Sylhet Today 24 PRINT

চন্দ্রাবতী রায় বর্মণের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক |  ২৭ আগস্ট, ২০১৯

‘মাসী মা’ খ্যাত বিখ্যাত লোকসংগীত শিল্পী চন্দ্রাবতী রায় বর্মণের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৪ সালের ২৭ আগস্ট সকাল ৬টায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮৫ বছর বয়সে তিনি না ফেরার দেশে চলে যান।

চন্দ্রাবতী রায় বর্মণের জন্ম ১৯৩১ সালে (১৩৩৮ বাংলার ২৬ ফাল্গুন) সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর গ্রামে। তার বাবা সহদেব বর্মণ, মা মুক্তা রাণী দেবী। বিয়ে করেছিলেন একই জেলার জামালগঞ্জের সেলিমগঞ্জ গ্রামের ভারতচন্দ্র রায় বর্মণকে।

তার এক মেয়ে ও তিন ছেলে। জীবনের শেষ দিনগুলো কাটিয়েছেন বড় ছেলে সিলেট মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ভবতোষ রায় বর্মণের বাসায়।

চন্দ্রাবতী রায় বর্মণ ১৯৬৯ সালে বেতারের শিল্পী হিসেবে প্রথম যোগদান করেন। এরপর দেশ-বিদেশে তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৯৪ সালে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ টেলিভিশনে লোকসংগীত পরিবেশন করেন।

সর্বশেষ ২০১৪ সালের ১২ আগস্ট তার দুটি গান রেকর্ড করে বাংলাদেশ বেতার সিলেট আঞ্চলিক কার্যালয়। তিনি ধামাইল, পদ্মপুরাণ, সূর্যব্রত ও কীর্তন গানের একজন জনপ্রিয় শিল্পী ছিলেন।

এ লোকসংগীত শিল্পীর জীবনের প্রায় ৭৫ বছরই কেটেছে লোকগান করে। মনে-প্রাণে ধারণ করেছিলেন লোকগানের আদি কথা ও সুর। গান গেয়ে পেয়েছেন জনপ্রিয়তা ও অসংখ্য সম্মাননা। কেবল দেশেই নয়, ওপার বাংলা থেকেও সম্মাননা পেয়েছেন চন্দ্রাবতী।

তিনি কলকাতার বাউল-ফকির উৎসব সম্মাননা (১৪১৬), নাট্যমঞ্চ সম্মাননা (২০০৩), রাধারমণ সম্মাননা (১৪১৪), শ্রুতি সম্মাননা (১৪১৫), সিলেট বিভাগীয় বাউল সম্মেলন সম্মাননা (২০০৬), গ্রামীণফোন অমর একুশে বইমেলা সিলেট সম্মাননা (২০০৮), সিলেট শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননাসহ (২০১৩) নানা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.