তক্ষক মঞ্চস্থ করলো থিয়েটার বাংলা

সিলেটের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম চালিকাশক্তি সম্মিলিত নাট্য পরিষদ, সিলেট এর আয়োজনে এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় ১৫দিন ব্যাপী মহান একুশের চেতনায় নাট্য প্রদর্শনীর অষ্টম দিন ৩ মার্চ থিয়েটার বাংলা, সিলেট তাদের নতুন প্রযোজনা তক্ষক নাটকটি কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে মঞ্চস্থ করে।

নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন গোবিন্দ দেব, অপু কুমার সেনাপতি, মুর্শেদ তালুকদার, মোঃ তাজুদ মিয়া কামালী, গোপাল সূত্রধর, গোবিন্দ দেব। নাটকটি রচনা করেছেন মনোজ মিত্র ও নির্দেশণা দিয়েছেন অপু কুমার সেনাপতি।

জন্মগ্রহন করলে মৃত্যুবরণ করতে হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমরা অনেকেই তা ভুলে যাই। ক্ষমতার অহংকার আমাদের এই অনিবার্য সত্যকে ভুলিয়ে দেয়। অথচ জীবন মৃত্যু একই রুপ। তারা একই দেহে লীন। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আমাদের অনেক বাধা- বিপত্তি অতিক্রম করে এগোতে হয়। কেউ বা পরাজিত হই কেউ হয় জয়ী। কিন্তু এরই মধ্যে আমরা জীবনকে উপভোগ করতে ভুলে যাই। তাই আমাদের প্রতি মূহুর্তে সকল প্রতিবন্ধকতাকে পরাজিত করে আমাদের জীবনকে উপভোগ করতে হবে। সেটি এমনও হতে পারে আমাদের জীবন বা আমাদের বেচেঁ থাকার সময়সীমা সীমিত হয়ে পড়ে। হয়তো একমাস বা একবছর বা আরো কম-বেশী সেক্ষেত্রে প্রতিটি মুহূর্ত প্রতিটি সময় আমাকে বাচঁতে হবে বিরাট হয়ে। একটা দিন হবে একেকটা যুগের মতো। এই উপলব্ধি দর্শক মনে সৃষ্টি করাটাই আমাদের নাটকের মূল উদ্দেশ্য।

নাট্য প্রদর্শনীকে কেন্দ্র করে নানা বয়সের দর্শকের উপস্থিতিতে জমে উঠেছে নাট্যাঙ্গন।প্রতিদিন নতুন কোন নাটক দেখতে অডিটোরিয়াম প্রাঙ্গনে নাট্যমোদী দর্শকের উপস্থিতি উজ্জীবিত করছে আয়োজকদের।

নাটক মঞ্চায়ন শেষে সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে নাট্যদল কে সন্মাননা জানান,বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি মন্ডলির সদস্য মোকাদ্দেস বাবুল ও বাংলাদেশ নৃত্য শিল্পী সংস্থার সিলেট বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক নিলাঞ্জনা যুঁই।

সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেট এর সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত এর পরিচালনায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন নাট্য পরিষদের সভাপতি মিশফাক আহমদ মিশু।

আজ ৪ মার্চ মহান একুশের আলোকে নাট্য প্রদর্শনীর নবম দিন নবশিখা নাট্যদল, সিলেট, রওশন জান্নাত রুশনী রচয়িত বীরাঙ্গনার বয়ান নাটকটি মঞ্চায়ন করবে। আগামী ১০ মার্চ পর্যন্ত প্রতিদিন সন্ধ্যা সাতটায় কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে মহান একুশের আলোকে নাট্য প্রদর্শনীতে নাটক মঞ্চায়ন হবে।