প্রধান সম্পাদক : কবির য়াহমদ
সহকারী সম্পাদক : নন্দলাল গোপ
৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
[email protected]
টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
© ২০১৪ - ২০২৪
২৯ ডিসেম্বর, ২০১৪ ২০:০১
পম্পা মণ্ডল
প্রেম মানেনি সীমান্তরেখা কিন্তু আটকে গেল কাঁটাতারের ফাঁকে। বাংলাদেশ-ভারত প্রেমিক-প্রেমিকার প্রেমের পরিণতি প্রেমিকা পম্পার কারাভোগ অতপর প্রেমিক ছাড়াই নিজ দেশে গমন।
ভারতের মেয়ে পম্পা মণ্ডল বিয়ে করেছিলেন বাংলাদেশের ছেলে আমজাদ আলীকে। কয়েক বছর প্রেম করার পর ১৪ মে নিজ গ্রামের পার্শ্ববর্তী হাঁটুপানির মাথাভাঙ্গা নদী পাড়ি দিয়ে পম্পা চলে আসেন আমজাদের কাছে। বিয়ে করে সংসারও শুরু করেন তারা। কিন্তু তাদের সংসারে দুর্যোগ নেমে আসতে সময় নিয়েছিল মাত্র ২৪ দিন।
বাড়ি
ছেড়ে পালানোর পর পম্পার বড় ভাই আমজাদের নামে অপহরণ মামলা করেন এবং কলকাতার একটি
মানবাধিকার সংগঠনকে বিষয়টি অবগত করেন। সেই মানবাধিকার সংগঠনটি সাহায্য নেয়
বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠনের।
বিনা পাসপোর্টে বাংলাদেশে প্রবেশের অপরাধে পম্পার হয় ১৫ দিনের জেল। কারাভোগের
পর বাইরে বের হওয়ার কথা থাকলেও পারেননি তিনি। প্রায় ছয় মাস কাটিয়ে দেন কারাগারে।
কারণ পম্পাকে ফেরত নিতে দরকার ছিল বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশের সম্মতি। কুষ্টিয়া জেলা
প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন সরকারি সফরে ভারতে গিয়ে পম্পাকে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারটি
চূড়ান্ত করেন।
অবশেষে পম্পাকে ফিরতে হয় ভারতে, স্বামী আমজাদকে ছাড়াই। পম্পা মণ্ডলকে
ভারতে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে ভারতীয় মানবাধিকার সংস্থা ‘সংলাপ’ ও বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড
অ্যান্ড সার্ভিস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) কাজ করেছে।
২৯ ডিসেম্বর সকালে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের
(বিজিবি) মাধ্যমে ভারতের সীমান্তরক্ষীদের (বিএসএফ) কাছে পম্পাকে হস্তান্তর করা হয়।
নিজ
দেশে ফেরার আগে পম্পা বলেন, 'ভারত আমার কাছে ভালো লাগে। তারপরও আমজাদকে ভালো লেগেছিল। বিয়েও হয়েছিল।
কিন্তু এখন ভাগ্যের লিখনে দেশে চলে যেতে হচ্ছে।'
আপনার মন্তব্য