শাবিপ্রবি প্রতিনিধি | ০৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ২০২১-২২ সেশনে ভর্তি কার্যক্রমে কোন শিক্ষার্থী বিশেষ সুবিধা পেয়ে ভর্তির সুযোগ পায়নি। যারা ভর্তি হয়েছে তারা তাদের যোগ্যতায় ও ভর্তির যথাযথ শর্ত পূরণ করে ভর্তি হয়েছে।
রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
উপাচার্য বলেন, আমরা বিশেষ কাউকে সুবিধা দিতে পোষ্যকোটা নীতিমালা পরিবর্তন করি নি। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫ থেকে ৩০ বছর সেবা দিয়ে গেছে তাদের পোষ্যরা যাতে এ সুবিধাটি নিতে পারে তাই নীতিমালা পরিবর্তন করা হয়েছে।
এরআগে গত ২৬ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ‘পোষ্য কোটা’ নীতিমালা পরিবর্তন করে অবসরোত্তর ও মরণোত্তর নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়। এতে চাকুরীরত অবস্থায় কেউ মারা গেলে তাদের পোষ্যরা অবসরের সময়কাল এবং অবসরের পরবর্তী ৫ বছর কোটা সুবিধা নেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এ নীতিমালা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিপন্থী উল্লেখ করে বিশেষ কাউকে সুবিধা দিতে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন একাধিক শিক্ষক-কর্মকর্তা।
এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপাচার্য বলেন, 'কেউ প্রমাণ করতে পারবে না আমরা বিশেষ কাউকে সুবিধা দিতে নীতিমালা পরিবর্তন করেছি। তারা যে অভিযোগ তুলেছে এটি সম্পূর্ণ অমূলক, মিথ্যা, বানোয়াট। এই কথার কোনো ভিত্তি বা সত্যতা নেই। তারা পারলে প্রমাণ করুক'।
ভর্তি কমিটি সূত্রে জানা যায়, মুক্তিযোদ্ধা ২৮টি, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী/জাতিসত্বা/হরিজন দলিত ২৮টি, চা শ্রমিক ৪টি, পোষ্য ২০টি, প্রতিবন্ধী ১৪টি, বিকেএসপি ৬টি আসনসহ মোট ১০০টি আসন রয়েছে। এতে কোটার নীতিমালার বিভাগ অনুসারে সর্বশেষ ভর্তিকৃত প্রার্থীর প্রাপ্ত নম্বর থেকে ১০ নম্বর কম এবং ভর্তি পরীক্ষায় নূন্যতম ৪০ শতাংশ নম্বরের শর্ত পূরণ করে ২১জন কোটাধারী শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘ আমরা শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য মানবিক দিক বিবেচনা করে পোষ্যদের জন্য এ সুবিধাটি চালু করা হয়েছে। শাবিপ্রবি প্রথম সারির একটি বিশ্ববিদ্যালয়। তাই কোটায় ভর্তি হলেও এখানে অবশ্যই মানদণ্ড থাকা দরকার। তাই তাদের জন্য বিভাগ অনুসারে সর্বশেষ ভর্তিকৃত প্রার্থীর প্রাপ্ত নম্বর থেকে ১০ নম্বর কম এবং ভর্তি পরীক্ষায় নূন্যতম ৪০ শতাংশ নম্বরের শর্ত দেওয়া হয়েছে।