নিউজ ডেস্ক

১২ জানুয়ারি, ২০১৫ ২১:১৭

যুদ্ধাপরাধীদের রায় কার্যকর হবেই- প্রধানমন্ত্রী

আবারও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে রায় কার্যকরের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখা হাসিনা ।

আবারও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে রায় কার্যকরের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখা হাসিনা । তিনি বলেন, ' যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন ও রায় কার্যকর হবেই, কেউ ঠেকাতে পারবে না "

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিএনপি নেত্রী অবরোধের ডাক দিয়েছেন। কিন্তু কে মানে তার অবরোধ? তিনি জঙ্গিবাদের মদদ দিচ্ছেন। তিনি জঙ্গিদের নেত্রী। তিনি রাজনৈতিক দলের নেতা হতে পারেননি।’

সোমবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে এ কথা বলেন।

খালেদা জিয়াকে ‘সন্ত্রাস আর জঙ্গির নেত্রী’ আখ্যায়িত করে জনগণকে জঙ্গিবাদ আর সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, দেশের জনগণকে নিরাপত্তা দিতে যা যা করতে হয় তা সরকার করবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নিবন্ধিত দল হিসেবে জামায়াত ২০১৪ সালের নির্বাচনে আসতে না পারায় বিএনপি নেত্রীও নির্বাচনে আসতে চাননি। তাই তিনি নির্বাচনে অংশ নেননি।’

তিনি বলেন, ‘খালেদা জানেন তিনি দুর্নীতির রানী, জঙ্গিবাদের রানী, তার কথায় কেউ মাঠে নামবে না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রীয় সর্ম্পদ রক্ষার করার স্বার্থে যা যা করণীয় দরকার সরকার তা করবে। এতে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। কেউ রক্ষা পাবে না। খালেদা জিয়াকে বলবো মানুষের উপর বিরূপ অত্যাচার বন্ধ করুন। মানুষ নিরাপদে চলতে চায়, শান্তিতে থাকতে চায়। দেশের জনগণকে ক্ষ্যাপাবেন না। দেশের জনগণ ক্ষেপলে আপনার রক্ষা হবে না।’

খালেদা জিয়া অবরোধের নামে বোমা মেরে, গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করছেন অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের ভিতরে মনুষত্য নাই, থাকলে কেউ এভাবে মানুষ হত্যা করতে পারতেন না।’

ইজতেমাতেও অবরোধ প্রত্যাহার না করায় খালেদার জিয়ার সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খালদা জিয়া অবরোধ দিয়ে ইজতেমার মুসল্লিদের আটকে রাখতে পারে নাই। শান্তিপূর্ণভাবে ইজতেমার প্রথম পর্বের মুনাজাত শেষ হয়েছে। এ জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে আমি বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই।’ এসময় দলীয় নেতাকর্মীরা ইজতেমা নির্বিঘ্ন করতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে দাবি করে তাদেরও ধন্যবাদ দেন তিনি।

এর আগে সোমবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বেলা পৌনে ২টায় পবিত্র কোরআন, গীতা, বাইবেল ও ত্রিপিটক পাঠের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সমাবেশ।

প্রধানমন্ত্রী বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন। এসময় নেতাকর্মীরা তাকে স্লোগান ও করতালি দিয়ে স্বাগত জানায়। সমাবেশ সভাপতিত্ব করছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দ সাজেদা চৌধুরী। শেখ হাসিনা ছাড়াও দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের মধ্যে তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, মতিয়া চৌধুরী, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মাহবুব উল আলম হানিফ, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত