০৯ ফেব্রুয়ারি , ২০১৫ ২৩:৪৯
বিএনপির নামে যেসব কর্মসূচি ঘোষণা করা হচ্ছে তাতে দেশনেত্রীর সমর্থন আছে কিনা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না’ এমন বক্তব্য দিয়ে বিবৃতি এসেছে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর অব. হাফিজ উদ্দীনের নামে।
সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৯ মিনিটে info@bnpbd.org মেইল অ্যাড্রেস থেকে সংবাদমাধ্যমের কাছে ওই মেইলটি আসে। সাধারণত বিএনপির অফিসিয়াল প্যাডে যে ইমেইল অ্যাড্রেস দেওয়া হয় সেটির সঙ্গে এই ইমেইল অ্যাড্রেসের মিল নেই।
মেজর হাফিজের নামে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, 'বিএনপি কোনও সহিংস কার্যকলাপের পক্ষে নয়। শহীদ জিয়ার ১৯ দফা কর্মসূচি বিএনপি মূলমন্ত্র। সেখানে সহিংসতার জায়গা নেই। কিছু নেতার কারণে দল জিয়াউর রহমানের আর্দশ থেকে বিচ্যুত হয়েছে। মনে রাখতে হবে 'ব্যক্তির চেয়ে দল বড়'-এ দর্শন থেকে আমরা দূরে সরে গিয়েছি। যার কারণে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। ক্ষমতায় থাকতে মানুষের ভাগ্য গড়ার পরিবর্তে নিজেদের আখের গড়েছি। এ অবস্থার অবশ্যই পরিবর্তন আনতে হবে। সংস্কারের মাধ্যমে দলের আগাছা নির্মূল না করা হলে আন্দোলনে সফলতা আসবে না।'
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, 'গুলশানের কার্যালয়ে বিএনপি নেতাদের কেউই খালেদা জিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। তার টেলিফোন, ফ্যাক্স, ইন্টারনেট – সবকিছু বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি এক মাস ধরে অবরুদ্ধ। তার সঙ্গে নেতা-কর্মীরা যোগাযোগ করতে পারছে না। এ অবস্থায় বিএনপির নামে যেসব কর্মসূচি ঘোষণা করা হচ্ছে, তাতে দেশনেত্রীর সমর্থন আছে কিনা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। দীর্ঘসময় অনিয়ন্ত্রিত ও সহিংস কর্মসূচির ফলে জনমনে যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে তা আমাদের অনুধাবন করা জরুরি। হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি আমরা দিতে চাই না। সংলাপই সংকট উত্তোরণে একমাত্র পথ। সরকারকে আলোচনায় বসতে হবে এবং সংলাপের উদ্যোগ নিতে হবে।
এতে আরও বলা হয় 'বিএনপির নামে যারা এসব করছে তাদের সাথে বিএনপির সম্পর্ক নেই। মুক্তিযোদ্ধাদের দল বিএনপি বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর রাজনীতি করতে পারে না। দেশবিরোধী কোনও অপশক্তি বিএনপির নামে নাশকতা চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে সচেতন হতে হবে। এদের দায় বিএনপি নিতে পারে না।
এদিকে বিএনপির মিডিয়া উইং এর সদস্য শায়রুল কবির খান বিবৃতিটি ভূয়া উল্লেখ্য করে বলেন , 'প্রথম কথা হচ্ছে গত রাত থেকে মেজর হাফিজ তার বনানী বাসায় নেই এবং ওই রাতেই তার বাসায় পুলিশি তল্লাশি হয়েছে। দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, তিনি জানিয়েছেন- তার বক্তব্য দেওয়ার প্রয়োজন হলে তিনি কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সহায়তায় বিবৃতি পাঠাবেন। তৃতীয় কথা হচ্ছে, এর আগে কয়েকবার মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সব সময় প্রকাশ্যেই কথা বলেন তিনি। এছাড়া যে ইমেইল থেকে বিবৃতি পাঠানো হয়েছে, এটি বিএনপির কোনও মেইল নয়।'
তবে মেইলে আসা বিবৃতিতে মেজর হাফিজের সাক্ষর রয়েছে । এর আগেও বিএনপি'র ডাকা হরতালের বিবৃতিতে দেখা গিয়েছিলো যুগ্ম মহাসচিব সালাউদ্দিন আহমদের সাক্ষর কেটে এনে বসানো হয়েছে । এই নিয়ে সিলেটটুডে২৪ডটকম সহ সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয় - ভূয়া বিবৃতিতে হরতাল: সালাহউদ্দিনের স্বাক্ষর জালিয়াতি!
সেই বিবৃতির মেইলও বিএনপির অফিসিয়াল মেইল থেকে আসেনি । কিন্তু সেই বিবৃতির বক্তব্য অনুযায়ী হরতাল কর্মসূচি চলছে ।
আপনার মন্তব্য