আজ বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

খালেদা জিয়ার ‘লন্ডন ষড়যন্ত্র’ তত্ত্বের সত্য-মিথ্যা

জুয়েল রাজ  

বেগম খালেদা জিয়া লন্ডনে আছেন প্রায় তিন সপ্তাহ হতে চলছে। গত ১৫ জুলাই তিনি এসে লন্ডনে পৌঁছেছেন, এবং আগামী কোরবানির ঈদ পরিবার পরিজনের সাথেই কাটাবেন বলে প্রচার রয়েছে।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, খালেদা জিয়া লন্ডনে চিকিৎসা ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটানোর পাশাপাশি সংগঠন, আন্দোলন, আগামী সিটি ও জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নসহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় নিয়ে তারেক রহমান ও দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে ‘বিদেশি’-দের সঙ্গেও তার কথা বলার সম্ভাবনার বিষয়টিও কোনও কোনও গণমাধ্যমে এসেছে।

শুধু কি চিকিৎসা আর পরিবারকেই সময় দিচ্ছেন? দেশের একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের প্রধান তিনি। মাথার উপর ঝুলে আছে একাধিক মামলা। গণমাধ্যম ও আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা অনেকেই বলছেন, বেগম খালেদাজিয়া আর দেশে ফিরবেন না। আসলেই কি তাই?

আওয়ামী লীগ যখন নির্বাচনের ডামাডোল বাজাচ্ছে, সেই সময় দীর্ঘ দুইমাস বিএনপির মতো বৃহৎ একটি দলের প্রধান চিকিৎসা বা শুধু অবকাশ যাপনে দুইমাস নীরবে বসে থাকবেন। এই বিষয়টি বুঝতে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বা রকেট বিজ্ঞানী কোনটাই হওয়ার প্রয়োজন নেই। সাধারণ জ্ঞানই তা বুঝার জন্য যথেষ্ট। অবশ্যই তিনি অবকাশ যাপন করছেন না। চাইলেও রাজনীতির বাইরে তাঁর পক্ষে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করে তুলতে চাইছেন বেগম খালেদা জিয়া। আর তাইতো ব্রিটেন থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত নানা গুঞ্জন। সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য ছাড়াই নানা রকম সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে। অভিযোগ উঠছে নানা ষড়যন্ত্রের।

গত শুক্রবার নীরবতা ভেঙে প্রথম আলোচনায় আসেন বেগম জিয়া। লন্ডনের একটি শপিং মলে ছেলে তারেক রহমান ও পুত্রবধূ জোবায়দা রহমানকে নিয়ে শপিং করার একটি ছবি সংবাদ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যদিও সেই ছবি এবারের সফরের কী না সেটি নিয়েও প্রশ্ন করার অবকাশ আছে। একটি দলের প্রধান ব্যক্তি এতো গোপনীয়তা রাখার কারণ কি? সেই বিষয়টিও পরিষ্কার নয়।

যুক্তরাজ্য বিএনপি যদিও সংবাদ সম্মেলন করে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো সত্য কি সেটাও বিএনপির নেতারা সঠিকভাবে বলতে পারছেন না। বিএনপির পক্ষ থেকে প্রথমে বলা হয়েছিল বেগম জিয়া তারেক রহমানের বাসায় থাকবেন। কিন্তু পরে জানা গেল গেল তিনি তারেক রহমানের বাসায় না উঠে ভাড়া করা কটেজে উঠেছেন। আর মূলত এই কারণেই ষড়যন্ত্রের ডালপালাও বৃদ্ধি পেয়েছে। অত্যন্ত গোপনীয়ভাবেই বসবাস করছেন তিনি।

খালেদা জিয়া লন্ডনে আসার সময় একটি সেমিনারে যোগ দিতে লন্ডনে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, মিন্টুর ছেলে ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার। একই সময় লন্ডন আসেন সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা। লন্ডনে স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য আছেন শফিক রেহমান। একই সময়ে নিখোঁজ বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর স্ত্রীও লন্ডনে ছিলেন। যদিও লুনা এসেছিলেন ছেলের গ্রাজুয়েশন সিরোমনিতে যোগ দিতে। কিন্তু ষড়যন্ত্রের সম্ভাবনা কোনভাবেই উড়িয়ে দেয়ার সুযোগ নেই। প্রশ্ন হতে পারে পজিটিভ না নেগেটিভ!

অনেকেই পজিটিভভাবে বলছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে এটাই হতে পারে খালেদা জিয়ার শেষ লন্ডন সফর। তাই নির্বাচনের প্রস্তুতিসহ সার্বিক বিষয়ে এই সফরেই তারেক রহমানের সাথে আলোচনা চূড়ান্ত করতে চান বিএনপি প্রধান। এর মধ্যে আন্দোলন, জাতীয় নির্বাচন, স্থায়ী কমিটির শূন্য পদ পূরণ, জাতীয় নির্বাহী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পদে পদায়ন, গুরুত্বপূর্ণ জেলা কমিটি গঠনের ব্যাপারে তারেক রহমানের সাথে আলোচনা করবেন বেগম জিয়া। এ ছাড়া আগামী জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক মহলের চাওয়া-পাওয়া কি সেসব বিষয়েও আলোচনায় হবে। আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ে বিএনপির আরও কী করণীয় রয়েছে, তাও গুরুত্বের সাথে আলোচনায় আসবে। পাশাপাশি কবে নাগাদ আন্দোলনে নামা উচিত হবে তাও চূড়ান্ত হবে এই সফরে। যদি সেটা হয় তাহলে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য ভাল লক্ষণ। কারণ তারেক জিয়াকে বাদ দিয়ে বিএনপির কোন সিদ্ধান্ত খালেদা জিয়া অবশ্যই নেবেন না, এবং তার কোন সুযোগও নেই। কিন্তু এই বিষয়ে এ লুকোচুরির কী আছে সেই বিষয়টি বিএনপি বা বেগম জিয়ার পক্ষ থেকে পরিষ্কার করলেই ঝামেলা চুকে যায়। কিন্তু কেউই সে কাজটি করছেন না।

আর নেগেটিভ প্রচারণায় বলা হচ্ছে, বেগম খালেদা জিয়া সেন্ট্রাল লন্ডনের একটি হোটেলে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করছেন। বৈঠকে খালেদা জিয়ার সাথে ছিলেন তারেক রহমান, লন্ডনে পালিয়ে থাকা যুদ্ধাপরাধী চৌধুরী মঈনুদ্দিন ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসে যোগ দিয়েছেন আরেক যুদ্ধাপরাধী আশরাফুজ্জামান, এছাড়াও সাথে আছেন লন্ডনে জামায়াতে ইসলামীর কয়েকজন নেতা। বৈঠকে বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয় এবং বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার জন্য আইএসআই এর সাথে সমঝোতা করেন। বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন কেন্দ্র করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে এ বৈঠকে আইএসআই বাংলাদেশে তাদের এজেন্ট জঙ্গি সংগঠনগুলোকে আরও তৎপর করার প্রস্তাব দেয়। খালেদা জিয়া ও জামায়াত আইএসআইকে যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির প্রস্তাব দেন। বাংলাদেশে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আইএসআইকে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহারের পূর্ণ প্রতিশ্রুতি দেন বেগম খালেদা জিয়া। যদিও এর পক্ষে এখন পর্যন্ত কোন তথ্য প্রমাণ কেউ দিতে পেরেছেন বলা জানা যায় নি। মিটিংয়ের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হলেও সেই ছবিটি ফটোশপ কিনা এই বিতর্কে এর সত্য মিথ্যা আর যাচাই হয়নি।

দ্বিতীয় প্রচারণাটি উড়িয়ে দেয়ারও সুযোগ নেই, কারণ ইতোমধ্যে চৌধুরী মঈনুদ্দিনের নামে ইন্টারপোলে ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে। ব্রিটেনের সাথে বন্দি বিনিময় চুক্তি বাস্তবায়ন হলেই তাকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে বিচারের মুখোমুখি করতে পারবে আওয়ামী লীগ সরকার। চৌধুরী মঈনুদ্দিনকে কেন্দ্র করেই ব্রিটেনে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করেছে জামায়াতে ইসলামি। জামায়াতের আরেক নেতা ব্যারিস্টার রাজ্জাকও দীর্ঘদিন ধরে লন্ডনে অবস্থান করছেন। বিএনপির রহস্যপুরুষ হিসাবে খ্যাত মোসাদ্দেক আলী ফালুও দীর্ঘদিন ধরে লন্ডনে আছেন বলে জোর গুঞ্জন প্রচলিত।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রস্তুতি, এবং রাজনীতিতে বিএনপির বর্তমান কোণঠাসা অবস্থান, সর্বোপরি খালেদা জিয়ার এই নীরবতা ষড়যন্ত্র তন্ত্রের গুজবকে অনেকটাই বিশ্বাসযোগ্য করে তুলেছে। কারণ দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি যদি আবারও ক্ষমতার বাইরে থাকে, দলটির অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়বে। অন্যদিকে তারেক জিয়াও সারা জীবন দেশের বাইরে থাকতে চাইবেন না সেটাই স্বাভাবিক। লন্ডনে তারেক জিয়া দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর নেটওয়ার্ক তৈরি করেছেন। নিজেকে প্রস্তুত করেছেন। তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে না নিয়ে আওয়ামী লীগ যে ভুল করেছে সেটা হয়তো নীতি নির্ধারকগণ বুঝেন নি। যেহেতু স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় তারেক জিয়ার পক্ষে এখন দেশে ফেরা প্রায় অসম্ভব। একমাত্র বিএনপি ক্ষমতায় আসলেই সেটা সম্ভব। তাই বেগম জিয়া বা তারেক জিয়া বিকল্প স্বপ্ন দেখতেই পারেন।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক থেকে শুরু করে প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সিনিয়র নেতৃবৃন্দ খালেদা জিয়ার লন্ডন ষড়যন্ত্র তন্ত্র নিয়ে নানা রকম বক্তব্য দিচ্ছেন। এখন এই বক্তব্যগুলো কতটুকু রাজনৈতিক বক্তব্য আর কতোটুকু বাস্তব এ নিয়েও বিভ্রান্ত সাধারণ মানুষ।

যতদূর জানি হাইকমিশনের অধীনে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা বিদেশেও তাঁদের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। সেই হিসাবে, খালেদা জিয়া যদি ব্রিটেনে দেশদ্রোহিতামূলক কোন ষড়যন্ত্রে অংশ নিয়ে থাকেন, তাহলে রাজনৈতিক বক্তব্য না দিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা কেন নেয়া হচ্ছে না। বিএনপি অবশ্যই তাঁদের গোপনীয়তা রাখতে চাইবে, সেটাই স্বাভাবিক। কারণ ষড়যন্ত্র কেউ জানিয়ে করে না।

সাধারণ মানুষকে সত্য মিথ্যা জানানোর দায়িত্ব সরকারের।

জুয়েল রাজ, সম্পাদক, ব্রিকলেন; যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি, দৈনিক কালেরকন্ঠ

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ