Sylhet Today 24 PRINT

ওয়াশিংটনে পিঠা উৎসব সম্পন্ন

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ২১ জানুয়ারী, ২০১৯

প্রবাস-প্রজন্মে বাঙালির ইতিহাস-ঐতিহ্য ধরে রাখতে শতাধিক রকমের পিঠা নিয়ে বর্ণালী এক পিঠা উৎসব সম্পন্ন হলো ওয়াশিংটনের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ফ্রেন্ডস এন্ড ফ্যামিলির উদ্যোগে।

হাড় কাঁপানো শীত উপেক্ষা করে স্থানীয় সময় শনিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে ভার্জিনিয়ার লরেলহীল এলিমেন্টারী স্কুল অডিটোরিয়ামে এ উৎসবে প্রবাসী নারী-পুরুষের সমাগম ঘটে প্রাণের সাথে প্রাণ মিলিয়ে।

ওয়াশিংটনের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ফ্রেন্ডস এন্ড ফ্যামিলির উদ্যোগে আয়োজিত এ পিঠা উৎসবকে আরো মনোমুগ্ধকর করে তোলেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় শিল্পী হৃদয় খান ও বাউল শিল্পী সায়েরা রেজার জমজমাট পরিবেশনা।

শনিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকাল পাঁচটায় অনুষ্ঠানের উপস্থাপক শতরূপা বড়ুয়া ও শিব্বীর আহমেদের উপস্থাপনার মধ্যে দিয়ে শুরু হয় পিঠা উৎসবের অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের শুরুতেই শিল্পী রাতিব রহমান বাংলাদেশ ও আমেরিকার জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন। এ সময় উপস্থিত দর্শকবৃন্দ দাঁড়িয়ে জাতীয় সঙ্গীতের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর মঞ্চে দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।

নাছের চৌধুরীর পরিচালনায় স্থানীয় শিল্পী শেখ মাওলা মিলন, আরিফুর রহমান স্বপন, আসমা আহমেদ, শিখা আহমেদ, ক্লেমন্ট গোমেজ, ফাহমিদা শম্পা, রুমানা চৌধুরী সুমি সহ অন্যান্যরা দলীয় সঙ্গীতে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় তবলায় ছিলেন আশিস বড়ুয়া এবং বাঁশীতে সুর তোলেন মোহাম্মদ মাজেদ।

দলীয় সঙ্গীতের পরপরই শুরু হয় একক সঙ্গীত পরিবেশনা। এই পর্বে একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন বৃহত্তর ওয়াশিংটনের জনপ্রিয় শিল্পী উৎপল বড়–য়া, ক্লেমন্ট গোমেজ, রুমানা চৌধুরী সুমি, কালাচাঁদ সরকার, ও সীমা খান। নৃত্য পরিবেশনায় একক নৃত্য পরিবেশন করেন রোকেয়া হাসি। মাটির টানে শিরোনামে পরমা স্যানালের পরিচালনায় দলীয় পরিবেশনা করে তা-থৈ শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পীবৃন্দ।

এছাড়া বর্ণমালা শিক্ষাঙ্গনের শিল্পীরা পরিবেশন করে দলীয় নৃত্য। চোখের আলোয় শিরোনামে ওয়াশিংটনের সাংস্কৃতিক সংগঠন হৃদয়হীনা পরিবেশন করে গীত নৃত্য নাটিকা। এই পর্বে অংশগ্রহণ করে রুমা ভৌমিক, সোমা বোস, প্রিয়াঙ্কা বোস, মিজানুর রহমান ও মোহাম্মদ মাজেদ। এছাড়াও দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে মরিয়াম, আকিব, ইশাত, রাতিব, পারিসা সহ অন্যান্যরা।

সন্ধ্যা সাতটার সময় শেখ মাওলা মিলনের পরিচালনায় শুরু হয় পিঠা প্রতিযোগিতার বিচারকার্য। এই পর্বে বিচারক হিসাবে অংশগ্রহণ করেন ওয়াহিদ হোসাইনী, শামীম চৌধুরী, মাসুদ আহমেদ, ও মিসেস আনিস খান।

অনুষ্ঠানে রকমারি পিঠাঘর, ঝালটক মিষ্টি পিঠাঘর, লীজবার্গ পিঠাঘর, সাতক্ষীরা পিঠাঘর, সখী পিঠাঘর, নোয়াখালী পিঠাঘর, নীলাচল পিঠাঘর, ঢাকা পিঠাঘর, রংধনু পিঠাঘর, ও বর্ণমালা পিঠাঘর সহ মোট দশটি পিঠা স্টল অংশগ্রহণ করে।

পিঠা প্রতিযোগিতা সর্বোচ্চ ১৬০ নাম্বার পেয়ে প্রথমস্থান অর্জন করে বর্ণমালা পিঠাঘর। বর্ণমালা পিঠাঘর সর্বোচ্চ ৩৬ রকমের সুস্বাদু পিঠা বানিয়ে প্রথমস্থান অধিকার করে জিতে নেয় স্বর্ণের চেইন। সখী পিঠাঘর দ্বিতীয় হয়ে আইপ্যাড এবং রকমারি পিঠাঘর তৃতীয় হয়ে ল্যাপটপ জিতে নেন।

পিঠা উৎসবের বিভিন্ন স্টলে শোভা পাচ্ছিল শাড়ি, চুড়ি, নানা গহনা, ফতুয়া, পায়জামা, পাঞ্জাবি, সালোয়ার কামিজ সহ নানা খেলনা। পিঠার স্টলগুলোতে ছিল বাংলার ঐতিহ্যবাহী নানা প্রকারের নানা স্বাদের পিঠার সমাহার।

পিঠগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পাটিসাপটা, ভাপাপিঠা এলোগুলো, বুলশা, বিবিখানা, তেলের পিঠা, চিতই পিঠা, চানার সন্দেশ, গজগজা, পাকুনপিঠা, মাংসেরপিঠা, নারিকেল পুলি ও পিঠা, নিমকি, চুপিতা পিঠা, ঝালপিঠা, সাবুদানার পিঠা, ডালপুরি , ডালপাকন, পানতুয়া সহ প্রায় পঞ্চাশ রকমরে পিঠা।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে ওয়াশিংটন বিসিসিডিআই বাংলা স্কুলের কর্মকর্তা ও অভিভাবকবৃন্দ সুস্বাদু বিরিয়ানি সহ অন্যান্য খাদ্যসামগ্রীর স্টল নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে দশটি পিঠা স্টল সহ প্রায় চল্লিশটি স্টলের পশরা বসে। সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত স্টলগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় ছিল লক্ষণীয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ফেয়াফ্যাক্স কাউন্টির কমনওয়েলথ এটর্নি জেনারেল রে মোরহ। বিশেষ অতিথি হিসাবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডেমোক্রেট নেতা ড্যান হেলমার, হিউম্যান রাইটস এটর্নি ও ডেমোক্রেট নেতা ইয়াসমিন তায়েব, ফোবানা এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি জাকারিয়া চৌধুরী, ফোবানা ২০১৯ সম্মেলনের সদস্য সচিব আবীর আলমগীর, এবং সাপ্তাহিক বর্ণমালার সম্পাদক মাহফুজ আহমেদ।

অতিথিদের শুভেচ্ছা বক্তব্যের পর অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ফেয়াফ্যাক্স কাউন্টির কমনওয়েলথ এটর্নি জেনারেল রে মোরহ লালফিতে কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এ সময় আয়োজক এবং আয়োজক সহযোগী আকতার হোসাইন, বোরহান আহমেদ, রেদওয়ান চৌধুরী, আরিফুর রহমান স্বপন, মনির হোসাইন ও শেখ মাওলা মিলন সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্পন্সর অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানের অতিথিদের কাছ থেকে ফ্রেন্ডস এন্ড ফ্যামেলী অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করে একাত্তর ফাউন্ডেশন কবির পাটোয়ারী ও পারভিন পাটোয়ারী, প্যানঅ্যাম গ্রুপ জিআই রাসেল ও জেবা বানু, গোলাম মোস্তফা ও রোকসানা পারভিন, ডাটা গ্রুপ জাকির হোসাইন, পিপল এন্ড টেক ফারহা হানিফ, ও ভার্জিনিয়ার ব্যবসায়ী মকবুল হোসাইন।

এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশেষ সহযোগিতার জন্য অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন রেদওয়ান চৌধুরী ও উৎপল সাহা। অনুষ্ঠানে উত্তর আমেরিকার দুটি সংঠনকে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। ফোবানার পক্ষ থেকে অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন ফোবানার এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি জাকারিয়া চৌধুরী। ফোবানা সম্মেলন ২০১৯ এর স্বাগতিক সংগঠন ড্রামা সার্কেলের পক্ষে অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন সম্মেলনের সদস্য সচিব আবীর আলমগীর।

অনুষ্ঠানে র‌্যাফেল ড্র প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তিনটি টেলিভিশন প্রদান করা হয়। প্রথম পুরস্কার প্রদান করেন পারভিন পাটোয়ারী ও পালকি পাটোয়ারী, দ্বিতীয় পুরস্কার প্রদান করেন ওয়াশিংটনের বিশিষ্ট লোন স্পেশালিষ্ট শরিফ আহমেদ এবং তৃতীয় পুরস্কার প্রদান করেন আকতার হোসাইন ও ফাহমিদা শম্পা।

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত শিল্পীদের মধ্যে নাজিয়া লীনা ও কামারুজ্জামান বকুল পরপর ছয়টি গান পরিবেশন করেন। এরপর মঞ্চ মাতান বাংলাদেশের জনপ্রিয় বাউলশিল্পী সায়েরা রেজা ও বর্তমান প্রজন্মের হাটথ্রব সঙ্গীত শিল্পী হৃদয় খান। সায়েরা রেজা ও হৃদয় খান পরপর প্রায় পৌনে দুইঘন্টা ধরে তাদের জনপ্রিয় গানগুলো পরিবেশন করে দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন। মধ্যরাত পর্যন্ত ওয়াশিংটন প্রবাসী বাংলাদেশীরা নেচে গেয়ে আনন্দ উদ্দীপনায় মেতে থাকেন। অনুষ্ঠানে নিউইয়র্কের জনপ্রিয় মাটি ব্যান্ড অংশগ্রহণ করেন। মাটি ব্যান্ডের সদস্যদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কি-বোর্ড পার্থ, লিড গিটার জোহান, বেজ কেডি এবং ড্রামে ছিলেন রিচার্ড।

অনুষ্ঠানে সাউন্ড সেটআপ ও ব্যবস্থাপনায় ছিলেন ওয়াশিংটনের বিশিষ্ট সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার জামিল খান, লাইটিং সেটআপ ও ষ্টেজ ব্যবস্থাপনায় ছিলেন উৎপল সাহা কাজল, অতিথি আপ্যায়ন ও ব্যবস্থাপনায় ছিলেন আকতার হোসাইন, মোস্তফা হোসাইন মুকুল, রেদওয়ান চৌধুরী, ফাহমিদা হোসাইন শম্পা, ক্যামেলিয়া মোস্তফা ও বোরহান আহমেদ, সিকিউরিটি ব্যবস্থাপনায় রকিবুল হাসান বাপ্পী, স্টল ব্যবস্থাপনায় ছিলেন জসিম উদ্দিন, মনির হোসাইন ও রকিবুল হাসান বাপ্পী, র‌্যাফেল ড্র পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় ছিলেন মনির হোসাইন ও আনসার আহমেদ নাইম, ক্লিনিং ব্যবস্থাপনায় ছিলেন আকতার হোসাইন, হোটেল এন্ড ট্রান্সপোর্টেশন ও আপ্যায়ন ব্যবস্থাপনায় বোরহান উদ্দিন আহমেদ, ষ্টেজ প্রোগ্রাম ব্যবস্থাপনায় ছিলেন আরিফুর রহমান স্বপন ও শেখ মাওলা মিলন, পুরস্কার ও রিকগনিশন ব্যবস্থাপনায় ছিলেন আকতার হোসাইন, ও মোস্তফা হোসাইন মুকুল, উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন ও ব্যবস্থাপনায় ছিলেন রচনা মাওলা ও সাবরিনা রহমান শর্মী, শিল্পী ব্যবস্থাপনায় ছিলেন হাসনাত সানী এবং পিঠা প্রতিযোগিতা ব্যবস্থাপনায় ছিলেন শেখ মাওলা মিলন, ফটোগ্রাফির দায়িত্বে ছিলেন বিপ্লব দত্ত, ডিজিটাল ভিডিও ব্যবস্থাপনায় ছিলেন রাজীব বড়ুয়া এবং অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন শেখ মাওলা মিলন এবং পুরো অনুষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন অনুষ্ঠানের আয়োজক আকতার হোসাইন।

হৃদয় খানের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা শেষে রাত প্রায় বারোটায় অনুষ্ঠানের মুল আয়োজক আকতার হোসেনের সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। সমাপনী বক্তব্যে আকতার হোসাইন ফ্রেন্ডস এন্ড ফ্যামেলী আয়োজিত পিঠা উৎসবকে সফল করবার জন্য যারা স্পন্সর ও সহযোগিতা করেছেন তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মোহাম্মদ রাজীব পার্টনার রিয়েলষ্টেট, পিপল এন্ড টেক, নাজির উল্ল্যা রিয়েলটর, উৎপল সাহা রিয়েলটর, দিলাল আহমেদ রিয়েলটর, ডাটা গ্রুপ, সোনিয়া জুয়েলার্স, দলিল আহমেদ রিয়েলটর, প্যানঅ্যাম গ্রুপ, কাবাব কিং, দেশী বাজার, গোলাম মোস্তফা ও রুকসানা পারভিন, কবির পাটোয়ারী ও পারভিন পাটোয়ারী, একাত্তর ফাউন্ডেশন, মকবুল হোসাইন, মোহাম্মদ কাজল (বাল্টিমোর), আবুল কালাম রিয়েলটর, মোহাম্মদ কাদের রিয়েলটর, মজনু মিয়া, সোমা হাওলাদার, প্রাণেশ হাওলাদার, মোহাম্মদ হোসেন, এনটিভি, চ্যানেল আই, ওয়াশিংটন বাংলা, খবর ডট কম, রাজিব বড়ুয়া, বিপ্লব দত্ত।

অনুষ্ঠানের প্রচারে সহযোগিতার জন্য আলাপন গ্রুপ, বাইনিউজ গ্রুপ, বিসিসিডিআই কমিউনিটি গ্রুপ, খবর গ্রুপ, ওয়াশিংটন বাংলা গ্রুপ, বিডিঅন গ্রুপ সহ অন্যান্য গ্রুপকেও ধন্যবাদ জানান।

এছাড়াও তিনি অনুষ্ঠানকে সফল ও সার্থক করবার জন্য বোরহান আহমেদ, জসিম উদ্দিন, আরিফুর রহমান স্বপন, মনির হোসেন, নাইম রহমান, শারমিন আহমেদ, মোস্তফা হোসাইন মুকুল, সাবরিনা শর্মী, রাচন মাওলা, রাকিবুল ইসলাম বাপ্পী, হাসনাত সানী, মজনু মিয়া, মোহাম্মদ হোসেন, ফাহমিদা শম্পা, ক্যামেলিয়া মোস্তফা, শতরূপা বড়ুয়া ও শেখ মাওলা মিলনের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এছাড়াও তিনি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শিল্পীবৃন্দের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ও অংশগ্রহণ করায় আকতার হোসাইন ওয়াশিংটনের বিশিষ্ট সাংবাদিক হারুন চৌধুরী, শফি দেলওয়ার কাজল, এন্থনি পিয়ুষ গোমেজ, জাহিদ রহমান ও আকাশ রাইসের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সবশেষে আকতার হোসাইন আগামী ১৩ এপ্রিল শনিবার ওয়াশিংটনে বৈশাখী মেলা উদযাপনের ঘোষণা দিয়ে পিঠা উৎসবের সফল সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.