প্রধান সম্পাদক : কবির য়াহমদ
সহকারী সম্পাদক : নন্দলাল গোপ
৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
[email protected]
টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
© ২০১৪ - ২০২৪
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৪ ১৪:৫৫
আমেরিকার বিভিন্ন শহরেও এখন নারী-পুরুষ নির্বিশেষে উর্ধ্বাঙ্গ উন্মোচন বৈধ
‘যত দিন পুরুষদের খালি গায়ে ঘুরে বেড়ানোর উপর কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে না, মহিলাদেরও একই সাংবিধানিক অধিকার দিতে হবে। অন্যথায় পুরুষদেরও বুক ঢেকে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।’
রবিবার সপ্তম আন্তর্জাতিক ‘গো টপলেস ডে’-তে এমনই স্লোগান নিয়ে আমেরিকার রাস্তায় রাস্তায় মিছিল করেন অর্ধ্বনগ্ন নারী-পুরুষ। শরীরের উপরের অংশ অনাবৃত রেখে ম্যানহাটনের পথে হাঁটতে দেখা যায় অসংখ্য মহিলাকে। তাঁদের হাতে ছিল লিঙ্গ বৈষম্য বিরোধী পোস্টার ও ব্যানার। বিশ্বজুড়ে এদিন আয়োজন করা হয় অন্তত ৬০টি অভিনব প্রদর্শনী ও অনুষ্ঠান।
”গো টপলেস’ আন্দোলনের জন্ম হয়েছিল এই নিউ ইয়র্ক শহরেই। আমেরিকার অন্যান্য শহরেও এখন নারী-পুরুষ নির্বিশেষে উর্ধ্বাঙ্গ উন্মোচন বৈধ,’ জানিয়েছেন গো টপলেস প্রাইড।প্যারেডের অন্যতম প্রবক্তা র্যাচেল জেসি।
এদিন দুপুর ২টোয় কলম্বাস সার্কেল থেকে শুরু হয় পদযাত্রা। এরপর টাইমস স্কোয়্যার হয়ে ব্রায়ান্ট পার্কে তা পৌঁছয়। ব্রুকলিনের ‘বুবি ট্র্যাপ’ পানশালায় জমায়েতের শেষে এদিনের অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
জেসি জানান, ‘যে দিন নারীর বক্ষদেশ নিয়ে পুরুষের মনের কৌতুহল মিটবে, যে দিন এই দৃশ্য তাদের গা-সওয়া হয়ে যাবে, সেদিনই এই আন্দোলন সার্থকতা পাবে।’
‘গো টপলেস’ আন্দোলনের শরিক হলিউড অভিনেতা ব্রুস উইলিস ও ডেমি মুরের কন্যা স্কাউট উইলিস। ইতিমধ্যে তিনি কয়েকটি টপলেস শোয়ে অংশগ্রহণ করেছেন। নিউ ইয়র্ক শহরে উর্ধ্বাঙ্গ উন্মোচন করে দোকান-বাজার সারতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। লিঙ্গের সাম্যই এই আন্দোলনের প্রধান লক্ষ্য।
আপনার মন্তব্য