Sylhet Today 24 PRINT

জিয়া-খালেদা-এরশাদ বাংলাদেশের মাটির সন্তান নয়: প্রধানমন্ত্রী

সিলেটটুডে ডেস্ক |  ০৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও এরশাদ কেউই বাংলাদেশের মাটির সন্তান নন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘এ পর্যন্ত যতজন ক্ষমতায় এসেছে, একজনও বাংলাদেশের মাটির সন্তান নয়। একমাত্র আমার বাবা এবং আমি শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মাটির সন্তান।’

মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ইতালির স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় রোমের একটি হোটেলে ইতালি আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবর্ধনায় এসব কথা বলেন তিনি।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের জন্ম বিহারে, এরশাদের জন্ম কুচবিহারে, খালেদা জিয়ার জন্ম শিলিগুড়িতে। একজনও এই মাটির সন্তান না। এ পর্যন্ত যতজন ক্ষমতায় এসেছে আপনারা হিসেবে করে দেখবেন, একজনও বাংলাদেশের মাটির সন্তান না। একমাত্র আমার বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং আমি শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মাটির সন্তান।’

‘যেহেতু আমাদের মাটির টান আছে, এজন্য আমাদের একটা কর্তব্যবোধ আছে। আরেকটা জিনিস দেশকে জানা। অনেকেই ক্ষমতায় এসেছে, কিন্তু এ দেশ সম্পর্কে জানে না। কারণ যাদের জন্ম বাংলাদেশের মাটিতে হয়নি, তারা জানবে কোথা থেকে।-যোগ করেন সরকারপ্রধান।

সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে কাজ করলে দেশ উন্নত হওয়া সম্ভব বলে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমাদের আর কেউ পেছনে টানতে পারবে না, আমরা এগিয়ে যাবো।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট দিকদর্শন থেকে যদি আমরা কাজ করি, তাহলে অবশ্যই একটা দেশ উন্নত হওয়া সম্ভব। আসলে ৭৫-এর পর যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা এভাবে চিন্তা করেনি। তাদের ক্ষমতাটা ছিল ভোগের বস্তু।

‘আমরা মনে করি ক্ষমতা মানে কাজ করার সুযোগ, জনসেবা করার সুযোগ, আমরা জনগণের সেবক। সেবক হিসেবে কাজ করি। সেটা হচ্ছে আমাদের লক্ষ্য। আমাদের আর কেউ পেছনে টানতে পারবে না, আমরা এগিয়ে যাবো।’

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। ইতিমধ্যে ক্ষনগণনা উদ্বোধন করা হয়েছে। এখন মুজিববর্ষ পালন করার সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত। তিনি বলেন, ৭৪ সালে জাতির পিতা রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য যে আইন করে দিয়েছে অর্থাৎ একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের সমস্ত কাঠামো নীতিমালা, বিধিমালা যা যা দরকার হতে পারে সবই করে দিয়ে গেছেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে এতো কাজ জাতির পিতা কিভাবে করে গেলেন তা আমার বুঝে আসে না। তার লক্ষ্য বাংলাদেশকে সুন্দরভাবে সাজানো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিল, বাংলাদেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না, মানুষ না খেয়ে কষ্ট পাবে না। প্রতিটি মানুষ সুন্দর জীবন পাবে, লেখাপড়া শিখবে। চিকিৎসা পাবে।

কিন্তু বঙ্গবন্ধু সে কাজ সম্পন্ন করে যেতে পারেননি জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, একদিকে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলে আর্থ সামাজিক উন্নয়নের পথে যখন যাত্রা শুরু করলেন। আমাদের দুর্ভাগ্য ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো।

গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রোমা ঢাকা রোম রুটে বিমান বাংলাদেশ পুনরায় চালুর দাবির প্রশ্নের জবাবে সরকারপ্রধান বলেন, ইতোমধ্যে ১২টা বিমান রয়েছে আরও তিনটি খুব শিগগিরই যোগ হবে। অনেক দেশের বিমান সমস্যা সমাধান হয়েছে। ইতালিতে বিমান চালুর ব্যাপারে দেশটির সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, অবৈধভাবে যারা সংবিধান লঙ্ঘন করেছে তাদের ভাগ্য আজ কঠিন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ঘুষ নেয়া ও দেওয়া দুইটাই অপরাধ। এই কালচার বিএনপি শুরু করে।

ইতালি আওয়ামী লীগ সভাপতি ইদ্রিস ফরাজীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাসান ইকবালের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রোমে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আব্দুস সোবাহান সিকদার, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতানা শরীফ প্রমুখ।

এছাড়াও জার্মান, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, বেলজিয়াম ও স্পেনসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন শেখ হাসিনা। এরপর দুপুরে ট্রেনে করে রোম থেকে মিলান যাবেন। শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৪০মিনিটে আমিরাত এয়ারলাইন্সের ‘ইকে-২০৬’ ফ্লাইটে মিলান মেলপেনসা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন তিনি।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.