আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

ইতিবাচকতার জয় অবধারিত

এমদাদুল হক তুহিন  

এমন এক অস্থির সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি যেখানে ভালো মানুষগুলো ভালো নেই। সুস্থ চিন্তার মানুষগুলো, সমাজ ভাবনার মস্তিষ্কগুলো ও প্রতিবাদী শিরা-উপশিরাগুলো ধীরে ধীরে অকার্যকর হয়ে উঠছে। যেখানে বিপ্লব আসন্ন, সেখানে বিপ্লবীরাই দর্শনের চ্যুতি ঘটিয়ে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে।

বিপ্লবী বাম নেতারাও এখন ক্ষমতালোভী। লেনিন কিংবা চে যেমন কেবলই টিশার্টে শোভা পায়, ধর্মও এখন কেবলই ধর্মালয়ে। মসজিদের মুয়াজ্জিন ও মন্দিরের পুরোহিতের কাছেও ধর্মালয়গুলো যেমন নিরাপদ নয়, তেমনি রাষ্ট্রও নিরাপদ নয় রাষ্ট্রযন্ত্রের কাছে। যন্ত্রের প্রতিটি শাখা উপশাখায়, এমনকি ডালপালাতেও বিষাক্ত পরিবেশের নেতিবাচক প্রভাব ছুঁয়ে গেছে। নতুন শাখা-প্রশাখাকেও ছুঁয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ শুদ্ধভাবে বিশুদ্ধ বাতাসে নিঃশ্বাস নেয়ার সময় ক্রমেই শেষ হয়ে আসছে।

অস্থির এই সময়ের উৎকৃষ্ট উদাহরণ- বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজী তারিক সালমনের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনা। অস্থির সময়ের আরও একটি ঘটনা- শাহবাগে পুলিশের কাঁদানে গ্যাসের শেলের আঘাতে প্রায় অন্ধ হতে যাচ্ছে আমাদের ছোট ভাই সিদ্দিকুর রহমান!

দীর্ঘদিন ধরে এই রাষ্ট্রযন্ত্রে যেখানে পরীক্ষা পেছানোর জন্য আন্দোলন হয়েছে, সেখানে সিদ্দিকুরদের আন্দোলন ছিলো উল্টো। তারা আন্দোলন করেছে, পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার জন্যে। রুটিন চাইতে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলো শাহবাগে। চেয়েছিলো সেশন জটের কবল থেকে নিজেদের রক্ষা করতে। অথচ এই ৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এখন প্রায় আলো হারাতে বসেছে। অন্ধ হতে চলছে সিদ্দিকুর।

যদিও বলা হচ্ছে, উন্নত চিকিৎসায় এক চোখে আলো ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বশেষ ঘোষণা এসেছে, সরকারের পক্ষ থেকে তাকে বিদেশ পাঠানোর। তবে তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনাই বলে দেয় এখানে সত্যের পক্ষেও আন্দোলন চলবে না। হয়তো পরীক্ষা পেছানোর আন্দোলনই এখানে বৈধ!

লেখাপড়ার সূত্রে সরকারি তিতুমীর কলেজের প্রাক্তন ছাত্র আমি। সেসূত্রে বলতে পারি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সরকারি তিতুমীর কলেজ থেকে অনার্স মাস্টার্স শেষ করে বহু বন্ধুই এখন সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। কেউ কেউ গবেষক। আবার কেউবা ব্যাংকার। রাজনীতিতেও যুক্ত আছে অনেকেই। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে বলা যায়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেটের চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে একই কলেজের সার্টিফিকেটের মূল্য চাকুরীক্ষেত্রে খুব একটা বেশি মূল্যায়িত হবে বলে আমি মনে করিনা। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হওয়ায় ৭ কলেজের শেষবর্ষের শিক্ষার্থী ব্যতীত প্রায় সবাই আত্মতুষ্টিতে ভুগছে। আর শেষবর্ষে অধ্যয়নরতরা ভুগছে হতাশায়।

আমাদের সময়ে কিংবা তারও কিছু আগে যখন জগন্নাথ কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করা হয় তখন ঢাকা কলেজ, ইডেন ও তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করার দাবি জানিয়ে আসছিলাম। কিন্তু এই দাবির পক্ষে যথেষ্ট জনমত ছিলো না। সরকারের পক্ষ থেকেও অনাগ্রহ ছিলো। কারণ একটি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়কে উন্নীত করতে যথেষ্ট লোকবল, অর্থ, জায়গা ও সময়ের প্রয়োজন। সরকার সেই সময় না নিয়ে প্রায় আকস্মিকভাবেই ৭ কলেজকে ঢাবির অধীনে নেয়।

এদিকে জগন্নাথকে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করা হয়, অর্থাৎ সেই সময়কার শেষ বর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের বেশ বেগ পোহাতে হয়েছে। কোনরূপ প্রস্তুতি ছাড়া হঠাৎ একটি কলেজ যখন বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে যায়, তখন সেশন জটে পড়ে ছাত্র-ছাত্রীরা। জগন্নাথেও তাই হয়েছিলো। সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলসহ সকলের জন্য এটি একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে কাজ করার কথা। কিন্তু আকস্মিকভাবে ৭ টি কলেজকে ঢাবির অধীনস্থ করা হয়েছে ঠিকই, তবে কোন পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়া। বিশেষত যারা শেষবর্ষে আছে, তাদের একই সময়ের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠীরা মাস্টার্স শেষ করে প্রায়। অর্থাৎ একই সেশনের হয়েও তাদেরকে কেবল ঢাবির অধীনে নেয়ার সেশন জটে আটকে গেছে তারা। ফলে তারা দ্রুত লেখাপড়া শেষ করতে চাইবে এটাই নিয়ম। একই বর্ষের সহপাঠীর সঙ্গে শিক্ষা জীবন শেষ করতে চাইবে এটাই স্বাভাবিক।

তবে এই ছাত্র-ছাত্রীদের সময় বড্ড গুরুত্বপূর্ণ হলেও ঢাবি উপাচার্য আরেফিন স্যার ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হারুন স্যারের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। মূলত কলেজগুলো ঢাবির অধীনে চলে আসায় এখন তার দায়িত্ব জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়। অথচ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ছাত্র-ছাত্রীদের গুরুত্বপূর্ণ দলিলাদি পড়ে আছে বলে শোনা যাচ্ছে। ২ থেকে ৩ বছরের রেজাল্ট ও শেষ বর্ষের শিক্ষা নীতিমালাও নিয়ে অস্পষ্টতা রয়েছে। শুনতে পাচ্ছি, বহু কাগজ উধাও।ঢাবির উচিৎ ছিলো যেহেতু শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে, অল্পস্বল্প সময়ের মধ্যে একটা প্যাটার্ন তৈরি করা। কোনরকম একটা কারিকুলাম তৈরি করে পরীক্ষা শেষ করা। এবং তা যতো দ্রুত সম্ভব। কিন্তু ঢাবি প্রশাসন এ নিয়ে একটি কথাও বলেনি। এখনও তারা নিশ্চুপ! হয়তো অদ্ভুত অন্ধকারের এই সময়ে নিশ্চুপ থাকাই শ্রেয়।

আর শাহবাগে পুলিশের দ্বারা যে ঘটনাটি ঘটেছে এরজন্য একক দায়ভার পুলিশের নয়। যে কোন আন্দোলন থামাতেই পুলিশ তৎপর। সরকারের পক্ষ থেকেও সে ধরণের নির্দেশনাই রয়েছে। তবে সব আন্দোলনই যে সরকারের বিপক্ষের নয়, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নয়; তা বুঝতে অক্ষম এ দেশের পুলিশ। মূলত শিক্ষা, উপযুক্ত প্রশিক্ষণ, পরিবেশ ও উপর মহলের চাপের কারণে তারাও ততোটা সভ্য হয়ে উঠতে পারছে না। এই দায়ভারও রাষ্ট্রেরই। রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রতিটি শাখা-প্রশাখা যেখানে অবৈধ শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে অবৈধ অর্থ উপার্জন করছে, অর্থ পাচার করছে; সেখানে দিন দিন ধরে লালিত হচ্ছে নৈতিকতা বহির্ভূত মানসিকতা সেখানে এই মানসিকতা একদিনে পরিবর্তনের নয়। দীর্ঘদিনের চর্চার ব্যাপার। সৎ আন্দোলনের মাধ্যমে নিজের অধিকার আদায়ে তারা তাদের কষ্টের কথা জানাতে চেয়েছিলো দেশবাসীকে। তাই এই আন্দোলনকে উৎসাহিত করা উচিৎ ছিলো। তাদের দাবিগুলো মেনে নেয়া উচিৎ ছিলো। তাদের সঙ্গে শান্তভাবে কথা বলে বাসায় ফিরিয়ে দেয়া উচিৎ ছিলো। অথচ তা না করে তাদের সঙ্গে আচরণ করা হলো উগ্র। ছুড়ে মারা হলো কাঁদানে গ্যাসের শেল। সেই সঙ্গে মৃত্যু হল একটি স্বপ্নের।

অস্থির সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এই সময়ে দেশে অতি উৎসাহী বঙ্গবন্ধুপ্রেমী গজিয়ে উঠেছে। তাও নিজের স্বার্থে। পূর্বে হেরে যাওয়ার প্রতিশোধ নিতে। গাজী তারিক সালমনের সঙ্গে যা ঘটেছে এটি কোন এক ঘটনা নয়। এমন ঘটনা আরও ঘটছে। হয়তো ওইসব ইউএনওর বিরুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতির অভিযোগ তোলা হয়নি, মামলা হয়নি, নিশ্চয়ই অন্তরালে এরচেয়ে জঘন্য ঘটনাও ঘটছে। স্থানীয় এমপির কাছে উপজেলা পর্যায়ের প্রায় সব কর্মকর্তাই নস্যি। তাদেরকে হেনস্তা করা হয় নানাভাবে। কোন কোন ‘এটিও’ও এমপির সচিবকে স্যার বলে সম্বোধন করে বলে জানি। অবশ্য এরা আপোষে গিয়ে টাকা কামাচ্ছে। মালিক হচ্ছে অঢেল অর্থের। তবে যারা উল্টো চরিত্রের তারা হয়তো বাধ্য হয়েই চলে যাচ্ছে নিভৃতে। অন্ধকারের শক্তির সঙ্গে পেরে না উঠে সেও হয়তো অন্ধকারেই তলিয়ে যাচ্ছে। ডুবে যাচ্ছে।

তবে এই অন্ধকার সময়ে তারিক সালমনকে জিতিয়ে দিয়েছে ফেসবুক। তার নিত্যদিনের সততার চিত্রই উঠে এসেছে এই মাধ্যমটিতে। তিনি যে অসংখ্য বই কিনেছেন, কবিতা লিখেছেন, শিশুদের দিয়ে ছবি আঁকিয়েছেন, যে অঞ্চলে সাধারণত কোন কর্মকর্তা পা রাখেন না সে অঞ্চলে অনুষ্ঠান করেছেন, তিনি যে মননশীল; হয়তো নিজের অজান্তেই তিনি তা ফেসবুকে প্রকাশ করেছিলেন। শেয়ার করেছিলেন নিজের অনুভূতি। নিজস্ব সময়। আর তাই পরবর্তী সময়ে হয়ে উঠে তথ্য-উপাত্ত।

হৃদয়ে যার বঙ্গবন্ধু, অন্তরে যার সাহিত্য; তারা কখনওই হারে না। হারতে পারে না। এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর বিস্ময়, আওয়ামী লীগ থেকে ওই নেতাকে বহিষ্কার ও পরবর্তীতে মামলা প্রত্যাহারই তার জ্বলন্ত উদাহরণ। অপশক্তির ষড়যন্ত্রে মামলার মাধ্যমে ক্ষণিকের জন্য হেয় প্রতিপন্ন হয়ে তারিক সালমন দেশবাসীর যে ভালোবাসা পেয়েছে, আগামীর পথে হেঁটে যেতে এই শক্তি তাকে ভরসা যোগাবে। আগলে রাখবে। প্রকৃতপক্ষে এটিই তার ইতিবাচক কৃতকর্মের ফল। তবে যে অপমান তিনি হয়েছেন, ছোট্ট শিশু তরুণ ঈশান তার মাকে যে প্রশ্ন করেছে; স্মৃতিপটে এই দাগ থেকে যাবে বহুকাল।

একজন সৎ ও বঙ্গবন্ধুপ্রেমী কর্মকর্তাকে কেন পুলিশ ধরে নিয়ে যাবে? কেন এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে? হয়তো অস্থির এই সময়ে সততা প্রায় উচ্ছন্নে যাচ্ছে বলেই। নীতি নৈতিকতা প্রায় হারিয়ে যাওয়ার এই সময়ে আমাদের আরও মানবিক হওয়া উচিৎ। হৃদয় থেকে যুদ্ধটা চালিয়ে যাওয়া উচিৎ। ভালো মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিৎ। তাদেরকে শ্রদ্ধার সঙ্গে ভালোবাসা মিশ্রিত কণ্ঠে জানানো উচিৎ- সৎ মানুষের জীবনে অন্ধকার সময় আসে ঠিকই। তবে আলোতেই তারা উজ্জ্বল।

সবশেষে একটাই কথা, বৈরি পরিবেশেও সততা ও মানবতার জয় হবেই। ইতিবাচকতার জয় অবধারিত।

এমদাদুল হক তুহিন, ব্লগার, কবি ও সংবাদকর্মী। ইমেইল: [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ