নিউজ ডেস্ক

০৩ ফেব্রুয়ারি , ২০১৫ ২০:৪২

এবার এক সপ্তাহ সময় চাইলেন ডিএমপি কমিশনারও

অবরোধের নামে নাশকতা শুরু হওয়ার পর সরকারের মন্ত্রীরা এক সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন কিন্তু নাশকতার প্রায় এক মাস সময় হয়ে যাওয়ার পরেও নাশকতা বন্ধ করতে পারেনি সরকার

পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এক সপ্তাহ সময় চাইলেন ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া। এর আগে এরকমই সময় চেয়েছিলেন সরকারের মন্ত্রীরা কিন্তু পরিস্থিতির উত্তরণ হয়নি।

বোমাবাজি-গাড়ি পুড়িয়ে হত্যার মধ্য দিয়ে অবরোধের মাস গড়ানোর দুদিন আগে মঙ্গলবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ডিএমপি কমিশনার পরিস্থিতি স্বাভাবিকে আরও এক সপ্তাহ সময় নিলেন।

অবরোধের নামে নাশকতা শুরু হওয়ার পর সরকারের মন্ত্রীরা এক সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন কিন্তু নাশকতার প্রায় এক মাস সময় হয়ে যাওয়ার পরেও নাশকতা বন্ধ করতে পারেনি সরকার। আর এবার এক সপ্তাহ সময় চাইলেন ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া।

আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন- রাজধানীর প্রত্যেকটি থানায় নাশকতাকারীদের অর্থ ও হুকুমদাতাদের তালিকা আছে। তাদের ধরতে অভিযান চলছে। এক সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

কমিশনারের এই বক্তব্যের দিন ঢাকার মালিবাগে একটি এবং গুলিস্থানে একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। এক ঘটনায় সর্বাধিক সাতজনের আগুনে পড়ে মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে, অবশ্য তা কুমিল্লায় মহাসড়কে।

ঢাকার পরিস্থিতি এখন ‘অনেকটাই স্বাভাবিক’ দাবি করে আছাদুজ্জামান বলেন- যাত্রীবেশে দুর্বৃত্তরা বাসে চড়ছে, বাস থেকে নামার সময় আগুন দিচ্ছে। তবে সেগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা।

রমনায় ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) এর নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন আছাদুজ্জামান।

পুলিশের চলমান অভিযানে নিরীহ মানুষকে আটক করার অভিযোগের জবাবে ডিএমপি কমিশনার জানা-ন- পুলিশ এই বিষয়ে অত্যন্ত সতর্ক রয়েছে। কোনো নিরীহ ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হয়, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও দেওয়া আছে। তারপরও কোনো নিরীহ মানুষকে আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ পেলে তা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।

উল্লেখ্য, ৫ জানুয়ারি বর্তমান সরকারের এক বছর পূর্তির দিনটিকে বিএনপিসহ বিশ দলীয় জোট ‘গণতন্ত্র হত্যা ও কালো দিবস’ আখ্যা দিয়ে কর্মসূচির ঘোষণা এবং সরকারের গণতন্ত্র রক্ষা দিবসের কর্মসূচির প্রেক্ষিতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। বেগম খালেদা জিয়া তাঁর গুলশান কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হন, এরপর অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তি দেওয়া হলেও সারাদেশে টানা অবরোধের ঘোষণা দেন বেগম খালেদা জিয়া।

এরপর থেকে অবরোধের নামে দেশব্যাপি নাশকতায় নামে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট। অবরোধের নামে নাশকতায় গত ২৯ দিনে সারাদেশে ৪৬জন লোক নিহত হন, ৮৮৬টি যানবাহনে আগুন দেওয়া ও ভাঙচুর চালানো হয়, অগ্নিদ্গগ্ধ হয়ে বার্ন ইউনিটে ভর্তি হন শতাধিক লোক এবং ১০ দফায় রেলে নাশকতা চালানো হয়।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত