Sylhet Today 24 PRINT

শাবিপ্রবিতে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

ডেস্ক রিপোর্ট |  ২৬ মার্চ, ২০১৫

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) পালিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা দিবস। 

এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে উপাচার্য্য অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল হক ভুইয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। 
এরপর একে একে পুষ্পস্তবক অর্পন করে শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স এসোসিয়েশন, বিভিন্ন হল প্রশাসন, ছাত্র সংগঠন, সাংস্কৃতিক সংগঠন। 

এর আগে সকাল সাড়ে ৬টায় প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্য্য অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল হক ভূইয়া মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন পর্ষদের আহবায়ক কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. ইলিয়াস উদ্দীন বিশ্বাসকে নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। 

পরে মিনি অডিটরিয়ামে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ‘বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর দ্বারা অর্জিত বিজয়ে মিত্রবাহিনীর ভূমিকা’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. এমদাদুল হক। 

উদযাপন পর্ষদের আহবায়ক কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. ইলিয়াস উদ্দীন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আমিনুল হক ভূইয়া উপস্থাপিত প্রবন্ধের প্রশংসা করে বলেন, মিত্র বাহিনী স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের সাহায্য-সহযোগিতা করেছে। কিন্তু তাদের দয়ায় আমরা স্বাধীনতা পাইনি। বরং বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যুদ্ধ করে এদেশের মানুষ স্বাধীনতা অর্জন করে। 

তিনি বর্তমান সরকারের আমলে দেশের অগ্রগতির কিছু চিত্র তুলে ধরে বলেন, দেশের প্রবৃদ্ধির হার বেড়েছে। তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দেশ অনেক এগিয়ে গেছে। এদেশের তরুণদেরকে আত্মনির্ভরশীল করতে সরকার আর্নিং থ্রো লার্নিং প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে। ইতোমধ্যে ২৬ হাজার তরুণকে এ প্রকল্পের অধীনে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। আরো ৫০ হাজার তরুণকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। 

প্রবন্ধের উপর প্যানেল আলোচক প্রফেসর ড. মো. কবির হোসেন বলেন, রাজাকার আলবদর ছাড়া এদেশে প্রতিটির মানুষই স্বাধীনতার জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছে। 

প্যানেল আলোচক প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল বিশ্বাস বলেন, পাকিস্তানীরা কখনই আমাদেরকে ভাল চোখে দেখেনি। তারা এ জাতিকে শোষণ করেছে। কিন্তু আমরা সবসময় গণতান্ত্রিক ছিলাম। তারাই আমাদেরকে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিয়েছিল। 

অপর প্যানেল আলোচক পিএসএস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাজেরা আকতার বলেন, কেন ভারত আমাদেরকে স্বাধীনতা যুদ্ধে সহযোগিতা করেছিল তা বিবেচ্য বিষয় হতে পারে না। বরং তারা আমাদের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছিল সেটাই সত্য কথা। 

সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ড. মো. ইলিয়াস উদ্দীন বিশ্বাস বলেন, বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণেই ভারত দ্রুত এদেশ থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়।

আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. সৈয়দ সামসুল আলম, এগ্রিকালচার এন্ড মিনারেল সায়েন্স অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. নারায়ন সাহা, সৈয়দ মুজতবা আলী হলের প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক মো. ফারুক উদ্দীন, অফিসার্স এসোসিয়শনের সভাপতি আনম জয়নাল আবেদীন ও সাধারণ সম্পাদক মো. তাজিম উদ্দীন, কর্মচারীদের পক্ষ থেকে মো আব্দুর রহিম ও তাজুল ইসলাম, শাবি ছাত্রলীগ সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থ, সহসভাপতি আবু সাঈদ আকন্দ, সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান, ১ম যুগ্ম সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম সবুজ এবং সাংগঠিক সম্পাদক সুপ্রাজিত চৌধুরী। 

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন।

টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
[email protected] ☎ ৮৮ ০১৭ ১৪৩৪ ৯৩৯৩
৭/ডি-১ (৭ম তলা), ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি,
জিন্দাবাজার, সিলেট - ৩১০০, বাংলাদেশ।
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.