Sylhet Today 24 PRINT

শাবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি আ’ লীগ নেতাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক |  ১৮ জানুয়ারী, ২০২২

পুলিশি হামলার ঘটনায় উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে ক্যাম্পাসে গেছেন কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা।

মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) বেলা ১২টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে শিক্ষার্থীদের সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। তার সঙ্গে ছিলেন সিলেট মহানগর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিধান কুমার সাহা ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক হোসেন।

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। তারা শিক্ষার্থীদের সবগুলো দাবি যৌক্তিক উল্লেখ করে তা পূরণে কিছুটা সময় দেয়ার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে যাতে সমাধানে পৌঁছা যায় সেই পথ খোলা রাখারও আহ্বান জানান তারা।

শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে নাদেল বলেন, ‘এক ব্যক্তির হাতে বিশ্ববিদ্যালয় জিম্মি হতে পারে না।’

এদিকে মঙ্গলবার ষষ্ঠ দিনের মতো শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ক্যাম্পাসে কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।

প্রসঙ্গত, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলের প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক জাফরিন আহমেদ লিজার বিরুদ্ধে ‘অসদাচরণের’ অভিযোগে এনে প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবি আদায়ে গত বৃহস্পতিবার থেকে আন্দোলনে নামেন ওই হলের ছাত্রীরা। বৃহস্পতিবার রাত ৯টা থেকে ৩টা পর্যন্ত উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীরা।

এ নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হলেও দাবি পূরণ না হওয়ায় আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন তারা। এরই মধ্যে শনিবার সন্ধ্যায় আন্দোলনরতদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য সকল বিভাগের ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

রোববার বেলা আড়াইটার দিকে একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিং শেষে রেজিস্ট্রার ভবন থেকে বের হলে উপাচার্যের পিছু নেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় উপাচার্য ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া আইসিটি ভবনে আশ্রয় নিলে শিক্ষার্থীরা সেখানে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে রোববার বিকেলে এসে সহিংসতায় রূপ নেয় আন্দোলন।

এদিকে পুলিশের হামলায় ছত্রভঙ্গ শিক্ষার্থীরা আবারও জড়ো হলে পরে ছাত্রলীগ তাদের ধাওয়া করে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে উপাচার্যের পদত্যাগের একদফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা। সোমবার বিকেলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে তারা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন।

এদিকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় ৮ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে গণিত বিভাগের অধ্যাপক ডা. রাশেদ তালুকদারকে।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.