণী কলাম লেখার পরেও; এ গ্রামে যার যা মুখে আসবে তা বলে দেয়া যাবে আমার সম্পর্কে। কারণ কেন আমি পিএম অফিসের বড় ভাইয়ার অনুসারীদের দ্বারা উইমেন চ্যাপ্টার প্রধান সুপ্রীতি ধরের ওপর সাইবার সন্ত্রাসের প্রতিবাদ জানালাম।



এই যেখানে অবস্থা; সেখানে হাজার হাজার মানুষ নারী নিগ্রহ দেখে পাশ কাটিয়ে তো যাবেই। নারীর অপরিবর্তনীয় নিয়তিই যেন নিঃগৃহীত হওয়া। আর তার পাশে দাঁড়িয়ে যে প্রতিবাদ জানাবে তাকেও নিঃগৃহীত হতে হবে এটাই এগ্রামের বিধান।মেনে চলতে পারলে থাকুন; নইলে পিএম অফিসের বড় ভাইয়ার জঙ্গী সমর্থকরা নিন্দার চাপাতিতে কোপাবে; সামনে পেলে গুম করে দেবে। নিউটনের তৃতীয় সূত্র অনুযায়ী প্রত্যেক ক্রিয়ার একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে। ফলে এই গ্রাম্য মাস্তানী চালিয়ে যাওয়া এতো সহজ হবে না। নারী সমাজ ঘুরে দাঁড়াবে ভূমি বাস্তবতা ও ভার্চুয়াল নিগ্রহের বিরুদ্ধে। বিবেকবান, সচেতন ও বোধ সম্পন্ন মানুষের ঐক্যটি ঘন হবে। ক্ষমতাসীন সরকারের সচেতন নেতা কর্মীরাও নিশ্চয়ই তাদের দলটিকে সেইসব রাহুমুক্ত করবে; যারা একি সাথে দেশপ্রেমের সার্টিফিকেট বিতরণ করে এবং সাইবার যৌন সন্ত্রাস ও কালোপেশী দেখিয়ে ‘সত্য’কে ছাইগাদার মাঝে আড়াল করতে চায়। কিন্তু সত্য যে অপরাজেয়; ছাইগাদার মাঝ থেকে ফিনিক্সপাখীর মত সে উড়বেই।

মাসকাওয়াথ আহসান, সাংবাদিক, সাংবাদিকতা শিক্ষক

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬২ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ১৯ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩০ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৮৯ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৫ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ