নিউজ ডেস্ক

১১ জানুয়ারি, ২০১৫ ১৩:২৩

বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে ঢাকায় নাশকতার পরিকল্পনা

ইজতেমামূখি মুসল্লিদের কাফেলায় জামায়াত-শিবির সন্ত্রাসিরা। দ্বিতীয় পর্ব শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষায়

আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। তুরাগ তীরে লাখো মুসল্লির আল্লাহু আকবার ধ্বনিতে  মানুষজন ভুলেই ছিল অবরোধজনিত কষ্ট আর ভোগান্তি। মুসলিম উম্মাহর সুখ, সমৃদ্ধি ও মঙ্গল কামনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো এবারের পর্ব।



রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ বঙ্গভবনে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গুলশানে নিজের কার্যালয়ে টেলিভিশনের সামনে বসে সরাসরি সম্প্রচার দেখে মোনাজাতে অংশ নেন।



প্রথম পর্ব শেষ হলেও দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে ১৬ জানুয়ারি এবং আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে ১৮ জানুয়ারি। বরাবরের মতো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী থাকবে কঠোর নিরাপত্তা ও সতর্কতায়।



এদিকে দ্বিতীয় পর্বকে ঘিরে ঢাকায় ব্যাপক নাশকতার পরিকল্পনা করেছে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতৃত্বে বিশ দলীয় জোট। দলীয়ভাবে এবং মওদুদিবাদের অনুসারি হিসেবে জামায়াত-শিবির তাবলীগ জামায়াত এবং বিশ্ব ইজতেমার ঘোরবিরোধি হলেও সারা দেশ থেকে ইজতেমা উপলক্ষ্যে ব্যাপক লোক সমাগম ঘটাতে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই তারা দেশব্যাপি নেতাকর্মিদের নির্দেশ দিয়েছে ইজতেমা কাফেলার মাধ্যমে ঢাকার আশপাশে অবস্থান নিতে। দ্বিতীয় পর্ব শেষ হওয়ার সাথে সাথে তারা ঢাকায় ব্যাপক নাশকতার পরিকল্পনা নিয়েই এগুচ্ছে। যদিও বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণকারি মুসল্লিরা এ ধরণের নাশকতার ধারেকাছেও নেই, ক্ষমতার রাজনীতির প্রতিও নেই তেমন আগ্রহ বলে বিভিন্ন সময় জানিয়েছেন। 



জানা গেছে, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ঢাকাতে তারা কোন ধরণের শোডাউন এমনকি যে কোন কর্মসূচি পালন করতে পারেনি গত কয়েক বছরে। কর্মসূচি ঘোষণার সাথে সাথে সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সতর্কতায় কোনভাবেই ঢাকা ঢুকতে পারেনি জামায়াত-শিবিরসহ বিএনপি সন্ত্রাসিরা। বিশ্ব ইজতেমা তাদেরকে সুযোগ করে দিয়েছে পরিচয় গোপন করে ঢাকা প্রবেশের।



এক অনুসন্ধানে জানা যায়, বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষ্যে অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার না করলেও লাখো মুসল্লি জমায়েত হন টঙ্গীর তুরাগ তীরে। সাধারণ মুসল্লিদের সাথে জামায়াত-শিবির সন্ত্রাসিরা ইতোমধ্যেই ইজতেমাস্থল এবং আশপাশে এসে পৌঁছেছে এবং অপেক্ষায় আছে দ্বিতীয় পর্ব সমাপনের। দ্বিতীয় পর্বে আরও ব্যাপক লোক সমাগম করতে পারলে তারা মরণকামড় দিতে প্রস্তুত হয়ে আছে।



দলীয় নেতাদের যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে জুডিশিয়াল কিলিং করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে জামায়াতে ইসলামি, অন্যদিকে ক্ষমতায় যেতে মরিয়া বিএনপি চাচ্ছে যে কোন ভাবে সরকারের পতন। গত কয়েকটি রায়ের পর তারা নাশকতার চেষ্টা চালালেও সরকারদলীয় বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন ও পুলিশের কারণে ব্যাপক নাশকতা করতে পারেনি। উপরন্তু দীর্ঘদিন ধরে ঢাকাতে তাদের কোন ধরণের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় নি। বিশ্ব ইজতেমার উপলক্ষ তাদেরকে সুযোগ এনে দিয়েছে লোক সমাগমের মাধ্যমে ঢাকায় সহিংসতা চালানোর।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত