Sylhet Today 24 PRINT

স্পেনে প্রবাসীদের ঈদ উদযাপন

সাহাদুল সুহেদ, স্পেন |  ২১ আগস্ট, ২০১৮

আনন্দ উৎসব আর ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতো স্পেনেও ঈদ উল আযহা উদযাপন হয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার স্পেনে বসবাসরত মুসলমান প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাদের প্রধান এ ধর্মীয় উৎসব ঈদ উল আযহা উদযাপন করে।

রাজধানী শহর মাদ্রিদ, পর্যটন নগরী বার্সেলোনাসহ স্পেনের বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিরা ঈদের নামাজ আদায় শেষে একে অপরের বাসায় গিয়ে ঈদের কুশলাদি বিনিময় করেন।
 
স্পেনের সবচেয়ে বড় মসজিদ ভেনতাস ইসলামিক সেন্টার মসজিদে সকাল ৮টায় ঈদের বৃহত্তম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। স্পেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হাসান মাহমুদ খন্দকার, কমার্শিয়াল কাউন্সিলর মোহাম্মদ নাভিদ শাফিউল্লাহ, প্রথম সচিব (শ্রম) শরিফুল ইসলাম এ জামাতে নামাজ আদায় করেন।

মাদ্রিদে বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা লাভাপিয়েসের পাশে কাসিনো পার্কের খোলা ময়দানে সকাল ৮টা ও ৯টায় ঈদের দুইটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। বায়তুল মুকাররম বাংলাদেশ মসজিদ পরিচালনা কমিটির আয়োজনে এ ঈদের নামাজের আয়োজন করা হয়। জামাত দু‘টিতে বাংলাদেশের পাশাপাশি পাকিস্তান, মরক্কো, সেনেগাল, আফগানিস্তানসহ বেশ কিছু দেশের প্রায় ৫ হাজার অভিবাসী মুসল্লী অংশগ্রহণ করেন। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি মহিলারাও ঈদের নামাজ পড়েন। নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাতে মুসলিম উম্মাহ’র সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়। কাসিনো পার্কে ঈদের প্রথম জামাতে নামাজ আদায় করেন স্পেনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের দূতালয় প্রধান এম হারুণ আল রাশিদ।  

পর্যটন নগরী বার্সেলোনায় বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা রাভালে শাহ জালাল জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত ঈদের ৩টি জামাতেই ছিল প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপচে পড়া ভিড়। ঈদের নামাজের দু‘টি জামাত (সকাল  সাড়ে ৭টা ও সকাল ৯টা) মসজিদে এবং একটি জামাত (সকাল ৮টা ) মসজিদ সংলগ্ন খালি ময়দানে আয়োজন করে মসজিদ পরিচালনা কমিটি।

এছাড়াও লতিফিয়া ফুলতলী জামে মসজিদে সকাল ৭টা ৪০ মিনিট, ৮টা ২০ মিনিট ও ৯টায় ঈদের নামাজের ৩টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি প্রথমবারের মতো মাকবা স্কয়ারে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের একটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

নামাজ শেষে বাংলাদেশিরা একে অপরের সাথে ঈদের কোলাকুলি ও কোশলাদি বিনিময় করেন। তবে স্পেনে ঈদের দিন সরকারী ছুটি না থাকায় নামাজ আদায় করে অনেককেই কাজে ছুটতে দেখা গেছে। স্পেনে গ্রীষ্মকালীন স্কুল, কলেজ ছুটি থাকায় শিশু কিশোরদের মাঝে বাড়তি আনন্দ বিরাজ করে।  

স্পেনে প্রকাশ্যে কোরবানি দেয়ার সুযোগ না  থাকলেও স্থানীয় বাংলাদেশি মালিকানাধীন গ্রোসারী দোকানগুলোতে কোরবাণীর জন্য খাসির অর্ডার নেয়া হয়েছিল। নামাজ শেষে গ্রোসারী দোকানের মালিকরা মাংস সরবরাহকারী আরবী কোম্পানি থেকে খাসি এনে গ্রাহকদের কাছে হস্তান্তর করেন।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.