Sylhet Today 24 PRINT

দেশে সংখ্যলঘু স্বীকৃতি চান প্রবাসী হিন্দু কমিউনিটি নেতারা

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ১৫ জানুয়ারী, ২০২২

বাংলাদেশে চলমান সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধে আমেরিকায় বাংলাদেশ কনসুলেট অফিসের এম্বেসেডর শহীদুল ইসলামের সাথে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেছেন প্রবাসী হিন্দু কমিঊনিটির নেতারা।

১৪ জানুয়ারি সকালে এক ভার্চুয়াল আলোচনায় কমিউনিটি নেতারা বিভিন্ন দাবি দাওয়া তুলে ধরেন। এরমধ্যে রয়েছে- সংখ্যালঘু স্বীকৃতি, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা, মন্দির, মুর্তি ভাংচুরকারীদের শাস্তি ও ওয়াজের নামে সংখ্যালঘুরে হেয় করে বক্তব্য প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোরালো দাবী জানানো হয়।

আমেরিকার রাস্ট্রদুত শহীদুল ইসলাম হিন্দু নেতৃবৃন্দের সাথে আগামীদিনে সেমিনার করে এ বিষয়ে কমিঊনিটির সকল দল ও নেতাদের সাথে কাজ করতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

আলোচনায় বক্তব্য রাখেন মহুয়া দত্ত, দিলীপ নাথ, বিদ্যুৎ সরকার, দ্বীজেন ভট্টাচার্য, প্রবীর রায়, শীতাংশু গুহ, ভজন সরকার, জগদীন্দ্র চৌধুরী শিবু, শুভ রায়, ভবতোষ মিত্র, প্রানেশ হালদার প্রিয়তোষ দে, নিত্যানন্দ দাস, নবেন্দু দত্ত, রুপ কুমার ভৌমিক।

মেজর জেনারেল (অব.) সি আর দত্ত বীর ঊত্তমের মেয়ে মহুয়া দত্ত বাংলাদেশ হিন্দু মন্দিরের পক্ষ থেকে বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা বিগত ৫০ বছর ধরে নির্যাতিত হচ্ছে, সংখ্যালঘু নির্যাতন ঊত্তোরত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি বলেন, তার পিতা জেনারেল দত্ত বাংলাদেশে রাস্ট্রধর্ম  আনার জন্য যুদ্ধ করেননি। সংখ্যালঘু জনগন অনিশ্চয়তার কারনে বাধ্য হয়ে দেশ ত্যাগ করছেন।

দ্বীজেন ভট্টাচার্য বলেন, সংখ্যালঘুরা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেয়ে ২৩% থেকে ৮.৫% হয়েছে এ কারনে সংখ্যালঘু স্বীকৃতি ও জাতীয় সংসদে আলাদা আসন চাই।

এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের হিন্দু এমপি, মন্ত্রী, আমলা কেউ হিন্দুদের এলাকায় পরিদর্শনে গিয়ে কথা বলেননি।অথচ ভিন্ন দেশের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা শরনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার জাতিসংঘের সাথে কাজ করছে।

নেতারা ঊল্লেখ করেন একজন মুসলিম কোন অমুসলিমদেশে সংখ্যালঘু হতে পারলে কেন একজন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান বাংলাদেশে সংখ্যালঘু স্বীকৃতি পাবে না?

ঊল্লেখ্য দীলিপ নাথের প্রচেস্টায় যুক্তরাস্ট্রে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে আলোচনা ও সমস্যা সমাধানের জন্য যুক্তরাস্ট্রের নিযুক্ত রাস্ট্রদুত সংখ্যালঘু নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে যুক্তরাস্ট্রে নিযুক্ত রাস্ট্রদুত স্বীকার করে  বলেন, তিনি সংখ্যালঘু নির্যাতনের কারনে বিদেশী মিশনের কাছে অস্বস্থি অনুভব করেন। বিষয়টির জন্য বিদেশী মিশনে যখন তলব করা হয় তখন তিনি অস্বস্হিকর পরিস্তিতির মধ্যে পরে যান। তিনি আগামী দিনে সেমিনার করে সংখ্যালঘুদের দাবি সরকারের কাছে বিবেচনার জন্য পাঠাবেন বলেও আশ্বাস দেন।

তিনি আরো বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে যারা এরেস্ট হয়েছে তাদের ১৭ জনকে ইতিমধ্যেই ছেড়ে দেয়া হয়েছে।যারা এখনো আটক আছে তারা শুনানিতে হাজির হলে স্ব স্ব কোর্ট থেকে জামিন দেয়ার জন্য সরকারী নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.