প্রধান সম্পাদক : কবির য়াহমদ
সহকারী সম্পাদক : নন্দলাল গোপ
৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
[email protected]
টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
© ২০১৪ - ২০২৪
০৬ জানুয়ারি, ২০১৫ ২১:৩৬
হজ্বের পর মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মিয় সম্মিলন বিশ্ব ইজতেমাকে ‘পিকনিক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে আইনজীবি ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. তুহিন মালিক'র বিরুদ্ধে। ৫ জানুয়ারি একুশে টেলিভিশনে প্রচারিত এক টকশোতে তিনি এ মন্তব্য করেন বলে সরগরম সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুক।
অভিযোগ বিএনপিসহ বিশ দলীয় জোটের অবরোধ কর্মসূচি বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে স্থগিত হতে পারে এমন আশঙ্কায় তিনি আন্দোলন বন্ধ না করতে বিএনপির প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন- “বিশ্ব ইজতেমার জন্য আন্দোলন কর্মসূচী স্থগিত করা কোনো ক্রমেই ঠিক হবেনা। ফিরাউনকে ক্ষমতার মসনদে বসিয়ে তুরাগ পারে পিকনিক করলে ইসলামের দুই পয়সার উপকার হবেনা, বরং ফিরাউনের অবস্থান সুসংহত হবে, মসজিদ-মাদ্রাসা বন্ধ হবে, জিহাদী বইয়ের নামে ইসলামী সাহিত্য জব্দ করা হবে, আলেম ওলামাদের ফাঁসিতে ঝোলানো হবে। তাই ইজতিমার অজুহাতে আন্দোলন কোন ক্রমেই বন্ধ রাখা যাবেনা।”
৫ জানুয়ারি ঘিরে আওয়ামিলীগ-বিএনপির মুখোমুখি অবস্থানকে কেন্দ্র করে যখন রাজনীতির ময়দান উত্তপ্ত তখন তিনি এই মন্তব্য করেন বলে ফেসবুকে প্রচার হচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়া তাঁর গুলশানের কার্যালয়ে 'অবরুদ্ধ' থাকার পর দেশব্যাপি টানা অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা করেন। এই কর্মসূচি যাতে কোনভাবেই স্থগিত না হয় সে জন্যে বিএনপি-জামায়াতপন্থি এই আইনজীবি তাবলিগ ইজতেমা সম্পর্কে এই বিরূপ মন্তব্য করেন বলে জানাচ্ছেন অনেক এক্টিভিস্ট।
এদিকে আসন্ন বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে দেশ-বিদেশের মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার্থে তাবলিগ জামায়াতের এক প্রতিনিধি দল ৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বেগম খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করে অবরোধ কর্মসূচি স্থগিতের অনুরোধ জানান।
উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগে আওয়ামিলীগ দলীয় সংসদ সদস্য ও মন্ত্রি আবদুল লতিফ সিদ্দিকি হজ্ব ও তাবলিগ জামায়াত সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করার কারণে মন্ত্রিসভা থেকে বহিস্কৃত হন এবং দেশের বিভিন্ন জায়গায় দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে বর্তমানে তিনি জেলহাজতে আছেন।
সাবেক মন্ত্রি আবদুল লতিফ সিদ্দিকির বক্তব্যকে কেন্দ্র করে সারাদেশে ধর্মান্ধ গোষ্ঠী তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায় এবং বিভিন্ন সভা-সমাবেশে তাঁর শাস্তি দাবি করে। ড. তুহিন মালিকের বক্তব্যের পর এখন পর্যন্ত সারাদেশে কোন প্রতিক্রিয়া দেখা যায় নি এবং কেউ তাঁর বিরুদ্ধে কোন বক্তব্যও দিতে দেখা যায় নি। শুধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এই বক্তব্য নিয়ে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
আপনার মন্তব্য