Sylhet Today 24 PRINT

শাবিতে আবারো চুরি: এবার শিকার শারীরিক শিক্ষা ভবন

শাবি প্রতিনিধি |  ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারো দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা ভবনে এই চুরির ঘটনা ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুইটি ল্যাপটপ. একটি স্ক্যানার মেশিন, তিনটি মাইকসহ লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি হয়েছে।
 
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টার ও শারীরিক শিক্ষা ভবনের যৌথভাবে দায়িত্বে থাকা নৈশ প্রহরী মো. সেবুল মিয়া এ সম্পর্কে কিছুই টের পায়নি বলে দাবি করছে।
 
এর আগে গত ৯ জানুুয়ারী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সংগীত বিষয়ক সংগঠন রিম’র প্রায় ৯০ হাজার টাকার বাদ্যযন্ত্র ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি চুরি যায়। রিম’র জন্য বরাদ্দ কক্ষ শারীরিক শিক্ষা ভবনের দুই গজের ভিতরেই এবং একই প্রহরীর দায়িত্বে।
 
এর পর ২৮ জানুয়ারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম ওয়াজেদ মিয়া আইঅইসিটি ভবন থেকে কম্পিউটার যন্ত্রাংশ চুরি হয়। এর মাত্র ৩ দিনের মাথায় পরিসংখ্যান বিভাগের ৩০৯ নং কক্ষ থেকে কম্পিউটার ল্যাবের যন্ত্রাংশ চুরি হয় বলে জানায় পরিসংখ্যান বিভাগ।
 
এর আগেও অহরহ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে শিক্ষার্থীদের সাইকেল, বিভিন্ন সংগঠনের মূল্যবান দ্রব্যাদি চুরির অভিযোগ পাওয়া যায়।
 
শারীরিক শিক্ষা দপ্তরের পরিচালক চৌধুরী সাউদ বিন অম্বিয়া বলেন, নীচতলায় অবস্থিত মেয়েদের ব্যায়ামাগারের উত্তর দিকে বাথরুমের গ্রীল কেট দূর্বৃত্তরা ঢুকে দুইটি ল্যাপটপ. একটি স্ক্যানার মেশিন, তিনটি মাইকসহ মূল্যবান মালামাল নিয়ে গেছে। তাছাড়া বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতার জন্য রাখা জার্সিও দূর্বৃত্তরা নিয়ে গেছে বলে জানান তিনি। 
 
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. রাশেদ তালুকদার এর সাথে এই ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ক্যাম্পসে চুরির ঘটনা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায়না। পূর্বের ঘটনাগুলোতে শক্ত পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। শারীরিক শিক্ষা ভবনের চুরির ঘটনা জানার পরে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি। তিনি আরো বলেন যে প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আরো কঠোর ব্যবস্থা নিব।
 
এ ব্যাপারে জালালাবাদ থানার এসআই অমিত সাহা বলেন, শারীরিকব শিক্ষা দপ্তরের খবর পেয়ে আমরা প্রাথমিকভাবে তদন্ত করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি লিখিত অভিযোগ করে তবে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিবো অন্যথায় সম্ভব নয়।
 
পুরো ক্যাম্পাস সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকার পরও বিশ্ববিদ্যালয়ে চলতি বছরেই চারটি বড় বড় চুরির ঘটনা ঘটেছে। নিয়মিতভাবেই  এ ধরনের ঘটনা ঘটে গেলেও এ  ব্যাপারে প্রশাসনের কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে বার বার ব্যর্থ হচ্ছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক শিক্ষার্থীকে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। 
 
নাম প্রকাশ না করার শোর্তে সমাজকর্ম বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসি ক্যামেরা লাগানো থাকলেও তার ব্যবহার শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধেই করা হয়, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার কাজে এই সিসি ক্যামেরাগুলো কোন অবদান রাখতে পারছে না, তাহলে এত টাকা খরচ করার অর্থ কি?
 
খাদ্য প্রকৌশল ও চা প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থী রিফাত আল মামুন বলেন, সিসি ক্যামেরা লাগানো অবস্থায় নৈশ প্রহরী থাকা সত্ত্বেও যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বিধান করা না যায় তবে এইসব দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কি লাভ হচ্ছে তা আমরা জানতে চাই।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.