নিউজ ডেস্ক

০৯ ফেব্রুয়ারি , ২০১৫ ১৮:০৭

টিলাগড় ইকোপার্ক পরিনত হবে বিশ্বমানের এনিমেল পার্কে

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে নিয়ে আসা হবে সোয়া চারশ’ প্রাণী

সবুজে ঘেরা সিলেট নগরীর টিলাগড় ইকোপার্কের ছোট-বড় টিলাজুড়ে নির্মিত হচ্ছে বিশ্বমানের ‘এনিমেল পার্ক’। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের জন্য পার্কটিতে নিয়ে আসা হবে দেশী বিদেশী প্রায় সোয়া চারশত প্রাণী। যার মধ্যে আড়াইশত প্রাণীই থাকবে বিরল প্রজাতির। বন্যপ্রাণীদের চিকিৎসার জন্য এখানে নির্মাণ করা হবে আধুনিকমানের হাসপাতাল। প্রায় ৩০ একর জায়গাজুড়ে এই ‘এনিমেল পার্ক’ বাস্তবায়নে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সিলেট বনবিভাগ। প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকা। ইতোমধ্যে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে ৫টি প্যাকেজের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সোয়া ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে আরও ১০টি প্যাকেজের কাজ শিগগিরই শুরুর কথা রয়েছে। এ বছর আরও ৫ কোটি টাকার কাজ সম্পন্ন করে পার্কটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

সিলেট বিভাগীয় বন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে- সিলেট টিলাগড় ইকোপার্কে বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্র (এনিমেল পার্ক) স্থাপনের কাজ শুরু হয় গত বছরের মে মাসে। শুরুতে ৮ একর জায়গার উপর পার্কটির কার্যক্রম শুরু হলেও পরবর্তীতে তা ৩০ একরে সম্প্রসারিত হবে। ইতোমধ্যে এনিমেল পার্কের জন্য ময়ূর, জেব্রা, হরিণ, বনবিড়াল, বাঘ ও হাতির জন্য শেড, স্টাফ ব্যারাক, বণ্যপ্রাণীর খাদ্য গুদাম, ড্রেনেজ, বাউন্ডারি ওয়াল ও টিকেট কাউন্টার নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। গত বছর অভ্যন্তরিণ বিদ্যুৎ সংযোগ, পুকুর খনন ও বণ্যপ্রানীদের আরও বেশ কয়েকটি শেড নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া এ বছরের মধ্যে পার্কের অভ্যন্তরিণ কাজ ও হাসপাতাল নির্মাণ সম্পন্ন করে বণ্যপ্রাণী এনে পার্কটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন বনকর্মকর্তারা।

বন বিভাগ সূত্র আরও জানায়- টিলাগড় এনিমেল পার্কে ৪০ প্রজাতির সোয়া চারশত বণ্যপ্রাণী নিয়ে আসা হবে। এর মধ্যে থাকবে প্রায় দুইশত প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় জাতের প্রাণী। বিদেশের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা, অষ্ট্রেলিয়া, সৌদিআরব ও নেপালসহ আরও কয়েকটি দেশ থেকে বিরল জাতের বিভিন্ন প্রাণী নিয়ে আসা হবে এই পার্কে। এনিমেল পার্কে যেসব প্রাণী নিয়ে আসার কথা রয়েছে তার মধ্যে রয়েছে- সিংহ, বাঘ, জেব্রা, হনুমান, বেজি, বনরুই, বাঘডাস, বনবিড়াল, শিয়াল, খেকশিয়াল, গন্ডার, এশীয় হাতি, পরিযায়ী পাখি, জলজ পাখি, বনছাগল, বিভিন্ন প্রজাতির বানর, কালো ভাল্লুক, মিটা পানির কুমির, নীলগাই, জলহস্তি ইত্যাদি। 

সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, টিলাগড় ইকোপার্কে নির্মিতব্য এনিমেল পার্ক হবে বিশ্বমানের। এখানে বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ ছাড়াও বিশ্বমানের একটি হাসপাতাল হবে। এই হাসপাতালে চিকিৎসা, সেবাদানের পাশাপাশি বণ্যপ্রাণীদের নিয়ে গবেষণাও করা হবে। যা দেশের অন্য কোন চিড়িয়াখাানায় নেই। 

 

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত