নিজস্ব প্রতিবেদক

০৪ ফেব্রুয়ারি , ২০১৫ ২১:২৯

যাত্রী হয়রানি ঠেকাতে বিমানবন্দর ম্যাজিস্ট্রেটদের দুর্দান্ত উদ্যোগ

বোর্ডিং লাউঞ্জে ঢুকার আগে ফাইনাল নিরাপত্তা তল্লাশি..। মুন্সিগঞ্জের লৌহজং এর কানাডিয়ান এনআরবি জনাব ইব্রাহিম এর মানিব্যাগে ধরা পড়ে ৪৫০০ মার্কিন ডলার সমতুল্য কানাডিয়ান মুদ্রা। যায় কই?? বোর্ডিং লাউঞ্জে নিয়ে বলা হল, ট্রাভেল কৌটা অনুযায়ী ৩০০০ মার্কিন ডলারের বেশি নেয়া যাবেনা, এয়ারপোর্টে পরিচিত লোক থাকলে কারো কাছে অতিরিক্ত মুদ্রা রেখে যেতে হবে। ক্রাফটে উঠতে দেয়া হচ্ছিলনা তাঁকে।

আসলেই তো তাই! সামনে টানানো ট্রাভেল কৌটার হিসেব তো তাইইই বলে! কিন্তু অতিরিক্ত মুদ্রা নিতে এ মুহুর্তে কার সাধ্য যে ইমিগ্রেশন ক্রস করে বোর্ডিং লাউঞ্জে যাবে?? এদিকে অন্য যাত্রিদের বোর্ডিং প্রায় শেষ। নিরুপায় হয়ে ফোন করলেন চাচাতো শ্যালক জনাব আমিন (০১৬১৬৮৩৩৩৩৩) কে। আমিন ফোন করলেন আমাদেরকে। কী আর করা...

জনাব ইব্রাহিম কানাডিয়ান পাসপোর্টধারী। অথচ জানেন না, তাঁর কী অধিকার!! তাইতো ট্রাভেল কৌটার ভেতর ঢুকিয়ে আঁটকিয়ে দিল তাঁকে।  ১৭ জানুয়ারি দেশে এসেছিলেন ৫০০০ মার্কিন ডলার সমমূল্যের কানাডিয়ান মুদ্রা নিয়ে। ফিরে যাচ্ছিলেন অব্যায়িত ৪৫০০ মার্কিন ডলার সমমূল্যের মুদ্রা নিয়ে। এবং শেষ পর্যন্ত আইন অনুযায়ী তাইইই নিয়ে গেলেন...!!

ফরেইনার, এনআরবি এবং নন-এনআরবি প্রবাসি বাংলাদেশিদের জন্য ঐ ট্রাভেল কৌটা প্রযোজ্য নয়..ম্যান। এঁদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক সুনির্দিষ্ট গাইড লাইন দিয়েছে...। যেই পরিমাণ মুদ্রা নিয়ে দেশে এসেছেন অনধিক সেই পরিমাণ মুদ্রা পাসপোর্টে এনডোর্সম্যান্ট ছাড়াই নিয়ে যেতে পারবেন। শুধু দেখতে হবে... আসার সময় ৫০০০ মার্কিন ডলারের অতিরিক্ত হলে নির্ধারিত এফএমজে ফরমে ডিক্লেয়ার করেছিলেন কিনা। আপটু ৫০০০ মার্কিন ডলারের ক্ষেত্রে তো এরূপ ডিক্লেয়ারেশনের প্রশ্নই আসে না...

এটা "Magistrates, All Airports of Bangladesh Government" পেইজের একটা পোস্ট। একই সাথে আছে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসার মতো পরামর্শ- এভাবেই নিয়মিতভাবে সচেতনতা সৃষ্টি করে যাচ্ছে এ ফেসবুক পেইজ। 

এমন গল্প আর ভোগান্তির ইতিহাস হরহামেশাই! কিন্তু সময় পাল্টাচ্ছে এবার। বিমানবন্দরের ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্যোগে পরিচালিত ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে অভিযোগ পেয়ে সেখানকার কর্মরত ম্যাজিস্ট্রেটরা এগিয়ে আসছেন সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে।

ফেসবুকে  Magistrates, All Airports of Bangladesh Government পেইজের অভিযোগ ও পরামর্শের মাধ্যমে উন্মোচিত হচ্ছে সম্ভাবনা এক নতুন দুয়ার।

এদিকে গত ২৬ জানুয়ারি এ পেইজ থেকে জানানো হয়েছিল তারা আর কোন আপডেট দেবেন না, এরপর পুরো ফেসবুক জুড়ে উৎকণ্ঠার ঝড় বয়ে যায়। অনেকেই তাদের নিজস্ব স্ট্যাটাসে এই পেইজ চালু রাখার অনুরোধ জানান। আশার কথা আবারও এই ফেসবুক পেইজ সরব হয়ে উঠেছে। 

হয়রনি রোধে যেসব নম্বরগুলোতে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে- ০১৮৬৬৫৪৪৪৪৪, ০১৮৬৬৫৬৬৬৬৬, ০১৭৮৭৬৬১১৪৪ এবং ০১৭৮৭৬৬১১৬৬।  

আপনার মন্তব্য

আলোচিত