Sylhet Today 24 PRINT

ডিজিটাল প্রদর্শনীতে জীবন্ত বঙ্গবন্ধু ও বাপু

উত্তম কাব্য |  ১৫ নভেম্বর, ২০২১

সিলেটে সমাপ্ত হলে বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনী। আজ বিকেলে বিকেলে আট দিন ব্যাপী এ প্রদর্শনী সমাপ্ত হয়। নগরের মাছিমপুরের আবুল মাল আবদুল মুহিত কমপ্লেক্সের ইনডোর স্টেডিয়ামে গত ৮ নভেম্বর থেকে এ প্রদশর্নী শুরু হয়।

সিলেটস্থ ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন অফিস, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ ও সিলেট জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। মহাত্মা গান্ধী ডিজিটাল জাদুঘরের কিউরেটর বিরাট রাজারাম ইয়াগনিক দ্বারা বিশেষভাবে পরিচালিত এই ডিজিটাল প্রদর্শনী সিলেটের দর্শকদের মুগ্ধ করে।

প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল। প্রদর্শনীতে উপমহাদেশের দুই বরেণ্য নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহাত্মা গান্ধীর জীবনী নির্ভর প্রায় ৫’শ ভ্রাম্যমাণ তথ্যচিত্রসহ দুই নেতার বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য সময়ের বর্ণনা সংবলিত ডিজিটাল উপস্থাপনা করা হয়।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শেষদিনেও প্রদর্শনী দেখতে প্রচুর মানুষ ভিড় করেছেন। প্রদর্শনীতে, দুই দেশের দুই জাতির পিতা সম্পর্কে তুলে ধরা হয়। এছাড়া দুই দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, বাংলাদেশের ১৯৬৯ এর গণঅভুত্থান, ১৯৭০ এর নির্বাচন ও ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ডিজিটাল প্রদর্শনীর মাধ্যমে প্রদর্শন করা হয়।

মহাত্মা গান্ধী ও বঙ্গবন্ধুর একসাথে বিভিন্ন স্মৃতি এতে তুলে ধরা হয়। ১৯৪৭ সালে তাদের প্রথম দেখা হয় সেই ছবিটিও সেখানে তুলে ধরা হয়।

দুই নেতার দেশ গঠনে বিশেষ বিশেষ ভূমিকাগুলোও প্রদর্শনীর মাধ্যমে সেখানে তুলে ধরা হয়।

অনুষ্ঠান দেখতে যাওয়া রাজর্ষি রণজয় তার ফেসবুকে লিখেন-
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ এবং মহাত্মা গান্ধীর একশোপঞ্চাশ তম বর্ষ উপলক্ষে ভারতীয় হাইকমিশনের সিলেট রেঞ্জ 'Bangabandhu-Bapu' নামে এক চমৎকার অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। মূলত এক্সিবিশন। এতো বেশি তথ্যবহুল এবং এতো ছিমছাম আয়োজন! তন্ময় হয়ে উপভোগ করার মতো। দুদেশের সংগ্রামের ইতিহাস উঠে এসেছে থিম হিসেবে।

অনুষ্ঠান দেখতে যাওয়া নাট্যকার মোস্তাক আহমেদ জানান, বাংলাদেশের জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে এদেশের আপামর মুক্তিকামী মানুষ ভালোবেসে বঙ্গবন্ধু নামে ডাকে, আর ভারতের স্বাধীনতাকামী জনতার ভালোবাসার বাপু ছিলেন মহাত্মা গান্ধী। এই দুই মহানায়ককে নিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে এই প্রজন্মকে ইতিহাস চর্চায় উদ্ভুদ্ধ করবে।

সিলেটে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারি হাই কমিশনার নিরাজ কুমার জয়শওয়াল সিলেটটুডেকে জানান, দুই দেশের দুই নেতার ত্যাগের ফলেই আজকের স্বাধীন ভারত ও বাংলাদেশ। তাদের দেশের প্রতি রেখে যাওয়া ভূমিকাে কিছুটা সবার সামনে প্রদর্শনীর মাধ্যমে তুলে ধরাই ছিল আমাদের লক্ষ্য। আশা করি মহান দুই নেতা সম্পর্কে অনেকেই জানতে পারছে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.