নিউজ ডেস্ক

০২ ফেব্রুয়ারি , ২০১৫ ১৬:০৭

মনঃকষ্টে হাতে চুড়ি পরলেন ছাত্রদল নেতা!

নিজের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে সরকার পতন না হওয়ায় তীব্র মনঃকষ্টে অবশেষে হাতে চুড়িই পরেছেন ত্রিশাল জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল সভাপতি শাহ মোহাম্মদ শাহাবুল আলম।

নিজের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে সরকার পতন না হওয়ায় তীব্র মনঃকষ্টে অবশেষে হাতে চুড়িই পরেছেন ত্রিশাল জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল সভাপতি শাহ মোহাম্মদ শাহাবুল আলম।

রোববার (০১ ফেব্রয়ারি) রাতে নিজের ফেসবুক ওয়ালে হাতে চুড়ি পরা ছবি দিয়ে স্ট্যাটাসও লিখেছেন তিনি।

তাঁর স্ট্যাটাসের লিংক- দেখতে ক্লিক করুন

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ছাপিয়ে দলের ভেতরে-বাইরে সৃষ্টি হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। যদিও নিজের হাতে চুড়ি পরাকে সাময়িক হিসেবে দাবি করেছেন ছাত্রদল এ নেতা।গত ২১ জানুয়ারি জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের এক স্ট্যাটাসে বর্তমান সরকারকে আলটিমেটাম দিয়ে শাহাবুল আলম লেখেন, ‘৩১ জানুয়ারির মধ্যে হাসিনার পতন হবে। যদি পতন না হয় তবে মেয়েদের মত হাতে চুড়ি পরবো। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশ চলবে খালেদা জিয়ার নির্দেশে।মাইন্ড ইট।’

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল সভাপতির এমন স্ট্যাটাসে অনেকে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করে কমেন্টস করেন।

তবে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ তাকে শান্ত হওয়ার পরামর্শ দিয়ে লেখেন, ‘কুল ডাউন, ম্যান।’



নির্ধারিত সময়ে সরকার ক্ষমতা থেকে ছিটকে না পড়ায় কথা অনুযায়ী ১ ফেব্রুয়ারি থেকেই হাতে চুড়ি পরেন শাহাবুল।

এরপর আবার নিজের ফেসবুক ওয়ালে চুড়ি পরার ছবি সংবলিত স্ট্যাটাসে উল্টো হুমকি দিয়ে লিখেন, ‘যে যাই বলুন, দেশটা কিন্তু খালেদা জিয়ার নির্দেশেই চলছে। জানুয়ারির ২১ তারিখে বলেছিলাম, ৩১ তারিখের মধ্যে হাসিনার পতন না হলে হাতে চুড়ি পরবো, তাই চুড়ি পরলাম। কিন্তু বেশি দিন পরব না। কারণ কিছু দিনের মধ্যেই সরকারের পতন ঘটাবো আমরা।’

দলীয় সূত্র জানায়, ২০১১ সালের গোড়ার দিকে কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহবায়ক এবং ২০১৩ সালে সভাপতির দায়িত্ব পান শাহাবুল আলম।

২০১০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার সময় ছাত্রলীগের সঙ্গে ছাত্রদলের সংঘর্ষের ঘটনায় ওই বছরের ৯ ডিসেম্বর সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় সাময়িক বহিষ্কার হন হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের ২০০৭-০৮ শিক্ষাবর্ষের এই শিক্ষার্থী।

পরে ওই বছরেরই ১৭ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় তাকে দু’সিমেস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়।

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল লাগাতার ধর্মঘটের ডাক দিলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ২০১০ সালের ১৯ ডিসেম্বর স্থায়ীভাবে তাকে বহিষ্কার করে।

মুচলেকার বিনিময়ে ১৫ মাস পর ছাত্রত্ব ফিরে পান শাহাবুল। এরপর বিভিন্ন ঘটনায় ডজনখানেক মামলার আসামি হন।

২০১৩ ও ১৪ সালে বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা দুই মামলায় দু’দফা কারাবরণ করেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল সভাপতি। সঙ্গী হন তার বড় ভাই স্থানীয় বিএনপি নেতা ডা. মাহাবুল আলমও।

সর্বশেষ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির ঘটনায় গত ২০ জানুয়ারি ত্রিশাল থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে আরও একটি মামলার আসামি হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় এ ছাত্রদল সভাপতি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত