পারিবারিক শিক্ষাই নারী বৈষম্য দূর হতে পারে

আমরা পরিবারের মাধ্যমে যে শিক্ষা পাই সে শিক্ষাটাই সবচেয়ে বড় শিক্ষা। পরিবার থেকে নারী-পুরুষের সমতার শিক্ষাটা নিতে না পারলে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে তা করা সম্ভব নয় না। কারণ একজন শিক্ষিত নারী যেভাবে পরিবারকে গুছিয়ে তৈরি করতে পারে তা অশিক্ষিত নারীরা সেভাবে তা পারে না। এজন্য নারীদের সবচেয়ে বেশি শিক্ষার প্রয়োজন।

ফলে পারিবারিক শিক্ষাই নারী বৈষম্য দূর করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দুপুরে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে এ বক্তব্য রাখেন তিনি।

সমাবেশে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আগামী সময়টা প্রযুক্তির যুগ। এখন থেকে আমাদের সেভাবে তৈরি হওয়া দরকার। তাই প্রযুক্তির জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে নারীদের আরো বেশি অগ্রসর করা প্রয়োজন। নারীদেরকে শিক্ষা বা প্রযুক্তির জ্ঞানে কাজে লাগাতে না পারলে তাদের সমতায় আনা কিংবা দেশের টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, নারীদের অগ্রগতি বা সমতায় আনার জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তার সাথে আমাদের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। তা না পারলে নারীদের এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে না। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি গণিত সবক্ষেত্রেই নারীদের সমতায় নিয়ে আসতে হবে। অন্যথায় আগামী ১০০ বছরেও তাদেরকে সমতায় আনা সম্ভব হবে না। ফলে এখন থেকেই নারীদের শিক্ষায় আরো বেশি শিক্ষিত করতে হবে।

সমাবেশে ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক আমিনা পারভীনের সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুল ইসলাম, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. দিলারা রহমান, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. চন্দ্রানী নাগ, কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট ফজিলাতুন্নেছা শাপলাসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী প্রমুখ।

এরআগে 'ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, জেন্ডার বৈষম্য করবে নিরসন' প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের সামনে থেকে একটি র্যারি বের করা হয়। র্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।