সুনামগঞ্জের তাহিরপুর স্বামীর বন্ধুরুপী এক নারীখেকোর হাতে নির্যাতিত হয়ে  অপমাণ আর অভিমানে আত্মহত্যার করে মারা গেছেন এক গৃহবধু। ধর্ষণ ও আত্মহত্যার শিকার ঐ গৃহবধুর নাম সুমা বেগম (১৯)। সে উপজেলার শ্রীপুর উওর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী চাঁরাগাঁও শুল্ক ষ্টেশনের চারাগাঁও গ্রামের হ্যান্ডট্রলি চালক সবুজ মিয়ার স্ত্রী। নিজ বসতবাড়ি থেকে রবিবার রবিবার পুলিশ ওই গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছেন। বন্ধুরুপী নারীখেকো ধর্ষণকারীর নাম আফসর উদ্দিন । সে একই এলাকার শুকুর আলীর ছেলে।
ভিকটিমের পরিবারর ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, উপজেলার চারাগাঁও গ্রামের ট্রলি চালক সবুজের সাথে মাদকাসক্ত ও চোরাচালানী আফসর বেশ কিছুদিন ধরেই সখ্যতা গড়ে তোলে তার বাড়িতে আসা যাওয়া শুরু করে। শনিবার রাতে কোমল পানির সাথে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে সবুজকে ঘুমের ঘোরে অচেতন করে ফেলে গৃহবধু সুমাকে শ্লীলতাহানী ও  ধর্ষণ করে আফসর পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই গৃহবধু নির্যাতন সইতে না পেরে অপমানে নিজ বসত ঘরের তীরের সাথে গলায় উড়না পেছিয়ে আত্মহননের পথ বেঁচে নেয়। এ ঘটনার পর সকালে সুমার মৃত্যুর খবর শুনেই সবুজ এলাকা ছেড়ে আত্বগোপন চলে যায়। এমনকি সুমা ধর্ষণ ও আত্বহত্যার প্ররোচনার বিষয়টিকে ধামাচাঁপা দিতে ও অপমৃত্যুর ঘটনা বলে চালিয়ে দিতে সীমান্তের চিহ্নিত থানা পুলিশের দালাল, চাঁদাবাজ ও খেদমতদার জয়দর আলীর সহায়তার নানা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে বলে ভিকটিমের স্বজনদের পক্ষ্য থেকে অভিযোগ উঠেছে।
নিহত সুমা সিলেট কোতয়ারী থানার রায়নগর আবাসিক এলাকার জোবেদ আলীর কন্যা। মাত্র দেড় বছর আগে সবুজের সাথে সুমার বিয়ে হয়।
নিহত সুমার মা জহুরা বেগম বুখফাঁটা আর্তনাদ জানিয়ে  বলেন, আমার মেয়ের কোল জুড়ে সন্তান আসার আগেই আফসরের লালসার শিকার হয়ে মেয়ে আমার লজ্জায় ও অপমাণ সইতে না পেরে নিরবে প্রতিবাদ আর ঘৃণা জানিয়ে আমাদের ছেড়ে চলে গেছে , আমার মেয়েকে ধর্ষণ ও আত্বহত্যার প্ররোচনার বাধ্য করেছে আফসর আমি মা হয়ে আমার মেয়েকে আত্বহত্যা করতে বাধ্য করায় আফসরের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানাই।
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শহিদুল্লাহ জানান, প্রাথমিক ভাবে ঘটনাটিকে আত্বহত্যা হিসাবে অপমৃত্যু মামলা ডায়রীভুক্ত করেছি এরপরও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই নিশ্চিত হওয়া যাবে ধর্ষণ ও আত্মহত্যার প্ররোচনার বিষয়টি। তিনি আরো বলেন, আফসরকে যে কোন থানায় নিয়ে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।