জুয়েল রাজ, লন্ডন | ২৪ মে, ২০২৩
প্রতীকী ছবি
যুক্তরাজ্য বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রতি কঠোর নিয়ম চালু করতে যাচ্ছে। এই নতুন অভিবাসন নীতিতে বিদেশি স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ছাত্রদের প্রতি পরিবারের সদস্য যাদের (ডিপেন্ডেন্ট) বলা হয়, তাদের জন্যে সীমিত হয়ে পড়ছে সুযোগ।
নতুন অভিবাসন নিষেধাজ্ঞা আসলে কোন বিদেশি শিক্ষার্থী আর স্ত্রী বা সন্তানদের নিয়ে আসতে পারবেন না।
অভিবাসনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়াতে সরকার এই কড়াকড়ি আরোপ করতে যাচ্ছে।
আনুষ্ঠানিক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, এ বছর বৈধ অভিবাসন রেকর্ড ৭ লাখের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। গত বছর ১ লাখ ৩৫ হাজার ৭৮৮টি ভিসা দেওয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্যদের। যা ২০১৯ সালের সংখ্যায় প্রায় ৯ গুণ।
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলছেন, এই পদক্ষেপের কারণে অভিবাসন কমাতে সাহায্য করবে।
অভিবাসন নীতি সবসময়ই যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে একটি উল্লেখযোগ্য বিষয়। সরকারি দল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল নেট মাইগ্রেশন প্রতিবছর ১ লাখের নিচে রাখবে। কিন্তু বারবার ব্যর্থ হওয়াতে ২০১৯ সালে সেই লক্ষ্যমাত্রা তারা বাতিল করে দেয়।
শুধুমাত্র গত বছরই (ডিপেন্ডেন্ট) নির্ভরশীলদের ১ লাখ ৩৫ হাজার ৭৮৮ জনকে ভিসা দিয়েছে দেশটি।
দেশটির স্বরাষ্ট্র সচিব সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান বলেছেন, আমরা যে অভিবাসন কমানোর কথা বলছি, শিক্ষার্থীদের নির্ভরশীলদের কঠোর করে সেই সংখ্যা আমরা কমাতে পারি। তাই এই নিয়মে কড়াকড়ি আরোপের সময় এসেছে। তবে গবেষণা পর্যায়ে (পিএইচডি) আবার এই নিয়ম কার্যকর হবে না। উচ্চশিক্ষার পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা প্রচলিত নিয়মেই তাদের স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে আসতে পারবেন।
অন্যদিকে, শিক্ষা সচিব গিলিয়ান কিগানসহ কিছু মন্ত্রী যুক্তি দিয়েছিলেন যে তারা দীর্ঘদিন যুক্তরাজ্যে বসবাসের কারণে অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারবেন। আবার ইউনিভার্সিটিজ ইউকে (ইউইউকে) ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য ছাতা গ্রুপ, তারা এই নতুন নিয়মকে স্বাগত জানিয়েছে। তাদের বক্তব্য হচ্ছে, নির্ভরশীলতার সংখ্যা বাড়লে পারিবারিক বাসস্থান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করবে।
ইউইউকের পরিচালক জেমি অ্যারো স্মিথ এই পদক্ষেপকে যুক্তিযুক্ত বলছেন।
এদিকে, নতুন নীতিতে বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ ইউনিয়ন এর প্রতিবাদ জানিয়েছে। এটিকে বৈষম্যমূলক বলে অভিহিত করছে। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক জো গ্র্যাডি বলেন, যে সব বিদেশি শিক্ষার্থীর পরিবার আমাদের দেশে আসে তারা আমাদের সমাজের জন্য বিশাল মূল্য নিয়ে আসে, পড়াশোনার সময় তাদের প্রিয়জনের পাশে রাখার অধিকার তাদের রয়েছে।