Sylhet Today 24 PRINT

মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় সমাবর্তনে ডিগ্রি পেলেন ১৩৮২ জন শিক্ষার্থী

সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ১৩৮২ জন শিক্ষার্থী পেলেন স্নাতক ডিগ্রি। শনিবার সকালে সিলেট নগরীর মেন্দিবাগস্থ ক্রীড়া কমপ্লেক্সে আয়োজিত ইউনিভার্সিটির ২য় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তাদের হাতে তুলে দেয়া হয় এই ডিগ্রি।

সিলেট টুডে রিপোর্ট  |  ৩১ জানুয়ারী, ২০১৫


সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ১৩৮২ জন শিক্ষার্থী পেলেন স্নাতক ডিগ্রি। শনিবার সকালে সিলেট নগরীর মেন্দিবাগস্থ ক্রীড়া কমপ্লেক্সে আয়োজিত ইউনিভার্সিটির ২য় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তাদের হাতে তুলে দেয়া হয় এই ডিগ্রি। ডিগ্রি পেয়ে উচ্ছ্বসিত ছিলেন শিক্ষার্থীরা।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য্য ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পক্ষে তার মনোনীত প্রতিনিধি শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ।

সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন রবীন্দ্র অধ্যাপক ও আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য প্রফেসর ড. তপোধীর ভট্টাচার্য।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ৯৩৮ জন ছাত্র ও ৪৪৪ জন ছাত্রীকে ডিগ্রী প্রদান করা হয়। এছাড়া ৬ জন কৃতি শিক্ষার্থীকে দেয়া হয় চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল এ্যাওয়ার্ড। এ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তরা হলেন- স্মিতা রায়, আজমিরা জান্নাত, দিলরুবা ইয়াসমিন, মোহাম্মদ আলী হাসান, সাজিদা আক্তার চৌধুরী শিমু ও মোহাম্মদ আবু বকর।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো.  সালেহ উদ্দিন বলেন, ২০০৩ সালে মাত্র ১৭ জন শিক্ষার্থী ও ৭ জন শিক্ষক নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি। কিন্তু বর্তমানে ২৬০০ শিক্ষার্থী, ৭৪ জন শিক্ষক ও ১৭ জন খন্ডকালীন শিক্ষক নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।

তিনি বলেন- নিবেদিতপ্রাণ  তরুণ শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে একদল শিক্ষার্থীর ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন, ড্রোন ও সাবমেরিনসহ বিভিন্ন উদ্ভাবন বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বয়ে এনেছে।

সমাবর্তন বক্তৃতায় গ্রাজুয়েটদের উদ্দেশ্যে প্রফেসর ড. তপোধীর ভট্টাচার্য বলেন, অফুরন্ত প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর বাংলাদেশে সম্ভাব্য উদ্যোগের কোন শেষ নেই। কৃষি বিজ্ঞানের গবেষকরা এক হাত বাড়িয়ে দিক জীববিজ্ঞানের দিকে, অন্যহাত বাড়ানো থাক ভূবিদ্যা, রসায়ন বা পরিবেশ বিজ্ঞানের দিকে। সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা বাংলাদেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তোলার উদ্যোগ নবীণ প্রজন্মকেই গ্রহণ করতে হবে।

সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি’র বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর চেয়ারম্যান ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী বলেন, শিক্ষা একটি বিরামহীন প্রক্রিয়া। শিক্ষা কখনো পণ্য হতে পারে না। কতিপয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা বাণিজ্য চলছে যার ফলে ঢালাওভাবে সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে দোষারূপ করা হচ্ছে। এটা না করে যারা অনিয়ম করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি যারা ভালো করছে তাদের প্রশংসা করাও উচিত।

সভাপতির বক্তৃতায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে আমাদের নতুন প্রজন্মকে প্রধান কারিগরের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে। সরকার শিক্ষা ব্যবস্থার গুণগত পরিবর্তন করে সকলের জন্য আধুনিক মানসম্মত যুগোপযোগী শিক্ষা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।

গ্রাজুয়েটদের উদ্দেশ্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আপনাদেরকে নৈতিক গুণসম্পন্ন, চরিত্রবান, গণতন্ত্রমনস্ক এবং দেশ ও জনগণের প্রতি দায়বোধসম্পন্ন সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আপনারাই দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নেবেন, জাতি সে প্রত্যাশায় আপনাদের দিকে তাকিয়ে আছে।




টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.